আন্তর্জাতিক
সিরিয়ায় আসাদের দল বিলুপ্ত, দায়িত্ব নিলেন নতুন প্রেসিডেন্ট
সিরিয়ায় বর্তমান প্রশাসন বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের রাজনৈতিক দল বাথ পার্টিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন আহমেদ হুসেইন আল-শারা, যিনি আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি ছদ্মনামেও পরিচিত।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, একইসঙ্গে সিরিয়ার সংবিধানও বাতিল করা হয়েছে। বিলুপ্ত করা হয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীসহ ছোট-বড় সকল সশস্ত্র গোষ্ঠী।
দামেস্ক থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা ওসামা বিন জাভেদ বলেছেন, এটি একটি স্মৃতিময় দিন। এটি এই দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও স্পষ্ট করে দিল কারণ নতুন এই প্রশাসন কেমন হবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা বুধবার কমান্ডার হাসান আবদেল গনির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া আল-শারাকে ক্রান্তিকালীন পর্যায়ের জন্য একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাশার আল-আসাদের উৎখাতের আগে ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসন করেছিল বাথ পার্টি। আর দীর্ঘ ২৪ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন আসাদ।
আল জাজিরা বলছে, দামেস্কে একটি বৈঠকের সময় এই ঘোষণাগুলো দেওয়া হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে আল-শারার এইচটিএস-এর সঙ্গে লড়াই করা সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডাররা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আল জাজিরার সংবাদদাতা ওসামা বিন জাভেদ বলেন, (আল-শারা) তাদেরকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে- তারা শুধু প্রতিনিধিত্বই করবেন না বরং একটি নতুন সিরিয়ার অংশও হবেন তারা।
এদিকে নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ হুসেইন আল-শারা ১৯৮২ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে জন্ম নেন। তার বাবা সৌদি আরবে পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৮৯ সালে তার পরিবার সিরিয়ায় ফিরে আসে এবং দামেস্কের কাছেই জীবনযাপন শুরু করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে কাল থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আগামীকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, তেল আমদানির ক্ষেত্রে এই শুল্ক কার্যকর হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমাদের সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অভিবাসী ও ফেন্টানিল প্রবেশ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্যই আমি এই শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ট্রাম্প আরও জানান, তিনি চীনের ওপরও নতুন শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছেন, যা আগে ১০ শতাংশ হারের কথা বলা হলেও আরও বাড়তে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল সরবরাহ করছে, যার ফলে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক মারা যাচ্ছে।
ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির কারণে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে, ২০১৮ সাল থেকে চীনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল, যার একটি বড় কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিক শুল্ক বৃদ্ধির নীতি।
চীনের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং শুয়েশিয়াং সুইজারল্যান্ডের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) বলেন, চীন ‘উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক’ সমাধান খুঁজছে ও আমদানি বাড়াতে চায়। তবে তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর কানাডা ও মেক্সিকোও পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশ দুটি জানিয়েছে, তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত-সংক্রান্ত উদ্বেগ দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশ কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আসে। যদি এই তেলের ওপর শুল্ক বসানো হয়, তবে এর প্রভাব সরাসরি সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার খরচে পড়বে।
শুল্ক হলো আমদানি করা পণ্যের ওপর কর, যা সাধারণত সেই পণ্যকে আরও ব্যয়বহুল করে তোলে। এর ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যগুলোর বিক্রি বাড়তে পারে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে সহায়তা করে।
কিন্তু অনেক বিশ্লেষকের মতে, তেল ও জ্বালানির ওপর শুল্ক বসানো হলে তা উল্টো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, জ্বালানির দাম বেড়ে গেলে তা পণ্যের উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বাড়িয়ে দেবে, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হলে শিল্পখাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জটিল হতে পারে। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলসহ গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো হলে মার্কিন অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। এখন দেখার বিষয়, কানাডা ও মেক্সিকো কী ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেয় এবং চীন কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বব্যাপী জীবনরক্ষাকারী ওষুধের সরবরাহ বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র
গরীব দেশগুলোতে এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, টিউবারকিউলোসিস এবং সদ্যোজাত শিশুদের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) এসব সহায়তা প্রদান করত।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে ইউএসএইডের কন্ট্রাক্টর ও সহযোগীরা এই নির্দেশনা পেতে শুরু করে। তাদের অনতিবিলম্বে কার্যক্রম বন্ধ করতে বলা হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা নিয়েই নির্বাহী আদেশে বিশ্বব্যাপী মার্কিন সহায়তা বন্ধ করেন ট্রাম্প। এই ওষুধ সরবরাহ বন্ধ সেই নির্বাহী আদেশের অংশ। যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশে সহায়তা করত সেগুলো পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। পর্যবেক্ষণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্তত আগামী ৯০ দিন সহায়তাগুলো বন্ধ থাকবে।
এই ধরনের একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে চেমোনিকসের কাছে। তারা ইউএসএইডের হয়ে বিশ্বব্যাপী এইচআইভি, ম্যালেরিয়াসহ প্রাণঘাতি বিভিন্ন রোগের ওষুধ সহায়তা পাঠাত।
ইউএসএইডের গ্লোবাল হেলথের সাবেক প্রধান অতুল গাওয়ান্দে রয়টার্সকে বলেছেন, এটি বিপর্যয়। যুক্তরাষ্ট্রের দান করা ওষুধ বিশ্বব্যাপী এইচআইভি আক্রান্ত ২ কোটি মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এটি আজ বন্ধ হয়ে গেলো।
তিনি বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের কারণে এইচআইভির সংক্রমণ বাড়তে পারে। সঙ্গে অসুস্থরা আরও অসুস্থ হতে পারেন।
সাবেক এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, এমন নির্দেশনার কারণে স্টকে থাকা সত্ত্বেও জীবনরক্ষাকারী এসব ওষুধ সহায়তা নেওয়া দেশগুলোর কাছে আর পাঠানো যাবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) বিদ্রোহী এম২৩ গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাতিসংঘের ১৩ জন বিদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। নিহত শান্তিরক্ষীদের ৯ জনই দক্ষিণ আফ্রিকার।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনী বলেছে, ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় গোমা শহরে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার সময় তাদের ৯ জন সৈন্য মারা গেছেন। অন্যদিকে নিহত বাকি শান্তিরক্ষীদের তিনজন মালাউইয়ান এবং একজন উরুগুয়ের সৈন্যও রয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, সহিংসতা বন্ধ করার জন্য বৈশ্বিক আহ্বানের মধ্যেই তিনি ডিআর কঙ্গো এবং রুয়ান্ডা নেতাদের সাথে কথা বলেছেন।
বিবিসি বলছে, সংঘাত তীব্র হওয়ার সাথে সাথে জাতিসংঘ সমস্ত অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের গোমা থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। এই শহরে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন। এম২৩ গ্রুপ রক্তপাত এড়াতে গোমায় কঙ্গোলিজ সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে।
যদিও ডিআর কঙ্গো প্রতিবেশী রুয়ান্ডার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, বিদ্রোহের পেছনে সমর্থন দিচ্ছে বলে দেশটিকে অভিযুক্ত করেছে। এমন অবস্থায় ম্যাক্রোঁ শনিবার ডিআর কঙ্গো এবং রুয়ান্ডার নেতাদের সাথে পৃথক ফোনকলে কথা বলার সময় লড়াই বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে।
এদিকে কঙ্গোর সীমান্তে জড়ো হচ্ছে রুয়ান্ডার সেনারা। তারা যে কোনও সময় কঙ্গোতে হামলা চালাতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শনিবার জানিয়েছে, কঙ্গোর আঞ্চলিক রাজধানী গোমা দখলে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী এম২৩-কে সহায়তা করবে রুয়ান্ডার সেনারা। ইতোমধ্যে গোপনে কঙ্গোতে রুয়ান্ডার শত শত সেনা প্রবেশ করেছে।
এমন অবস্থায় সোমবার কঙ্গোর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক হবে। এর আগেই আঞ্চলিক রাজধানী গোমা দখলের পরিকল্পনা করছে রুয়ান্ডার সেনা ও সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
নাম গোপন রাখার শর্তে সংবাদমাধ্যম অবজারভারকে একটি সূত্র বলেছে, কঙ্গোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে রুয়ান্ডা তাদের সেনাদের সীমান্তে জড়ো করেছে। এছাড়া রুয়ান্ডার সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ সিনিয়র কমান্ডাররা দেশটির গিসেনি শহরে অবস্থান নিয়েছেন। যা গোমা সীমান্ত থেকে মাত্র এক মাইল দূরে অবস্থিত।
মূলত ২০১২ সালেও গোমা শহর দখল করেছিল বিদ্রোহীরা। ওই সময় ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে রুয়ান্ডা। তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীরা গোমা থেকে সরে গিয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বড় ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই ১০ লাখেরও বেশি মানুষের শহর গোমা দখল করতে চায় রুয়ান্ডা ও বিদ্রোহীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তিন প্রেসিডেন্টকে পাশে চান ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বরাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে পাশে চাইছেন। মূলত বাণিজ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে চুক্তি করতে দেশগুলোর প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কাজ শুরু করতে চান তিনি।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন। তার মতে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারলে বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এ ছাড়া রাশিয়া যদি শান্তিচুক্তিতে রাজি না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে ‘বুদ্ধিমান ব্যক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, কিমের সঙ্গে তার আগের বৈঠকগুলো ফলপ্রসূ ছিল। তিনি আবারও কিমের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। ট্রাম্প বলেন, ‘কিম আমাকে পছন্দ করেন। আমি বিশ্বাস করি , আবারও আলোচনায় বসলে আমরা পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পারব।’
এ দুই দেশের পাশাপাশি, চীনও ট্রাম্পের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। গত সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প । বাণিজ্য, টিকটক ও তাইওয়ান বিষয়ক আলোচনা ছাড়াও তারা পারমাণবিক অস্ত্র ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে। এর ফলে চীনের পণ্যে শুল্কারোপের দরকার পড়বে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বায়ুদূষণের কারণে ব্যাংককের ৩৫২ স্কুল বন্ধ ঘোষণা
কয়েক বছর ধরেই থাইল্যান্ডে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বায়ুদূষণ। এ বছর দেশটিতে দূষণের মাত্রা এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দেশটির রাজধানীর ব্যাংককের প্রায় সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের পর এবারই সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি পার করছে ব্যাংকক।
গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ব্যাংকক নগর কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে ৩৫০টি স্কুল বন্ধ থাকবে। এর আগে ২০২২ সালেও বায়ুদূষণের কারণে ব্যাংককে সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। খবর এএফপির।
বাসিন্দাদের জন্য দেওয়া এক বার্তায় ব্যাংকক নগর কর্তৃপক্ষ বলেছে, ব্যাংকক মেট্রোপলিটন প্রশাসন বায়ুদূষণের কারণে ৩১টি জেলার ৩৫২টি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়া ব্যাংককবাসীকে দাপ্তরিক সব কাজ বাড়িতে বসে করার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি রাজধানীতে ভারী যানবাহন চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।
বায়ুদূষণে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে আছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও। গত দুদিন ধরে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। প্রতি বর্গমিটারে এর পরিমাণ ১২২ মাইক্রোগ্রাম। এই ক্ষুদ্র কণা ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে ক্যানসার হতে পারে।