ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে দুই বিভাগের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যকার সংঘর্ষে ইন্ধনদাতা হিসেবে নির্দিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে যুক্তিখণ্ডন ও অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযুক্তরা। তারা হলেন জাকারিয়া (বঙ্গবন্ধু হল), আমিরুল (জিয়া হল) ও হাসানুল বান্না (লালন হল)।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রিপোর্টার্স ইউনিটির অফিসে আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা বানোয়াট বলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা বলেন, গত পরশু দিন আইন বিভাগ ও আল ফিকহের মধ্যে বাসে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে যে একটা সমস্যা হয়েছিল, সেই রেশ ধরে আমাদের নামে বিভিন্নভাবে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন।
‘অনেকে আমাদের বিরুদ্ধে একটা প্রশ্ন উঠাচ্ছে, আমরা কেন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেটার উত্তর হচ্ছে- আল হাদিস বিভাগের মুস্তাফিজ স্যারের সাথে আমিরুল সফর সঙ্গী হিসেবে জামালপুর যাচ্ছিল। তখন মেইন গেইটে এরকম ঘটনা দেখে সিনিয়র শিক্ষার্থী হিসেবে সেখানে কী হচ্ছিল এবং কী ঘটতেছিল সেটা দেখার জন্য উপস্থিত ছিলাম। ওখানে আগে থেকেই জাকারিয়া ও হাসানুল বান্না উপস্থিত ছিল ঘটনাকে মিনিমাইজ করার জন্য। আমরা ব্যতীত সেখানে অনেক শিক্ষার্থীও ছিল। পাশাপাশি সমন্বয়করাও উপস্থিত ছিল। আমরা প্রথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি, সেখানে যেন অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে। আমরা সেখানে উপস্থিত হওয়ার কারণে কিছু শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর প্রশ্ন তুলেছে। যা মিথ্যা ও পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো চেষ্টা করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া নামের শিক্ষার্থী বলেন, যখন প্রক্টর অফিসে মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন অনুষদ ভবনের সামনে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থী সহ আল ফিকাহ ও আইনের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। অথচ আমি (জাকারিয়া) একটু পিছনে ছিলাম। যখন দুই গ্রুপ সংঘর্ষে বাঁধে, তখন আসা হয়। এক্ষেত্রে এতগুলো বাহিরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্ধনদাতা হিসেবে কেন অভিযুক্ত করেছে? আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ব্যক্তিত্বকে, সম্মানকে বা মান ক্ষুণ্ণ করার লক্ষে নাম দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে হাসানুল বান্না বলেন, ঘটনার সম্পূর্ণ সুষ্ঠু তদন্ত হোক। ব্যক্তিগতভাবে মান ক্ষুণ্ণ করার অধিকার কেউ রাখে না। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রক্টর স্যারকে অবহিত করে রাখবো।
এসময় আমিরুল (জিয়া হল) বলেন, অভিযোগ পত্রে আমিনুর রয়েছে। আদৌও আমার নাম কিনা সন্দিহান। যেহেতু এক সাংবাদিক আমার নাম্বারে কল দিয়েছিল তাই আসলাম। আমার মনে হয় আমার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আসার কথা না।
উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তাদের দাবি, গত শনিবার (১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সুমন গাজীকে মারধর ও লাঞ্চিত করেন আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিসে বিচার দাবিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের অভিযোগ, এ হামলায় সরাসরি সম্পৃক্ত ও ইন্ধনদাতা হলেন, জাকারিয়া (বঙ্গবন্ধু হল), আমিনুর (জিয়া হল), হাসানুল বান্না (লালন হল)। এদের কেউ আল ফিকহ বিভাগের শিক্ষার্থী নন। এতে আইন বিভাগের কামরুজ্জামান, আহাদ, কবির, জুবায়ের, সোহানুর, নাইমুর, তালহা, বায়েজিতসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় প্রক্টর তাদের নিবৃত্ত করতে আসলে হামলার মাঝখানে পড়ে যান। সেখান থেকে আইনের শিক্ষার্থীরা প্রক্টর স্যারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন বলেও জানান তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই শহীদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ইবি বৈবিছাআ’র মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী গ্রামে শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারত, ও জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল এবং মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা।
বুধবার (২ জুলাই) দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শৈলকূপার চড়ুইবিল গ্রামে শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারত, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল, জুলাই আহত শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা গেছে, উপাচার্যের নিজস্ব ফান্ড থেকে জুলাই বিপ্লবে আহত মোট ১১ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫৮ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে, আজকের আয়োজনের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাসব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুই হাজার গাছ রোপণ’সহ মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করবেন।
কবর জিয়ারত শেষে সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তাই শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আমাদের মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছি। শহীদ সাব্বির ১৮ জুলাই ঢাকায় উত্তরাতে কর্মরত ছিল। দুপুর ২ টা নাগদ তার বসের সাথে আন্দোলনে বের হয়েছিল এবং গুলি তার গলা ছেদ করে বের হয়ে যায়। এভাবে শৈলকূপার চড়ইবিল গ্রামের সাব্বির আমাদের ভাই শহীদ হন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন,আজকের এই দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে জুলাই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধভাবে প্রায় পনেরো বছরের স্বৈরশাসককে সরাতে গিয়ে আন্দোলনে আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন। আজ শহীদদের জন্য দোয়া শেষে তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আজকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মৃতি রক্ষা করবে। জুলাই বিপ্লব হয়েছিল বৈষম্য দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য। এই গাছগুলো আমাদের শপথের সাক্ষী হয়ে থাকবে। আমরা অন্যায়কে দূরীভূত করব, সত্য প্রতিষ্ঠা করবো, ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠন করবো, নতুন বাংলাদেশ গড়বো।
জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থীদের অনুদানের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে অনুদান দিয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য এবং যারা জুলাই বিপ্লবের অংশগ্রহণ করেছে আগামী দিনে তাদের জন্যও সুবিধার কথা খেয়াল রাখবো এবং তারা সবসময় আমাদের বিবেচনায় থাকবে। জুলাই আগস্ট যেনো আমাদের আদর্শ হয়। পরিবর্তিত বাংলাদেশে জুলাই আগস্টের ত্যাগ ও আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করি।
দিনব্যাপী কর্মসূচির কবর জিয়ারত অংশে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ। পরবর্তী কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: ওবায়দুল ইসলাম, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়কসহ অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মচারী, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, সহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইউজিসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইবি উপাচার্যের চীন সফর

বাংলাদেশে চীন দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চীন সফরে যোগদান করবেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আগামী ৬ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত (ভ্রমণ সময় ব্যতীত) মোট ৬ দিনের সফরে যাচ্ছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত পহেলা জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এএসএম কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল খরচ বাংলাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন দূতাবাস বহন করবেন। এতে বাংলাদেশ সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আর্থিক সম্পৃক্ততা থাকবেন না। মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে কর্মস্থলে যোগদান করবেন। ভ্রমণের একটি প্রতিবেদন তাঁর প্রত্যাবর্তনের ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। এছাড়া উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ইয়াকুব আলী উপাচার্যের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) গোলাম মাহফুজ মঞ্জু জানান, উপাচার্যের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ তারিখে উপাচার্যের সফরে যাবেন। তিনি উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির চেয়ারম্যানের অধীনে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যাচ্ছেন।
ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ জানান, উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির অধীনে একটা বড় প্রতিনিধিদল নিয়ে চীন সফরে যাওয়া হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ সঙ্গে থাকবেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ১৮ হলে ফার্স্ট এইড বক্স বিতরণ করলো ছাত্রশিবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ফার্স্ট এইড বক্স বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আজ বুধবার (২ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিটি হলের প্রতিনিধিদের হাতে এসব ফার্স্ট এইড বক্স তুলে দেন ঢাবি শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা সেক্রেটারি মুহিউদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, বিজ্ঞান সম্পাদক ইকবাল হায়দারসহ শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতেই ফার্স্ট এইড বক্স সরবরাহ করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও মৌলিক দায়িত্ববোধ থেকেই ছাত্রশিবির তার ছাত্রকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের তারিখ ঘোষণা

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ১৮ জুলাই (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই পরীক্ষা ওইদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
বুধবার (২ জুলাই) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার হল, আসনবিন্যাস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) প্রকাশ করা হবে।
অনুষ্ঠিতব্য এই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে মোট তিন হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ২ হাজার ৭০০ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩০০ জন।
এর আগে, ২০২৩ সালে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ বিসিএসের আওতায় ৩৯তম ও ৪২তম বিসিএসে নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রায় ৯ হাজার চিকিৎসক।
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানের সময়সীমা ছিল ১ জুন সকাল ১০টা থেকে ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিশেষ এই বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা হবে মোট ৩০০ নম্বরের। এর মধ্যে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এবং ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য।
এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রার্থীরা দুটি ভাগে পরীক্ষা দেবেন। পেশাগত বিষয়ে থাকবে ১০০ নম্বর, আর সাধারণ বিষয়ে থাকবে বাকি ১০০ নম্বর। সাধারণ বিষয়ের নম্বর বণ্টন হলো— বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, গাণিতিক যুক্তি ১০ ও মানসিক দক্ষতা ১০ নম্বর।
দুই ঘণ্টায় অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে। আর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রার্থীকে অন্তত ৫০ নম্বর পেতে হবে।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ছাত্রীর রুমে দাওয়াত চাইলেন শিক্ষক, যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, অশ্লীল মেসেজ প্রদান ও ইচ্ছাপ্রণোদিতভাবে নম্বর কমিয়ে ফেল করানোর মতো ঘটনা’সহ নানান অভিযোগ করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বিভাগের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, দ্বিতীয় বর্ষে আজিজ স্যারের টিটোরিয়ালে ভালো মার্কস পাওয়ার পর উনি ফোন দেন এবং জিজ্ঞেস করেন ‘এতোদিন আমার চোখে পড়ো নাই কেনো?’ ক্যাম্পাসে হাত ধরে হাঁটার মানুষ আছে? তারপর বলেন তোমাকে তো দেখি ক্লাসে চুপ থাকতে, তুমি কি হাসতে পারো? একটু হেসে শুনাও তো। তারপর আমাকে আরও কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন এবং আমি ফোন রেখে দিই আর তার ইফেক্ট তাঁর টিউটোরিয়ালের মার্কসে দেখতে পাই।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ট্যুরে স্যার যাবেন কিনা শিক্ষার্থীরা জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি সাঁতার পারো? আমি উত্তর দেই, ‘পারি না’ তখন তিনি বলেন, সাঁতারই তো পারো না, কক্সবাজার যেয়ে কি হবে। একসাথে সমুদ্রে নেমে তো গোসল করতে পারবো না।
ভুক্তভোগী অপর ছাত্রী জানান, তোমার কি কোনো সেক্সুয়াল ইচ্ছে নেই? তুমি কি asexual? যেটা উনি (শিক্ষক) আমাকে বুঝিয়ে বলতে থাকেন। তোমার বাসা লাগবে? তোমার তো একরুমের বাসা হলেই হয়। শেখপাডায় অনেক ভালো বাসা আছে একরুমের। তুমি বাসা পেলে আমাকেও একদিন দাওয়াত দাও তোমার রুমে।
গত ২৩ জুন বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরাও নানান অভিযোগ দেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনো শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করিনি। হয়তো আমার কথা তারা ভুলভাবে নিয়েছে। কখন কী বলছি এখন বলতে পারছি না। তবে এটি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মনে করছি।’
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. একে এম নাজমুল হুদা বলেন, বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দেয়। গত ২৯ তারিখ আমরা একাডেমিক কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আপাতত তিনি বিভাগের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। পরে তদন্ত কমিটি হবে, কখন কোন সেকশন পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা দেখে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষক আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ল্যাব ভাইভায় অপমান করা, হোয়াটসঅ্যাপে কুরুচিপূর্ণ মেসেজ প্রদান, ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেওয়া, রুমে ডেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে আপত্তিকর জিজ্ঞাসা, ক্লাসে সবার সামনে আজেবাজে ইঙ্গিত করা, মানসিক নির্যাতন করা, ছাত্রীদের ভিডিও কল দেওয়া, কল না ধরলে রেজাল্ট খারাপ করানোর হুমকি, বিবাহিত ছাত্রীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, নিজের অধীনে প্রজেক্ট করতে পছন্দের ছাত্রীদের বাধ্য করা, বডি শেমিং করাসহ নানাভাবে হেনস্তার অভিযোগ করেন বিভাগটির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। পরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে বিভাগের কার্যক্রম থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব আসলাম/এসএম