কর্পোরেট সংবাদ
শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসবে এবারও সহযোগিতায় বিকাশ

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামী ৭-৮ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালনী নদীর তীরে উজানধল গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব ২০২৫’। শাহ আবদুল করিম পরিষদ আয়োজিত উৎসবে এবারও সহযোগিতায় থাকছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে শাহ আবদুল করিম পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত জানান সংগঠনটির সভাপতি ও বাউল সম্রাট পুত্র শাহ নুর জালাল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশের অতিথিরা বাউল সম্রাটের জীবন নিয়ে আলোচনা ও দেশের বিখ্যাত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন। এসবের মধ্য দিয়ে কালোত্তীর্ণ লোক গানের স্রষ্টা বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমকে গানে গানে ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবেন তার ভক্ত-অনুসারীরা।
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া কালনী নদীর পাড়ে থেকেই ভাটির বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম কেবল গানকে আঁকড়ে ধরেই কাটিয়েছেন। মনের গভীর থেকে উঠে আসা মাটির সুরে সাদাসিধে কথা আর উপমা বসিয়ে এখানে বসেই তিনি তৈরি করেছেন অসংখ্য কালজয়ী বাউলগান।
তাঁর সৃষ্টিজুড়ে আছে মানুষের, সাম্যের ও প্রেমের জয়গান। মরমী এই শিল্পীকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতে, বাউলের বাড়িতে এবং বাড়ির পাশের উজানধল মাঠে গানের জলসা, স্মৃতি চারণ আর লোকচর্চায় তাঁকে প্রতিবছরের মত এবারও স্মরণ করবেন ভক্তরা। ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘আগের বাহাদুরি গেল কই’-এরকম অসংখ্য সৃষ্টি দেশে বিদেশে বাংলা ভাষাভাষীদের মুখে মুখে বেঁচে আছে।
এলাকার মানুষসহ সারা দেশ থেকে আসা ভক্ত-সাধকদের পাশপাশি সঙ্গীতপ্রেমী, ভ্রমণপিয়াসিদের পদচারণায় মুখর এই আয়োজন সার্থক করতে এবারও যুক্ত রয়েছে বিকাশ। বাংলা লোকগানের এই বাউল সম্রাটের স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে আয়োজিত হচ্ছে এই উৎসব।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
পূজার কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক

বরাবরের মতো এবারও শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে কেনাকাটাকে আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও আনন্দময় করতে বিকাশ নিয়ে এসেছে অনলাইন ও অফলাইন কেনাকাটায় আকর্ষণীয় সব ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। সুপরিচিত ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন শপে পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও অ্যাকসেসরিজ, গ্রোসারি, প্রসাধনী পণ্য, মিষ্টান্ন, খাবার অর্ডারসহ নানা কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে গ্রাহকরা এই ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফারগুলো উপভোগ করতে পারছেন।
বিভিন্ন অফারের আওতায় গ্রাহকরা বিকাশ পেমেন্টে এই ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক সুবিধা পেতে পারেন। এই অফারগুলো উপভোগ করা যাবে ৪ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। পূজার কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে অফারগুলো একসাথে পাওয়া যাবে এই লিংকে: https://www.bkash.com/campaign/payment-puja-campaign-2025।
যেসব মার্চেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক পাওয়া যাচ্ছে –
লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড: ‘D1’ কোড যোগ করে নির্দিষ্ট লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডে পোশাক, জুতা, অ্যাক্সেসরিজ, পার্সোনাল কেয়ার, বিউটি পার্লার ও সেলুনে অফার চলাকালীন পাওয়া যাবে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। ন্যূনতম ১ হাজার টাকা পেমেন্টে প্রতিবার পাওয়া যাবে ১০০ টাকা ডিসকাউন্ট, যা এক দিনে সর্বোচ্চ ২ বার গ্রহণ করা যাবে।
সুপারস্টোরে উৎসবের বাজার: পূজা উপলক্ষ্যে স্পেশাল রান্নার প্রস্তুতি নিতে দরকারি কেনাকাটায় ‘D2’ কোড যোগ করে আগোরা, আলমাস সুপারশপ, ডেইলি শপিং, আমানা বিগ বাজার, মিনা বাজার, প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট সহ আরও বেশকিছু সুপারস্টোরে ন্যূনতম ১,৫০০ টাকা বিকাশ পেমেন্ট করে পাওয়া যাবে ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। দিনে ১ বার ৫০ টাকা করে অফার চলাকালীন সর্বোচ্চ ৪ বারে নেয়া যাবে এই ডিসকাউন্ট।
পাশাপাশি, স্বপ্ন সুপারস্টোর এর বিভিন্ন আউটলেটে ‘D3’ কুপন কোড যোগ করে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা বিকাশ পেমেন্টে দিনে ১ বার ৫০ টাকা করে অফার চলাকালীন ৩ বারে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ডিসকাউন্ট মিলবে।
ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার: উৎসবের আনন্দ বাড়াতে নির্দিষ্ট ফার্নিচার আর ইলেকট্রনিক্স আউটলেটে কেনাকাটায় থাকছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। ১০ হাজার থেকে ২৯,৯৯৯.৯৯ টাকার পেমেন্ট বিকাশ করলে ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক অথবা ৩০,০০০ বা তার বেশি টাকার পেমেন্ট বিকাশ করলে ৫০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে। অফার চলাকালীন ১ বার ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে।
রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া: উৎসব উদযাপনে পছন্দের রেস্টুরেন্টে ‘D4’ কুপন কোড যোগ করে দিনে ১ বার ন্যূনতম ৫০০ টাকা বা তার বেশি বিকাশ পেমেন্টে ১০% করে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং অফার চলাকালীন ২ বারে মোট ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।
সুইটস ও বেকারি: ‘D7’ কুপন যোগ করে পছন্দের সুইটস ও বেকারি শপে ন্যূনতম ৩০০ টাকা বিকাশ পেমেন্টে মিলবে ডিসকাউন্ট। ক্যাম্পেইন চলাকালীন দিনে ১ বার ৩০ টাকা এবং অফার চলাকালীন ৫ বারে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।
আউটফিট, ফুটওয়্যার ও অ্যাক্সেসরিজ: দেশব্যাপী বিভিন্ন ফ্যাশন, ফুটওয়ার, অ্যাক্সেসরিজ শপে ‘D5’ কোড যোগ করে ন্যূনতম ১,০০০ টাকা বিকাশ পেমেন্টে পাচ্ছেন ডিসকাউন্ট। দিনে ১ বার ১০০ টাকা পর্যন্ত এবং অফার চলাকালীন ২ বারে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট মিলবে।
অনলাইন শপিং: নির্দিষ্ট অনলাইন শপ থেকে পছন্দের কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে ৫% ও ১০% করে ২০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে। অফার চলাকালীন ২ বারে মিলবে এই ক্যাশব্যাক।
এদিকে, অনলাইন গ্রোসারি প্ল্যাটফর্ম চালডাল, ডেইলি শপিং, মীনা বাজার ও স্বপ্ন অনলাইন থেকে যেকোনো পণ্য অর্ডারে ন্যূনতম ১,০০০ টাকা বিকাশ পেমেন্টে পাচ্ছেন ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
কর্পোরেট সংবাদ
নারী ও তরুণীদের ক্ষমতায়নে সিটি ব্যাংক ও ইউএনএফপিএ’র চুক্তি

সিটি ব্যাংক এবং ইউএনএফপিএ যৌথভাবে কমলাফুল ফার্মেসি উদ্যোগ চালু করেছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নারীর ক্ষমতায়ন এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি সিটি ব্যাংক ও ইউএনএফপিএ’র প্রথম পারস্পরিক সহযোগিতামূলক উদ্যোগ এবং একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
আজ ঢাকায় আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন আনুষ্ঠানিকভাবে এ অংশীদারিত্বে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার মাহিয়া জুনেদ, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান; ইউএনএফপিএ’র স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান বিভাবেন্দ্র সিং রাঘুবংশী, কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট গুলালেক সোলতানোভা, প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট-আরবান হেলথ মো. আজমল হোসেন সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্যোগটি ইউএনএফপিএ পরিচালিত সফল পাইলট কমলাফুল ফার্মেসি প্রকল্পের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পরিচালিত সেই প্রকল্পে দেখা গেছে, নারী ফার্মাসিস্ট ও অ্যাসোসিয়েটরা নারীদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নত পরামর্শ প্রদান করতে সক্ষম এবং প্রয়োজনীয় সেবার প্রবেশাধিকার প্রসারিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের ধারাবাহিকতায়, সিটি ব্যাংক প্রকল্পটির স¤প্রসারণ করছে, যাতে করে দেশে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং উন্নত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে বৃহত্তর ও স্থায়ী সামাজিক প্রভাব নিশ্চিত হয়।
ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব প্রমাণ করে যে বেসরকারি খাত নারীর ক্ষমতায়ন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকারের প্রসারে কিভাবে রূপান্তরমূলক ভুমিকা রাখতে পারে। তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসেবে গড়ে তোলা মানে সুস্থ পরিবার, শক্তিশালী সমাজ এবং আরও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে বিনিয়োগ করা।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সামাজিক অন্তর্ভুক্তিও জরুরি। ইউএনএফপিএর সাথে এই উদ্যোগটি কেবল তরুণীদের কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ নয়, বরং মর্যাদা, স্বনির্ভরতা ও নেতৃত্ব অর্জনের পথ তৈরি করবে। তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসাবে গড়ে তলার মাধ্যমে আমরা শুধু তাদের জীবনই বদলে দিচ্ছি না, বরং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং বিশ্বস্ত পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের জীবনকেও ইতিবাচকভাবে বদলে দিচ্ছি। এটি আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই বাংলাদেশ গড়ার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
কর্পোরেট সংবাদ
বিএফআইইউ ও প্রাইম ব্যাংকের উদ্যোগে এএমএল-সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ

মৌলভীবাজারের ব্যাংকারদের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও প্রাইম ব্যাংক পিএলসি কর্তৃক আয়োজিত এএমএল-সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি লীড ব্যাংক হিসেবে ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন (এএমএল এবং সিএফটি) প্রতিরোধ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের মোট ৯০ জন ব্যাংকার অংশগ্রহণ করেন।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফআইইউর পরিচালক মো. মোস্তাকুর রহমান। কর্মশালার সেশনসমূহ পরিচালনা করেন বিএফআইইউর দক্ষ ও অভিজ্ঞ রিসোর্স পার্সনগণ, যাদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম পরিচালক মো. ইমানুর হাসান এবং উপ-পরিচালক মো. মুশফিকুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডিএমডি ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের ডিএমডি মো. ইকবাল হোসেন এবং প্রাইম ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান মো. হুমায়ুন কবির।
কর্মশালায় মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন- আইন ও বিধির নির্দেশাবলী, কেওয়াইসি, লেনদেন মনিটরিং, ক্রেডিট ও ট্রেড বেইজড মানিলিন্ডারিং প্রতিরোধে বিষয়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানটি ইন্টারেক্টিভ এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য, প্রশিক্ষণ সেশনের পরে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেরা পারফর্মারদের পুরষ্কার প্রদান এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
পরিশেষে, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি এবং বিএফআইইউ জাতীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকিং খাতের প্রস্তুতি আরও জোরদার করার জন্য এই ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
কর্পোরেট সংবাদ
পরিবেশবান্ধব স্মার্ট রান্নার প্রসারে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশন এম্পোরিয়ামের উদ্যোগ

দেশে পরিবেশবান্ধব রান্নার প্রসারে আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের রিটেইল চেইন ভিশন এম্পোরিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা জ্বালানি-সাশ্রয়ী হোম অ্যাপ্লায়েন্স কেনাকাটায় বিশেষ সুবিধা উপভোগ করবেন, যা গ্রাহকদের পরিবেশবান্ধব হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবে।
এই সহযোগিতার ফলে ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা দেশের বিভিন্ন জেলায় ভিশন এম্পোরিয়ামের নিজস্ব শোরুম থেকে ভিশন ইনডাকশন কুকার, ইনফ্রারেড কুকার এবং রাইস কুকার কেনাকাটায় ১৫ শতাংশ ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট উপভোগ করবেন। অফারটি চলবে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।
ইনডাকশন ও ইনফ্রারেড কুকার প্রচলিত রান্নাব্যবস্থার তুলনায় অধিক নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও কার্যকর হওয়ায় দেশে এগুলোর জনপ্রিয়তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব জ্বালানি-সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব আধুনিক অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারে গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে ব্র্যাক ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়েছে, যা গ্রিন ব্যাংকিংয়ের ব্যাপারে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
এব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম বলেন, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের পরিচ্ছন্ন ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী রান্নার দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে, যা আর্থিক দিক থেকেও অনেক সাশ্রয়ী। গ্রিনার হাউজহোল্ড ও টেকসই ভবিষ্যতের যাত্রায় এটি একটি সহজ, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।
৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম, হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং খাইরুদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, হেড অব অ্যালায়েন্সেস মো. আশরাফুল আলম এবং অ্যালায়েন্সের অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার নাহিয়ান খান।
ভিশন এম্পোরিয়ামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আরএফএল গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মুরশেদ মুনীম, আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং এজেডএম ওবায়াদুল্লাহ এবং আরএফএল রিটেইল চেইন্সের হেড অব মার্কেটিং শফিকুল ইসলাম।
জীবনধারার সুবিধার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নকে যুক্ত করার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার পথে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি গ্রাহকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি নিশ্চিত করবে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব।
কর্পোরেট সংবাদ
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুনরুদ্ধারে আইসিবি-সিটি ব্রোকারেজের ঋণ চুক্তি

পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুনরুদ্ধারে গঠিত “সহায়তা তহবিল” থেকে আবর্তনশীল ভিত্তিতে ঋণ প্রদানের অংশ হিসেবে সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডের অনুকূলে ২৫ কোটি টাকার ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। শর্তাবলী পরিপালনের ভিত্তিতে এই ঋণ প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইনভেষ্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বোর্ড রুমে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আইসিবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ ও সিটি ব্রোকারেজের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের এমডি ও সিইও এম. আফফান ইউছুফ। এসময় সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড পরিচালক এবং সিটি ব্যাংকের সিএফও অতিরিক্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিবির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূরুল হুদা, মহাব্যবস্থাপক মো. হাবীব উল্লাহ, উপ-মহাব্যবস্থাপক বাবুল চন্দ্র দেবনাথ ও তোরাব আহমদ খান চৌধুরী ।
সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিএফও আরাফাত শমশের আলী এবং ভিপি ও হেড অব করর্পোরেট মো. সাইফুল ইসলাম মাসুম।
কাফি