রাজধানী
বায়ুদূষণে আজও শীর্ষে ঢাকা

শীত আসলেই রাজধানীতে বেড়ে যায় বায়ুদূষণ। বাইরে বের হলেই নিঃশ্বাসের সঙ্গে চরম অনিরাপদ বাতাস গ্রহণ করে যেতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে প্রতিনয়তই ভিড় বাড়ছে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে, যার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী এই দূষিত বাতাস।
ঘনবসতি এবং যানবাহন ও শিল্পকারখানার কালো ধোঁয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে প্রতিদিনই প্রথমদিকে জায়গা করে নিচ্ছে ঢাকা, যার ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। সবশেষ আপডেট অনুযায়ী, এখানকার দূষণ স্কোর রেকর্ড হয়েছে ২৪৩। অর্থাৎ, খুবই অস্বাস্থ্যকর আজ দেশের রাজধানীর বাতাস।
এর আগে, গতকাল রোববারও (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে ছিল ঢাকার নাম। এদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকার বায়ুমান ছিল ৩৯৫; যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ জনস্বাস্থ্যের জন্য।
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার পরেই অবস্থান করছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন। ২২৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শহরটি। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, এ শহরটির বাতাসও অস্বাস্থ্যকর। তালিকার শীর্ষ পাঁচে আছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানের শহর লাহোর। ১৮২ স্কোর নিয়ে বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে শহরটি।
এছাড়া, ১৭৭ ও ১৭৪ আইকিউএয়ার স্কোর নিয়ে তালিকার যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম অবস্থানে আছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
বিজ্ঞাপন
মূলত, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম-১০ ও পিএম-২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
কাফি

রাজধানী
জুলাই ঐক্যের ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ পদযাত্রা আগামীকাল

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে জুলাই মাস। এ জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা গণ-অভ্যুত্থানের স্প্রিট ধারণ করা ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম জুলাই ঐক্য। ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম, শেখ হাসিনার বিচার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে পহেলা জুলাই ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ (প্রেসক্লাব থেকে শাহবাগে পদযাত্রা) কর্মসূচি পালন করবে তারা।
সোমবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত লড়াই, সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী ও আপামর ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে চব্বিশের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্ন বুকে নিয়ে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল আবু সাঈদ, মুগ্ধ ওয়াসিমরা।
‘গত ১১ মাসে সে বাংলাদেশ তৈরি হয়নি। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কিছু কিছু জায়গায় এখনও রয়েছে বৈষম্য। লক্ষণীয় সংস্কার হয়নি সচিবালয়ে। গণমাধ্যম এখনও ফ্যাসিবাদের দখলে। কালচারাল ফ্যাসিস্টরা এখনো গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘শহীদ পরিবারগুলো এখনো বিচারের অপেক্ষায়। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে এখনো বিভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করছে দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতারা।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ১১ মাসেও রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। যার কারণে এখনো জুলাই সনদের নেই কোনো অগ্রগতি। দুই দফা সময় নির্ধারণ করেও ঘোষণাপত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামীকাল (মঙ্গলবার) ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ কর্মসূচি শেষে ৩৬ জুলাইয়ের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করবে গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম জুলাই ঐক্য।
এ ছাড়াও ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম, শেখ হাসিনার বিচার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জুলাই ঐক্য।
রাজধানী
‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাদের সাথে অনেক অন্যায় করছেন’

রাজধানী
রামপুরা সাব স্টেশনে ত্রুটি, ঢাকার বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন

রামপুরায় অবস্থিত পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিসিবি) একটি সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগের ফলে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে রাজধানীর একাংশ। রাত ১০টার দিকে এ গোলযোগের ঘটনা ঘটে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক করতে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিজিসিবি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মুখপাত্র শামীম হাসান।
তিনি বলেন, রামপুরায় অবস্থিত পিজিসিবির একটি সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ হয়েছে। এর ফলে মূলত ডিপিডিসির আওতাধীন যেসব এলাকা রয়েছে, সেসব এফেক্টেড হয়েছে। ডেসকো খুব একটা এফেক্টেড হয়নি। মূলত রামপুরা, হাতিরঝিল, ফার্মগেট, বনানী, গুলশান, মগবাজার এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। পিজিসিবির কর্মীরা সর্বোচ্চভাবে কাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা লাগতে পারে। প্রয়োজনে বাইপাস করে হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে।
সরেজমিনে রাজধানীর গুলশান-১ ও ২, মহানগর প্রজেক্ট, মধুবাগ, মগবাজার, বাংলামোটর, কারওয়ান, হাতিরপুল এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন দেখা গেছে। এর বাইরে আরও কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ নেই।
এদিকে, গ্রিডে ত্রুটির বিষয়ে এক বার্তায় পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আকষ্মিক কারিগরি ত্রুটির কারণে ঢাকার একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহে অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্যুতি হয়েছে। পাওয়ার গ্রিডের প্রকৌশলীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাফি
রাজধানী
নতুন বাজার সড়ক অবরোধ ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

রাজধানীর ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের অবৈধ বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া ও স্বেচ্ছাচারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সড়কে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
শনিবার (২১ জুন) সকাল ৮টার দিকে ইউ আই ইউ ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা নতুন বাজার সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডাগামী সড়কটি যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তবে অপর পাশে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান ঘটনাস্থল থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের দাবি, বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া ও স্বেচ্ছাচারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তারা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
কাফি
রাজধানী
বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় আজ সপ্তম ঢাকা

বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ৭ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ১২২। যা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত।
শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আইকিউএয়ারের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজ শীর্ষে রয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিংশা শহর। সেখানের বায়ুর স্কোর ১৪৭। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বাটাম (১৩৯)। তৃতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি (১৩৯)। তালিকায় চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম অবস্থানে আছে যথাক্রমে- উগান্ডার কাম্পালা (১৩৬), পাকিস্তানের লাহোর (স্কোর ১৩৪), আরব আমিরাতের দুবাই (১৩২), মিশরের কায়রো (১১৭)।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।
আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
কাফি