জাতীয়
এক বছরে মেট্রোরেলের আয় ২৪৪ কোটি টাকা
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে টিকিট বিক্রি করে আয় হয়েছে প্রায় ২৪৪ কোটি টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
তিনি জানান, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টিকেট বিক্রি বাবদ ২৪৩ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ আমাদের ইনকাম হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, প্রথম বছর পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছিল। তখন চলতে আগারগাঁও পর্যন্ত। তখন ফ্রিকোয়েন্সি ছিল কম। দিনের ১০টা হয়ত ট্রেন চলেছে। আস্তে আস্তে আমরা ট্রেন বাড়িয়েছি। গত বছর আমরা পুরোটাতে চালু করেছি। আমাদের ট্রেনের টিপ এখন ২০০টি হয়ে গেছে। আগে ছিল ১০টির মতো ট্রেন। আমরা এখন শুক্রবারেও চালু করেছি, আগে যেটি ছিল না।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, তিন লাখ ৮২ হাজার প্যাসেঞ্জার গতকাল সর্বোচ্চ মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। সেটা অবশ্য শুরুর দিকে ছিল ১৫-২০ হাজার। আমাদের টার্গেট হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। এটি ব্রেক ইভেন্ট পর আমাদের হবে। আমরা যদি হেডওয়ে কমাই, তাহলে এটি আর বেশি দিন দূরে নয়। আমরা যদি টঙ্গী পর্যন্ত চালু করতে পারি তাহলে আমাদের যাত্রী আরও বাড়বে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলো খোলার অনুমতি পেল দুদক
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করার পর এবার তা খুলে দেখার অনুমতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এ অনুমতি দেন। একই সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করার জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানকে নিয়োগ দেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ আদেশ দেন তিনি।
আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নমনীয় লকার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে খুলে প্রাপ্তসামগ্রী ইনভেন্টরি করার নিমিত্তে অনুসন্ধানকারীদের অনুমতি দেওয়া হয়।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রাখা সব কর্মকর্তার সেফ ডিপোজিট সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ (স্থগিত) করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাতে কোনো কর্মকর্তা রক্ষিত মালামাল লকার খুলে নিতে না পারেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই যাতে লকার থেকে অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে না পারেন, সে জন্য সব লকার ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫ দশমিক ৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।
তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের ‘দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক’ আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৩ দফা দাবিতে জিপি হাউজের সামনে চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ
অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে এবং ছাঁটাই করা শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল ও মুনাফার ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানাসহ ন্যায্য পাওনার দাবিতে জিপি হাউসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন গ্রামীণফোনের চাকুরিচ্যুতরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তি এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এসময় তাদের ‘ন্যায্য পাওনা আদায় চাই, কারও দয়া নয়’, ‘জিপি ম্যানেজমেন্টের দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, ৫ শতাংশ মুনাফা দিবি’, ‘গ্রামীণফোনের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ম্যানেজমেন্টের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘বকেয়া না দিলে, পিঠের চামড়া থাকবেনা রে, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, গ্রামীণফোন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের মনস্টার ভাবে। তারা কোনো কারণ না দেখিয়ে এবং আগে কোনোধরনের নোটিশ না দিয়েই খেয়ালখুশি মতো অবৈধভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। তারা হঠাৎ করে ই-মেইল পাঠিয়েও একদিনেই অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। এমনকি ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬০ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহাল, মুনাফার ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানাসহ ন্যায্য পাওনার দাবি এবং শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে, চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে জিপি হাউসের ভেতরে ও সামনে বাড়তি পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি
সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে। ওই সময় করণীয় নিয়ে সুপারিশনামা পেশ করবে ৬ কমিশন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ৬ সংস্কার কমিশন প্রধানদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
এ সময় প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম, উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ছয় সংস্কার কমিশন প্রধানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে। এদিন সংস্কার কমিশনের প্রধানরা মিলে সংস্কার কার্যক্রমে আশুকরণীয় (স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি) কী, সে সম্পর্কে সুপারিশমালা পেশ করবেন। সংস্কার কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে শক্তিগুলো রয়েছে তাদের কাছে সেদিনই পৌঁছে দেওয়া হবে।
এরপর রাজনৈতিক দল ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শরিক শক্তি বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, রাজনৈতিক দল ও পক্ষ শক্তির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক কমিশন প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সকল রাজনীতির দল ও আন্দোলনের পক্ষে সকল শক্তির প্রতিনিধিরা থাকবেন ও কমিশন প্রধানরা থাকবেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ১ মাস ৩ দিনের মাথায় গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বহুল আলোচিত ৬টি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে সুনির্দিষ্ট কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয় সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্রসচিব সফররাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাচারের অর্থ ফেরাতে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ফেরত আনতে কানাডার সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সম্পদ শনাক্তকরণ, জব্দ এবং পুনরুদ্ধারে সাহায্য চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত অলিগার্ক, স্বজনপোষণকারী ও রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার চুরি করে নিয়েছে, যার একটি অংশ টরন্টোর কুখ্যাত বেগমপাড়ায় সম্পদ কেনার মাধ্যমে পাচার হয়েছে। তারা আমাদের জনগণের অর্থ চুরি করে বেগমপাড়ায় সম্পদ কিনেছে। আমরা এসব সম্পদ পুনরুদ্ধারে আপনার সহায়তা চাই। এটি আমাদের জনগণের অর্থ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নিউইয়র্কে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আরও বেশি কানাডীয় বিনিয়োগ দরকার। বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আমরা আপনার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চাই এবং চাই কানাডার কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করুক।
তিনি আরও বলেন, অনেক বাংলাদেশি বর্তমানে কানাডায় বসবাস ও পড়াশোনা করছে, তাই কানাডার উচিত ঢাকায় তাদের ভিসা অফিস স্থাপন করা।
এ সময় কানাডার হাইকমিশনার অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, কানাডা এ বিষয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং দেশটির সরকারের কাছে অন্তর্বর্তী সরকার যাদের চিহ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ জব্দ ও অর্থ ফেরত আনার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।
তিনি বলেন, কানাডা বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণের এই সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করছে। আপনারা যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করছেন, তা আমরা সমর্থন করি। এরই মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা জানতে চাই কীভাবে আমরা আরও সহায়তা করতে পারি?
তিনি আরও জানান, কানাডা বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। শিগগিরই এক কানাডীয় মন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠককালে সিনিয়র সেক্রেটারি ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাসপোর্টে ইস্যুতে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন
পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে থাকছেনা পুলিশ ভেরিফিকেশন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে পাসপোর্টের জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে আজ সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাসপোর্টের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন পাসপোর্ট ইস্যুর মূল ভিত্তি ধরা হয়। এ দুটি সঠিক থাকলে পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা নয়- উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এমন মতামত উঠে আসার পরই এ নিয়ে কাজ শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে সভায় অনেকটা এগিয়ে গেছে। পরবর্তীতে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় বেশিরভাগ প্রতিনিধি পাসপোর্টে ভেরিফিকেশন উঠানোর বিষয়ে মত দিয়েছেন।
জানা গেছে, সভায় পাসপোর্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনার আলোকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে। সভায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পুলিশের বিশেষ শাখাসহ অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সচিব সাইফুল্লাহ পান্না, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব শেখ আবু তাহের, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, মো. রুহুল আমিন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার, মোহাম্মদ নুরুল, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), এ এস এম হুমায়ুন কবীর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর যুগ্ম-পরিচালক, মো. জিয়াউল কাদের, অতিরিক্ত সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, মো. যাহিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, গোলাম রসূল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপসচিব আমিন আল পারভেজ, বিশেষ পুলিশ সুপার, (এসবি) হায়াতুন্নবী, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্প পরিচালক, মো. সাইদুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাফি প্রমুখ।