লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিক রোগীদের রাতের খাবার বাদ দিলে কী হয়?
![ডায়াবেটিক রোগীদের রাতের খাবার বাদ দিলে কী হয়? গাজীপুরে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/Diabetes.webp)
দৈনন্দিন জীবনের নানা ব্যস্ততায় সবার পক্ষে রুটিন মেনে চলা সম্ভব হয় না। আর এতেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। দেশে দিনদিন ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই রোগ দানা বাঁধছে।
একে নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকেই নানা উপায় অনুসরণ করে থাকেন। কেউ ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন, কেউ আবার আটার সঙ্গে বাজরা মিলিয়ে সেই রুটিও খান। আবার অনেকে ভাবেন, রাতে খাবার না খেলে বুঝি সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আসলেই কি তাই? রাতে খাবার না খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কতটা লাভ বা ক্ষতির? চলুন, জেনে নিই—
রাতের খাবার বাদ দিলে কী হয়
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সময়মতো খাওয়াদাওয়া খুবই জরুরি। রাতের খাবার না খেলে শরীরে সুগারের লেভেল ওঠানামা করবে। একটা সময়ের খাবার মিস করা মানেই সমস্যা। যার ফলে মাথা ঘোরানো ও দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে শরীরে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যায়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অনেক সময়ই বলা হয় উপোসের কথা। এর ফলে শরীরে ইনসুলিন ঠিকঠাক কাজ করে। তার মানে এই ডায়াবেটিক রোগীর জন্যই তা লাভজনক হবে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে খালি পেটে থাকা মানেই শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।
কী ক্ষতি হতে পারে
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিক রোগীদের কখনোই রাতের খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। বরং খাবারের সময়টা এগিয়ে আনা উচিত। রাতের খাবার ৮টার দিকে খেয়ে নিলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলেই জানান চিকিৎসকরা। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর হালকা কিছু হলেও খাওয়া উচিত বলে মনে করা হয়।
সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য কী করবেন
রাতের খাওয়া বাদ কখনো সমাধান নয়। বরং হালকা পুষ্টিকর কোনো খাবার খাওয়া উচিত। ডাল, সবজি, রুটি, সালাদজাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। মিষ্টি কিংবা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। শোবার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত, যাতে হজমের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে।
এ ছাড়া বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিজে থেকে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত। এতে নিজের জন্যই ভালো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
লাইফস্টাইল
খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে কী হয়
![খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে কী হয় গাজীপুরে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/Black-Coffee.webp)
আমাদের মধ্যে অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্ল্যাক কফি পান করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই অভ্যাস বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে? এমনকি এর ফলে ভবিষ্যতেও নানা জটিল রোগ তৈরি করতে পারে। ব্ল্যাক কফিতে আসক্তি থাকলে আগে থেকেই সতর্ক হোন।
খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে কী হয়
অনেকেরই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে।
ঘুমচোখেই তাদের হাতে থাকে কফির কাপ। কফির মিঠে কড়া গন্ধ ঘুম কাটাতেও বেশ কার্যকরী। কেউ ব্ল্যাক কফি খান। কারো আবার দুধ দিয়ে কফি খাওয়ার অভ্যাস।
দুধ, চিনি, সুগার সিরাপ ছাড়া ব্ল্যাক কফি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। কিন্তু তাই বলে খালি পেটে ব্ল্যাক কফি? কী হতে পারে খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে—
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যাও হতে পারে। বিশেষ করে যদি কারো আগে থেকেই থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তবে তাদের একেবারেই ব্ল্যাক কফি পান করা উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘুম থেকে ওঠার অন্তত দেড়-দুই ঘণ্টা পর কফি খাওয়া উচিত। সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি খেতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি কিছু খাবার খাওয়ার পর ব্ল্যাক কফি পান করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে খেলে কী উপকার
![গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে খেলে কী উপকার গাজীপুরে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/ghee-mixed-with-warm-water.webp)
আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘি খেতে পছন্দ করেন। কেউ গরম ভাত বা গরম খাবারের সঙ্গে আবার কেউ হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন। এই ঘি-এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। আয়ুর্বেদে, ঘি-কে ‘সোনা’ বলে বিবেচনা করা হয়।
এটি কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করার অভ্যাস আপনার শরীরের নানাভাবে উপকার করতে পারে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, হালকা গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করা একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা হজম ব্যবস্থা শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে ত্বক ও চুল সুস্থ রাখা পর্যন্ত অনেক উপকারে আসে। এমনকি সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে এটি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, হালকা গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করা স্বাস্থ্যের জন্য কী কী উপকারে আসতে পারে—
পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে
ঘিতে উপস্থিত বিউটিরিক এসিড, হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। এটি অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে পান করলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও এসিডিটির মতো পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি অন্ত্র পরিষ্কার করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ঘি-তে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের বিপাক বৃদ্ধি করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এটি শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস রোধ হয়।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
এ ছাড়া এটি চুলকে শক্তিশালী ও ঘন করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করলে ত্বকের রং উন্নত হয় এবং চুল পড়া কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক
ঘিতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এটি শরীরকে সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে পান করলে শরীরে তাপ বজায় থাকে, যা সর্দি-কাশির মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে।
জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি
ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি জয়েন্টগুলোকে নমনীয় করে তোলে এবং শক্তিশালী করে। নিয়মিত ঘি পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে আর্থ্রাইটিস ও অন্যান্য জয়েন্ট সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
ঘিতে উপস্থিত ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এটি স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে পান করলে মন শান্ত হয় এবং ঘুমের মান উন্নত হয়।
হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে
ঘিতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘি নারীদের পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা কমায় এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দূর করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন
![প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন amloki](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/amloki.webp)
আমার অনেক ধরনের ফল-কে রস করে খেয়ে থাকি। কিন্তু আমলকির রস কি খেয়েছেন কখনো? হ্যাঁ, শরীর সুস্থ রাখতে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই আমলকির রস। তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরকে সুস্থ ও সচল রাখতে আমলকির রসের গুণাগুণ নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
আমলকির রসের পুষ্টিগুণ
আমলকীর রসে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। আমলকীর রস মানব শরীরে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং শরীরের মধ্যে চর্বি জমতে দেয় না।
পাশাপাশি আমলকীর রসে থাকা হাই ফ্যাট বার্নিং প্রপার্টিজ দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তবে শুধু তাই নয় আমলকী দ্রুত খাবার হজম করতে সহায়তা করে।
আমলকী রসে থাকা পুষ্টিগুণ হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে টক স্বাদের এই ফলটি ভীষণভাবে উপকারী। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমলকীর রস পান করেন, বা আমলকী খেয়ে থাকেন। যারা নিয়মিত আমলকী খান তাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
কারণ আমলকীর রস শরীরের মধ্যে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া আমলকীর রসে আন্টি-ইফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি অস্টিওপোরেসিস, জয়েন্ট পেইন, বা আর্থ্রাইটিস এর মত রোগের উপশম ঘটাতেও ভীষণভাবে উপকারী। আমলকীর রস ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে, আমলকী রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-এজিং পাওয়ার রয়েছে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
তবে শুধু ত্বকই নয় আমলকী চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
আমলকির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা চুল পড়া হ্রাস করে এবং চুলকে উজ্জ্বল এবং আরো মসৃণ করে তোলে। আমলকীর এই সকল পুষ্টিগুণের কারণে আমলকির রস পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
চালাক ও ধূর্ত মানুষ চিনবেন যেভাবে
![চালাক ও ধূর্ত মানুষ চিনবেন যেভাবে গাজীপুরে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/Human.webp)
জীবনে অনেক সময় আমরা কিছু ধূর্ত বা চালাক ব্যক্তির ক্ষপ্পরে পড়ে নিজেদের ক্ষতি করে ফেলি। পরে সেটি নিয়ে আফসোস করি। এমন ফাঁদে আবার যেন না পড়েন বা কোনো ধূর্ত বা চালাক ব্যক্তির ফাঁদে পড়ে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন যেন না হন, সেজন্য মানুষের আচরণকে চেনা প্রয়োজন। কারণ চালাক হওয়া একটি আচরণ।
চালাক ব্যক্তিরা সহজে অন্যকে বোকা বানিয়ে শুধু নিজের লাভ করে। তাই মনস্তত্ত্বে এমন কিছু শরীরের ভাষা উল্লেখ করা হয়েছে, যা কোনো ধূর্ত বা চালাক ব্যক্তির লক্ষণ হতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিভাবে চালাক মানুষকে চিনবেন।
স্বপ্ন দেখিয়ে কথা বিশ্বাস করানো
চালাক ও ধূর্ত মানুষের লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো, তারা প্রায়ই আপনাকে তাদের কথায় বিশ্বাস করিয়ে দেয়।
এমন কথা বলে, যা আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে। বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন দেখানো, ভবিষ্যৎ দেখানো এবং তাদের কথায় বিশ্বাস করানো চালাক মানুষের বিশেষত্ব।
কথায় জড়িয়ে রাখা
কোনো ধূর্ত ব্যক্তি যদি নিজের স্বার্থের জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে চায়, তবে সে আপনাকে সবসময় কথায় জড়িয়ে রাখবে। সবসময় মিষ্টি কথা বলবে, যা আপনার পছন্দের।
আপনার বিপরীতে সে কিছুই বলবে না। এ ধরনের ব্যক্তিরা বেশ চালাক হয় এবং নিজেদের কাজ হাসিল করার জন্য আপনাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে।
কিভাবে বাঁচবেন
যদি কোনো চালাক ব্যক্তি আপনার সঙ্গে সব সময় এভাবে আচরণ করে, তবে বুঝুন সে আপনার সঙ্গে চালাকি করতে চায়। এমন চালাক ব্যক্তিকে আই কন্ট্যাক্টের মাধ্যমে বুঝে নেওয়া যেতে পারে।
যদি কোনো ব্যক্তি কথোপকথনের সময় দ্রুত তার আইবোলসকে নাড়ায় এবং কথা বলে, তবে বুঝুন সে আপনাকে ম্যানিপুলেট করার জন্য আপনার শরীরের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করছে।
এ ছাড়া দ্রুত আপনাকে পর্যবেক্ষণ করে, যাতে সুযোগ পেলে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডিম সিদ্ধ করার নিখুঁত উপায়
![বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডিম সিদ্ধ করার নিখুঁত উপায় গাজীপুরে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/11/egg.jpg)
ডিম বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। অমলেট, পোচ ও সিদ্ধ। এদের মধ্যে সিদ্ধ করাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। তবে ডিমকে কেউ নিখুঁতভাবে সিদ্ধ করতে পারেন না।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা ডিম সিদ্ধ করার নিখুঁত উপায় উদ্ভাবন করেছেন। অবাক করার মতো হলেও, এতে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় লাগে।
নিখুঁতভাবে ডিম সিদ্ধ করা অনেক কঠিন। সকালের নাশতায় আমরা অনেকে সিদ্ধ ডিম খেয়ে থাকি।
তবে ডিমের খোসা ছাড়ানোর পর অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন। দেখা যায় যে ডিমের কুসুম অনেক শক্ত হয়ে যায়, কিন্তু সাদা অংশটি অর্ধসিদ্ধ থাকে।
সমস্যাটি হলো, ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ দুটি ভিন্ন তাপমাত্রায় সিদ্ধ হয়। কুসুম মাত্র ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সিদ্ধ হয়, তবে সাদা অংশের জন্য প্রয়োজন হয় ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাধারণত আমরা দুটিকেই একই সঙ্গে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সিদ্ধ করে থাকি। এতে সাদা অংশ নরম ও ঠিকঠাক হয়, কিন্তু কুসুম সম্পূর্ণরূপে শক্ত হয়ে যায়। এটি কিছু মানুষের পছন্দ হতে পারে, তবে যারা নরম ও তরল কুসুম চান, তাদের জন্য এটি হতাশাজনক। অন্যদিকে, ‘সুই ভিড’ নামে একটি পদ্ধতিতে ডিমকে ৬০-৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা ধরে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। এতে কুসুম সুন্দরভাবে তরল থাকে, তবে সাদা অংশ জলীয় ও অর্ধসিদ্ধ থেকে যেতে পারে।
তবে নিখুঁত ডিম সিদ্ধ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। আরো চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এই পদ্ধতিতে সিদ্ধ ডিম শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো। নতুন পদ্ধতিতে সিদ্ধ করা ডিমে বেশি পরিমাণে পলিফেনল থাকে, যা এক ধরনের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পরিচিত।
ইতালির ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের বিজ্ঞানী পেলেগ্রিনো মুস্তোর নেতৃত্বে গবেষকরা প্রথমে কম্পিউটেশনাল ফ্লুইড ডাইনামিক্স (সিএফডি) ব্যবহার করে ডিম সিদ্ধ করার প্রক্রিয়ার সিমুলেশন তৈরি করেন। এটি এমন একটি বিজ্ঞান, যেখানে তরল ও গ্যাস কিভাবে প্রবাহিত হয়, তা গণনা করা হয়। এতে ভর, গতি ও শক্তির সংরক্ষণ সূত্র অনুসরণ করা হয়।
সিমুলেশনে একটি নতুন পদ্ধতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেটি বেশিরভাগ মানুষের জন্যই অপরিচিত। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘পর্যায়ক্রমিক রান্না’, যেখানে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ফুটন্ত পানিতে ডিম সিদ্ধ করার পর ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুসুম গরম পানিতে রাখা হয়। এটি করতে হয় প্রতি দুই মিনিট অন্তর ডিম স্থানান্তর করে। এটি মোট ৩২ মিনিট ধরে করতে হয়। ফলে যারা রান্নাঘরে ডিম ফেলে রেখে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাদের জন্য এটি আদর্শ পদ্ধতি নয়।
তবে আপনি যদি সময় ও পরিশ্রম দিয়ে থাকেন, তাহলে পুরস্কারও পাবেন দারুণ। বাস্তবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সিদ্ধ করা ডিম অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের হয়ে থাকে। গবেষকরা নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ও হাই-রেজোলিউশন মাস স্পেকট্রোমেট্রি ব্যবহার করে এর গঠন, স্বাদ ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করেছেন।
এই পদ্ধতিতে সিদ্ধ ডিমের কুসুম ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্থির তাপমাত্রায় থাকে, যা একে সুন্দরভাবে নরম রাখে। ফলাফল দেখিয়েছে যে পর্যায়ক্রমিক সিদ্ধ করা ডিমের কুসুম সুই ভিড পদ্ধতির মতোই নরম থাকে, তবে সাদা অংশটি তরল না হয়ে অর্ধসিদ্ধ ডিমের মতো ঘন হয়।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, রাসায়নিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এভাবে ডিম সিদ্ধ করলে ডিমের কুসুমে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় বেশি পরিমাণে পলিফেনল থাকে। এই যৌগগুলো মূলত উদ্ভিদজাত। এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-নিবারক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যাভ্যাসে উচ্চ পরিমাণে পলিফেনল গ্রহণ করলে হৃদরোগ, নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার ও স্নায়ুবিক রোগের ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে।
তাই এসব উপকার পেতে পর্যায়ক্রমিকভাবে ডিম সিদ্ধ করে খেতেই পারেন। এতে আপনারই উপকার।