অর্থনীতি
নির্বাচিত সরকার আসার আগে মূল্যস্ফীতির পূর্ণ সমাধান কঠিন: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচিত সরকার আসার আগে মূল্যস্ফীতির পূর্ণ সমাধান কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পেছনে চাঁদাবাজিকে বড় কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন তিনি।
আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকারে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে। নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। একই সময়ে রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।
তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইন ভেঙে গেছে। মধ্যসত্বভোগী অনেক। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।
বিজ্ঞাপন
এ সময় চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে; দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে। দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।
সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ তো আদর্শিক অবস্থান।
পরে সিন্ডিকেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেল, পরে চলে এলো। পুলিশও আগের মতো সক্রিয় না। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত থেকে এলো ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল
উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান।
জানা গেছে, ভারতের ধামরা বন্দর থেকে ৭ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে আসা পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘বিএমসি আলফা’ বন্দরের ৭ নম্বর মুরিং বয়ায় নোঙর করেছে। ৮ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘এমভি সি ফরেস্ট’ জাহাজটি ফেয়ারওয়ে বয়ায় অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান বলেন, শনিবার রাতে জাহাজ দুটি মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। জাহাজে আসা চালের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলে সোমবার থেকে খালাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মোংলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র বলছে, চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে দেশে আসবে মোট ৩ লাখ টন চাল। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ চাল খালাস করা হবে মোংলা বন্দরে, বাকি ৬০ শতাংশ খালাস করা হবে চট্টগ্রাম বন্দরে।
মোংলা বন্দর এলাকার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবাহান বলেন, এটি ভারত থেকে আসা উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে মোংলা বন্দরে আমদানি করা চালের দ্বিতীয় চালান। বন্দরে আসা দুটি বিদেশি জাহাজে মোট ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল রয়েছে। রোববার ভৌত পরীক্ষার জন্য আমদানি করা এই চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ দিকে জাহাজ দুটির শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান জালাল বলেন, ভারত থেকে আসা ‘বিএমসি আলফা’ নামের পানামা পতাকাবাহী জাহাজটিতে ৭ হাজার ৭০০ টন এবং থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি সি ফরেস্ট’-এ ৮ হাজার ৭০০ টন চাল রয়েছে। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে আমরা খালাস শুরু করব।
উল্লেখ্য, ২০ জানুয়ারি ভিয়েতনামের পতাকাবাহী ‘এমভি পুথান-৩৬’ জাহাজে ৫ হাজার ৭০০ টন চাল এসেছিল মোংলা বন্দরে। যেটি এই দরপত্রের প্রথম চালান ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো পৌনে ২৭ হাজার কোটি টাকা
চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি (২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় পৌনে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে এসেছে প্রায় ৮৬১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
মাসের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো ছিল। এ কারণে সদ্য বিদায়ী মাস জানুয়ারিতেও দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রেমিট্যান্স বা প্রবাসীয় আয়। এর মাধ্যমে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের আগস্ট মাস থেকে টানা ছয় মাস দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসের পুরো সময়ে এসেছে প্রায় ২১৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। আলোচ্য সময়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ সময়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৫ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৬৫ লাখ ডলার।
তবে আলোচ্য সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। এছাড়া বিদেশি খাতের ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বেশি। একক মাস হিসেবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স আসে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বরে) এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়লো ১৯ টাকা
চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বেড়েছে। এতে চলতি মাসের জন্য এলপিজির ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৭৮ টাকা। এতদিন যা ছিল এক হাজার ৪৫৯ টাকা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ মূল্যের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ওই মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এরপর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
একনেকে ১২ হাজার ৫৩২ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সভাশেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, একনেক সভায় ১২ হাজার ৫৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪ হাজার ৯৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৭ হাজার ৩২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১ হাজার ১০৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।
চীনের আগ্রহেই সরকার মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য মোংলা বন্দরে কন্টেইনার টার্মিনালের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে চীন।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর কাট্টলী ক্যাচমেন্ট স্যানিটেশন’ প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প। কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্পের ‘ধান, গম ও ভুট্টার উন্নততর বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ‘বিএডিসি’র বিদ্যমান বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণ ব্যবস্থাদির আধুনিকীকরণ এবং উন্নয়ন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘Food Safety Testing Capacity Development’ প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্প ‘তিতাস ও কামতা ফিল্ডে ৪টি মূল্যায়ন-কাম-উন্নয়ন কূপ খনন’ প্রকল্প, ‘হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩-ডি সাইসমিক জরিপ’ প্রকল্প, ‘সিলেট-১২ নং কুপ খনন (তেল কূপ)’ প্রকল্প, ‘ঘোড়াশাল ৪র্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নয়ন, চট্টগ্রাম জোন (২য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘Strengthened Service Delivery systems for Improved Migration Management and Sustainable Reintegration’ প্রকল্প; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ (১ম সংশোধিত’ প্রকল্প এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ ব্যবস্থাপনা (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের ৪র্থ বার মেয়াদ বৃদ্ধি প্রস্তাব সভায় পাশ করা হয়।
সভায় মাননীয় পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক ইতিমধ্যে অনুমোদিত ৪টি প্রকল্প সর্ম্পকে একনেক সদস্যদের অবহিত করা হয়। সেগুলো হলো- ১) প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সক্ষমতা জোরদারকরণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ২) Aquatic Ecosystem Conservation and Management in the North-east and South-West Region if Bangladesh-USID Ecosystems/Protibesh (DoF component) প্রকল্প, ৩) চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (সিডিএসপি-বি) (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৪) পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-এর ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে তিন কর্তৃপক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে
পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই), জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এর ফলে কাজের দক্ষতা বাড়বে এবং সেবা গ্রহণ সহজ হবে।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজনে ‘বিএসটিআই থেকে পণ্যের মান সনদ গ্রহণ ও ল্যাব টেস্ট সনদ গ্রহণে করণীয়’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৮ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) এস এম ফেরদৌস আলম।
বিসিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফেরদৌস আলম বলেন, ‘বিএসটিআই থেকে যাতে গ্রাহকেরা সহজে সেবা গ্রহণ করতে পারেন, সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। আজকের এই আয়োজন সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতার মধ্যে একটি মেলবন্ধন সৃষ্টি করবে। বিএসটিআই সব সময় চেষ্টা করছে, যাতে ভোক্তা সঠিক ও মানসম্পন্ন পণ্য পেতে পারেন এবং ব্যবসায়ীরা সহজে বিএসটিআইয়ের সেবা গ্রহণ করতে পারেন।’
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের মান সনদ অত্যন্ত জরুরি। আমরা চাই শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মান সহজে যাচাইয়ের মাধ্যমে সনদ গ্রহণ করতে পারে এবং ভোক্তারা মানসম্পন্ন পণ্য পেতে পারেন।’
বিসিআই সভাপতি আরও বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে কাজটি সমন্বিতভাবে সম্পন্ন হয় এবং সেবা গ্রহণ আরও সহজ হয়।
কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিসিআই পরিচালক জাহাঙ্গির আলম বিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের কর্মশালা ধারাবাহিকভাবে আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি সব অংশগ্রহণকারীকে কর্মশালায় সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।