রাজনীতি
জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। স্থানীয় বা জাতীয় যে নামেই হোক, নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে, মানুষের অর্থ সম্পদ লুটতরাজ করে বাইরে নিয়ে গেছে। জবাবদিহিতা ছিল না বলেই এ কাজগুলো করা সম্ভব হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কদমতলীতে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
নির্বাচন দেরিতে হলে পতিত স্বৈরাচার সরকার ও তার দোসররা ষড়যন্ত্রের আরও সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমরা প্রায়শই বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে থাকি, আহা ওই দেশটি কী সুন্দর, ওই দেশের সিস্টেম কী ভালো। ওসব দেশে জবাবদিহি আছে। জবাবদিহি আছে বলেই সেসব দেশের সিস্টেমগুলো কাজ করে। জবাবদিহি কী? জবাবদিহি হচ্ছে নির্বাচন। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্বাচন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বুঝি, সমাজে বা রাষ্ট্রে যদি জবাবদিহি না থাকে, তাহলে কোনো কিছু টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। জবাবদিহি থাকতেই হবে। আমাদের সংসারে কিন্তু জবাবদিহি থাকে যে, এই কাজটি করা যাবে, এই কাজ করলে মানুষ সমালোচনা করবে, সন্ধ্যার ভেতরে বাসায় ফিরে আসতে হবে। অর্থাৎ পরিবারেও আমাদের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ যদি জনগণের ভোটে ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হতো, জনগণের ভোটে যদি মেয়র নির্বাচিত হতো, তাহলে তারা আপনাদের দেখভাল করতে বাধ্য থাকতেন। কারণ তিনি জানতেন আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এখন যদি আমি মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ না করি, আমি যদি মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করি, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে আমি হেরে যাব। কারণ মানুষ আমাকে ভোট দেবে না।
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার আদায়ে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বহু কর্মী আত্মাহুতি দিয়েছে, শহীদ হয়েছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। আমাদের দল ছাড়াও দেশের লাখ লাখ মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে।
দ্রুত সংস্কার কাজ করে শেষ করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও সুযোগ পাবে দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসার। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতি অনুরোধ, সংস্কার সংস্কার করে এই আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না, নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে সংকট আরও বাড়বে, স্বৈরাচার আরও ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে। সংস্কার বাস্তবায়ন করা হলে দ্রুত জনগণকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব। বিএনপি যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে এবং সংস্কার কমিশন যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচন ছাড়া কোনো রাস্তা নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
শেখ হাসিনার বিচারের মঞ্চ হবে ফাঁসির মঞ্চ: সারজিস

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনার অবশ্যই বিচার হবে। তাকে এনে এই বাংলাদেশে বিচার করে হবে। তার ওই বিচারের মঞ্চ হবে ফাঁসির মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্বজনদের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, যতদ্রুত শহীদ পরিবারের সহায়তার ব্যবস্থা করা যেত; ততটা হচ্ছে না। তাদের পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় নেমে এসেছেন; এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
সারজিস আরও বলেন, এই সরকার যদি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করতে না পারে, তাহলে এটি হবে এই সরকারের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা। আমরা সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় করে নেব।
এ সময় তিনি জানান, সরকারে যারা ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন তাদের সঙ্গে শহীদ পরিবারের বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা আজকেই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলবেন এবং আগামীকাল শুক্রবার কথা বলবেন এ অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতারা। পরে আগামী রবিবার শহীদ পরিবারের সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরা হবে।
সরকার শহীদ পরিবারের প্রতিটি যৌক্তিক দাবি পূরণ করতেই হবে বলেও জানান সারজিস। পরে সারজিসের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ.লীগকে ক্ষমা করার কোনো সুযোগ নেই: এ্যানি

আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, তারা যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, তাতে হাসিনা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। এখন আওয়ামী লীগও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, হাসিনা খুন করেছে, খুনের হুকুম দিয়েছে, অত্যাচার-নির্যাতন ও লুটপাট করেছে। তাহলে হাসিনার বিচার হবে না, ক্ষমা করে দেব? ওই সুযোগ বাংলাদেশের মাটিতে বিএনপি দেবে না।
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্টের মাধ্যমে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি পালায় না কিন্তু তিনি পালিয়েছেন। তারা জনগণের টাকা লুটপাট করে পালিয়েছে। জনগণকে জিম্মি করে প্রশাসনের মাধ্যমে এমপি, মন্ত্রী ও গডফাদার সৃষ্টি করেছে।
এ্যানি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন লিফলেট বিতরণ করছে, হরতাল দিচ্ছে। তাদের ভেতরে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। বরং তারা হুংকার দিচ্ছে ওপার থেকে এপারে লাফ দিয়ে চলে আসবে।
লক্ষ্মীপুর পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমি পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম লিটনের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অ. দা.) মোহাম্মদ দিদার হোসেন, লক্ষ্মীপুর বিআরডিবির চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সংস্কারের কথা বলে দেরি করা ষড়যন্ত্র কি না দেখতে হবে: তারেক রহমান

কিছু মানুষ সংস্কারের কথা বলে সব ধরনের প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে। সংস্কারের কথা বলে দেরি করাটা ষড়যন্ত্র কি না তা দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেনীর সোনাগাজীতে ছাবের মোহাম্মদ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, যে হারে দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, এসবের লাগাম টানতে হবে। এসব বন্ধ করতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যত দ্রুত এটি হবে জনগণ মুক্তি পাবে।
শেখ হাসিনাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এই প্রশ্নে সবাইকে এক হতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার করতেই হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, হাজারো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। অবশ্যই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। যদি বিচার না হয়, তাহলে খুন-গুমকারীরা আরও উৎসাহ পাবে।
তিনি বলেন, শহীদদের আত্মার মর্যাদা দিতে হলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ৩১ দফা দিয়েছে বিএনপি। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপি আড়াই বছর আগেই সংস্কারের কথা বলেছে। কারণ বিএনপি বিশ্বাস করতো স্বৈরাচারের বিদায় হবেই।
তারেক রহমান বলেন, যতদিন পর্যন্ত জনগণের সরকার উপহার দিতে না পারবো- ততদিন আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। কিছু মানুষ আমাদের ভেতরে ডুকে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে। এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, সেদিন ডিবি হারুনের হোটেলে ভাত খেয়েছেন। এখন তারা উপদেষ্টা হয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেন। ১৭ বছর আমাদের শ্রম ঘামের আন্দোলনের পর ৫ আগস্টের এই সফলতা।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জামায়াতকে উদ্দেশ করে বলেন, ইসলামের নামে রাজনীতি করেন। গণতন্ত্র হলো বিষ মাখানো দুধের মাখনের মতো। নির্বাচনে যাবেন না বলেও বিগত নির্বাচনে শেখ হাসিনার আঁচল ধরে গেছেন। প্রত্যেক সময় জনগণের সঙ্গে মুনাফেকি করছেন। অথচ আপনারা ইশারা-ইঙ্গিতে বিএনপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছেন। জনগণ জানে কারা নিজেদের অঙ্গিকার রক্ষা করে।
যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষ আন্দোলনে পিছপা হয় না। ১৭ বছর এত অত্যাচারের পরও হাসিনার কাছে মাথানত করিনি। হাসিনার বিচার দৃশ্যমান চাই। বিচার ছাড়া ঘরে ফিরে যাবো না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ফ্যাসিস্টরা ইতিহাস পড়ে কিন্তু শিক্ষা নেয় না: জামায়াত আমির

ফ্যাসিস্টরা ইতিহাস পড়ে কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নেয় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের শহীদ স্মারক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশ আমাদের সকলের কিন্তু দিনশেষে দেশের পাহারাদারিত্ব করা কিন্তু সকল নাগরিকের কর্ম নয়। এই কাজ কিছু লোক করে। আবার কিছুলোক নাগরিকদের শান্তি কেড়ে নেওয়ার মতো অপকর্মে লিপ্ত হয়। আর অপকর্মটি যারা করে, তারা এটিকে তাদের পেশা মনে করেই করে। একটা সময় তা নিজের অধিকার বলেই মনে করে, আর জনগণকে নিজের প্রজা মনে করে এবং নিজেরা রাজা হয়ে বসে। কিন্তু গাছের ডালে যখন ঝাঁকুনি দেওয়া হয়, ডালের রাজারা তখন উড়ে গিয়ে পড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, অতীতে যারা ফ্যাসিস্ট শাসক ছিল, তাদের নাম ধর্মগ্রন্থেও উঠে এসেছে। একই পরিণতি সবাইকে ভোগ করতে হয়। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিস্টরা ইতিহাস পড়ে কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নেয় না।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের ইতিহাস বিস্তৃতির ইতিহাস, বিকৃতির ইতিহাস। দেশের ইতিহাস অনেকে যার যার মতো রচনা করেছেন।
তিনি বলেন, কিছু ইতিহাস মানুষের জন্য হয় আনন্দের, কিছু হয় বিষাদের, আর কিছু হয় গৌরবের। বিশেষত যারা দেশের জন্য জীবন দেন, অতীতেও দিয়েছেন, ’৪৭ সালে, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরে এবং সর্বশেষ চব্বিশের জুলাইয়ে; তাদের ইতিহাসটা গৌরবের।
জামায়াত আমির বলেন, চব্বিশের আন্দোলনে আমরাও শহীদ ছিলাম। আন্দোলনের মাধ্যমে পুরো জাতি যেমন মুক্তি পেয়েছে, সবচেয়ে নির্যাতিত রাজনৈতিক দলটিও একইভাবে মুক্তি পেয়েছে। সুতরাং এই প্রজন্মের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা প্রয়োজন। আমরা শহীদ পরিবারগুলোর কাছে গিয়েছি, তাদের প্রতি সম্মান দিতে ও তাদের কাছ থেকে দোয়া নিতে। কারণ তারা সৌভাগ্যবান, তাদের পরিবার দেশের জন্য জীবন দিয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আজ যে গণমাধ্যমগুলো এখানে এসেছে তারাও কিন্তু ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে মুক্ত ছিলেন না। সেসময় তাদেরকেও জীবন দিতে হয়েছে, রিমান্ডের নামে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। বিদেশে বসে যারা বাক এবং কলমযুদ্ধ চালিয়েছিলেন, দেশের মাটিতে তাদের পরিবারকে হেনস্তা করা হয়েছে, জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে। এমনকি নারীদেরকেও ছাড় দেওয়া হয়নি। যারা নিজেদের জীবনটা বিলিয়ে দিয়ে আমাদের আজকের এই পরিবেশটি উপহার দিল, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
দেশে আ.লীগ রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। সেই আওয়াজ আমরা উঠাচ্ছি। আওয়ামী লীগের এই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিচার দাবি জানাচ্ছি।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্য ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে একদিকে চাবেন তারা রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হউক আবার আপনারা তাদের বিচার করবেন না, পুলিশ দিয়ে তাদের কর্মসূচি বাধা দিবেন, এতো স্ববিরোধীতা ঠিক নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বৈপ্লবিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাহার করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের বিতারণ করেছে।
আওয়ামী লীগ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের জন্য মাঠে নামতে দিবেন না। আমরা এটা সমর্থন করি, কিন্তু এইভাবে কতদিন রাজপথে পুলিশ দিয়ে ঠেকাবেন? আপনারা বলবেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কে চাই না, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না কিন্তু কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? আইনি কোন পদক্ষেপ কি এই সরকার নিচ্ছে?
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বলেছিলাম, সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের ব্যবস্থা করা হউক। সে অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করার দাবি জানিয়েছিলাম।
বিএনপির এই নেতা বলেন, কেউ কেউ বলতে শোনা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাদের বিচার হচ্ছে সেই বিচারে হয়তো অবজারভেশন আসবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি বিষয়ে, সেটা অত্যন্ত দুর্বল অবজারভেশন হবে। তখনো আপনাদেরকে প্রশাসনিক আদেশ দিতে হবে, আইন প্রণয়ন করতে হবে সেই অবজারভেশনের নিরিখে। এখন যদি আপনারা সোচ্চার হন বিচারের জন্য, বাংলাদেশের মানুষ চায় ফ্যাসিবাদী রাজনীতির একদম নির্মূল হয়ে যাক সেই ব্যবস্থা আপনারা নিতে পারেন।
শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে বিশৃঙ্খলা করার জন্য অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দোসররা উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত আছেন। আমরা পরামর্শ দিয়েছিলাম বাদ দেওয়ার জন্য, কিন্তু আপনারা শোনেন নাই। শেখ হাসিনার দোসররা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বহাল রয়েছে। এদের বহাল রেখে আপনি বেশি দূর এগোতে পারবেন না। শেখ হাসিনার নিয়োজিত মন্ত্রিপরিষদ সচিব ২ মাস ৫ দিন চাকরি করে অবসরে গেছেন। কিন্তু তিনি আপনার হয়ে কাজ করছেন নাকি শেখ হাসিনার পারপাস সার্ভ করেছেন। এভাবে সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে, আপনি কীভাবে সফল হবেন?
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান সহআঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদের সদস্যবৃন্দ।