অর্থনীতি
স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমেছে ৫০০ কোটি ডলার
![স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমেছে ৫০০ কোটি ডলার পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/bangladesh-bank1-880x528-1.jpg)
২০২৪ সালেও বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ প্রবাহ কমেছে। গত বছর এই খাতে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার কম এসেছে। ডলারের সুদের হার বেড়ে যাওয়া, টাকার মান কমে যাওয়ার শঙ্কা, বাংলাদেশের কান্ট্রি রেটিং কমিয়ে দেওয়া ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিদেশি ঋণে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ না থাকার কারণে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমেছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে মোট বিদেশি ঋণ এসেছে ২১.০৪ বিলিয়ন ডলার।
আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২৫.৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, গত বছর সুদসহ ঋণ পরিশোধ করা হয়েছিল ২৩.১৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছর ঋণ পাওয়ার চেয়ে পরিশোধ হয়েছে ২.১২ বিলিয়ন ডলার বেশি। যদিও ২০২৩ সালেও ঋণ পাওয়ার চেয়ে ৪.৬৩ বিলিয়ন ডলার বেশি পরিশোধ হয়েছিল।
এতে বোঝা যায়, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ঋণ পরিশোধের চাপ কম ছিল। বিদেশি উৎস থেকে দেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের সর্বোচ্চ এক বছর মেয়াদের জন্য তহবিল ঋণ নেওয়াকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ হিসেবে ধরা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য আমদানিকারকরা বিদেশি ঋণদাতাদের থেকে ঋণ নেন, যা বায়ার্স ক্রেডিট নামে পরিচিত। আমদানি দায় পরিশোধে ব্যাংকগুলোও বিদেশি উৎস থেকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার অনেক বেড়েছে। এখানকার ব্যবসায়ীরা আগামীতে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। যে কারণে বিদেশি ঋণ সরবরাহকারীদের অনেকে এখন ঋণ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। অন্যদিকে সুদহার ও বিনিময় হারের কারণে গত বছর ব্যবসায়ীদের অনেকে ঋণ নিতে আগ্রহ দেখাননি। এসব কারণে বিদেশি ঋণ এসেছিল কম। বরং বিভিন্ন উপায়ে ডলার কিনে আগের ঋণ সমন্বয়
করা হয়েছিল।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর বিনিয়োগে স্থবিরতার কারণে বিশ্ববাজারে ঋণের সুদহার শূন্যের কাছাকাছি নামে। হুন্ডি বন্ধ থাকায় ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড ২৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। রপ্তানি বাড়ে ১৫ শতাংশের ওপরে। বেশির ভাগ দেশে তহবিল পড়ে ছিল। অথচ বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে ওই সময়ই স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ বাড়ে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সস্তায় নেওয়া এসব বিদেশি ঋণ পরিশোধেই এখন বেশি মনোযোগী ব্যবসায়ীরা।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ১১.৭৯৩ বিলিয়ন ডলার। গত বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০.১৩২ বিলিয়ন ডলার।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা যেসব ঋণ নিয়েছি তা এখন পরিশোধ করে দিচ্ছি। এ জন্য পরিশোধের চাপে স্থিতি কমছে। আবার ঋণ আসছেও কম। ঋণ কম আসার কারণ হলো-বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে চাচ্ছে না। কারণ দেশের রেটিং নেতিবাচক রয়েছে। আবার আমরাও নিচ্ছি না ডলার রেট ওঠা-নামা এবং ঋণ সুদহার বৃদ্ধির কারণে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
আমাদের দেশেও ভ্যাট সিঙ্গেল রেটে আনতে হবে: মাশরুর রিয়াজ
![আমাদের দেশেও ভ্যাট সিঙ্গেল রেটে আনতে হবে: মাশরুর রিয়াজ পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/masrur-reza-1.jpg)
দেশের অর্থনীতির এমন টালমাটাল অবস্থায় কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে ভুল পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, ভুল সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও ভ্যাট সিঙ্গেল রেটে আনতে হবে। কিন্তু এটা করার সময় কি এখন, যখন দুই-আড়াই বছর ধরে মূল্যস্ফীতির অভিঘাত সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে চেপে ধরেছে? এই সময়ে এটা করা ঠিক হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একটি জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আয়োজিত ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মাশরুর রিয়াজ বলেন, ভ্যাটের হার একসময় বাড়াতে হতো। কিন্তু এই সময় আইএমএফের চাপে বাড়াতে হয়েছে। আইএমএফ লাগবে কী লাগবে না সেটা অন্য আলোচনা। ম্যাক্র ক্রাইসিসে আইএমএফের কিছু সুবিধা থাকে, যদি আপনি রাইটলি ম্যানেজ (সঠিকভাবে পরিচালনা) করতে পারেন। এই জায়গায় আমরা আইএমএফকে রাইটলি ম্যানেজ করতে পারিনি। তারা প্রেশার দেবেই, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়াতে হবে। কিন্তু এই সময়? এখানে নেগোসিয়েশন ফেইলিওর হয়েছে।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, করহার পরিবর্তন করতে চাইলে যৌক্তিক রোড ম্যাপ দিতে হয়। ব্যবসায়ী ও ভোক্তাকে তৈরি হতে হয়। এটা এখানে হয়নি। উল্টো বছরের মাঝখানে এটা বাড়ানো হয়েছে। আমাদের রেগুলেটরি ফ্রেম ওয়ার্কে প্রেডিক্টিবিলিটি অত্যন্ত কম। কারণ এসআরও-এর মতো শক্তিশালী অস্ত্র এনবিআরের আছে। সব কিছু আইনে যেতে হয় না। সেটার কিছু প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে গত ১৫ বছরে এর মিস ইউজটা বেশি হয়েছে।
হার দিয়ে কর বাড়ানো যায় না জানিয়ে তিনি বলেন, এটা কোনো দেশে হয়নি। যদি বাড়েও তবুও এটা সাময়িক, সাস্টেনেবল না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আর্জেন্টিনা থেকে এলো ৫২ হাজার ৫০০ টন গম
![আর্জেন্টিনা থেকে এলো ৫২ হাজার ৫০০ টন গম পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/jahaj-1.jpg)
আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা ৫২ হাজার ৫শ মেট্রিক টন গম নিয়ে আসা জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের (প্যাকেজ-০৩) মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা ৫২ হাজার ৫শ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি ইন্ডিগো ওমেগা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজে রাখা গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই গম খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চলতি মাসেই বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা পাওনা পাবেন: শ্রম উপদেষ্টা
![চলতি মাসেই বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা পাওনা পাবেন: শ্রম উপদেষ্টা পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/aa-22.jpg)
রোজার আগে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে এ সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, বেক্সিমকো অ্যাপারেল প্রথমে লে-অফ, পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম যেটা বন্ধ করা হয়েছে, দেনা যতটুকু আছে সেগুলো এই মাসের মধ্যে শোধ করা হবে। এর অগ্রগতি জানার জন্য আজকের মিটিং হয়েছে। বেশ ভালো অগ্রগতি আছে আমি বলবো। যা যা দরকার যতটুকু টাকা দরকার ততটুকু টাকার ব্যবস্থা হচ্ছে। একজ্যাক্ট (প্রকৃত) কত টাকা সেটা নতুন প্রশাসক এসেছেন, তিনি পুরো হিসাব করে বের করবেন, আমরা আবার আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বসবো। আশা করি দ্যাটস ফাইনাল।
তিনি বলেন, সব ব্যাংকের এমডি আসবেন, তারা কোথা থেকে কোথা থেকে রিসোর্স নেবেন, যে টাকাটা হিসাবে আসবে সেই টাকাটা যার যার পাওনা তার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে এই মাসের মধ্যেই, ইনশাআল্লাহ। তার মানে রোজার আগেই। রোজার আগে আমরা পাওনাগুলো দিয়ে দিতে চাই।
‘সেখানে ২৭ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছেন। প্রত্যেকটি শ্রমিকের যার যা পাওনা তাকে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে কত টাকা সেটি এখনো হিসাব করা হয়নি।’ যোগ করেন এই উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন প্রশাসক গত ৫ তারিখে (ফেব্রুয়ারি) এসেছেন, তিনি এখনো পুরোটা নিজের আয়ত্তের মধ্যে আনতে পারেননি। সেজন্য তাকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
দায়দেনা পরিশোধের অর্থ অর্থ বিভাগ থেকে আসবে নাকি শেয়ার বিক্রি করে নেওয়া হবে- এ বিষয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এটা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আপনারা জানতে পারবেন। অনেকগুলো সম্ভাবনা আছে, অর্থ বিভাগ থেকে হতে পারে। শেয়ার বিক্রি নিয়ে কিছু ঝামেলা আছে সেগুলো দূর করা যায় কি না, সুতরাং ওটা বিক্রি হবে হবে নাকি সম্পদ বিক্রি হবে- তা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত হবে। ১৮ তারিখের মধ্যে হিসাব করে আমাকে জানাবে যে, এই পরিমাণ টাকা লাগবে এবং এই পরিমাণ টাকা আছে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ শ্রমিকরা দক্ষ, তারা বেকার হবেন না। এছাড়া গার্মেন্টস সেক্টরে জনবলের পাঁচ থেকে সাত শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। আমরা এত সংখ্যক লোককে বেকার থাকতে দিতে পারি না, কিছু না কিছু একটা ব্যবস্থা হবে। এটা নিয়েও লোকজন কাজ করছে। ইপিজেড আছে, বিডার (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) মাধ্যমে কাজ হচ্ছে।
এ সময় বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অবৈধ সিগারেটের বিরুদ্ধে ৪১ দিনে ১৫৯ অভিযান
![অবৈধ সিগারেটের বিরুদ্ধে ৪১ দিনে ১৫৯ অভিযান পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/nbr-2.jpg)
অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
দেশব্যাপী দুই শতাধিক সার্কেল রাজস্ব কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে টিম জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৫৯টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৫২টি ও ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০৭টি অভিযান চালানো হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ এসব তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেন, এসব অভিযানের ফলে বাজারে অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্যের পরিমান হ্রাস পেয়েছে। ফলে ভ্যাট পরিশোধিত বৈধ পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। এ তৎপরতা অব্যাহত থাকলে এখাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। অভিযানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে সচেতন নাগরিক, সুশীল সমাজ, গোপন তথ্যদাতা, সামাজিক এবং ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমে সংযুক্ত সব অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এনবিআর জানায়, জানুয়ারি মাসে এনবিআর ৫২টি তামাক বিরোধী অভিযান করে। এর মধ্যে ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (পশ্চিম)২৪টি, রাজশাহী ১৭টি, ঢাকা (পূর্ব) ৪টি, কুমিল্লা ২টি, রংপুর ১টি অভিযান পরিচালনা করে। অন্যদিকে ১ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনে অভিযান হয়েছে ১০৭টি। অভিযানের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযান ৩০টি, ১০ ফেব্রুয়ারি ২৩টি এবং ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে সবগুলো কমিশনারেট মোট ৫৪টি অভিযান পরিচালিত হয়।
সূত্র জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সার্কেলগুলোকে অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এনবিআরের সংগৃহীত ভ্যাটের প্রায় ২৫ শতাংশ আসে সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্য থেকে। দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি ও বিদেশি অবৈধ সিগারেট, গুল, জর্দা ও সমজাতীয় তামাকপণ্য ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি এনবিআরের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তাই অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে এনবিআর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বছরে কোটি টাকা আয় করেন এমন ৬৭ শতাংশ মানুষ কর দেন না
![বছরে কোটি টাকা আয় করেন এমন ৬৭ শতাংশ মানুষ কর দেন না পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/aa-21.jpg)
বছরে কোটি টাকা আয় করেন এমন ৬৭ শতাংশ মানুষ করজালের বাইরে। দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের আয় কোটি টাকার বেশি হলেও তারা করজালে নেই। এমন ফাঁপা করজাল বা ক্ষুদ্র করজাল দিয়ে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো যাবে না।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য থেকে গত ছয় মাসে ৮৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি আছে। আইএমএফ চাপ দিচ্ছে রাজস্ব বাড়াতে। তাই করজাল না বাড়িয়ে সরকার পরোক্ষ কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানের এমসিসিআই কনফারেন্স হলে ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম একথা বলেন। আয়োজনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন তিনি।
২০১৮ সালের সিপিডির একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে কোটি টাকা আয় করা মানুষের করজালের বাইরে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সম্প্রতি শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়ে সরকার দুর্নাম নিলো বলে মন্তব্য করে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, রাজস্ব বাড়ানোর জন্য সরকারের অন্য কোনো বিকল্প ছিল কি না তা দেখতে হবে। কারণ, শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোয় ১১ হাজার বা সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব পাওয়া যাবে বলা হয়েছে। এতে রাজস্বের ঘাটতি তেমন একটা পূরণ হবে না।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে কর প্রশাসন অটোমেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। সংস্কারে যেন কর প্রশাসনের কোনো আগ্রহ নেই। এখানে ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। নিজেদের এমন অসংগতি দূর করতে না পারলে কিংবা নিয়মের প্রতিপালন করতে না পারলে কর আদায় বাড়বে না।