কর্পোরেট সংবাদ
শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসবে এবারও সহযোগিতায় বিকাশ

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামী ৭-৮ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালনী নদীর তীরে উজানধল গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব ২০২৫’। শাহ আবদুল করিম পরিষদ আয়োজিত উৎসবে এবারও সহযোগিতায় থাকছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে শাহ আবদুল করিম পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত জানান সংগঠনটির সভাপতি ও বাউল সম্রাট পুত্র শাহ নুর জালাল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশের অতিথিরা বাউল সম্রাটের জীবন নিয়ে আলোচনা ও দেশের বিখ্যাত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন। এসবের মধ্য দিয়ে কালোত্তীর্ণ লোক গানের স্রষ্টা বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমকে গানে গানে ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবেন তার ভক্ত-অনুসারীরা।
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া কালনী নদীর পাড়ে থেকেই ভাটির বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম কেবল গানকে আঁকড়ে ধরেই কাটিয়েছেন। মনের গভীর থেকে উঠে আসা মাটির সুরে সাদাসিধে কথা আর উপমা বসিয়ে এখানে বসেই তিনি তৈরি করেছেন অসংখ্য কালজয়ী বাউলগান।
তাঁর সৃষ্টিজুড়ে আছে মানুষের, সাম্যের ও প্রেমের জয়গান। মরমী এই শিল্পীকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতে, বাউলের বাড়িতে এবং বাড়ির পাশের উজানধল মাঠে গানের জলসা, স্মৃতি চারণ আর লোকচর্চায় তাঁকে প্রতিবছরের মত এবারও স্মরণ করবেন ভক্তরা। ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘আগের বাহাদুরি গেল কই’-এরকম অসংখ্য সৃষ্টি দেশে বিদেশে বাংলা ভাষাভাষীদের মুখে মুখে বেঁচে আছে।
এলাকার মানুষসহ সারা দেশ থেকে আসা ভক্ত-সাধকদের পাশপাশি সঙ্গীতপ্রেমী, ভ্রমণপিয়াসিদের পদচারণায় মুখর এই আয়োজন সার্থক করতে এবারও যুক্ত রয়েছে বিকাশ। বাংলা লোকগানের এই বাউল সম্রাটের স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে আয়োজিত হচ্ছে এই উৎসব।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
জেসিআই বাংলাদেশের সিওয়াইই ওয়েবসাইটের উদ্বোধন

“জেসিআই বাংলাদেশ সিওয়াইই ২০২৫ এর অফিসিয়াল কিকঅফ ও ওয়েবসাইট উন্মোচন” অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ। এতে চলতি বছরের কার্যক্রমের সূচনা এবং ক্রিয়েটিভ ইয়াং এন্টারপ্রেনার (সিওয়াইই) বাংলাদেশ ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে তাদের সদর দপ্তরে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট কাজী ফাহাদ। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভাইজর টু ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট তাহসিন আজিম সেজান (ইভেন্ট উপদেষ্টা), নির্বাহী সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল (ইভেন্ট পরিচালক) এবং ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক চেয়ারপার্সন তুষার মালেক (ইভেন্ট আহ্বায়ক)।
সিওয়াইই (ক্রিয়েটিভ ইয়াং এন্টারপ্রেনার) হলো- জেসিআইয়ের একটি বার্ষিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, যা ১০০টিরও বেশি দেশে উদ্ভাবনী ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রদান করে। জেসিআই বাংলাদেশের আয়োজিত সিওয়াইই বাংলাদেশ ২০২৫ এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জাতীয় সংস্করণ, যার লক্ষ্য ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী উদ্ভাবনী ও প্রভাবশালী উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে তাদের উদযাপন ও ক্ষমতায়ন করা।
জাতীয় সভাপতি কাজী ফাহাদ তার বক্তব্যে ২০২৫ সালের জন্য সংগঠনের মূলমন্ত্র উই ক্যান মেইক ইট (“উই ক্যান মেইক ইট”) তুলে ধরেন এবং তরুণ নেতাদের ক্ষমতায়ন ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে জেসিআই বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল সিওয়াইই বাংলাদেশ ওয়েবসাইটের উন্মোচন। এই প্ল্যাটফর্মটি তরুণ উদ্যোক্তাদের তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রদর্শন এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ প্রদান করবে।
ইভেন্ট উপদেষ্টা তাহসিন আজিম সেজান বলেন, “সিওয়াইই বাংলাদেশের সূচনা আমাদের তরুণদের উদ্যোক্তা মনোভাব বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা প্রতিভা স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।”
নির্বাহী সহ-সভাপতি ও ইভেন্ট পরিচালক মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল আসন্ন সিওয়াইই কার্যক্রমের রোডম্যাপ তুলে ধরেন, যা জুলাইয়ের শেষ দিকে একটি ন্যাশনাল সামিট বা জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ হবে। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি এমন পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে তরুণ উদ্যোক্তারা সাফল্যের সাথে উদ্ভাবন করতে এবং অর্থনীতিতে অর্থবহ অবদান রাখতে পারে।”
ইভেন্ট আহ্বায়ক তুষার মালেক সকল অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সিওয়াইই প্রোগ্রাম সফল করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “এই ইভেন্টটি একটি নতুন যাত্রার সূচনা। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের উদ্যোক্তা পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে চাই।”
সিওয়াইই প্রতিযোগিতার বুটক্যাম্প রাউন্ড আগামী ১৭মে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ৩০ জন অংশগ্রহণকারীকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হবে। এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে ও সিওয়াইই সামিট এই বছরের জুলাই মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত অংশগ্রহণকারীরা মঙ্গোলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য জেসিআই এশিয়া প্যাসিফিক কনফারেন্স এবং তিউনিসিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য জেসিআই ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। শীর্ষ ৩ বিজয়ী মোট ৫ লাখ টাকা অনুদান এবং ১ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ তহবিলের সুযোগ পাবেন, যা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।
সিওয়াইই বাংলাদেশ প্রোগ্রাম সম্পর্কে আরও তথ্য এবং অংশগ্রহণের সুযোগ জানতে ভিজিট করুন: www.cye.jcibd.com এই ওয়েব ঠিকানায়।
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ একটি জাতীয় সংগঠন, যা ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশ, সামাজিক দায়িত্ব এবং উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জেসিআই বাংলাদেশ জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
হজ প্রিপেইড কার্ড চালু করলো ইসলামী ব্যাংক

হজযাত্রীদের নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি ও ঝামেলা এড়াতে হজ প্রিপেইড কার্ড চালু করলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। সোমবার (২৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ কার্ডের উদ্বোধন করেন।
এসময় ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মোশাররফ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংকের হজ প্রিপেইড কার্ড ক্যাশের পরিপূরক হিসেবে বহন করা যাবে। এটি গ্রহণ করতে আলাদা ব্যাংক হিসাব খোলার প্রয়োজন নেই এবং দ্রততম সময়ে ফ্রি এন্ডোর্সমেন্ট করা যাবে। কার্ড ইস্যু ও বন্ধে কোন চার্জ নেই এবং তাৎক্ষণিক ব্যালেন্স রিলোড ও অব্যবহৃত ব্যালেন্স রিফান্ড সুবিধা রয়েছে। এ কার্ডের মাধ্যমে সৌদি আরবে মাস্টারকার্ড প্রচলিত পস মেশিনের মাধ্যমে কেনাকাটা, মাস্টারকার্ড প্রচলিত যেকোন এটিএম বুথ হতে নগদ মুদ্রা উত্তোলন ও হাজীদের থাকা খাওয়াসহ যাবতীয় বিল পরিশোধ করা যাবে।
ব্যাংকের আশকোনাস্থ হজক্যাম্পসহ যেকোন শাখা ও উপশাখা থেকে এই কার্ড গ্রহণ করা যাবে। এ কার্ডে হজের জন্য সর্বোচ্চ ১২০০ ডলার বা প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার সমপরিমাণ রিয়াল লোড করা যাবে। এ কার্ড গ্রহণ করতে হজ ভিসার কপি, এনআইডি ও পাসপোর্টের কপি, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও দেশী সচল মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন

সিটি ব্যাংক পিএলসি’র শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) কক্সবাজারের একটি হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘হ্যাপি এমপ্লয়ীজ, হ্যাপী কাস্টমারস, হ্যাপী শেয়ারহোল্ডারস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকের কৌশল নির্ধারণ, শাখাসমূহের পারফরমেন্স বিশ্লেষণ, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা বিস্তার, গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধির কৌশল ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের রূপরেখা তৈরি। এছাড়া রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিংয়ের ডিপোজিট, লোন ও কার্ড প্রোডাক্টসমূহের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ এবং ব্যবস্থাপক কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের ঈর্ষণীয় ফলাফলের জন্য (২,৩৫১ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা) সকল গ্রাহক, রেগুলেটর, এবং
কর্মীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। তিনি তার বক্তব্যে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং শাখা ব্যবস্থাপকদের উদ্দেশে বলেন, আমরা এমন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যেখানে ডিজিটাল রূপান্তর এবং গ্রাহক সেবার উৎকর্ষতা অপরিহার্য। আমাদের
সকল শাখা ব্যবস্থাপকদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, এই বিশাল ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগসমূহের একত্রে কাজ করতে পারাটার মধ্যেই লুকিয়ে
আছে ভবিষ্যৎ সফলতার চাবি। এই ব্যাংকের মূল ফোকাস হবে ক্ষুদ্র ও অতি-ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানো।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, পরিচালক রেবেকা ব্রোসন্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মতিউল ইসলাম নওশাদ, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকদ্বয় মো. মাহবুবুর রহমান ও মাহিয়া জুনেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক রুবেল আজিজ ও হোসেন মেহমুদ।
এ সম্মেলনে সারা দেশের সকল শাখা, উপশাখা ও সিটিজেম সেন্টারের ব্যবস্থাপকগণ, প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের সেরা শাখা ও সেরা ব্যবস্থাপক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মলেন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের ত্রৈমাসিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) নোয়াখালী জোনাল অফিস কনফারেন্স হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান মো. আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মুহাম্মদ সোলায়মান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে জোনের শাখা ও উপশাখাসমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পঞ্চমবারের মত ‘বিকাশ পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেল হুয়াওয়ে

বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনে বিকাশকে সহযোগিতার জন্য পঞ্চমবারের মতো ‘পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে হুয়াওয়ে।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্যারিয়ার নেটওয়ার্ক বিজনেস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো শাওফেং (টিম) এবং অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর ডু কংকং-এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিকাশ-এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর এবং প্রতিষ্ঠানটির ইভিপি অ্যান্ড হেড অব সাপ্লাই চেইন, প্রোকিউরমেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলম।
২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে ও বিকাশ কৌশলগত প্রযুক্তি সহযোগিতার মাধ্যমে একসাথে কাজ করে আসছে। বর্তমানে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পাশাপাশি কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে হুয়াওয়ে। এর আওতায় হুয়াওয়ে মোবাইল মানি সল্যুশনসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা সরবরাহ করেছে। বিগত কয়েক বছর থেকে নিজেদের অগ্রযাত্রায় সহযোগীদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে বিকাশ এই পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে আসছে। উক্ত পুরস্কারটি গতবছরে হুয়াওয়ের যে পেশাদারিত্বের সাথে বিকাশ-এর সাথে একসাথে কাজ করেছে তারই একটি স্বীকৃতি।
বিকাশ-এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, যাত্রার শুরু থেকেই বিকাশের মূল লক্ষ্য ছিল আর্থিক ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য অর্জনে গ্রাহকদের সেবা দিতে আমাদেরকে সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আইসিটি অবকাঠামো ও প্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মান নিশ্চিত করতে পেরেছি। বছরের পর বছর ধরে সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ের প্রচেষ্টার জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। হুয়াওয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে আমাদেরকে সক্ষম করে তুলেছে।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্যারিয়ার নেটওয়ার্ক বিজনেস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো শাওফেং (টিম) বলেন, বর্তমানের হুয়াওয়ের ফিনটেক সেবা এশিয়া ও আফ্রিকার ৬০টিরও বেশি বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিষ্ঠানটির ফিনটেক সেবা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের আইসিটি অবকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হুয়াওয়ে সব সময় প্রস্তুত। বিকাশের সঙ্গে আমাদের এই পথচলা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সম্মিলিতভাবে আমরা এমন এক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারি, যা শুধু ব্যবসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং সব স্তরের মানুষের উপকারে আসবে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করতে ও দেশের আরও বেশি মানুষকে ডিজিটাল অর্থনীতির আওতায় আনতে ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠান দুইটি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর ফলে বিকাশ ও হুয়াওয়ের সহযোগিতা আরও দৃঢ় হয়।
সম্প্রতি এমডব্লিউসি ২০২৫-এ হুয়াওয়ে ও বিকাশের ডিজিটাল ঋণ সেবা ‘পে লেটার’-এর জন্য যৌথভাবে ‘গ্লোমো বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে। এই সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যাংকিংয়ের আওতার বাইরে থাকা জনসাধারণ স্বল্পমেয়াদের ক্ষুদ্র ঋণ নিতে পারেন। সেবাটির মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার অপ্রতুলতা ও এর ফলে সৃষ্ট বেশি সুদে অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণের মতো সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।