অর্থনীতি
জানুয়ারিতে রপ্তানি বেড়েছে ৫.৭০ শতাংশ
সদ্যবিদায়ী জানুয়ারি মাসে দেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের ব্যবধানে যা বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত জানুয়ারি মাসে বেড়েছে দেশের রপ্তানি আয়। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
এছাড়া চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম (জুলাই-জানুয়ারি) ৭ মাসে রপ্তানি হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বেশিরভাগ পণ্যেই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ। নিট পোশাকে ১২ ও ওভেন পোশাকে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। আলোচ্য সময়ে সাড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
এছাড়া প্লাষ্টিক পণ্যে ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ, চামড়ায় ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ, প্রক্রিয়াজাত পণ্যে ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, কৃষিজাত পণ্যে ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ, হিমায়িত পণ্যে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর পাটজাত পণ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআর পুনর্গঠনের সুপারিশ টাস্কফোর্স কমিটির
নানা অসংগতি সরিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স কমিটি। এনবিআর শুধু রাজস্ব সংগ্রহের দিকে মনোযোগ না দিয়ে নানা ধরনের উদ্ভাবনকে ক্রমাগত উৎসাহিত করতেও সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্র্নিধারণ টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। সেখানে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এসব তথ্য দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে টাস্কফোর্সের সুপারিশমালা থেকে অন্তত একটি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে কোন সুপারিশটি বাস্তবায়ন করা হবে, তা জানাতে হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন টাস্কফোর্সের প্রধান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ। এই টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে অর্থনীতি, ব্যাংক,অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করা হয়।
টাস্কফোর্সের সুপারিশ মালায় বলা হয়েছে, এনবিআর তদারকি কমিটি: বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ এবং সরকারের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে অবিলম্বে একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা উচিত। এনবিআরের অসংগতি সরানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে সুপারিশ করা উচিত। কিভাবে এনবিআরকে পুনর্গঠন করা উচিত সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সুপারিশ করা উচিত। কাস্টমস, ভ্যাট এবং ট্যাক্স সম্পর্কিত অসঙ্গতিপূর্ণ, স্বেচ্ছাচারী এবং বৈষম্যমূলক নীতি সরানো উচিত। এনবিআর থেকে নীতি উদ্ভাবন, যেমন ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউস সিস্টেম আরএমজি শিল্পকে রূপান্তরিত করেছে। এই সমস্ত উদ্ভাবনী কাজ আরও থাকা উচিত এনবিআরের পুনর্গঠনে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন— বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ, বিডি জবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর প্রমুখ।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্র্নিধারণ টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালককে এ এস মুরশিদের নেতৃত্বে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রাইজবন্ডের ১১৮তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৮তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের নম্বর হলো-০৬০৩৯০৮। এছাড়া তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা বিজয়ী দ্বিতীয় হয়েছে ০৮২৯৩২০ নম্বর।
তৃতীয় পুরস্কার এক লাখ টাকা করে দুটি এগুলো হলো-০১৬৭৭১৯ ও ০৩৩৪৬৭০। চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা বিজয়ী নম্বর দুটি হলো ০২০৩৬০৭ ও০২১৯১৮৫।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের মোট ৮১টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা এবারে পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। একক সাধারণ পদ্ধতিতে (অর্থাৎ প্রত্যেক সিরিজের জন্য একই নম্বর) এই ‘ড্র’ পরিচালিত হয়। এগুলো হলো-কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল, গশ, গষ, গপ, গস, গহ, ঘক , ঘখ এবং ঘগ এই ‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত।
এছাড়া পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন ৪০ জন। তাদের নম্বরগুলো হলো- ০০১২৪৭০, ০২০৮৬৩৯, ০৩৮৪৪৬৫, ০৬০৬১১৮, ০৭২২৩৪৮, ০০১৭০৬০, ০২৩৮৫২২, ০৪৩৩২৯৩, ০৬০৬৮৭৭, ০৭৪৪৮০২, ০০২৩২১২, ০২৪৩৫০৪, ০৪৬৬১২৬, ০৬৫১৫৫২, ০৭৪৭৮৬৩, ০০৫৩৩৭৪, ০২৫৩২০১, ০৫১৬০০৩, ০৬৫৫৯৯০, ০৭৮৭৪৮৯, ০০৬৭৯২৯, ০২৭৫৬৩৮, ০৫২২২৭৯, ০৬৬৩০৭৫, ০৮১৫৬২৩, ০০৯৫২৮৬, ০৩৩৬৯১৭, ০৫৩৭৬০৪, ০৬৮০০৪১, ০৮৬০৮০১, ০১০৪৪০৯, ০৩৪৭০০৩, ০৫৭৬২৬২, ০৬৮০৬২১, ০৯৩২৮৮৭, ০২০৫০৬০, ০৩৬৪২০২, ০৫৮৩৫৪৭, ০৬৯৩২৫১ এবং ০৯৩৯৯২৫।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুলাই আন্দোলনে আহতদের বিদেশি চিকিৎসকেরা ভ্যাটমুক্ত সুবিধা পাবেন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা করতে বিদেশি চিকিৎসকদের ফি, হোটেল ভাড়া, আপ্যায়ন ব্যয়কে ভ্যাট অব্যাহতি দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে বিদেশি চিকিৎসকদের অনুকূলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফি, হোটেল ভাড়া, আপ্যায়ন ব্যয়কে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হলো।
২০১২ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনের ১২৬ ধারার ৩ নম্বর উপধারার ক্ষমতাবলে এই অব্যাহতি দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকদের ফির ওপর আগেও ভ্যাট ছিল না। তবে হোটেল ভাড়া, আপ্যায়ন এসব খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত থেকে এলো ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল
উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান।
জানা গেছে, ভারতের ধামরা বন্দর থেকে ৭ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে আসা পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘বিএমসি আলফা’ বন্দরের ৭ নম্বর মুরিং বয়ায় নোঙর করেছে। ৮ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘এমভি সি ফরেস্ট’ জাহাজটি ফেয়ারওয়ে বয়ায় অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান বলেন, শনিবার রাতে জাহাজ দুটি মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। জাহাজে আসা চালের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলে সোমবার থেকে খালাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মোংলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র বলছে, চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে দেশে আসবে মোট ৩ লাখ টন চাল। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ চাল খালাস করা হবে মোংলা বন্দরে, বাকি ৬০ শতাংশ খালাস করা হবে চট্টগ্রাম বন্দরে।
মোংলা বন্দর এলাকার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবাহান বলেন, এটি ভারত থেকে আসা উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে মোংলা বন্দরে আমদানি করা চালের দ্বিতীয় চালান। বন্দরে আসা দুটি বিদেশি জাহাজে মোট ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল রয়েছে। রোববার ভৌত পরীক্ষার জন্য আমদানি করা এই চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ দিকে জাহাজ দুটির শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান জালাল বলেন, ভারত থেকে আসা ‘বিএমসি আলফা’ নামের পানামা পতাকাবাহী জাহাজটিতে ৭ হাজার ৭০০ টন এবং থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি সি ফরেস্ট’-এ ৮ হাজার ৭০০ টন চাল রয়েছে। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে আমরা খালাস শুরু করব।
উল্লেখ্য, ২০ জানুয়ারি ভিয়েতনামের পতাকাবাহী ‘এমভি পুথান-৩৬’ জাহাজে ৫ হাজার ৭০০ টন চাল এসেছিল মোংলা বন্দরে। যেটি এই দরপত্রের প্রথম চালান ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো পৌনে ২৭ হাজার কোটি টাকা
চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি (২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় পৌনে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে এসেছে প্রায় ৮৬১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
মাসের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো ছিল। এ কারণে সদ্য বিদায়ী মাস জানুয়ারিতেও দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রেমিট্যান্স বা প্রবাসীয় আয়। এর মাধ্যমে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের আগস্ট মাস থেকে টানা ছয় মাস দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসের পুরো সময়ে এসেছে প্রায় ২১৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। আলোচ্য সময়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ সময়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৫ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৬৫ লাখ ডলার।
তবে আলোচ্য সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। এছাড়া বিদেশি খাতের ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বেশি। একক মাস হিসেবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স আসে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বরে) এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার।
কাফি