আইন-আদালত
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনের সব সদস্যের পদত্যাগ

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র ৬ দিন আগে মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তাসহ কমিশনের সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এতে করে ঝুলে গেলো ১০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত নির্বাচন অনুষ্ঠান কার্যক্রম।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছে দেওয়া ওই পদত্যাগপত্রে কমিশনের সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, আওয়ামীপন্থী সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ফ্যাসিস্টদের দোসর উল্লেখ করে তাদের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করায় কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে, বিধায় নির্বাচন পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে তারা পদত্যাগ করেছেন। সমন্বয় পরিষদ ও ঐক্য পরিষদের দুটি আবেদনই সমিতির গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন পদত্যাগকারী নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগে পুরো নির্বাচনই পণ্ড হয়ে গেলো বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বারের নির্বাচনকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন পুরো নির্বাচন কমিশনই পদত্যাগ করেছে। এবারের নির্বাচন ঘিরে এর আগেও দু’বার নির্বাচনী কর্মকতাদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। একবার আমরা নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করি। আরেকবার পুনর্গঠন করি। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন আর নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করার সুযোগ নেই। এতে করে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে গেলো। আমরা বুধবার সমিতির সভা করবো। ১১ ফেব্রুয়ারিও আমরা সভা করবো। আমাদের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটা এডহক কমিটি করতে হবে। এ এডহক কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের আয়োজন করবে।
১৩২ বছরের চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এ বছরের নির্বাচনকে ঘিরে শুরু থেকেই নানা ঘটনা ঘটে আসছে। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। বারের ইতিহাসে যা এর আগে কখনো প্রত্যক্ষ করেননি আইনজীবীরা। এবারের নির্বাচনের জন্য সর্বপ্রথম গত ৩০ ডিসেম্বর ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কয়েকদিন যেতে না যেতেই এ কমিশন থেকে গত ৫ জানুয়ারি মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ দুজন পদত্যাগ করেন। কমিশনে অগণতান্ত্রিক সরকারের সমর্থকরা অন্তর্ভুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে এ দুজন পদত্যাগ করেছিলেন। এ ঘটনার পর সমিতির পক্ষ থেকে গত ৯ জানুয়ারি নতুন করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। এর মাত্র তিন দিনের মাথায় ১২ জানুয়ারি আবারো মৃখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ তিনজন পদত্যাগ করেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি সমিতির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয়। এতে আইনজীবী মোহাম্মদ সোলায়মানকে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয়। আইনজীবী উত্তম কুমার দত্ত, সামশ্রী বড়ুয়া ও মো. নুরুদ্দীন আরিফ চৌধুরীকে নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয়।
পদত্যাগপত্রে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি উল্লেখ করেছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানোসহ ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনে একপক্ষ সেনাবাহিনী মোতায়েন অন্যপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক আখ্যা দিয়ে তাদের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করেন। দুই আবেদনই অগ্রহণযোগ্য। উভয়পক্ষের পারস্পরিক অবস্থান নির্বাচনের প্রতিকূল হওয়ায় নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে বিভিন্নভাবে হেনস্তা, ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। তাই ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন করার কোনো পরিবেশ নেই।
নির্বাচনে ঐক্য পরিষদ মনোনীত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. হাসান আলী চৌধুরী বলেন, সমন্বয় পরিষদ থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন চাওয়াতে নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেছে। আমরা কমিশনের কাছে কোনো আবেদন করিনি। কমিশন কেন বলছে যে, আমরা আবেদন করেছি, তা বলতে পারছি না।
সমন্বয় পরিষদ মনোনীত সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের প্রতি হুমকি রয়েছে, তাই আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির জন্য প্রস্তাব করেছিলাম। অন্যদিকে ঐক্য পরিষদ আমাদের মনোনয়ন বাতিলের জন্য আবেদন করেছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এসব আবেদনকে ‘অজুহাত’ হিসেবে দাঁড় করিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আইভী

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ শুক্রবার ভোরে শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন, নেতৃত্বে বিচারপতি নজরুল ইসলাম

অভিযোগের সংখ্যা বাড়ায় এবং দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির প্রয়োজনে হাই কোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করেছে সরকার। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারকের দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা জানানো হয়। এদিন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বর্তমানে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের সময় সংঘঠিত ’গণহত্যার’ অভিযোগগুলোর বিচার কাজ চলছে। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গঠিত এ ট্রাইব্যুনালে পরিবর্তন আনা হয়। গত ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবারের প্রজ্ঞাপনে বিচারপতি গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ ট্রাইব্যুনালের তার বাকি দুই সঙ্গী হলেন-বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাওয়া অভিযোগ ও অভিযুক্তের সংখ্যা, দ্রুত বিচার-নিষ্পত্তির প্রয়োজন, কাজের চাপ ইত্যাদি বিবেচনায় এ আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান ও সদস্যরা হাই কোর্ট বিভাগের বিচারকের প্রাপ্য বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের স্ত্রীর প্লট-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চার তলা বাড়ি, পুরাতন ভবনসহ ১৬ শতক জমির ৪টি প্লট, পল্লবীতে ১টি ফ্ল্যাট ও ৬টি ব্যাংক হিসাব এবং ২টি কোম্পানির শেয়ার জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব জব্দ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর তেজগাঁও জেলায় মনিপুরী পাড়ায় ৫ দশমিক ৫৭ কাঠা প্লটের ওপর ৩ হাজার ৪০০ বর্গফুটের চার তলা ভবন, একই এলাকায় ৫ দশমিক ৭৬ শতক জায়গার আলাদা দলিলের ২টি প্লট ও দুই ইউনিট বিশিষ্ট পুরাতন ভবন, একই এলাকায় ১ দশমিক ৩৪ শতক জমি, পল্লবী এলাকায় ১৮৭২ বর্গফুটের ১টি ফ্ল্যাট। এ ছাড়া ৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৬ টাকা।
আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি লুৎফুল তাহমিনা খান ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) ধারার ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লুৎফুল তাহিনাকে অপরাধে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার এবং আসামি তাহমিনা নিজ নামে এবং তার আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামীয় একাধিক ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত মোট ৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪৫ টাকা টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছে।
ওই অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
মামলার তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা অত্র মামলা সংশ্লিষ্ট অপরাধলব্ধ সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে মামলার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির সুবিধার্থে আসামির বিভিন্ন সম্পত্তির মধ্যে আপাতত উল্লিখিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক, অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বেনজীরের মেয়ের দুবাইয়ের ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দ ও দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপ-পরিচালক জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে অর্জিত অর্থ অবৈধভাবে পাচার করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৭(১) এর অধীনে ফৌজদারি অপরাধ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে অপরাধের অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য অভিযুক্ত তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের স্থাবর সম্পত্তির হস্তান্তর বন্ধ করার জন্য স্থাবর সম্পত্তি জব্দ এবং অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।
এর আগে ৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।
বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, বেনজীর ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তার স্ত্রী জিশান মির্জা ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তাদের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এবং মেজ মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি ১৩ মে

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানির জন্য আগামী ১৩ মে দিন ধার্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
বুধবার (৭ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নের্তৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির এ তারিখ ঠিক করে দেয়।
জামায়াতে ইসলামীর কৌঁসুলি মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানির তারিখ নির্ধারণের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেন, “জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের কারণে গণতন্ত্রে উত্তোরণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।”
জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রিট আবেদন করেন।
২০১৩ সালের ১ অগাস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ ওই রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে।
ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন ওই বছরের ৫ অগাস্ট খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে এ দলটির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তনের হাওয়ায় সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে।
তাতে সম্মতি দিয়ে গতবছর ২৪ অগাস্ট আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তাতে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আইনি লড়াইয়ের পথ খোলে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জাময়াতের আবেদনে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়।
এবার নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকারও ফিরে পাবে ২০০১-০৬ সময়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারে থাকা দলটি।