ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবি-বুয়েটকে পেছনে ফেলে ওয়েবমেট্রিক্স র্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা রাবি
শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে ওয়েবমেট্রিক্স র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থান অর্জন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। গত ২৭ জানুয়ারি প্রকাশিত এই র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) পেছনে ফেলে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের দুই শতাধিকের বেশি দেশের ৩১ হাজারের বেশি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং–২০২৫ (জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়েবমেট্রিক্স।
মাদ্রিদভিত্তিক এই সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে র্যাঙ্কিং প্রণয়ন করে। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, গবেষক ও গবেষণাকর্মের তথ্য মূল্যায়ন করা হয়।
ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১ হাজার ৪২২তম। ২০২৪ সালের প্রথম সংস্করণে (জানুয়ারি) রাবি দেশীয় তালিকায় তৃতীয় ছিল, আর দ্বিতীয় সংস্করণে (জুলাই) এক ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এদিকে, শীর্ষস্থান থেকে পিছিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অষ্টম স্থানে নেমে গেছে, যার বৈশ্বিক অবস্থান ১ হাজার ৯৯৫তম। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং ১ হাজার ৪৭৪), তৃতীয় স্থানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (১ হাজার ৭৭০), চতুর্থ স্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (১ হাজার ৭৮৩), পঞ্চম স্থানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (১ হাজার ৮১৮), ষষ্ঠ স্থানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১ হাজার ৯৪২), সপ্তম স্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (১ হাজার ৯৭০), অষ্টম স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১ হাজার ৯৯৫), নবম স্থানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (২ হাজার ২৮৭) এবং দশম স্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (২ হাজার ৩৬৭)।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন জানান, এ অর্জন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির চেষ্টা করছি এবং সবাইকে গবেষণায় আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে কাজ করছি। আশা করি, ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালো করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে আমরা যেন এই সাফল্যে আত্মতুষ্টিতে ভুগে স্থবির না হয়ে যাই। আমাদের সামনে আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে এবং আমরা সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমি সবসময়ই বলে আসছি- আমাদের গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। ন্যূনতম বরাদ্দ অন্তত দ্বিগুণ করা উচিত, যাতে আমরা উন্নত গবেষণা পরিচালনা করতে পারি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও ভালো অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হই।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবিতে অর্ধশতাধিক স্টল নিয়ে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা শুরু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘আরইউএসসি ন্যাশনাল সায়েন্স ফিয়েস্টা ২০২৪’। এবারের বিজ্ঞান মেলায় রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) সামনে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব। পরে মেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রজেক্টের প্রায় অর্ধশতাধিক স্টল নিয়ে বসেছেন টিএসসির সামনের মাঠে। এসব আবিষ্কার দেখতে বিজ্ঞান মেলায় শিশুদের নিয়ে অভিভাবকসহ ভিড় জমাচ্ছেন আগ্রহী দর্শনার্থীরা।
এবারের বিজ্ঞান মেলায় মোট ১৩টি সেগমেন্ট থাকছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে, সায়েন্স অলিম্পিয়াড, কেইস সলভিং, সায়েন্টিফিক পেইন্টিং কম্পিটিশন, ওয়াল ম্যাগাজিন, সায়েন্টিফিক ডিবেট, পোস্টার প্রেজেন্টেশন। এছাড়া এর বাইরে থাকছে মোবাইল অ্যাপ আইডিয়া কম্পিটিশন, রুবিক্স কিউব, এআই বেইসড বিজনেজ আইডিয়া কম্পিটিশন, দাবা প্রতিযোগিতা, ফটোগ্রাফি কনটেস্ট। যাতে সবাই অংশগ্রহন করতে পারবেন।
এবারের মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকছে ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ, স্ট্রেটেজিক পার্টনার হিসেবে থাকছে বিডিএপস, ব্রোঞ্জ স্পন্সর উত্তরায়ন আমানা সিটি, স্ন্যাক্স পার্টনার যুক্ত হয়েছে বোম্বে সুইটস, লার্নিং পার্টনার ওলিন এআই, মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যমুনা টেলিভিশন ও দ্যা বিজনেস স্ট্যান্টার্ড এবং দিনকাল, কমিউনিটি পার্টনার জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট।
বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের দশম শ্রেণীর মারিয়া খাতুন বলেন, আমি গত দুই বছর ধরে সায়েন্স ক্লাবের সাথে যুক্ত আছি। এখানে বিভিন্ন ধরনের সেগমেন্টে থাকে। শিক্ষার্থীরা তাদের ইচ্ছা মত বেছে নেওয়ার সুযোগ পায়। নিজেদের প্রতিভা, জ্ঞান বিকাশের একটা সুযোগ পায় আমরা। দিনদিন বিজ্ঞান মেলার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমি খুবই গর্বিত এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে।
নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত বলেন,আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পারি। এটা বেশ ভালো একটি উদ্যোগ। এই আয়োজনের মাধ্যমে অনেক তরুণ বিজ্ঞানী উঠে আসবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের উপকার হবে। এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারবো এবং দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
রাবি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মাসুদ বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি বিজ্ঞানধর্মী আয়োজন করার জন্য। বাংলাদেশ থেকেই নিউটান বা বর্তমান সময়ের ইলন মাস্ক হওয়া সম্ভব। সেই সুযোগ আমাদেরকেই তৈরি করে দিতে হবে। বাংলাদেশে অনেক কিছু নিয়েই আমরা কাজ করি কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের আগ্রহ কম।
তিনি আরো বলেন, আমরা বইরের দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাই কত উন্নত তারা। এর মূল কারণ সেই দেশগুলোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দিকে নির্ভরশীলতা। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে তুলে ধরতেই আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দিকে বেশি সুযোগ তৈরি করতে হবে।ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে দেখার জন্যই আমরা এই আয়োজন করে থাকি।
উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ এবং ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে। আমি প্রোজেক্টগুলো ঘুরে দেখলাম। খুবই ইনোভেটিভ। আমি মনে করি এই উদ্যোগ সামনের দিনগুলোতে আরো শক্তিশালী হবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চার স্পৃহা সাইন্স ক্লাব ইতিমধ্যে বাড়িয়ে তুলেছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে আরো বড় ভূমিকা পালন করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান, সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ সৈকত সাবেক-বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও চলছে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের অনশন
রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে আজ তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। তবে এরই মধ্যে তারা কলেজের সামনের সড়কের অবরোধ তুলে নিয়েছেন। এতে করে মহাখালী থেকে গুলশান লিংক রোডের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছেন তারা। আজকের জুমার নামাজ সেখানেই আদায় করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) কলেজটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, আমাদের অনশন কর্মসূচি শুরুর ২৪ ঘণ্টা পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একজন প্রতিনিধি এসেছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কারো মুখের কথা আমরা বিশ্বাস করতে চাইনা। যতক্ষণ পর্যন্ত তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। রাতে সড়ক অবরোধ ছাড়লেও ফের অবরোধ করা হবে। রাতে রাজধানীতে কাঁচামালবাহী বিভিন্ন সবজির গাড়ি প্রবেশ করে। তাই তারা সড়ক ছেড়ে দিয়েছিলাম। যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়।
তারা বলেন, অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে তিতুমীর কলেজের ৭ জন শিক্ষার্থী সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রানা আহমেদ ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিতুমীর ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে থেকে অনশন শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। আমরা ৭ দফা দাবি জানিয়েছি। সেগুলো হচ্ছে —
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।
৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।
৫. অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে একটি কলেজ হচ্ছে সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত এই কলেজের অ্যাকাডেমিক সব কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। এর আগে সরকারি তিতুমীর কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি ডিবেটিং সোসাইটির আহ্বায়ক ইরানী, সদস্য সচিব দিদারুল
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ডিবেটিং সোসাইটির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফাতেমা তুজ জোহরা ইরানী ও সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আল ফিকহ ও লিগাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের দিদারুল ইসলাম।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মুহা কামারুজ্জামান সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আরও রয়েছেন পর্যায়ক্রমে সকল হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। পর্যায়ক্রমে- ইয়ামান মুস্তাহসিন, রায়হান বিশ্বাস, অনিন্দ সাহা, ফুয়াদ হাসান, আরশী আখি, আশা মনি, জান্নাতুল ইসবা বিথী, আরিফা ইসলাম, সিফাত জাহান আইভি, তারিকুল ইসলাম তারেক, নাহিদুর রহমান, সোলাইমান তালুকদার, সায়েম আহমেদ, ইয়াছিন আলী।
সদস্য সচিব দিদারুল ইসলাম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটিকে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস গড়তে চাই।আমার উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তা যেন যথাযথ পালন পারি সে জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
আহ্বায়ক ফাতেমা তুজ জোহরা ইরানী বলেন, আমরা সকলেই মোটামুটি জানি আইইউডিএস (IUDS) দীর্ঘ সময় যাবৎ কার্যক্রম বিহীন অচল অবস্থায় ছিলো।এমন একটি অবস্থা থেকে আমার পাওয়া দায়িত্বটি ভীষন গূরুত্বপূর্ন।আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আইইউডিএসকে পুনরায় সচল, অনুকরনীয় এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমার সর্বোত্তম চেষ্টা করবো।হল ডিবেটিং সোসাইটি ও মাঠ পর্যায়ের বিতার্কিকদের অবদান ব্যতীত এই কমিটির সফলতা অসম্ভব বলে মনে করি। তাই সকলের সার্বিক সহযোগীতার মাধ্যমে আইইউডিএসকে ঈর্ষনীয় স্হানে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তন নিয়ে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিভাগের বর্তমান নামটি অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। তারা সেখানে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
অপরদিকে বেলা ১১টার দিকে বিভাগের নাম পরিবর্তন করার দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে অন্যদল শিক্ষার্থী। এ সময় তারা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ করার দাবি জানান।
বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেরবার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে যে পুকুরচুরির ঘটনার মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। যদি পরবর্তী ১০ তারিখের সিন্ডিকেটে প্রশাসন পদক্ষেপ নিতে না পারে, তাহলে আমরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করে দেব। এবং ডিপার্টমেন্ট চিরদিনের জন্য শাটডাউন করে দেবো। এবং এর পরবর্তী শিক্ষার্থীদের যেকোনো ঘটার দায় প্রসাশনকে নিতে হবে। আমরা আমাদের বর্তমান যুগোপযোগী নাম অর্থাৎ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর একটি অক্ষরের সাথেও কপ্রমাইজ করবো না। কোনো ধরনের টালবাহানা করার চেষ্টা করে হলে আমরা দ্রুত স্বাক্ষর জালিয়াতির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থানরত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, প্রথম কথা হলো আন্দোলনের কোনো ২ টা পক্ষ নেই, কারন হলো আমরা বর্তমানে অনার্সে অধ্যায়নরত বর্তমানে ৫টি ব্যাচের ৯২.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আমরা বিভাগের বর্তমান যুগ উপযোগী নাম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি করার দাবিতে ৫ মাস যাবৎ আন্দোলন করছি এবং আমাদের এই নতুন নাম আমরা শিক্ষাবর্ষ ১৯-২০ থেকে কার্যকর করা দাবি জানাচ্ছি শুরু থেকেই। সেখানে যারা কয়েকজন অপরিবর্তনের জন্য দাবি জানাচ্ছে তাদের সাথে এটা কোনো সাংঘর্ষিক নয়। কারণ নতুন নাম কার্যকর হবে ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে।
এদিকে নাম অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, জিওগ্রাফি বিষয়টি পিএসসিতে নিবন্ধিত সাবজেক্ট, যার সাবজেক্ট কোড রয়েছে (৩১১)। কিন্তু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজি বা শুধু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স কোনটিই পিএসসি-তে নিবন্ধিত নেই সাবজেক্ট হিসেবে। যে কারণে জিওগ্রাফি না থাকলে আমরা বিসিএস (শিক্ষা) সহ জিওগ্রাফির নিবন্ধিত সরকারী চাকরিতে আবেদন করতে পারব না। বিভাগের নাম জিওগ্রাফি না রাখার পরিকল্পনা শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত, কারণ জব সেক্টরে তীব্রভাবে সুযোগ কমে যাবে।
ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম। এ সময় পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টির একটা যথাযথ সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের বলেন, শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি দাওয়া দিয়েছে, সেগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। নিজেদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক আমরা সেটা চাই না। একাডেমিক কাউন্সিলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর হয় এমন একটা সিদ্ধান্তই আসবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাবির তিন শিক্ষার্থী
প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফাইন্যান্স ইন বাংলাদেশ ২০২৫ বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থী।
গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে এ অ্যায়ার্ড প্রদান করা হয়। এর আয়োজন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালেশিয়া।
অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন সাখওয়াত ইসলাম সজিব, বাঁধন রায় এবং আবির আহমেদ। তারা সবাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের পেপারের শিরোনাম হলো ‘ফ্যাক্টরস ইনফ্লুয়েন্সিং পারসেপশন অব বাংলাদেশি স্টুডেন্টস টুওয়ার্ডস ইসলামিক ব্যাংকস: দ্য মডারেটিং রোল অব ট্রাস্ট’। এই কনফারেন্সে ৬টা দেশ থেকে মোট ৬২টি পেপারের মধ্যে ৪টা পেপারকে বেস্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এবিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন সজিব বলেন, এটা আমাদের প্রথম ইসলামিক ফাইনান্সের উপর পেপার। আমরা প্রায় এক হাজার ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টের কাছে থেকে ডাটা কালেকশন করে এ পেপারটা প্রস্তুত করি।এই কনফারেন্সে বেস্ট রিসার্চ পেপার অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি অনেক খুশি এবং রাবির প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাঁধন রায় বলেন, বেস্ট রিসার্চ পেপার অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি অনেক খুশি। আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও বড় বড় অ্যাওয়ার্ড রিসার্চ ফিল্ড থেকে আসবে।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম