অর্থনীতি
রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক লাইসেন্স না দেওয়ার সুপারিশ টাস্কফোর্সের

ব্যাংকিং খাত থেকে রাজনৈতিক প্রভাব অপসারণ জরুরি। একটি শক্তিশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী কয়েক দশক ধরে এই খাতকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এটি ভেঙে ফেলা দরকার।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্র্নিধারণ টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। সেখানে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ কথা বলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধনী বিল ২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংককে সমন্বিতভাবে কাজ করার অনুমতি দিতে হবে। কোনো একক ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের একটি গোষ্ঠীকে একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকানা পাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। রাজনৈতিক কারণে নতুন কোনো ব্যাংক লাইসেন্স দেওয়া উচিত নয়। দুর্বল শাসিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে পুনঃপুঁজিতে পাবলিক ফান্ডের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষার জন্য সমস্যাগ্রস্ত ব্যাঙ্কগুলির জন্য একটি প্রস্থান নীতি প্রণয়ন করা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে টাস্কফোর্সের সুপারিশমালা থেকে অন্তত একটি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে কোন সুপারিশটি বাস্তবায়ন করা হবে, তা জানাতে হবে।
টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন টাস্কফোর্সের প্রধান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ। এই টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে অর্থনীতি, ব্যাংক,অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করা হয়।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিগত সরকারের আমলে ব্যাংক কোম্পানি আইন দুর্বল হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন নতুন ব্যাংকগুলোকে পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে আর্থিক খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারি সেবা নিশ্চিত করা এবং সংস্কারের অংশ হিসেবে পাঁচ নতুন প্রতিষ্ঠান করার সুপারিশ করা হয় টাস্কফোর্স প্রতিবেদনে। যেমন, নিয়ন্ত্রক সংস্কারর সংস্কার কমিশন বা রেগুলেটির রিফর্ম কমিশন (আরআরসি) গঠন করা উচিত। আইনকানুন পরিবর্তন, সংশোধনে এই কমিশন সবসবই কাজ করবে। এছাড়া বাংলাদেশ বিমানকে দুই ভাগে বিভক্ত করে একটি অংশ বিদেশি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান নিয়ে পরিচালনা করার সুপারিশ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম তদারকির জন্য আলাদা কমিটি করার কথাও বলা হয়েছে। সেন্টার অব গ্লোবাল এক্সিসিলেন্স এবং সেন্টার সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিওরাল চেঞ্জ কমিউনিকেশন অ্যান্ড রিসার্চ গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়, পুলিশ, স্বাস্থ্যসহ যেকোনো সরকারি সেবা পাওয়া কঠিন। এ জন্য নাগরিকদের তদারকির মাধ্যমে সামাজিক নিরীক্ষার মধ্যে এসব সেবাকে আনা যেতে পারে।
কে এ এস মুরশিদ বলেন , যুগ যুগ ধরে চাঁদাবাজির কথা শুনছি। কিন্তু কিছু করতে পরিনি। আমরা মনে করি, স্থানীয় জনগণের সহায়তায় অ্যান্টি গুন স্কোয়াড (গুন্ডা প্রতিরোধ কমিটি ) বেশ কার্যকর হবে।
ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার সুপারিশ প্রসঙ্গে কে এ এস মুরশিদ বলেন, রাজনীতির প্রভাব ছাত্রদের মধ্যে বিস্তার লাভ করে, শিক্ষকেরা জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত তা আর্থিক দুর্নীতিতে গড়ায়। দলীয় রাজনীতি কেন থাকবে? কোনো সভ্য দেশে আছে। ছাত্র–ছাত্রীরা সক্রিয় থাকেন সামাজিক ও শিক্ষা খাতের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। ছাত্র রাজনীতির বন্ধের বিষয়টি সরকার পুনর্বিবেচনা করতে পারে। এখন তো বলা যায়। আগে তো এটাও বলা যেত না।
সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন টাস্কফোর্সের আরেক সদস্য অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, বিনিয়োগের বাধাগুলো দূর করতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। আগের সরকার এক’শ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথা বলেছে, তা সবগুলো না করে নির্বাচিত কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চল করা যেতে পারে।
ব্যাংক দেউলিয়া আইন করার সুপারিশ করেছেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের এমডি সৈয়দ নাসির মঞ্জুর। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার আগে স্থানীয় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ, বিডি জবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর প্রমুখ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্র্নিধারণ টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালককে এ এস মুরশিদের নেতৃত্বে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

তিন মাসে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে চার হাজার ৯৫৪টি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। পরে ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ডিসেম্বর-ভিত্তিক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে গ্রাহকের মোট হিসাব বা অ্যাকাউন্ট ছিল ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। এসব হিসাবে মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা।
এর আগে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। এসব হিসাবে জমা ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংক খাতের হিসাব বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি। আর আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, ডিসেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি হলেও তা সমসংখ্যক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
তিনি বলেন, আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাব থাকতে পারে। পাশাপাশি অনেক সরকারি সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংক থেকে টাকা তোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাসহ দলীয় ব্যবসায়ীদের অনেকে দেশ ছাড়েন। অতি কড়াকড়ির কারণে বিদেশে টাকা পাচার কমে যায়।
এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে এ সময় ধাপে ধাপে ব্যাংকের সুদ হার বাড়ানো হয়। এ সময়ে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ব্যাংক হিসাবে টাকার পরিমাণও বাড়তে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফল আমদানিতে উৎসে কর কমলো

আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর। অবিলম্বে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব তাজা ফল আমদানিতে অগ্রিম কর কমানো হলো, সেগুলো হলো— তাজা বা শুকনা কমলালেবু, তাজা বা শুকনা লেবু জাতীয় ফল, তাজা বা শুকনা আঙুর ফল, তাজা বা শুকনা লেবু, তাজা বা শুকনা আঙ্গুর, তাজা আপেল ও নাশপাতি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। ফলে বাজারে আমদানি করা বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যায়।
বর্তমানে ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ আগাম কর আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোটামুটি যত ধরনের শুল্ককর আছে, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ১৩৬ শতাংশ। ১০০ টাকা ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা কর দিতে হতো। অগ্রিম কর কমানোয় এখন করভার কিছুটা কমবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর ২৯ হাজার শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ

এখন পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লি: কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এই প্র
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআর দুই ভাগ হচ্ছে, ঈদের আগেই অধ্যাদেশ: চেয়ারম্যান

ঈদের আগেই রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুই ভাগ হয়ে যাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা নতুন অর্থবছরের প্রথম থেকে কাজ শুরু করবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘আয়কর আইন, ২০২৩: সংস্কার ও প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মো. আবদুর রহমান খান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকালও (মঙ্গলবার) আমাকে ডেকেছেন। তিনি বলেছেন, ঈদের আগেই অধ্যাদেশ হয়ে যাবে। আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হবে। যত দ্রুত সম্ভব এটা অপারেশনাল করব। আমরা সে দিকেই আগাচ্ছি। শুরুটা করতে হবে এবং বিবাদ যা থাকবে সে জায়গাটা আমরা পরে অ্যাড্রেস করব।
এনবিআর দুই ভাগে বিভক্ত হলে সেখানে কারা থাকবেন ও কাজ করবেন সেটি তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কিছু বাইরের এক্সপার্টও থাকবে, বিশেষ করে ইকোনমিক, ফাইন্যান্স ও রিসার্চ থেকে কিছু লোক থাকবে। তবে এনবিআরের কর ও শুল্ক ক্যাডাররাই মূলত এ কাজগুলো করবেন বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যারা অভিজ্ঞ তারাই মূলত এ কাজগুলো করবেন। তার সঙ্গে অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে অন্যরা থাকবেন। আমরা নৈর্ব্যত্তিকভাবে কোনো কিছু না দেখে আইনে যা আছে, এটা আমরা প্রয়োগ করতে পারব।
তিনি বলেন, যেসব টিআইএনধারী রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের ওপর রাজস্ব সংগ্রহের বড় চাপ থাকতো। সেটি আমরা পলিসির ওপর ভর করে আদায়ের চেষ্টা করতাম। বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে ইনকনসিসটেন্স বড় যন্ত্রণা। এজন্য অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। আামদের এখানে সুশাসনের অভাব। অনেক আইন আছে, প্রয়োগে শৈথিল্য। আইনের শাসন একেবারে অনুপস্থিত। করজাল ছোট এটাও সঠিক নয়, কর কম দেয় এটাও ঠিক নয়।
এসময় আরও বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
কর কমিশনার ও সংগঠনের সভাপতি মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন কর অঞ্চল-৬ এর কর কমিশনার ইকতিয়ার উদ্দিন মামুন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত-ভিয়েতনাম থেকে এলো ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল

ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (১২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সেদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
ওইসব চাল নিয়ে ভিয়েতনাম থেকে এমভি টুং এন শিপ ও ভারত থেকে এমভি রেক এলিট জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই (বুধবার) খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।