পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে ৫ মাসে জরিমানা ৭২২ কোটি, আদায় হয়নি এক টাকাও

বিগত সরকার পতনের পর দেশের আর্থিক খাতের প্রায় সব নিয়ন্ত্রক সংস্থায় পরিবর্তন এসেছে। এ সময়ে যেসব লুটপাট হয়েছে, তা বন্ধে নেওয়া হয়েছে নানা ধরনের সংস্কারমূলক উদ্যোগ। তারই অংশ হিসেবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বেও পরিবর্তন এসেছে। নতুন কমিশন আসার পর বিগত সরকারের আমলে পুঁজিবাজারে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্থাটি বিগত ৫ মাসে কারসাজির অভিযোগে প্রায় ৭২২ কোটি টাকা জরিমানা করলেও, এখনো আদায় করতে পারেনি এক টাকাও।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনের মারপ্যাঁচ ও দীর্ঘসূত্রতায় এসব জরিমানা আদায় সম্ভব নয়। কারসাজিকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে প্রয়োজনে আইনের পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে অর্থনীতিবিদ মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগ দিতে সিদ্বান্ত নেয়। কিন্তু বিএসইসির কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিদ্রোহের কারণে মাসরুর রিয়াজ যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান বিতর্কিত ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত প্রায় দেড়বছর বেকার থাকা ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজারের কারসাজি চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় কমিশন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিএসইসির কমিশন সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই সময়ে অন্তত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১২টি কোম্পানির শেয়ার কারসাজি পর্যালোচনা করে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৭২১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে কারসাজির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জরিমানা করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানিকে (বেক্সিমকো)। বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি করে ৪৭৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে চার ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠান। কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে এরপর শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিয়েছে তারা। কারসাজির মাধ্যমে ৪৭৭ কোটি টাকা মুনাফা তুলে নেওয়া চার ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৪২৮ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
এছাড়া ওরিয়ন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশনসহ ১১টি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির প্রমাণ মেলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অনিয়ম চিহ্নিত হওয়ায় তাদেরকে রেকর্ড পরিমান জরিমানা করে বিএসইসি।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব কোম্পানিতে কারসাজি হয়েছে, সেসব কোম্পানিতে আস্থা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। তার ওপর আইনের দীর্ঘসূত্রতায় কারসাজিকারীদের দৃশ্যমান শাস্তি না হওয়ায় আস্থা হারাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, বিএসইসি থেকে জরিমানার আদেশ দেওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্ডিনেন্স অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে রিভিশন করতে পারে। কমিশন ছয় মাসের মধ্যে রিভিউ করাতে পারে। রিভিউয়ের ফলাফলের জন্য ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে। আর যদি রিভিউ করা হয় তাহলে কমিশন তাদের বক্তব্য শুনবে।
তিনি আরও বলেন, জরিমানাকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জারিমানার টাকা জমা না দিয়ে বিএসইসির আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করতে পারে। যদি রিভিউ না দেয় বা জারিমানার টাকা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট কেস করা হয় টাকা আদায়ের জন্য।
এ পর্যন্ত কত টাকা আদায় হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জানাতে পারবো।
যেসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির প্রমান পেয়েছে বিএসইসি
খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন সর্বপ্রথম ইমাম বাটনের (বর্তমানে হামি ইন্ডাস্ট্রিজ) শেয়ার লেনদেনে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে কারসাজিকে চিহ্নিত করেছে। এ অপরাধের দায়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ৯২১তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিব হাসানকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এটিই বর্তমান কমিশনে অধিনে কোন শেয়ারে কারসাজির অপরাধে করা প্রথম জরিমানা। একই কমিশন সভায় কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের লেনদেনে কারসাজি করে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। এক্ষেত্রে শাহারা জামান ও তার সহযোগী আশফাকুজ্জামানকে আড়াই লাখ টাকা করে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা এবং লুতফুল গনি টিটু, মাহমুদুল হাসান, খাইরুল হাসান বেনজু, লুতফুন্নাহার বেগম ও আকিকুন্নাহারকে ১ লাখ টাকা করে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯২৩তম সভায় প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিকে চিহ্নিত করে বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ চার ব্যক্তি এবং তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা, আবুল খায়ের হিরুকে ২৫ লাখ টাকা, ইশাল কমিউনিকেশন লিমিটেডকে ৭৫ লাখ টাকা, মোনার্ক মার্ট লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতব্বরকে ১০ লাখ টাকা, লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা এবং মো. জাহেদ কামালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির অপরাধে সোনালী পেপারের শেয়ারধারী তিন পরিচালককে ২০ লাখ টাকা করে মোট ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের জরিমানা করা হয়েছে তারা হলেন- সোনালী পেপারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহফুজা ইউনুস ও পরিচালক মোহাম্মদ জাবেদ নোমান।
দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে একক কোন শেয়ার কারসাজিতে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ক্ষেত্রে। গত ১ অক্টোবার অনুষ্ঠিত কমিশনে ৯২৪ তম সভায় এই জরিমানা করা হয়। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির শেয়ার কারসাজির অপরাধে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বর্তমান কমিশন। এর মধ্যে মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি, আব্দুর রউফকে ৩১ কোটি ও মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া শেয়ার কারসাজির দায়ে পাঁচ প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি, আর্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ৭০ কোটি, জুপিটার বিজনেস লিমিটেডকে সাড়ে ২২ কোটি, অ্যাপোলো ট্রেডিং লিমিটেডকে ১৫ কোটি ১ লাখ ও ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে ৪ কোটি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
৯৩২তম কমিশন সভায় গত ১৯ নভেম্বর ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বে-লিজিংয়ের শেয়ার কারসাজির আলামত চিহ্নিত করে ৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। জরিমানা হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বে লিজিংয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুরাইয়া বেগম, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির এবং তুষার এলকে মিয়া। আর প্রতিষ্ঠানটি হলো সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড। এর মধ্যে বে-লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেনে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করায় সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের ভিত্তিতে আইন ভঙ্গ করে শেয়ার বিক্রি করায় সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরকে ১২ কোটি টাকা, বে-লিজিংয়ের তৎতকালীন পরিচালক অধ্যাপক সুরাইয়া বেগমকে ৫ কোটি টাকা এবং তুষার এলকে মিয়াকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।
বিএসইসির ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৯৩৪ তম সভায় তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে হিরু, তার পরিবারের সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানকে ১৩৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- ফরচুন সুজ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সোনালী পেপার। এসব কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে হিরু, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, বাবা আবুল কালাম মাতবর, মা আলেয়া বেগম, বোন কনিকা আফরোজ, ভাই মোহাম্মদ বাসার ও সাজিদ মাতবর, স্ত্রী সাদিয়া হাসানের ভাই কাজী ফুয়াদ হাসান ও কাজী ফরিদ হাসান এবং হিরুর প্রতিষ্ঠান ডিআইটি কো-অপারেটিভ ও মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের সিকিউরিরিটিজ আইন ভঙ্গ করার প্রমান পেয়েছে বিএসইসি। সে জন্য উল্লিখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই বিশাল পরিমাণ জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ফরচুন সুজের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করায় আবুল খায়ের ওরফে হিরুকে ১১ কোটি টাকা, হিরুর বাবা আবুল কালাম মাতবরকে ৭ কোটি ২০ লাখ, নিজের প্রতিষ্ঠান ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ১৫ কোটি, হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানকে ২৫ কোটি, বোন কনিকা আফরোজকে ১৯ কোটি এবং ভাই সাজিদ মাতবরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করায় হিরুকে ১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা, সাজিদ মাতবরকে ১ কোটি ৬০ লাখ, মোহাম্মদ বাসারকে ১ কোটি ১৫ লাখ, কনিকা আফরোজকে ২ কোটি ৯০ লাখ, কাজী সাদিয়া হাসানকে ১ কোটি ৯০ লাখ, কাজী ফুয়াদ হাসানকে ১ লাখ, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ৮৪ লাখ এবং আবুল কালাম মাতবরকে ২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করায় হিরুকে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতবরকে ৪ কোটি ১৫ লাখ, কাজী সাদিয়া হাসানকে ১১ লাখ, কনিকা আফরোজকে ১ লাখ, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ১২ লাখ, আলেয়া বেগমকে ১ লাখ, মোহাম্মদ বাসারকে ১ লাখ, মোনার্ক হোল্ডিংকে ১ লাখ এবং সাজিদ মাতবরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর সোনালী পেপারের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করায় হিরুকে ১ লাখ টাকা, আবুল কালাম মতবরকে ১ লাখ, কাজী সাদিয়া হাসানকে ২ লাখ, কনিকা আফরোজকে ১ লাখ, কাজী ফরিদ হাসানকে ৩৫ লাখ এবং কাজী ফুয়াদ হাসানকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৯৩৫ তম কমিশন সভায় তিন কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে মোট ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স বা বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনায় ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৭০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনায় এক ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৬১ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। বিডি ফাইন্যান্সের এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় সামির সেকান্দারকে। এছাড়া আবু সাদাত মো. সায়েমকে ২২ কোটি টাকা, আনিকা ফারহিনকে ৭ কোটি টাকা, আনোয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আনোয়ার গ্যালভানাইজিংকে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা, সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্সকে ৮৫ লাখ টাকা, মাহের সেকান্দারকে ৫২ লাখ টাকা, আফরা চৌধুরীকে ৩৫ লাখ টাকা, আবদুল মবিন মোল্লাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিএসইসি জানিয়েছে, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে এসব কারসাজিকারকরা কারসাজিতে জড়িত ছিলেন।
আর ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার কারসাজির ক্ষেত্রে আমিনুল ইসলামকে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং নাবিল ফিড মিলসকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উল্লিখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসের কম সময়ে আইন লঙ্ঘন করে কোম্পানিটির শেয়ার কারসাজিতে জড়িত ছিলেন। এর বাইরে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার নিয়ে কারসাজির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে সোহেল আলম নামের এক ব্যক্তিকে। এছাড়া এখলাসুর রহমানকে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, বীকন ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এবাদুল করিমকে ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা, বীকন মেডিকেয়ারকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা, বীকন ফার্মাকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ও নুরুন নাহার করিমকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিএসইসি জানিয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে ২০২২ সালের ২১ জুন থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনা ঘটান।
বর্তমান কমিশনের অধিনে গত ৪ মাসে অনুষ্ঠিত সভায় আরও অন্তত ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ঘাটতি থাকায় ৫ ব্রোকারেজ হাউসকে মোট ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ডার্ন সিকিউরিটিজকে ১ লাখ টাকা, আনোয়ার সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা, প্রুডেনশিয়াল সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা, এনএলআই সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা এবং এএনডব্লিউ সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর বাইরে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে কারসাজি করায় মাহফুজা আক্তারকে ১০ লাখ টাকা এবং দেওয়ান সালেহিন মাহমুদকে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সাকিব আল হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের মূল ব্যবসার বাইরে বিনিয়োগ করার প্রমান পেয়েছে বিএসইসি। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মোনার্ক মার্ট এবং সফটাভিন লিমিটেডে বিনিয়োগ করা অর্থ মোনার্ক হোল্ডিংয়ের হিসাবে ফেরত আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ অর্থ ফেরত আনতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও, বাজার স্থিতিশীল না হয়ে উল্টো আস্থা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
বিএটিবিসির ইপিএস কমেছে ২৩ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড (বিএটিবিসি) গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ২৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৮৯ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৬৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল মাইনা্স ১৭ টাকা ৬২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ টাকা ৪৯ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৯৭ টাকা ৭৭ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লিন্ডে বাংলাদেশের আয় কমেছে ১৭ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১৭ দশমিক ২১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ২৯ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৩৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ১ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২২ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৩৪ টাকা ৬৩ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ না হলে অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে: আনিসুজ্জামান

ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ না হলে আমাদের অর্থনীতির একটা অংশ পিছিয়ে যাবে অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
বুধবার (৭ মে) হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এদিন বর্তমান পুঁজিবাজারের সমস্যা, উত্তরণ এবং একে সমৃদ্ধ করার জন্য ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে করনীয় বিষয়ে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, পরিচালক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম, পরিচালক শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এম সাইফুর রহমান মজুমদার,। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি ও সিএসইর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভাতে প্রায় ১১টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- টিকে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসআরএম গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ফারুক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, দৈনিক আজাদি লিমিটেড, নাহার এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেড, খাতুনগঞ্জ চেম্বার, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম, বিএসএ এপারেলস লিমিটেড, দি লাকি এপারেলস ইন্টারন্যাশনাল (প্রাঃ) লিমিটেড, এপিক প্রোপারটিজ লিমিটেড।
সভায় বেশকিছু প্রস্তাব ও মতামত দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- ব্যবসার জন্য সামগ্রিক ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ব্যবসা করার জন্য বিদ্যমান পলিসিগুলোর পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং প্রয়োজনে নতুন করে তৈরি করতে হবে। ব্যবসার জন্য পরিবেশ অর্থাৎ পলিসি, প্রক্রিয়া এবং প্রয়োগিক সব ক্ষেত্রে ব্যবসা বান্ধব হওয়া জরুরী । ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, তখন স্বাভাবিকভাবে আমাদের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। দেশে ফরেন ডিরেক্ট ইনেভেস্টমেন্ট কিংবা পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ আসার জন্য সর্বস্তরের (সব সংশ্লিষ্ট স্টেকদের) পদ্ধতিগুলো সহজ করতে হবে। ভালো ভালো সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে হবে।
বিদেশী কোম্পানিগুলোকে লিস্টেড করার জন্য পলিসি থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে পদ্ধতিকে সহজ করতে হবে ও সল্প সময়ে করার ব্যবস্থা করতে হবে। ষ্টক এক্সচেঞ্জ, রেগুলেটরি সংস্থা, সব স্টেকসমূহকে যে কোনো কাজের জন্য সম্মিলিতভাবে একই প্লাটফর্মে থেকে কাজ করতে হবে যেন ফান্ডামেন্টাল/মৌলিক ব্যাপারগুলোর একটি ধারাবাহিক সিস্টেমে থাকে, তবে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে কম্পালায়েন্স এমনভাবে কার্যকর করা দরকার যেন প্রসেসকে ঠিক রেখে প্রতিটি কাজ দ্রুত সময়ে সম্পন্ন হয়।
পুঁজিবাজার ভাইব্রেন্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ করার সুযোগ বাড়াতে হবে, প্রোডাক্ট দিয়ে সমৃদ্ধ করতে হবে, অর্থনীতির গতিশীলতার বিবেচনায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সিএসই ইতিমধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য ফিজিবল স্টাডি করেছে যেখানে ব্যবসায়িক কমিউনিটি অংশগ্রহণ করেছে কিন্তু এখনও এক্সচেঞ্জ চালু হয়নি। কেন হয়নি এবং কবে হতে পারে সে ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ।কেননা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অর্থনীতির অগ্রসরতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বক্তব্য বিস্তারিত শুনেন। একই সথে তিনি বলেন, আপনারা যে ধরনের পরিবর্তন আশা করছেন আমাদের কাজ করার উদ্দেশ্যও তাই। কারন সংস্কার চলমান এবং আজকের এই আলোচনাও এর অংশ।একটি দেশ ও তার সামগ্রিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তার ব্যবসায়িক কমিউনিটির বিশাল ভুমিকা রয়েছে । আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে, সেটা অর্জনের জন্য সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়াটাই জরুরী। আর সেজন্য আপানদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ না হলে আমাদের অর্থনীতির একটা অংশ পিছিয়ে যাবে অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নতি হবে না। এখন পর্যন্ত কি হয়নি সেটা না ভেবে কতদূর এগিয়েছি, আরও কতখানি গেলে আমরা সবাইকে নিয়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌছাব সেটা ভাবতে হবে, সে প্রক্রিয়াটা ঠিক করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ ২০ বছরে আমূল পরিবর্তন করেছে, আমরা ৫০ বছর পার করেছি কিন্তু অগ্রগতি ততখানি হয়নি, আমাদেরকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে, আমরাও পারব এই মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে উল্লেখ্য ডেরিভেটিভস মার্কেট, কমোডিটি মার্কেট, বুরুকেটিকস পদ্ধতি, ট্যাক্স পদ্ধতি, পলিসি তৈরি করা ইত্যাদি সব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আলাদা করে দেখলে সব প্রবলেমগুলো একরকম কিন্তু যখন একসাথে দেখা হয় তখন অনেককগুলো বিষয়ে বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হবে। তবে উলেখ্য যে, ইতিমধ্যে কমোডিটি মার্কেট নিয়ে যে কাজ সিএসই সম্পন্ন করেছে সেটা প্রশংসার দাবিদার, বিশেষ করে রিয়েল টাইম রিস্ক মেনেজমেন্ট নিয়ে যে কাজ হয়েছে সেটাও রিমারকেবল এবং আমি অবগত যে, বিএসইসিও সন্তুষ্ট। আমরা আপনাদের মতামতগুলো জানলাম এবং মূলত বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্যই এই আয়োজন। আশা করি, আপনাদের মতামত এবং চমৎকার প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে দ্রুত একটা সঠিক পথ বের করতে পারবো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ১১ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বৃহস্পতি (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ২৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২১ টাকা ৩৮ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের আয় বেড়েছে ৪৪ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২২ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৮৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ২ টাকা ৫৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল মাইনাস ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪৯ টাকা ৪৮ পয়সা।
কাফি