অর্থনীতি
ফের রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সবশেষ ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ ছিল ২১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধ কারার পর রিজার্ভ কমে ২০ বিনিয়ন ডলারে নেমে যায়। পরে ২২ জানুয়ারি ফের কমে রিজার্ভ; ওই সময় গ্রস রিজার্ভ দাড়ায় ২৫ দশমিক ২২১ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে অর্থাৎ ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলানে নেমে যায়।
চলতি বছরের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ ছিল ২১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার।
মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এর হিসাব করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্যপ্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলার কাছাকাছি আছে। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়নের ডলারের নিচে নামে। সে সময় বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন গভর্নর এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে। আবার বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগানের চেষ্টা করছে। তবে আগের দায় পরিশোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে কাছে উঠানামা করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
এক সপ্তাহে হিলি দিয়ে এলো ২৫শ টন পাট বীজ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাটের বীজ আমদানি শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহে দুই হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বীজ আমদানি হয়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ সঙ্গ নিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মেসার্স মমিনুল এন্টারপ্রাইজ নামের এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে বীজগুলো আমদানি করছেন। ১৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে ভারত থেকে পাট বীজ আমদানি শুরু হয়।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার ভারতীয় ২৯ গাড়িতে ৭২৮ মেট্রিক টন, রোববার ৩২ ট্রাকে ৭৩৬ মেট্রিক টন, সোমবার ৯ ট্রাকে ২১৬ মেট্রিক টন, মঙ্গলবার ১৬ ট্রাকে ৩৭৯ মেট্রিক টন, বুধবার ১২ ট্রাকে ২৪৯ মেট্রিক টন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ ট্রাকে ২১২ মেট্রিক টন পাট বীজ আমদানি করা হয়েছে।
আমদানিকারক মমিনুল ইসলাম জানান, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় প্রায় বছরখানেক পর এ বন্দর দিয়ে আবারও পাট বীজ আমদানি শুরু হয়েছে। বীজগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে

সাধারণত অর্থবছরের শেষ দিকে সরকারের ঋণ বেড়ে থাকে। তবে সরকারের এখন পর্যন্ত নেওয়া ঋণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, সরকারের ঋণ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমিত রাখা হবে। এদিকে, হঠাৎ করেই ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ বাড়তে শুরু করেছে। অর্থবছরের শুরু থেকে গত ১০ মার্চ পর্যন্ত নিট ৩৮ হাজার ৫১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার।
যেখানে গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ব্যাংক ঋণ ছিল ১৩ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল, শেষ এক মাস ১০ দিনে তা দ্বিগুণ হয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ বাড়ার কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, বিদেশি উৎস থেকে ঋণছাড় কমে যাওয়া এবং সঞ্চয়পত্র থেকে প্রত্যাশিত ঋণ না পাওয়া।
গত ১০ মার্চ সার্বিকভাবে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণস্থিতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। যা গত জুন শেষে ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণস্থিতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। গত জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থিতি কমে এক লাখ ৮ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা হয়েছে। যেখানে গত জুন শেষে ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিগত সরকারের সময়ে গোপনে ‘ওভার ড্রাফট’ খাতে নেওয়া ৪৮ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা সমন্বয় করে বর্তমানে ৬ হাজার ৭৪২ কোটি টাকায় নেমেছে।
দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলা উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় ক্ষমতা কমেছে। গত বছর আমানত বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আলোচিত সময়ে ট্রেজারি বিল এবং বন্ডের বিপরীতে ঋণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের দায় শোধ করা হচ্ছে। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম, চড়া চালের বাজার

কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের মুরগির দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। আর গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছরই ঈদের আগে দাম বাড়ে মুরগির। ঈদুল ফিতরের আগে মুরগির দাম কিছুটা বাড়ে। এ জন্য পাইকারি বাজারে কম পরিমাণে মুরগি ছাড়ছেন খামারিরা। আর চাহিদার তুলনায় মুরগি কম আসায় দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর আগে ১৯০-২০০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল। তবে কিছুটা কমেছে সোনালি মুরগির দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকা। আগের সপ্তাহে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি ছিল।
এ ছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
এদিকে মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা কাহহার বলেন, চাল, তেল মুরগির দাম বাড়তেই আছে। সরকারের এই বিষয়টা দেখা উচিত।
এ বছর রোজার শুরুতেই বিভিন্ন সবজিপণ্যের মধ্যে লেবু, বেগুন ও শসার দাম বেড়ে যায়। পরে দাম কিছুটা কমলেও তা এখনো চড়া রয়েছে। রোজার শুরুর দিকে আকারভেদে এক হালি লেবু ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পরে সেই দাম কিছুটা কমে ৪০-৭০ টাকা হয়। বেগুন ও শসারও একই অবস্থা। বর্তমানে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-১০০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও একই দামে ছিল।
এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ২০-২৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই কম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আলু ও পেঁয়াজের মৌসুম থাকায় সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এ কারণে দাম কম।
এখনও অস্থির রয়েছে মাছের বাজার। বর্তমানে প্রতি কেজি চাষের রুই (দুই কেজি আকারের) ৩৫০-৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা ও চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়।
বাজারে এখনও চালের দাম বাড়তি। গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা দোকানে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৮৫ টাকা ৮৮ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে মিনিকেট চালের মজুত কম। সরবরাহ কমায় ও ধানের দাম বাড়ায় মিনিকেট চালের দামও বেড়েছে। তবে মাঝারি ও মোটা চালের দাম বাড়েনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জানুয়ারিতে পোশাক রপ্তানিতে ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

নতুন বছরের শুরুতেই আশার আলো দেখা গেছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। ইউরোপের বাজারগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৫২ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর পোশাক আমদানি ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে ৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
জানুয়ারিতে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৭ কোটি ডলারে। যা ২০২৪ সালের জানুয়ারির চেয়ে ৬৮ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ১২৯ কোটি ডলার। সে হিসাবে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৫২ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে।
মূল্য সংযোজিত পোশাক উৎপাদন, চীনের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের সুবিধা, শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার, সুরক্ষার মান মেনে চলা এবং নির্মাতা ও শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
তিনি বলেন, এ প্রবৃদ্ধি ক্রেতাদের আস্থা বাড়িয়েছে, রপ্তানি বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে চীন ৩৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ এবং ৬৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মার্চের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২২৫ কোটি ডলার

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা দরে যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৪৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, মার্চের প্রথম ১৯ দিনে দেশে যে রেমিট্যান্স এসেছে তা গত বছরের তুলনায় ৭৮ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, প্রবাসীদের পাঠানো ২২৫ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে ১৯ মার্চ একদিনেই এসেছে ১৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।
এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার এবং ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
কাফি