অর্থনীতি
নিবন্ধনহীন প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতায় আনতে মাঠে নামছে এনবিআর

সারাদেশে অনেক ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো এখনো নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। রাজধানী ও এর বাইরে, বিশেষ করে হোটেল, সুপারশপ, শপিংমল আসেনি ভ্যাটের আওতায়। এর ফলে সরকার সঠিকভাবে ভ্যাট পায় না।
নিবন্ধন আওতার বাইরে থাকা সব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে নিবন্ধন মাস ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে ফেব্রুয়ারি মাস হবে সব ভ্যাট কমিশনারদের নিবন্ধন মাস এবং মার্চ মাস হবে এনবিআরের ভ্যাট নিবন্ধন মাস।
ভ্যাটের আওতা বাড়াতে নিবন্ধনহীন সব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে সব ভ্যাট কমিশনারেটকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (মূসক করদাতা সেবা) প্রণয় চাকমা সই করা এই চিঠি জারি করা হয়েছে।
এনবিআর সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের সব ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে যাদের বার্ষিক টার্নওভার ভ্যাটযোগ্য, সুপারশপ, শপিংমলসহ সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা শহরের মার্কেট, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভ্যাটের আওতায় আসেনি। সম্প্রতি শতাধিক পণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর পর বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন ভ্যাটের আওতা বাড়াতে বলছে এনবিআরকে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশে ১৯৯১ সালে ভ্যাট ব্যবস্থা চালু হলেও ভ্যাটের আওতা প্রত্যাশিত পর্যায়ে বিস্তৃত হয়নি। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৪ ও ১০ ধারায় ভ্যাট নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই এনবিআরের জারি করা আদেশ অনুযায়ী, কতিপয় পণ্য ও সেবাসমূহের ক্ষেত্রে বার্ষিক টার্নওভার নির্বিশেষে এবং দেশের সব সুপারশপ ও শপিংমলসহ সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরের সব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী নিবন্ধন গ্রহণের ব্যবস্থা করতে চিঠিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তিনটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে-মাঠ পর্যায়ের দপ্তরসমূহকে (সার্কেল, বিভাগ ও কমিশনারেট) অধিক্ষেত্রের প্রযোজ্য পদস্থ সব কর্মকরতাকে সম্পৃক্ত ও সমন্বিতভাবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আবশ্যিকভাবে নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত করতে হবে। নিবন্ধন প্রদান ও আইনানুগ রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের করদাতাদের সঙ্গে সেবামূলক মনোবৃত্তি বজায় রাখতে হবে এবং এনবিআর সময়ে সময়ে মাঠপর্যায়ে সরেজমিনে যাচাই ও তদারকি করবে।
তবে নিবন্ধন প্রযোজ্যতা সত্ত্বেও কোনো এলাকায় অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও সার্কেল কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নিবন্ধন বিষয়ে প্রতিমাসের ৫ তারিখের মধ্যে এনবিআরের কাছে কমিশনারদের প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
টানা তৃতীয় দফায় কমলো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনায় ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৩ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১২ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ৯ ও ১১ মে দুই দফা সোনার দাম কমানো হয়। তার আগে ৬ ও ৭ মে দুই দফা বাড়ানো বাড়ানো হয়। এই দাম বাড়ানোর আগে ৪ মে ও ২৩ এপ্রিল দুই দফা সোনার দাম কমানো হয়।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৩ টাকা নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩ হাজার ৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬৫৯ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ১৯৩ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৯ টাকা।
এর আগে ১১ মে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৯৯২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৮৬৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৭৩৫ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১১ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা

চলতি মে মাসের প্রথম ১১ দিনে ৯২ কোটি ২০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মকরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১১ হাজার ১৯৪ কোটি ৭৬ লাখ ৬ হাজার ৬২২ টাকা। যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর একই সময়ে ১০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ২০২৪ সালে মে মাসের প্রথম ১১ দিনে পাঠানো রেমিট্যান্স ছিল ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময় এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এদিকে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে ২.৭৫ বিলিয়ন (২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। এই হিসাবে গড়ে প্রতিদিন দেশে এসেছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এসেছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় সাড়ে ৫ বিলিয়ন (৫৪২ কোটি ডলার) ডলার বেশি এসেছে। আর সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়া যাবে ১৫ হাজার ডলার

বিদেশে চিকিৎসা খরচ নেওয়ার সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া চিকিৎসা খরচ ১০ হাজার ডলার নেওয়া গেলেও এখন থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পাঠানো যাবে।
সোমবার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসা খরচ নেওয়া যাবে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে আরও বেশি ডলারের নিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন হবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া ১০ হাজার মার্কিন ডলার নেওয়া যেতো। নতুন নির্দেশনার ফলে সে সীমা আরও পাঁচ হাজার ডলার বাড়লো।
হাসপাতালের নামে বা আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে এসব বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা যাবে। আর সীমার মধ্যে গ্রাহক চাইলে ৫ হাজার ডলার নগদ ছাড় করা যাবে বলেও জানানো হয় নির্দেশনায়।
বর্তমানে চিকিৎসাপ্রত্যাশীদের অনেকেই ভারতের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য দেশ বেছে নিচ্ছেন। সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে- থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র। তবে এসব দেশে চিকিৎসা খরচ কিছুটা বেশি হওয়ায় বেশি ডলারের প্রয়োজন পড়ছে। এ অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসা খরচে সীমা বাড়ালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নগদে প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড অবৈধ: চেম্বার আদালত

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ-এ প্রশাসক ও নতুন বোর্ড নিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। গত বুধবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত শুনানিতে আদালত এ রায় ঘোষণা দেন।
চেম্বার আদালতের আদেশে বলা হয়, প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড বসিয়ে নগদের ওপর সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা আইনসঙ্গত নয়। এর ফলে ডাক বিভাগের আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে মূল মালিকপক্ষের নিয়ন্ত্রণে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারবে—এ নিয়ে আর কোনো আইনগত বাধা রইল না।
নগদ মালিকপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার রায়ের পর বলেন, এই রায় দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করেছে, জোর করে প্রশাসক বসিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দখল করা যায় না। সুপ্রিমকোর্ট একটি সাহসী ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা সুশাসনের প্রতিফলন।
এবিষয়ে নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, গত আট মাস আমি জার্মানিতে একটি রেগটেক প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, যেটি খুব শিগগির আরেকটি ইউনিকর্ন হতে চলেছে। তাই আমি নগদে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ফিরছি না, এটি আমি বোর্ডকেও জানিয়ে দিয়েছি। তবে নগদ আমার সন্তানের মতো, তাই নতুন বোর্ড বা সিইও যদি কখনো আমার পরামর্শ চান, আমি সবসময় প্রস্তুত থাকব।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও এ বিষয়ে করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন এবং স্পষ্ট করে দেন যে, প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
জানা গেছে, নগদের মালিকপক্ষ প্রথম থেকেই প্রশাসক নিয়োগকে অবৈধ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে এখন তা পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানকে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা যেমন অবৈধ, তেমনি তা দেশের ব্যবসা-বিনিয়োগ পরিবেশের জন্যও হুমকি।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই রায় শুধুমাত্র নগদের জন্য নয় বাংলাদেশের ফিনটেক খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং বেসরকারি খাতের স্বাধীনতা ও বিনিয়োগ নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সরকারি অর্থ ব্যয়ে অপচয় কমাতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান

সরকারি অর্থ ব্যয়ে অপচয় কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট এন্ড রুলস বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে গজারিয়া মুন্সীগঞ্জের, ইঞ্জিনিয়ারিং ষ্টাফ কলেজ বাংলাদেশ (ইএসসিবি) মেইন ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি উদ্বোধন করা হয়। এই কর্মসূচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মরত তিরিশ জন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক এর মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) আব্দুল্লাহ আল জাহিদ, ইএসসিবি রেক্টর প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম এবং আইইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ও সদস্য বিওজি (ইএসসিবি) প্রকৌশলী শেখ আল আমিন।
অনুষ্ঠানে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) আব্দুল্লাহ আল জাহিদ। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে আসতে বলেন আইইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ও সদস্য বিওজি (ইএসসিবি) প্রকৌশলী শেখ আল আমিন। প্রকুরমেন্টের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন রেক্টর, প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং ষ্টাফ কলেজ বাংলাদেশের (ইএসসিবি) প্রকিউরমেন্ট ইউনিটের প্রধান ও ফ্যাকাল্টি ট্রেইনার ড. তাওহীদ হাসান। সারাদেশ থেকে আগত এসিসি কর্মকর্তাগণ জানিয়েছেন, ইএসসিবিতে আয়োজিত এসিসির এই প্রশিক্ষণ সকল কর্মকর্তাদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ। কর্মকর্তাদের এই আইন জেনে তা বাস্তবায়ন করার কোনো বিকল্প নেই।