পুঁজিবাজার
ঝুঁকিপূর্ণ কেপিপিএলের শেয়ারে কারসাজি, দর বেড়েছে ৩৬১ শতাংশ

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অত্যাধুনিক সার্ভিলেন্স সফটওয়্যারের দুর্বলতায় কারসাজি করে পার পেয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট চক্র। কারসাজিকারীরা সহজেই বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে অস্বাভাবিক উত্থান-পতন করতে পারছে। এতে তারা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সম্প্রতি দেশের পুঁজিবাজারে এমন কারসাজি চক্রের উপদ্রব বেশি মাত্রায় বেড়েছে। কারখানা ও উৎপাদন বন্ধ থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং (কেপিপিএল) লিমিটেডের শেয়ার নিয়েও কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ানো হচ্ছে উৎপাদন বন্ধ লোকসানি এই কোম্পানির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার নিয়ে নতুন করে কারসাজি শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের পর থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি কোন বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করছে না। শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দিচ্ছে না। আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোন তথ্যও দিচ্ছে না। তবুও উৎপাদন বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েই চলেছে। শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে মাত্র ৩০ কার্যদিবসের ব্যবধানে ৭ টাকার শেয়ারের দর ৩৬১ দশমিক ১১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর আগে, গত বছরেও কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারটির দর বৃদ্ধি করে সিন্ডিকেট চক্র। লোকসানি কোম্পানির দর সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ায় কারসাজি চক্র। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্থ করে ফায়দা লুটে নেয় তারা। তার নিঃস্ব হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আবারও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সর্বস্বান্ত করে লাভবান হওয়ার পায়তারায় মেতেছে সেই কারসাজিকারীরা।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির ব্যাপারটা ইতিমধ্যে কমিশনের নজরে এসেছে এবং সন্দেহজনক মনে হয়েছে। বিএসইসির সার্ভিলেন্স সফটওয়্যারে কোম্পানিটির লেনদেন সার্বক্ষণিক পর্যাবেক্ষণে রয়েছে। কোনো রকম অসঙ্গতি পেলে কমিশন থেকে তদন্ত ও যাচাই-বাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানিটির উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশনা দেবে কমিশন।
ডিএসই সূত্র মতে, কোম্পানিটির শেয়ার দর গত কিছুদিন যাবত অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় সন্দেহজনক মনে হলে ডিএসই কোম্পানিটির কাছে একাধিকবার কারণ জানতে চিঠি পাঠায়। তবে খুলনা প্রিন্টিং ডিএসইর চিঠির কোনো জবাব দেয়নি। সম্প্রতি সরজমিনে পরিদর্শন গিয়ে ডিএসইর পরিদর্শন দল কারখানাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে ডিএসই তা প্রকাশ করে।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরেই লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিচ্ছে না খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। অথচ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছুটছে লাগামহীনভাবে। সর্বশেষ ৩০ কার্যদিবস বা ৪০ দিনে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ বা ৩৬১ শতাংশ। শেয়ার দরের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি চক্রের ইন্ধন। এসব কারসাজি চক্র হতে দূরে থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে সচেতন হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতে, কারসাজি চক্রের মুল হোতা একটি সিন্ডিকেট চক্র মিলে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে মেতে উঠছেন। বিষয়টি তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। এর আগেও এ সিন্ডিকেট চক্রটি বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে জড়িত ছিলেন। তবে লোকসানের কারণে গত কয়েক বছর ধরে লভ্যাংশ পাচ্ছে না খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের বিনিয়োগকারীরা। অথচ তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছুটছে লাগামহীন।
ডিএসই সূত্র মতে, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে কোম্পানিটিকে একাধিকবার নোটিশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। মুলত শেয়ার দর বৃদ্ধি নিয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে কারণ জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা তলব করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। তবে বহুবার নোটিশ করার পরে ডিএসইর ব্যাখ্যা তলবের উত্তর দেয় কোম্পানিটি। কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের শেয়ারটির দর এভাবে বাড়ছে।
উৎপাদন বন্ধ কোম্পানির শেয়ারের এমন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অনেকের মনে। তাঁরা বলছেন, বন্ধ একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ফলে কারসাজিকারকেরা ইচ্ছেমতো শেয়ারটির দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। কারসাজি ছাড়া বন্ধ এ কোম্পানির শেয়ারের দাম এভাবে বাড়ার আর কোনো কারণ নেই। এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধি থামাতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার দর ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। যা আজ ৪ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয়েছে ৩৩ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ মাত্র ৩০ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর ২৬ টাকা বা প্রায় ৫ গুণ বেড়েছে। উৎপাদন বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির শেয়ারদর কারসাজি ছাড়া এমন হারে বৃদ্ধি পাওয়া অসম্ভব বলে মনে করছে ডিএসইও।
ডিএসইর তথ্য মতে, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। কোম্পানিটির মোট ৭ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার রয়েছে। অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ৮৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার। আর প্রাতিষ্ঠানিক ১ দশমিক ১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এসএম

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণা, বিএসইসির সতর্কবার্তা

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট। এবিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতারকচক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (হোয়াটস্অ্যাপ, টেলিগ্রাম) বিনিয়োগকারীদের লোভনীয় বার্তা পাঠিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের পর প্রথমে সামান্য মুনাফা দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা হয় এবং পরবর্তীতে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বড় অঙ্কের বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হয়ে থাকে। এভাবে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে এক সময় বিনিয়োগকারীকে জানানো হয়- যেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছে সেটিতে সমস্যা হয়েছে তার জন্য বিনিয়োগকারীকে আরও অর্থ দিতে হবে। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার পর প্রতারকচক্র ভুক্তভোগীকে ব্লক করে দেয়।
এ ধরণের প্রতারণা থেকে সুরক্ষার জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কিছু সতর্কবার্তা বিশেষভাবে অনুসরণের এবং সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। তা হলো-
সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারকচক্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য লোভনীয় প্রস্তাব করে বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা করছে। উক্ত প্রলোভনমূলক বিনিয়োগ প্রস্তাব থেকে সকল বিনিয়োগকারীগণকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিও আইডি থাকা আবশ্যক, যা নিবন্ধিত স্টক ব্রোকার বা ডিপোজিটরি পার্টিসিপ্যান্ট এর মাধ্যমে খোলা হয়। নিজ নামে বিও হিসাব ব্যতিরেকে এবং নিবন্ধিত স্টক ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকার বা পোর্টফোলিও ম্যানেজারের মাধ্যম ছাড়া পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় বা আর্থিক লেনদেন না করার জন্যও অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, সিকিউরিটিজ বা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত লেনদেন বিনিয়োগকারীর নিজ নামে পরিচালতি বিও হিসাবে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। বিনিয়োগকারীর নিজ স্বার্থেই এ বিষয়গুলোতে বিনিয়োগকারীদের বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ করা হলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারক চক্রের বিষয়ে বা পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যে কোন অনিয়মের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে তা কমিশনের মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের ই-মেইলে (intel@sec.gov.bd)প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি।
কাফি
পুঁজিবাজার
দেড় ঘণ্টায় ২৭১ শেয়ারের দরবৃদ্ধি, লেনদেন ৪৩৩ কোটি টাকা

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় ২৭১ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৪৩৩ কোটি টাকার বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩২মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ৪৩ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৮৬ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ৮ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২০ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৯৭ ও ২১৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ৪৩৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭১টির, কমেছে ৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮ কোম্পানির শেয়ারদর।
এসএম
পুঁজিবাজার
সমতা লেদারের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে। আগামী ১ সেপ্টম্বর, বিকাল সাড়ে ৪টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ ওই প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
প্রথম প্রান্তিকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ইপিএস কমেছে ৬৪ শতাংশ

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ মার্চ,২০২৫ প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারী’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৬৪ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬৪ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২১ টাকা ৯৫ পয়সা।
এসএম
পুঁজিবাজার
কনফিডেন্স সিমেন্টের রাইট ইস্যুর পুনঃবিবেচনার আবেদন প্রত্যাখ্যান

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির রাইট শেয়ার ইস্যুর পূঃবিবেচনার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত জুন মাসে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কোম্পানিটির রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। এরপর কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি ওই আবেদন পুনঃবিবেচনা করার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানায়। এবার এ আবেদনও নাকচ হয়ে গেল।
রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি বাজার থেকে ১০০ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ২০৫ টাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিল। রাইট অফারে প্রতিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার ৩৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৪৫ টাকা দরে বিক্রির প্রস্তাব রাখা হয়েছিল।
এসএম