টেলিকম ও প্রযুক্তি
যেভাবে হবেন পেশাদার কনটেন্ট ক্রিয়েটর

প্রতিটি মানুষেরই কিছু সহজাত প্রতিভা থাকে। ভাইরাল হতে চাইলে আপনার সেই প্রতিভা তুলে ধরতে পারেন আকর্ষণীয় ও মানসম্মত ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে। অন্তর্জালে স্বল্পদৈর্ঘ্যের কনটেন্ট আজ সবচেয়ে জনপ্রিয়, তাই দীর্ঘ স্ক্রিপ্ট লেখারও প্রয়োজন নেই। শুধু চাই ভালো মানের ক্যামেরার সামনে সাবলীল উপস্থাপনা। মানসম্মত ফুটেজ ধারণ এবং সেটা আকর্ষণীয় ভিডিওতে রূপ দেয়া খুব কঠিন কিছু নয়, প্রয়োজন শুধু সঠিক ডিভাইস ও সফটওয়্যার।
স্ট্যাবিলাইজেশন সমৃদ্ধ ক্যামেরা
বেশিরভাগ কনটেন্ট নির্মাতা ক্যারিয়ারের শুরুতে স্মার্টফোনেই ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও কনটেন্ট তৈরির জন্য ইলেকট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন এবং অন্তত ফুল এইচডি রেজল্যুশনে ভিডিও করতে পারে এমন একটি স্মার্টফোনই যথেষ্ট। স্ট্যাবিলাইজেশন ফিচারটি ভিডিওতে কাঁপাকাঁপি রোধ করবে। সঙ্গে যদি থাকে ফোর-কে রেজল্যুশনে ভিডিও ধারণের অপশন আর অপটিক্যাল স্ট্যাবিলাইজেশন, তাহলে তো কথাই নেই। বাজারে স্ট্যাবিলাইজেশনসমৃদ্ধ স্মার্টফোন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
ট্রাইপড বা ফোনস্ট্যান্ড
এক হাতে ফোন ধরে ভিডিও করা খুবই কঠিন কাজ। বাজারে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ট্রাইপড কিংবা ফোনস্ট্যান্ড পাওয়া যায়।
স্মার্টফোনটি স্ট্যান্ডে বসিয়ে নিলে পাওয়া যাবে মসৃণ ফুটেজ। তাছাড়া ক্যামেরার সামনে আরো সাবলীল পারফরম্যান্সও করা যায়। চলমান বিষয়বস্তুর ভিডিও করতে চাইলে বাজেট আরো কিছুটা বাড়িয়ে স্মার্টফোন গিম্বল কেনা যেতে পারে।
লাইটিং
ছবি ও ভিডিও আকর্ষণীয় করতে চাইলে আলোর দিকে খেয়াল রাখা সবচেয়ে জরুরি। শুধু ঘরের বাতির ওপর ভরসা না করে রিং লাইট কিংবা সফট লাইট বক্স কেনা শ্রেয়। বাজারে এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে মানসম্মত লাইট পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করেন তাদের জন্য রিং লাইট অত্যন্ত জরুরি।
মাইক্রোফোন
ভিডিও তৈরির সময় ছবির পাশাপাশি শব্দও হতে হবে মানসম্মত। আশপাশের কোলাহল অথবা অবাঞ্ছিত শব্দ থাকলে দর্শকের মনোযোগ নষ্ট হয়। বাজারে ৮০০ থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাইক্রোফোন পাওয়া যায়। সম্ভব হলে নয়েজ রিডাকশন ফিচারসহ তারবিহীন মাইক্রোফোন কেনা উচিত। সে ক্ষেত্রে বাজেট হতে হবে অন্তত তিন হাজার টাকা।
ভিডিওর ফরম্যাট
অনেকেই স্মুথ ভিডিওর আশায় ৬০ এফপিএস গতিতে ভিডিও রেকর্ড করেন। কনটেন্ট তৈরির জন্য ভিডিওর রেজল্যুশন হতে হবে ১০৮০পি অথবা ফোর-কে, গতি হবে ৩০ এফপিএস। মনে রাখতে হবে, সিনেমা আজও ২৪-২৫ এফপিএস গতিতে শুট করা হয়। শুধু এফপিএস বেশি হওয়ার কারণে অনেক ভিডিও মানসম্মত হয় না।
ভিডিও সম্পাদনা
ফুটেজ ধারণ করার পর অডিও ও ট্রানজিশন যোগ করে নিতে হয়। এর জন্য আছে হাজারো ভিডিও সম্পাদনার সফটওয়্যার। পিসি বা স্মার্টফোন—দুটি ডিভাইসেই ভিডিও সম্পাদনা সম্ভব। অনেকে এখন ট্যাবেও ভিডিও সম্পাদনা করছেন। এ কাজে আইপ্যাড সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে স্যামসাং-এর ট্যাব অ্যান্ড্রয়েডের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
অ্যাডবি প্রিমিয়ার প্রো
ভিডিও সম্পাদনার সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার অ্যাডবি প্রিমিয়ার প্রো। এর মাধ্যমে সহজেই মনমতো ইন্টারফেস বা টাইমলাইন সাজিয়ে নেওয়া যায়। ফুটেজ কাটাছেঁড়ার পাশাপাশি ইফেক্ট ও ট্রানজিশনের মাধ্যমে ভিডিও আকর্ষণীয় করা যায় সহজেই। প্রিমিয়ার প্রোর সঙ্গে আফটার ইফেক্টস ব্যবহার করে চমৎকার ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসের কাজও সম্ভব।
দা ভিঞ্চি রিসলভ
প্রিমিয়ার প্রোর বদলে অনেক পেশাদার ভিডিও নির্মাতা বেছে নিচ্ছেন দা ভিঞ্চি রিসলভ। তার প্রধান কারণ এতে ভিডিওর প্রতি ফ্রেম ধরে ধরে আলাদা কালার গ্রেডিং করা যায়। যারা বৈধভাবে বিনা মূল্যে ভিডিও সম্পাদনার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। দা ভিঞ্চি রিসলভ ব্যবহার করে প্রিমিয়ার প্রোর বাকি কাজও সহজেই করা যায়।
ক্যাপকাট
স্মার্টফোনে ভিডিও সম্পাদনার অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ ক্যাপকাট। এর মাধ্যমে ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলা খুব সহজ। রয়ালটি ফ্রি মিউজিকও সরাসরি অ্যাপ থেকেই ভিডিওতে যুক্ত করা যায়। এ ছাড়া অটোক্যাপশনসহ প্রয়োজনীয় অনেক ফিচারও আছে এতে। তবে ফ্রি নয়, সব ফিচার পেতে প্রিমিয়াম সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে।
ইনশট
যারা একেবারেই ভিডিও সম্পাদনায় নতুন তাদের জন্যই ইনশট। স্মার্টফোনে ভিডিও সম্পাদনার সব অ্যাপের মধ্যে ইনশটের ইন্টারফেস সবচেয়ে সহজবোধ্য। এর মাধ্যমে প্রি-কাস্টমাইজড কালার ইফেক্ট ব্যবহার করে দ্রুত আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করা যায়। ভিডিও কাটা বা জোড়া দেওয়ার ফিচার তো আছেই। গানও চট করে যোগ করা যাবে। তবে অ্যাডভান্সড ফিচার খুব একটা নেই।
কিনেমাস্টার
স্মার্টফোনে ভিডিও সম্পাদনার বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার কিনেমাস্টার। ভিডিও সম্পাদনার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সবই আছে এতে। বিশেষ করে ক্রোমা কি, ম্যাজিক রিমুভার, সুপার রেজল্যুশন, প্লেব্যাক স্পিড বাড়ানো-কমানো, বা স্লো মোশনের মতো বিভিন্ন বাড়তি ফিচার আছে।
আইমুভি
যাদের আইফোন আছে তাদের জন্য সেরা সফটওয়্যার এটি। অ্যাপলের নিজস্ব অ্যাপটি পাওয়া যাবে বিনা মূল্যে। অটো-এডিট করার টেমপ্লেটের জন্য বিখ্যাত এটি। প্রো-রেস বা অ্যাপল-র ফুটেজ কালার গ্রেডিং করার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সমাদৃত আইমুভি।
রয়ালটি ফ্রি সাউন্ড
ভিডিও সম্পাদনায় বড় ভুল কপিরাইটযুক্ত গান ব্যবহার। এতে কপিরাইট ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফরম থেকে ভিডিওটি সরিয়ে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ। কপিরাইটের ঝামেলা এড়াতে ইউটিউব অডিও লাইব্রেরি থেকে আবহসংগীত ব্যাবহার করতে হবে।
কোন ভিডিও কোথায় প্রকাশ করবেন
ভিডিও কনটেন্ট যদি এক থেকে তিন মিনিটের কম সময়ের হয়, তাহলে টিকটক, ফেসবুক রিলস ও ইউটিউব শর্টস আকারে প্রকাশ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিডিওটি হবে ৯ঃ১৬ অনুপাতের, যাতে ফোন লম্বালম্বি রেখেই দেখা যায়। যারা লম্বা দৈর্ঘ্যের ভিডিও নিয়ে কাজ করতে চান তাদের অবশ্যই ১৬ঃ৯ অনুপাতের ভিডিও তৈরি করতে হবে, ইউটিউব ও ফেসবুক দুটিই বর্তমানে লম্বা ভিডিও প্রকাশের জন্য আদর্শ। একই ভিডিও একাধিক প্ল্যাটফরমে প্রকাশ করা যাবে, এতে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

টেলিকম ও প্রযুক্তি
গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তায় ‘হেল্প’ অ্যাপ চালু

ঢাকায় গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চালু হয়েছে ‘হেল্প’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপে দেওয়া নারীর প্রতি যেকোনো সহিংসতা ওই ঘটনার প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হবে।
শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনে কোনো নারী সহিংসতার শিকার হলে তাৎক্ষণিক সহায়তা চাইতে পারবেন, জরুরি সেবা নিতে পারবেন এবং ঘটনাটি রিপোর্ট করতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্প রাজধানীর বছিলা থেকে সায়েদাবাদ সড়কে বাস্তবায়ন করা হবে। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত চলাচলকারী বাসে কিউআর কোড স্থাপন ও এই অঞ্চলে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় সহিংসতার শিকার নারীরা এই সেবা নিতে পারবেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দ্য ডেইলি স্টার ভবনের হলরুমে অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘হেল্প’ অ্যাপে দাখিলকৃত নারীর প্রতি যেকোনো সহিংসতা এখন থেকে ওই ঘটনার প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নারী ও শিশুদের ওপর যেকোনো ধরনের সহিংসতা পীড়াদায়ক। অনেক ক্ষেত্রেই এসব ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাতেও দ্বিধা বোধ করেন। তা ছাড়া তাদের অভিভাবকরাও নানা কারণে ঘটনাগুলো গোপন রাখেন।’
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘গৃহকর্মীরা আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত।
অনেক সময় তারাও শ্লীলতাহানির শিকার হন। সুনাগরিক হিসেবে গৃহকর্মীদের থাকার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।’
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে এই অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনবাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
স্টারলিংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশি কোম্পানি

বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বেশ কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। যার অংশ হিসেবে মার্কিন টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে এবং এরই মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠান যৌথ অংশীদারত্বে কাজ করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই অংশীদারত্বের আওতায় মহাকাশে স্পেস বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
স্টারলিংক প্রতিনিধিদলের সফরের ফলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আগ্রহী ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছে। কিছু ক্ষেত্রে দেশীয় প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহারে সহায়তা দেবে, আবার কিছু ক্ষেত্রে স্টারলিংক হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, লোকেশন নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা চলমান রয়েছে।
ফয়েজ আহমদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে, যা লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাঁধা থেকে মুক্ত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং অনেক দূরবর্তী এলাকায় এখনো লোডশেডিং সমস্যা রয়েছে, স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে।’
তিনি জানান, ‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে যৌক্তিক একটি মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ১৯ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ী ও স্পেসএক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং দেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে ফয়েজ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে তিনি দেশের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন, যারা এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান সুবিধাভোগী হবেন।
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে নির্দেশ দেন যেন তিনি স্পেসএক্স দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করেন, যাতে আগামী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, প্রধান উপদেষ্টা স্পেসএক্স, টেসলা এবং এক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের সঙ্গে দীর্ঘ টেলিফোন আলোচনা করেন, যাতে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর বিষয়ে অগ্রগতি অর্জন করা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বিশ্বজুড়ে ফেসবুকে হঠাৎ বিভ্রাট

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে হঠাৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফেসবুকে বিভ্রাটের কথা জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
এদিন ডেস্কটপ কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন ব্যবহারকারীরা। প্ল্যাটফর্মটিতে ঢোকার চেষ্টা করলে উইন্ডোতে ‘সরি, সামথিং ওয়েন্ট রং’ লেখা দেখাচ্ছিল।
তবে, ফেসবুকের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের থেকে তেমন কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি।
ডেস্কটপে ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকেই তার স্ক্রিনশট নিয়ে আরেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করেছেন। তারা জানতে চেয়েছেন, ফেসবুকের সার্ভার আবারও ডাউন হয়েছে কি না।
ডাউনডিটেক্টর ডটকমের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সকাল ৯টা পর্যন্ত অন্তত ৯৭ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী এ বিভ্রাটের কথা ওয়েবসাইটটিকে জানিয়েছেন।
একই সময়, যুক্তরাষ্ট্রে সমস্যার কথা জানিয়েছেন ১৬ হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী। ভারতেও দেড় শতাধিক মানুষ ফেসবুকের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
এখন থেকে ফেসবুক লাইভ ভিডিও সংরক্ষণ করা যাবে ৩০ দিন

ফেসবুক তাদের লাইভ ভিডিও সংরক্ষণ নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। যেখানে এখন থেকে লাইভ ভিডিওগুলো মাত্র ৩০ দিন সংরক্ষিত থাকবে। তারপর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলা হবে।
এর আগে, লাইভ ভিডিওগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য সংরক্ষিত রাখা যেত। তবে আজ থেকে ৩০ দিনের বেশি পুরোনো সব লাইভ ভিডিও মুছে ফেলার জন্য চিহ্নিত করা হবে।
তবে, ফেসবুক জানিয়েছে যে পুরোনো লাইভ ভিডিও মুছে ফেলার আগে ব্যবহারকারীরা একটি নোটিফিকেশন পাবেন। যেখানে ৯০ দিন সময় দেওয়া হবে পুরোনো ভিডিও সংরক্ষণ, স্থানান্তর বা রূপান্তর করার জন্য।
কীভাবে ব্যবহারকারীরা তাদের লাইভ ভিডিও সংরক্ষণ করতে পারবেন?
ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক তিনটি বিকল্প রেখেছে—
ডাউনলোড করা: ব্যবহারকারীরা নিজেদের লাইভ ভিডিওগুলো নিজেদের ডিভাইসে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
ক্লাউড স্টোরেজে স্থানান্তর করা: ভিডিওগুলো Google Drive বা Dropbox-এর মতো ক্লাউড স্টোরেজে ট্রান্সফার করা যাবে।
রিল-এ রূপান্তর করা: ব্যবহারকারীরা চাইলে লাইভ ভিডিওর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো ফেসবুক রিলসে রূপান্তর করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
ফেসবুকের নতুন নীতির কারণ কী?
ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, এই পরিবর্তন আমাদের স্টোরেজ নীতিকে ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে এবং ফেসবুকের লাইভ ভিডিওর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করবে।
যদি ব্যবহারকারীরা আরও সময় চান, তাহলে তারা ভিডিও মুছে ফেলার সময় ৬ মাস পর্যন্ত পেছাতে পারবেন। তবে যদি ৬ মাসের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়। তাহলে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলো মুছে ফেলবে এবং পরে তা পুনরুদ্ধার করার কোনো উপায় থাকবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মোবাইল অপারেটরদের নতুন করে তরঙ্গ বরাদ্দ দেবে বিটিআরসি

নিলামের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরেই মোবাইল অপারেটরদের জন্য নতুন করে তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী।
আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে অপারেটররা ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ২৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ পাবে। এর মাধ্যমে তৃণমূলের গ্রাহকরা আরও উন্নত সেবা পাবেন। যার ফলে কল ড্রপ ও নেটওয়ার্কের জটিলতা কাটবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, একেক দেশের চাহিদা এবং যোগান একেক রকম হয়। বাংলাদেশের তরঙ্গের খরচ স্থানীয় চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে দর নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তিন দিনের সিম্পোজিয়ামে আইটিইউয়ের গাইডলাইন অনুযায়ী ভবিষ্যত তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী সিম্পোজিয়ামের ১২টি সেশনে আয়োজক বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, মঙ্গোলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, ভানুয়াতু, টোঙ্গো ও লাওসের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সহযোগী সদস্য হিসেবে দেশি-বিদেশি মোবাইল অপারেটর ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ নেবেন
কাফি