পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের মহাসমাবেশ বন্ধ করতে বিএসইসির বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ
পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আগামী সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে প্রতিবাদ মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। বিনিয়োগকারীদের এ সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, এবি পার্টি ও গণঅধিবার পরিষধসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা বক্তব্য রাখবেন। তবে এ সমাবেশ বন্ধ করতে স্বয়ং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই সমাবেশে যাতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বিএসইসি থেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সমাবেশের প্রধান মুখপাত্র মো. নূরুল ইসলাম মানিক। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিসিএমআইএ’র
তিনি জানান, আগামী সোমবার আমরা মহাসমাবেশ করবো। তবে এই সমাবেশে ব্রোকারেজ হাউজের কর্মী ও বিনিয়োগকারীরা যাতে অংশ না নেয়, তার জন্য হুমকি দিচ্ছে বিএসইসি।
তিনি আরও জানান, বিনিয়োগকারীদের সমাবেশ বন্ধ করতে বিএসইসির এমন কর্মকান্ডের যে তথ্য পাওয়া গেছে তা ন্যক্কারজনক। এটা স্বৈরাচারী আচারণ, এটা ঠিক না। প্রতিটা মানুষ ন্যায্য অধিকারের জন্য কথা বলবে, প্রতিবাদ ও সমাবেশ করবে এটাই বাস্তবতা। বিএসইসির এমন আচারণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, এটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও গুজব। কমিশন থেকে কাউকে এমন হুমকি দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অধিকার আছে সমাবেশ করা। কমিশন কখনো বাধা দেবে না। তবে কারো বিরুদ্ধে এমন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্ঠ প্রমাণ মিললে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
এরে আগে, শনিবার সিএমজেএফ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে সারাদেশের সব বিনিয়োকারীকে মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র মুখপাত্র এস এম ইকবাল হোসেন এবং মুখপাত্র মো. ফরিদ আহমেদ। মহাসমাবেশে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকার মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে প্রতিবাদ মহাসমাবেশ হবে।
এসময় সংগঠনের সিনিয়র মুখপাত্র এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, পুঁজিহারা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরিয়ে আনার জন্য যা করার, যেখানে যাওয়ার- আমরা তাই করবো।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে লুটতরাজ চলছে। ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সবকিছু মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নতুন আশা জাগে। বিনিয়োগকারীরা ভেবেছিল আওয়ামী লীগের আমলে যে লুটতারাজ হয়েছে, সবকিছু পুষিয়ে আমরা লাভের দিকে যাবো। বিরাট পরিবর্তন হবে, এটাই আশা ছিল। সেটাই হচ্ছিল। তিন দিন বাজার ভালো ছিল। কিন্তু তারপর নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এমন লোকদের দায়িত্ব দেওয়া হলো যারা বিনিয়োগকারীদের ধ্বংস থেকে আরও ধ্বংস করছেন। ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যা হয়েছে, গত ৫ মাসে তার থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পাঁচ মাসে ৬৬ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে।এর জবাব কে দেবে?
এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারি মহাসমাবেশ করার পর পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবো। এর আগে আমরা কোনো স্মারকলিপি দেইনি। তবে বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। বরং তিনি আমাদের চিঠি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে ফরোয়ার্ড করে দেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অন্যান্য খাতের সংস্কারের সঙ্গে পুঁজিবাজারের নের্তৃত্বেও পরিবর্তন আনা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর পরিবর্তে হতাশা বাড়িয়েছে। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পতনের বৃত্তে আটকে আছে পুঁজিবাজার। প্রতিনিয়ত পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বহু বার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।রাশেদ কমিশনে আস্থা না পেয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কার্যালয়ের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিনিয়োগকারীরা। তবুও কোনো প্রতিকার ও সুফল পায়নি সাধারণ বিনিয়োগকারী। তারই ধারাবাহিকতায় পুঁজি রক্ষায় আগামী সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিল পুরাতন ডিএসই ভবনের সামনে মহাসমাবেশ করবে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজি রক্ষায় বিনিয়োগকারীদের মহাসমাবেশ সোমবার
পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আগামী সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে প্রতিবাদ মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। শেয়াবাজারের বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষায় এই মহাসমাবেশ করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার এ সমাবেশে বক্তব্য দেবেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জামায়াত ইসলামের মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. সফিকুল ইসলাম মাসুদ, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাসদের যুগ্ন সম্পাদক মো. রাজেকুজ্জামান রতন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, শেয়ারবাজার বিশ্লেষক মো. ফজলুল বারী এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা মো. দিদারুল আলম ভূঁইয়া।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে সারাদেশের সব বিনিয়োকারীকে মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান মুখপাত্র মো. নূরুল ইসলাম মানিক, সিনিয়র মুখপাত্র এস এম ইকবাল হোসেন এবং মুখপাত্র মো. ফরিদ আহমেদ। মহাসমাবেশে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকার মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে প্রতিবাদ মহাসমাবেশ হবে।
সংগঠনের প্রধান মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে ৯৯ শতাংশ বিনিয়োগকরী ক্ষতিগ্রস্ত। এসব বিনিয়োগকারীর পুঁজি রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান নেতৃত্ব কোনো ভূমিকা রাখছে না। বরং তারা যেন শেয়ারবাজার ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
তিন বলেন, আগামী সোমবার আমরা মহাসমাবেশ করবো। এই সমাবেশে ব্রোকারেজ হাউজের কর্মী ও বিনিয়োগকারীরা যাতে অংশ না নেয়, তার হুমকি দিয়ে বিএসইসি থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সিনিয়র মুখপাত্র এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, পুঁজিহারা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরিয়ে আনার জন্য যা করার, যেখানে যাওয়ার- আমরা তাই করবো।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে লুটতরাজ চলছে। ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সবকিছু মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নতুন আশা জাগে। বিনিয়োগকারীরা ভেবেছিল আওয়ামী লীগের আমলে যে লুটতারাজ হয়েছে, সবকিছু পুষিয়ে আমরা লাভের দিকে যাবো। বিরাট পরিবর্তন হবে, এটাই আশা ছিল। সেটাই হচ্ছিল। তিন দিন বাজার ভালো ছিল। কিন্তু তারপর নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এমন লোকদের দায়িত্ব দেওয়া হলো যারা বিনিয়োগকারীদের ধ্বংস থেকে আরও ধ্বংস করছেন। ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যা হয়েছে, গত ৫ মাসে তার থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পাঁচ মাসে ৬৬ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে।এর জবাব কে দেবে?
এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারি মহাসমাবেশ করার পর পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবো। এর আগে আমরা কোনো স্মারকলিপি দেইনি। তবে বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। বরং তিনি আমাদের চিঠি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে ফরোয়ার্ড করে দেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ১.৬০ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৪.১৬ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৪.৪০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬.২৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৫৩ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১০.৫৭ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১০.৮৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১১.১৭ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৫৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১২.৯০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৩.৩৭ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১৩.৫৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৫.৪৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৭.০৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৭.৮১ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৪.৮৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৬.৯৮ পয়েন্ট, পাট খাতে ২৮.৬৬ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৪০.৫৬ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ৮৭.৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে প্রাইম ফাইন্যান্স ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির দর কমেছে ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ। ফান্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ২০ টাকা ৭০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাই ফুডের শেয়ার দর কমেছে ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা রেনাটার শেয়ার দর কমেছে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪৯৯ টাকা ৩০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- এডিএন টেলিকমের ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিবিএস ক্যাবলসের ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালসের ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ফার্স্ট ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, গোল্ডেন সন লিমিটেডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, ওরিয়ন ফার্মার ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেড ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে ডেল্টা স্পিনার্স
বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ডেল্টা স্পিনিং লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে ডেল্টা স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৪০ পয়সায়।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেড ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ৮ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে এডিএন টেলিকম
বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে লেনদেনর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে এডিএন টেলিকম লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে এডিএন টেলিকমের প্রতিদিন গড় ১০ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১১ শতাংশ।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানটির প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স অ্যান্ড পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এছাড়াও, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ৭ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড ৭ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মালেক স্পিনিং লিমিটেড ৬ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এসিআই লিমিটেড ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এসএম