ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দাবির মুখে সরকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমরা দাবি দাওয়ার জন্য আসিনি। একটা সুশাসন ও সংস্কারের জন্য এসেছি। দাবির মুখে সরকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাত কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার কাজ চলছে তাতে তিতুমীর কলেজও থাকবে। তবে কাউকে যদি বিশেষ বিবেচনা করি সেটা হবে রাজশাহী কলেজ। কারণ রাজশাহী কলেজ অনেক পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী।
তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করা ভালো। তবে তাদের পরীক্ষা দিতে হবে। কর্মসূচি যদি দিতেই হয় শিক্ষা কার্যক্রম ও জনদুর্ভোগ করে এমন আন্দোলন করা ঠিক নয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সাত কলেজকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে তৈরির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছেন। দেশের মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অর্ধেকই গঠিত হয়েছে সবশেষ সাত বছরে, যা বিশ্বে এক অনন্য রেকর্ড। আন্দোলন করা ভালো, কিন্তু পরীক্ষাওতো দিতে হবে। যারা নিয়মিত ক্লাস করতে চায় এবং জনদুর্ভোগ যেন না হয় সেদিকে নজর রেখে কর্মসূচি দেওয়া উচিত।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সময় বেঁধে দিয়ে দাবি জানানো যৌক্তিক নয়। দাবির মুখে আমরা এমন কোনো অযৌক্তিক কিছু আর মেনে নেব না যার সুদূরপ্রসারী ফলাফল আছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বায়োমেড ইনোভেটস’র যাত্রা শুরু

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নতুন সংগঠন বায়োমেড ইনোভেটস এর নতুন কমিটি প্রদান করা হয়েছে। এ কমিটিতে বায়োমেড’র সভাপতি হিসেবে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. ইয়াকুব আলী দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তথ্যটি জানা যায়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে মো. মাহফুজুর রহমান শাকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনায়েম খান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ইসমাতুল ফেরদৌস লিভা, যুগ্ম সাংগঠনিক হিসেবে সম্পাদক মাশরুর আলম কাব্য, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ফয়সাল আহমেদ, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আফরা আঞ্জুম জেনিন, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে উনিত চকমা শুভ্র, প্রচার সম্পাদক হিসেবে মো. শিহনজার রহমান মাহিম, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক হিসেবে মো. শাকিব আল হাসান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে মো. তৌহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক হিসেবে শাহারিয়ার হাসান সাকিব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে সুরাইয়া সুলতানা আনিকা দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ছাড়াও নির্বাহী সদস্যরা হলেন মো. আসিফ সিদ্দিক জিম, সেলিম খান, লাবিব রহমান, মো. সায়েম হোসেন, সুমাইয়া আক্তার।
এবিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশনে বিএমই (বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বর্তমানে এখানে সাতটি সেশনের কার্যক্রম চলছে। এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ‘BME Innovates’ ক্লাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পূর্ণ হচ্ছে, যা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করবে।
এবিষয়ে সহ সভাপতির মো. মাহফুজুর রহমান শাকিল বলেন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫৯তম একাডেমিক মিটিং এর মাধ্যমে “বায়োমেড ইনোভেটস” ক্লাব টির যাত্রা শুরু, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আজকের এই আয়োজনটি আমাদের বিভাগের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বায়োমেড ইনোভেটস ক্লাবের উদ্দেশ্য হলো বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ধারণা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনাকে একত্রিত করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও নতুন চিন্তার বিকাশ ঘটানো। এই ক্লাবের মাধ্যমে ছাত্ররা তাদের পড়াশোনার সাথে বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য জ্ঞান অর্জন করতে পারবে, এবং ক্লাবটি তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রকল্প এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নব সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রম যদি ক্লাবের মাধ্যমে করা যায় তাহলে সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরো সহজভাবে এবং সবার উপস্হিতিতে ভালোভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করা যাবে।বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ রিসার্চের দিকে বেশ অগ্রাণী ভূমিকা পালন করতেছে।সেক্ষেত্রে ক্লাবের মাধ্যমে আমরা যদি সকল শিক্ষার্থীদের কে সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে রিসার্চ এর দিকে আরো বেশী এগিয়ে যেতে পারবো। এছাড়াও খেলাধূলা সহ অন্যান্য বিভিন্ন কার্যক্রম ক্লাব এর মাধ্যমে করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ৫৯তম একাডেমিক সভায় ১৯ সদস্যের কমিটি অনুমোদনের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিএমই ফেস্ট, সেমিনার, প্রোগ্রামিং ওয়ার্কশপ, গবেষণা সেমিনার এবং স্পোর্টস উইক আয়োজন। এই সব উদ্যোগ বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অগ্রগতি ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

‘সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার এই আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ণাঢ্য এক র্যালির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে র্যালিটি সমবেত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি এ বি এম জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী সহ ইবি ল্যাবরোটারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক মোছা. শাহনাজ বেগম বলেন, সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার এই আমাদের অঙ্গীকার। একটা লাইব্রেরীর প্রাণ হলো তার পাঠক। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো আপনারা বেশি বেশি গ্রন্থাগার এসে এটিকে প্রাণবন্ত গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তুলবেন। সীমিত সম্পদের ব্যবহার নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। লাইব্রেরীতে সবাই আসুন সেবা নিন, আমাদের ভুল ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে বা পরামর্শ দিন।
কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,পাঠককে লাইব্রেরীতে যেতে হয়। বর্তমান যুগে ছাত্ররা মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন লাইব্রেরী সার্চ করে বই পড়ে। আমরা এদিক থেকে একটু পিছিয়ে আছি। আশা করি আগামী দিনগুলোতে আমরা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইব্রেরীকে পরিচালনা করতে পারবো। প্রশাসনের এদিকে নজর আছে এবং লাইব্রেরীকে সে আদলেই গড়ে তুলবো।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, আমাদের লাইব্রেরীর বিভিন্ন সিস্টেম তেমন উন্নত না, সেগুলো উর্ধ্বতন করার জন্য শক্তিশালী কমিটি গঠন করে প্রস্তাব সুপারিশ করা দরকার। উপাচার্য, ট্রেজারার,আমি মিনিস্ট্রিতে গিয়েছি লাইব্রেরীকে বর্ধিত করার জন্য। দশতালা বর্ধিত ভবন নির্মাণ করা হবে। আমি মনে করি পশ্চিম-উত্তর বঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী হবে বাংলাদেশের সেরা লাইব্রেরী।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষক হামলার প্রতিবাদে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান স্যারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। পরবর্তীতে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর নিকট স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণদিত ভাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামানের হামলা করা হয়। আজকে একজন শিক্ষকের গায়ে হাততোলা হয়েছে। প্রক্টর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বচ্চ আইন কর্মকর্তা। তার গায়ে হাততোলা তোলা মানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে হাততোলা। যেখানে আজকে প্রক্টর স্যারের উপরে হালমা হয়েছে কাল ভিসি স্যারের উপর হামলা করবে না এটার ব্যাখ্যা কী? এটা যদি বিচার না করা হয় ভবিষ্যতে তার আরো সাহস পাবে, আরো বড়কিছু করার চেষ্টা করবে।
পরবর্তীতে স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে দুইটি বিভাগের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান স্যারের উপর কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে, আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরই নন, তিনি একইসাথে ইইই বিভাগের বর্তমান সভাপতি। আমাদের শিক্ষক তথা বিভাগীয় সভাপতির উপর এমন বর্বরোচিত হামলা সমস্ত শিক্ষক সমাজের জন্য অবমাননাকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় থাকলে তবেই একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। শিক্ষকের উপর এই ধরনের হামলা আমাদের সেই বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে।
আমরা ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি যে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। ভবিষ্যতে যাতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়েও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আপনার নিকট জোড় দাবি জানাচ্ছি।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্বশীল যিনি তার উপর যখন হামলা হয় স্বাভাবিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নবৃদ্ধ হয়। তোমার ইতো মধ্যে জেনেছো এ এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।অতি দ্রুতই তোমাদের দাবির একটা সমাধান আসবে। তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তোমরা একটু ধৈর্য ধারণ করো। তোমাদের দাবির সাথে আমরা একমত। তদন্তে যারা দোষী সাবস্ত হবে তাদের উপর প্রশাসন অবশ্যই সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব বলেন, তোমারা একটি মহানুভবতার কাজ করেছো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এই প্রথম শিক্ষক হামলার বিচার চেয়ে জোড়ালো প্রতিবাদ করেছো। সুষ্ঠু তদন্ত করে এই ঘটনার দৃষ্টিান্তমূলক বিচার হবে। যা বিশ্ববিদ্যালের ৪০ বছরও হয়নি এমন বিচার করবে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচারের কিছুটা হেরফের মনে হলে প্রয়োজনে আমরা বিচার বিভাগীয় পর্যন্ত নিয়ে যাব।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আমরণ অনশন ভাঙলেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা

আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে সরকার পদক্ষেপ নেবে- এমন আশ্বাসে আমরণ অনশন ভাঙলেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান, সরকারি তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মন্ডলের উপস্থিতিতে তারা অনশন ভাঙেন। এসময় অধ্যক্ষকে অনশনরত শিক্ষার্থীকে প্যাকেটজাত আমের জুস পান করিয়ে দিতে দেখা যায়।
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, আজকের আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল সাত কলেজের স্নাতক শ্রেণির একটি বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা আছে। সেটি স্থগিতের ঘোষণা দিতে হবে। তবে অধ্যক্ষ বিষয়টি তার এখতিয়ারে নয় বলে এসময় শিক্ষার্থীদের জানান।
একইসঙ্গে, উপস্থিত যুগ্ম সচিবকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়ন করার দাবি জানান। এর উত্তরে যুগ্মসচিব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হবে, এমন আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোন সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে দুই বিভাগের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যকার সংঘর্ষে ইন্ধনদাতা হিসেবে নির্দিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে যুক্তিখণ্ডন ও অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযুক্তরা। তারা হলেন জাকারিয়া (বঙ্গবন্ধু হল), আমিরুল (জিয়া হল) ও হাসানুল বান্না (লালন হল)।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রিপোর্টার্স ইউনিটির অফিসে আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা বানোয়াট বলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা বলেন, গত পরশু দিন আইন বিভাগ ও আল ফিকহের মধ্যে বাসে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে যে একটা সমস্যা হয়েছিল, সেই রেশ ধরে আমাদের নামে বিভিন্নভাবে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন।
‘অনেকে আমাদের বিরুদ্ধে একটা প্রশ্ন উঠাচ্ছে, আমরা কেন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেটার উত্তর হচ্ছে- আল হাদিস বিভাগের মুস্তাফিজ স্যারের সাথে আমিরুল সফর সঙ্গী হিসেবে জামালপুর যাচ্ছিল। তখন মেইন গেইটে এরকম ঘটনা দেখে সিনিয়র শিক্ষার্থী হিসেবে সেখানে কী হচ্ছিল এবং কী ঘটতেছিল সেটা দেখার জন্য উপস্থিত ছিলাম। ওখানে আগে থেকেই জাকারিয়া ও হাসানুল বান্না উপস্থিত ছিল ঘটনাকে মিনিমাইজ করার জন্য। আমরা ব্যতীত সেখানে অনেক শিক্ষার্থীও ছিল। পাশাপাশি সমন্বয়করাও উপস্থিত ছিল। আমরা প্রথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি, সেখানে যেন অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে। আমরা সেখানে উপস্থিত হওয়ার কারণে কিছু শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর প্রশ্ন তুলেছে। যা মিথ্যা ও পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো চেষ্টা করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া নামের শিক্ষার্থী বলেন, যখন প্রক্টর অফিসে মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন অনুষদ ভবনের সামনে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থী সহ আল ফিকাহ ও আইনের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। অথচ আমি (জাকারিয়া) একটু পিছনে ছিলাম। যখন দুই গ্রুপ সংঘর্ষে বাঁধে, তখন আসা হয়। এক্ষেত্রে এতগুলো বাহিরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্ধনদাতা হিসেবে কেন অভিযুক্ত করেছে? আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ব্যক্তিত্বকে, সম্মানকে বা মান ক্ষুণ্ণ করার লক্ষে নাম দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে হাসানুল বান্না বলেন, ঘটনার সম্পূর্ণ সুষ্ঠু তদন্ত হোক। ব্যক্তিগতভাবে মান ক্ষুণ্ণ করার অধিকার কেউ রাখে না। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রক্টর স্যারকে অবহিত করে রাখবো।
এসময় আমিরুল (জিয়া হল) বলেন, অভিযোগ পত্রে আমিনুর রয়েছে। আদৌও আমার নাম কিনা সন্দিহান। যেহেতু এক সাংবাদিক আমার নাম্বারে কল দিয়েছিল তাই আসলাম। আমার মনে হয় আমার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আসার কথা না।
উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তাদের দাবি, গত শনিবার (১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সুমন গাজীকে মারধর ও লাঞ্চিত করেন আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিসে বিচার দাবিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের অভিযোগ, এ হামলায় সরাসরি সম্পৃক্ত ও ইন্ধনদাতা হলেন, জাকারিয়া (বঙ্গবন্ধু হল), আমিনুর (জিয়া হল), হাসানুল বান্না (লালন হল)। এদের কেউ আল ফিকহ বিভাগের শিক্ষার্থী নন। এতে আইন বিভাগের কামরুজ্জামান, আহাদ, কবির, জুবায়ের, সোহানুর, নাইমুর, তালহা, বায়েজিতসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় প্রক্টর তাদের নিবৃত্ত করতে আসলে হামলার মাঝখানে পড়ে যান। সেখান থেকে আইনের শিক্ষার্থীরা প্রক্টর স্যারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন বলেও জানান তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম