জাতীয়
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে সুশাসন কখনো আসবে না

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ‘সংস্কার, নির্বাচন, সমন্বয়: জাতীয় ঐকমত্যের সন্ধানে’ বিষয়ক এক আঞ্চলিক সংলাপে বক্তারা বলেছেন, বিগত পতিত সরকারের ২০১৩ ই পর্যন্ত দুর্নীতি কিছুটা কম ছিল তবে ২০১৪ সাল থেকে তা জ্যামিতিক হারে বেড়ে যায়। দুনীর্তি বাড়ার কারণ ছিল অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা গ্রহণ ও জবাবদিহিতা না থাকা। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে সুশাসন কখনো আসবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওন্যাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি) ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের উদ্যোগে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ আরেফিন নগরে হল রুমে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা।
এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও সিসিআরএসবিডি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ। প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনীতি বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর, ইউসিএসআই ভার্সিটি, অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক। গেস্ট অব অনার ছিলেন সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান, বিশেষ অতিথি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা—প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, বিশেষ আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম নছরুল কদির এবং রিসোর্স পারসন-মডারেটর চবির লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। এছাড়াও সাংবাদিক, সমন্বয়ক, পুলিশসহ বিভিন্ন অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক বলেন, ঐকমত্যের জন্য একটি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। যেনতেনভাবে সংস্কার করলে হবে না, সংস্কার করতে হবে সাবধানে। এ ব্যাপারে সরকারের উচিত সচেতনতা তৈরি করা। সংস্কারের চিন্তাটা শুধু দেশকে নিয়ে হতে হবে যেখানে দালিলিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে বিতর্ক হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সবার সাথে সমন্বয় করে তবেই নিবার্চনের আয়োজন করা।
তিনি বলেন, বিগত পতিত সরকারের ২০১৩ ই পর্যন্ত দুর্নীতি কিছুটা কম ছিল তবে ২০১৪ সাল থেকে তা জ্যামিতিক হারে বেড়ে যায়। দুনীর্তি বাড়ার কারণ ছিল অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা গ্রহণ ও জবাবদিহিতা না থাকা। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে সুশাসন কখনো আসবে না। একটি সুন্দর দেশ গঠনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন, তাড়াহুড়া করে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা করে টেকসই ও সমতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, বর্তমানে দেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিৎ ছাত্রজনতা কি চায়, যদি সংস্কার না করে নিবার্চন আয়োজন করা হয় তাহলে অতীতের মতো স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পুনরাবির্ভাব হবে কিনা, সেটাও বিবেচনা করতে হবে। এজন্য সরকার ও দলীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতার পৃথকীকরণ দরকার, যাতে শাসনের ক্ষেত্রে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের মাধ্যমে ব্যক্তি বা দলের স্বৈরাচারী হওয়ার পথ চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব হবে।
উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের দিকগুলো সংরক্ষণ করতে যেয়ে অপরের স্বার্থ যেন ক্ষুণ্ন না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। সহনশীলতার মাধ্যমে গণতন্ত্র উত্তরণের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার এই সুযোগ যেন কোনমতেই জলাঞ্জলি না হয়। সকল রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনে উদ্যোগী সমন্বয়কদের নেতৃত্বে ছাত্র জনতার এই অর্জন যেন বৃথা না যায়। পারস্পরিক বিভেদ ভুলে আন্তরিকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে সঠিক সংস্কারের পথে পরিবর্তন পূর্বক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে হবে।
অধ্যাপক সরওয়ার জাহান বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৯ সালে হওয়ার কথা। জুলাই গণ অভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য নতুন অধ্যায়। ছাত্র জনতার সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসক ব্যবস্থার কবল থেকে এই দেশও প্রায় হাতছাড়া হতে যাওয়া জনতার সার্বভৌমত্বকে ফিরিয়ে আনা জাতি হিসাবে আমাদের এযাবৎ কালের শ্রেষ্ঠ অর্জন। জুলাই ২৪—এ শিক্ষার্থী—জনতার অভ্যুত্থান রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন করার জন্য এক বিরল সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে , আশা করি এর মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অব্যবস্থা ও দু:শাসন থেকে মুক্ত হয়ে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা ও বৈষম্যহীনতার পথে এগিয়ে যেতে পারবে।
অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, জবাবদিহিতা এবং অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী গণতন্ত্র অপরিহার্য। সুশাসন, কার্যকর পরিষেবা প্রদান এবং আইনের ন্যায্য প্রয়োগের শর্ত তৈরি করে, যা মানবাধিকার সুরক্ষিত করতে সহায়তা করে। একটি দেশে যেখানে এই নীতিগুলি বহাল থাকে, সেখানে টেকসই উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি আসার সম্ভাবনা বেশি।

জাতীয়
বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

বৈধ অস্থায়ী কাজের অনুমতিপত্র (পিএলকেএস) সম্পন্ন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (এমইভি) সুবিধা ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং ব্যক্তিগত যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্বস্তি দেবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক ও নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে একটি নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে।
এদিকে, গত ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য প্রকাশ করেছে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাসচিব (নীতি ও নিয়ন্ত্রণ) এই বিষয়ে একটি স্মারকপত্র জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাদের এই বছর সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা হয়েছে, তাদের নতুন করে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা করার প্রয়োজন নেই। সবার সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসাগুলো এখন মাল্টিপল এন্ট্রিতে রূপান্তরিত হবে।
এর আগে, কর্মীদের সাধারণত সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে হতো, যা তাদের দেশের বাইরে যাওয়া এবং পুনরায় প্রবেশ করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিত। কিন্তু মাল্টিপল ভিসা সুবিধা কর্মজীবনের পাশাপাশি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের জন্য দেশে ফিরে আসার সুযোগ দেবে, যা তাদের মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে।
মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বহু বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন খাতে কর্মরত রয়েছেন। এই সুবিধা তাদের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং কর্মীদের কাজের পরিবেশে আরও স্থিতিশীলতা আনবে। এই পদক্ষেপ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয়
বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আম উপহার পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের কাছে উপহার হিসেবে আম পাঠানো হচ্ছে। ফ্লাইট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপহারের আম পৌঁছানো সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।
যেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের কাছে উপহারের আম পাঠানো হচ্ছে তারা হলেন- ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী; ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী; নেপালের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী; পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি।
এছাড়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারতের কয়েকটি প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বরাবর (যেমন পশ্চিম বঙ্গ, ত্রিপুরা) আম পাঠানো হচ্ছে।
জাতীয়
অনুমোদন পেলেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু: রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আলমারিতে থাকা তিস্তার পরিকল্পনা বের করে সংশোধন করা হয়েছে। সেটি পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। সেখান থেকে হয়তো এ সপ্তাহের মধ্যে অন্য দপ্তরে যাবে। এরপর অনুমোদন পেলেই মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রংপুর নগরীর কেল্লাবন্দ এলাকায় শ্যামাসুন্দরীর উৎসমুখ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ঝুলে থাকা একটা কাজ তিস্তা মহাপরিকল্পনা। আমরা এর চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার কাজ করছি। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই।
আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ ৪৫টি পয়েন্টে ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যাতে করে অকাল বন্যা, নদীভাঙন ও ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে বঞ্চিত না হয় তিস্তাপাড়ের মানুষ।’
শ্যামাসুন্দরী খাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রংপুরের ঐতিহ্যের এই খাল খনন করে এর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আপাতত ১০ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করা হবে। যেখানে বাধা আসবে সেই সমস্যা সমাধান করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। এটি বাস্তবায়ন হলে রংপুর নগীরর পরিবেশ রক্ষা হবে। সেইসঙ্গে ৩৫টি পয়েন্টে বাসাবাড়ি, কলকারখানার যে বর্জ্য পড়ে তা ঠেকাতে ডাম্পিং তৈরি করা হবে।’
এসময় রংপুর বিভাগীয়, জেলা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা জেলার কাউনিয়া রেলসেতু এলাকায় তিস্তা নদী পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি বৃহৎ ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। বিগত সরকার নদীপাড়ের মানুষের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার নদীপাড়ের মানুষের মতামতে এবং চীনের সঙ্গে পরামর্শ করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন তিস্তাপাড়ের মানুষ আর ভাঙনের শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তিস্তা পরিকল্পনার কাজ চলছে। সেইসঙ্গে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার।
জাতীয়
১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
শহীদদের মাগফেরাতের জন্য বুধবার সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এরই মধ্যে এ দিনটিকে সরকার ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘোষণা করেছে।
জাতীয়
ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, বাতিলে লাগবে গণভোট: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান সংশোধনের মতো দুই- তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যদের ভোটে বাতিল করা সম্ভব হবে না। এর জন্য প্রয়োজন হবে গণভোট।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ১৪তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে একটা জায়গায় আমরা একমত হয়েছি যে, যদি উচ্চকক্ষ গঠিত না হয় অথবা উচ্চকক্ষ গঠিত হওয়া পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হবে। তবে সুনির্দিষ্ট কতগুলো অনুচ্ছেন যেমন প্রস্তাবনা অনুচ্ছেদ ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যেটি ৫৮ (ক), ৫৮ (খ) এবং ৫৮ (ঙ) অনুচ্ছেদ দ্বারা সংবিধানে যুক্ত হবে সেগুলো সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভবিষ্যতে বাতিলের জন্য সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরবর্তী সময়ে যদি সংশোধনের প্রয়োজন হয় বা কোনো উদ্যোগ থাকে তার জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি এই বিবেচনা থেকে যে রাজনৈতিক দলদলগুলোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় কোনো রকম দ্বিমত নেই। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান কীভাবে নিয়োগ করা হবে সেটার নিষ্পত্তি করতে পারবো।