সারাদেশ
সখিপুরের শিক্ষা উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়

শরীয়তপুর জেলায় ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের উত্তর তারাবুনিয়ায় অবস্থিত আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের শিক্ষার মানোন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি সখিপুর থানার অন্যতম সুপরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝী। তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে ইউনিয়ন ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে এই অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়েছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
বিদ্যালয়টি ৩ দশমিক ২৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ১১০০ জন শিক্ষার্থীদের জন্য ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে। বর্তমানে কাউসার আহম্মেদ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠানটি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল ক্লাসরুম, বিজ্ঞানাগার ও পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার সুযোগ করে দেবে। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি এ এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে চেয়ারম্যান বাজার, হাসপাতাল, মসজিদ-মাদ্রাসা সহ একটি বৃহৎ পুকুর, যা বিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরও মনোরম ও শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক করেছে।
এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষ ও প্রশাসনের সহায়তায় বিদ্যালয়টি আগামী দিনে আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এ প্রতিষ্ঠানের অবদান অনস্বীকার্য।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
মেহের আফরোজ শাওনের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্থানীয় ছাত্র-জনতার একাংশ এই আগুন দেয়।
শাওনের বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলীর এই বাড়িটি তার পারিবারিক সম্পত্তি। তিনি জামালপুর-৪ (সদর) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তার স্ত্রী বেগম তহুরা আলী ১৯৯৬-২০০১ ও ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শাওন নিজেও আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও অগ্নিসংযোগের পেছনের প্রকৃত কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম জানান, নরুন্দি বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হওয়ার পর কিছু বিক্ষোভকারী শাওনের বাবার বাড়ির সামনে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তার পরিবারের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে এবং বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের বাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার চকসিংগা এলাকার চার তলা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড়ির কেয়ারটেকার জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুর ১২দিকে এক দল লোক এসে বাড়ির সামনে জড়ো হন। পরে তারা হামলা ও ভাঙচুর চালান। সবশেষে অগ্নিসংযোগ করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বাঘা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে টিমের সদস্যরা ফিরে এসেছেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
এদিকে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন শাহরিয়ার আলম। সে কারণে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর-আগুন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের মিয়া বাড়িতে হামলা চালান তারা। এ সময় তাদের ‘নারায়ে তাকবির, কাউয়া কাউয়া’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর ১টা ৫০ মিনিটেও হামলা চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার নিজস্ব ফেসবুক পেজ থেকে এই হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে লেখা হয়, ‘নোয়াখালীর বিপ্লবীরা, বুলডোজার নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। মার্চ টু কাউয়া কাদেরের বাড়ি! আজ বেলা ১১টা।’
সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা কেউ বাড়ির ছাদে, কেউ বাড়ির ভেতরে, আবার কেউ বাড়ির সামনে অবস্থান করছেন। তারা ‘নারায়ে তাকবির, কাউয়া কাউয়া’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় তারা বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র, ছাদের রেলিংয়ে ও সামনে থাকা পোড়া একটা গাড়িতে আগুন দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর উদ্দিন জাহান বলেন, বাড়িতে ওবায়দুল কাদেরের নিজস্ব কোনো ঘর নেই। যেটি আছে, সেটা তার ছোট ভাই কাদের মির্জার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছিল বেলা ১১টায় হামলা করা হবে। তাই সকাল থেকে সাংবাদিকরা বাড়ির সামনে অবস্থান করেন। বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা বাড়িটা দেখতে আসে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সেই রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন ছাত্র-জনতা। সবাই কাউয়া কাউয়া স্লোগান দিচ্ছে। এমন খারাপ রাজনীতি কেউ করলে তাদের এমন পরিণতি হবে, এটাই আমাদের শেষ কথা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
খুলনায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘শেখ বাড়ি’

খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় অবস্থিত আলোচিত ‘শেখ বাড়িতে’ ভাঙচুর চালিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এটি। বাড়িটি বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ময়লাপোতা এলাকার বাড়িটি ঘিরে ফেলেন হাজারো শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় লোকজন। রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালান। পরে তারা সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার নিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু করেন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। অনেকে রড-হাতুড়ি দিয়ে বাড়ির প্রাচীর ভাঙার চেষ্টা করেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে বাড়ির ছাদে কিছু সময় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তবে এ সময়ে বাড়ির আশপাশে কোথাও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘ভাঙচুরের ঘটনাটি আমি ফেসবুকে দেখেছি। এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। খোঁজখবর নিচ্ছি।’
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটি খুলনায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত। এই বাড়িতে শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েক ভাই থাকতেন। ওই বাড়ি থেকেই মূলত পদ্মার এপারের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো। গত ৪ আগস্ট প্রথম দফায় বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন ছাত্ররা। সেদিন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। এরপর বাড়িটিতে শুধু ইটপাথরের কাঠামোই অবশিষ্ট ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
উত্তরবঙ্গে পেট্রলপাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে বুধবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল ইসলাম।
আজিজুল বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিজেদের জায়গা দাবি করে নওগাঁয় বিনা নোটিশে পেট্রোল পাম্প উচ্ছেদ ও রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এ কারণে বুধবার সকাল থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, সরবরাহ ও বিপণন বন্ধ রাখা হয়েছিল। এ অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে জ্বালানি সচিব ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যানের আমন্ত্রণে পেট্রোলিয়াম ডিলার, বিক্রয় প্রতিনিধি ও এজেন্ট এবং পেট্রোল পাম্প অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের উপস্থিতিতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।