আন্তর্জাতিক
সৌদিতে রোজা শুরু ১ মার্চ
সৌদি আরবের জ্যোতির্বিদ্যা বোর্ডের সদস্য ও রয়্যাল কোর্টের উপদেষ্টা শেখ আব্দুল্লাহ বিন সুলেইমান আল-মানেয়া জানিয়েছেন, জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে। ফলে দেশটিতে ১ মার্চ শুরু হবে মহিমান্বিত মাস রমজান।
তিনি জানিয়েছেন, এ বছরের রমজান মাসটি হবে ২৯ দিনের। সে হিসেবে রমজানের শেষদিন হবে আগামী ২৯ মার্চ। আর ঈদুল ফিতর পালিত হবে ৩০ মার্চ। তবে রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
রয়্যাল কোর্টের এই সদস্য বলেছেন, ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদটির জন্ম হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ৩টা ৪৪ মিনিটে। ওইদিন সন্ধ্যায় সুর্যাস্তের ৩২ মিনিট পর্যন্ত চাঁদটি আকাশে অবস্থান করবে। যার অর্থ খুব সহজেই চাঁদটি খালি চোখে দেখা যাবে।
আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, এ বছরের রমজান মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে শীত মৌসুমের। রমজানের প্রথম দিনটি হবে বসন্তে। ফলে রোজার দিনগুলো তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, মিসর ও কাতারের মুসলিমদের প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে রোজা রাখতে হবে।
এদিকে সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে রমজান মাস শুরু হয়। সে হিসেবে এ বছর বাংলাদেশের মুসল্লিরা ২ মার্চ প্রথম রমজান পালন করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের পুঁজিবাজারে টানা পতন, পাঁচ দিনে কমলো ২২৯০ পয়েন্ট
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য আমদানিতে আমেরিকার ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতের পুঁজিবাজারে। মঙ্গলবার বিশ্বজুড়ে বেশির ভাগ দেশেই ধাক্কা খেয়েছে শেয়ারবাজার। ভারতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ওইদিন ভারতের শেয়ারবাজারে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সেনসেক্স সূচক কমেছে ১০১৮। এর মাধ্যমে সূচকটি নেমেছে ৭৬,২৯৩.৬০ পয়েন্টে।
অন্যদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) নিফ্টি সূচক নেমে এসেছে ২৩,০৭১.৮০ পয়েন্ট। মঙ্গলবার সূচকটির পতন হয়েছে ৩০৯.৮০ পয়েন্ট।
এর মাধ্যমে টানা পাঁচ দিনের পতনে সেনসেক্স সূচক ২২৯০.২১ পয়েন্ট ও নিফটি ৬৬৭.৪৫ পয়েন্ট কমেছে। এরফলে বিএসই-তে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের দাম কমেছে ১৬.৯৭ লাখ কোটি টাকার।
ভারতের শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, অর্থনীতি ঘিরে উদ্বেগ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর টানা শেয়ার বিক্রি বাজারকে দুর্বল করছিল। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধের উদ্বেগ। চাহিদার অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগতে থাকা ভারতের রফতানি বাণিজ্যকে ধাক্কা দিতে পারে আমেরিকার আগ্রাসী শুল্ক নীতি। বিভিন্ন দেশ শুল্কের পাঁচিল তুলে ওয়াশিংটনকে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করলে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কাও বাড়বে। এই সবের জেরেই লাগাতার পড়ছে শেয়ার বাজার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চলতি বছর হজ পালনে যেসব শর্ত দিলো সৌদি
চলতি বছর সৌদির যেসব বাসিন্দা ও বিদেশি হজ করতে চান তাদের কিছু শর্ত দিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত যারা একবারও হজ করেননি, এ বছর শুধুমাত্র তাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে হজ যাত্রীদের গাইড হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের জন্য শর্তটি শিথিল থাকবে।
আরেকটি শর্ত হলো ন্যাশনাল কার্ড অথবা রেসিডেন্সি কার্ডের মেয়াদ জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত থাকতে হবে।
হজের রেজিস্ট্রেশনের সময় শতভাগ নির্ভুল তথ্য দিতে হবে। যদি কেউ ভুল তথ্য দেন তাহলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যারা হজ করতে আগ্রহী তাদের শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে। দুরারোগ্য ও মরণব্যাধীতে যারা ভুগছেন, তাদের হজের সুযোগ পাবেন না। এছাড়া আগ্রহী হজযাত্রীদের হজের আগে মেনিনজিটিস এবং মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নেওয়া সম্পন্ন করতে হবে।
এছাড়া হজের পোগ্রাম শুরু হয়ে যাওয়ার পর কেউ যদি হজ না করতে চান, তাহলে তারা তাদের পরিশোধিত অর্থ আর ফেরত পাবেন না। এটি মেনেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
হজযাত্রীদের সবাইকে স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ নিয়ম-নীতি, পবিত্র স্থানগুলোতে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া চলাচল, জড়ো হওয়া ও থাকার স্থান সংক্রান্ত সকল নির্দেশনাও কঠোরভাবে মানতে হবে।
যাদের হজের অনুমোদন দেওয়া হবে, তাদের নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে এটি প্রিন্ট করতে হবে। যেন অনুমোদনের কাগজে থাকা কিউআর কোডটি ভালোভাবে দেখা যায়। হজের পুরো সময়টায় এই কাগজটি সাথে রাখতে হবে। এছাড়া নিজে ছাড়া অন্য কাউকে এই কাগজটি দেওয়া যাবে না বলে শর্ত দিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া এবারের হজে হজযাত্রীরা তাদের সঙ্গে শিশুদের নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে সৌদি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
উত্তোলন কমাচ্ছে রাশিয়া, বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেলের দাম
জ্বালানি তেলের উত্তোলন ও বিপননকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের বৃহত্তম সদস্য রাশিয়া খনি থেকে তেলের উত্তোলন সীমিত রাখায় আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বস্তুত টানা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে মন্দাবস্থা চলার পর মঙ্গলবার থেকে বাজারে ফের চাঙাভাব শুরু হয়েছে।
ব্রেন্ট এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই)- অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের এ দুই বেঞ্চমার্কের দামই বেড়েছে গতকাল। বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেল (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট বিক্রি হয়েছে ৭৬ দশমিক ২১ ডলারে। আগের দিন সোমবারের চেয়ে এই দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
একই দিন ডব্লিউটিআই ব্র্যান্ডভুক্ত অপরিশোধিত প্রতি ব্যরেল তেল বিক্রি হয়েছে ৭২ দশমিক ৫৫ ডলারে। ব্রেন্টের মতো ডব্লিউটিআই ব্র্যান্ডে তেলের দামবৃদ্ধির হারও শতকরা দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ঘন ঘন ওঠানামা করা সত্বেও গত এক মাসে বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে দু’ শতাংশ।
তাদের মতে, রাশিয়া এবং ওপেক প্লাসের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রের দৈনিক তেল উত্তোলনের পরিমাণ হ্রাসই তেলের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রুশ তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা প্রদান করায় ২০২২ সালের প্রথম কয়েক মাস হু হু করে বাড়ছিল তেলের দাম। কিন্তু ডলার সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন দেশ তেল কেনার পরিমান কমিয়ে দেওয়ায় এক সময় পড়তে শুরু করে তেলের দাম।
ফলে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে মন্দাভাব ছিল। এই পরিস্থিতিতে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গত বছর রাশিয়া এবং ওপেক প্লাসের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্ররা তেলের দৈনিক উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও তেলের দৈনিক উত্তলন হ্রাসের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে ওপেক প্লাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত এ কারণেই ফের ধীরে ধীরে চাঙ্গাভাব ফিরে আসছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় গাজায় আটক থাকা বন্দিদের মুক্তি ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য স্থগিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যদি শনিবারের মধ্যে হামাস সেখানে আটক থাকা বন্দিদের মুক্তি না দেয় তাহলে গাজায় যুদ্ধ আবার শুরু হবে বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে। তবে ইসরায়েল এই চুক্তির মূল বিধান লঙ্ঘন করেছে বলে হামাস অভিযোগ তোলার পর চলমান যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে শনিবার গাজায় আটক থাকা তিন বন্দির মুক্তি লাভের কথা রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেছেন, “যদি শনিবার দুপুরে হামাস আমাদের বন্দিদের ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাবে এবং হামাস শেষ পর্যন্ত পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) তীব্র লড়াইয়ে ফিরে যাবে।”
হামাস বলেছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে এটি নিয়ে আর দর কষাকষির সুযোগ নেই এবং ইসরায়েলি বন্দিদের আসন্ন মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছে তারা। সোমবার হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেছেন, “প্রতিরোধ নেতৃত্ব শত্রুপক্ষের চুক্তি লঙ্ঘন এবং চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি তাদের অসম্মতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। এদিকে হামাস তার সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করে চলেছে।”
হামাস বলেছে, ইসরায়েল সব বাধ্যবাধকতা ঠিক মতো মেনে চললে বন্দি বিনিময়ের দরজা খোলা থাকবে। হামাসের এই মুখপাত্র উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফেরাতে বিলম্ব করা, মানুষের ওপর গুলি চালানো এবং মানবিক সহায়তা অনুমোদনে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।
এরপর নেতানিয়াহু মঙ্গলবার একের পর এক টুইট বার্তায় হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করেন এবং বলেন, তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে “গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে এবং চারপাশে বাহিনী জড়ো করার” নির্দেশ দিয়েছেন।
এ পর্যন্ত চুক্তির অংশ হিসাবে হামাস ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ের ধারাবাহিকতায় ২১ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। মূলত গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ১৬ ইসরায়েলি ও পাঁচ জন থাই বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৫৬৬ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
তিন সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জন বন্দি ও ১৯০০ বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, ৩৩ জনের মধ্যে আট জন আর জীবিত নেই। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার সময় হামাস মোট ২৫১ জনকে আটক করেছিল।
জবাবে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক আগ্রাসন চালায় এবং এতে মোট ৪৮ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিনামূল্যে ক্যানসারের ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা ডব্লিউএইচওর
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য বিনামূল্যে শিশুদের ক্যানসারের ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপি।
সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে শিশু ক্যানসার রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হবে। আক্রান্ত শিশুদের বেঁচে থাকার হার বাড়াতে এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে আক্রান্ত শিশুদের বেঁচে থাকার হার ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার প্রায় ৮০ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, প্রকল্পের পাইলট পর্যায়ে মঙ্গোলিয়া ও উজবেকিস্তানে প্রথম ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও ইকুয়েডর, জর্ডান, নেপাল ও জাম্বিয়ায় ওষুধ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই বছর ছয় দেশের অন্তত ৩০টি হাসপাতালে প্রায় পাঁচ হাজার শিশু ক্যানসার রোগী এ ওষুধ পাবেন।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস এএফপিকে বলেন, অনেক দিন ধরে ক্যানসার আক্রান্ত শিশুরা জীবনরক্ষাকারী ওষুধ পায়নি। এই প্ল্যাটফর্ম বিশ্বজুড়ে শিশুদের স্বাস্থ্য ও আশা নিয়ে আসবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই প্ল্যাটফর্মটি ডব্লিউএইচও এবং যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে অবস্থিত সেন্ট জুড চিলড্রেনস রিসার্চ হসপিটালের যৌথ উদ্যোগ। সেন্ট জুড হাসপাতাল এই প্রকল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে, যা শিশু ক্যানসার ওষুধের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিশ্রুতি।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পটির লক্ষ্য আগামী ৫ থেকে ৭ বছরে ৫০টি দেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার শিশুকে ওষুধ সরবরাহ করা। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় চার লাখ শিশু ক্যানসার আক্রান্ত হয়, যাদের বেশিরভাগই নিম্ন পরিবেশে বাস করে।
ডব্লিউএইচওর মতে, এই শিশুদের ৭০ শতাংশ সঠিক চিকিৎসার অভাবে, চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে অথবা নিম্নমানের ওষুধের কারণে মারা যায়।
ডব্লিউএইচওর ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রযুক্তিগত প্রধান আন্দ্রে ইলবাউই এএফপিকে বলেন, এ উদ্যোগ শিশু ক্যানসার রোগীদের বাসস্থান বা আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদানের একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের সূচনা।