ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তন নিয়ে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন
![ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তন নিয়ে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন রবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/EB-9.jpg)
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিভাগের বর্তমান নামটি অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। তারা সেখানে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
অপরদিকে বেলা ১১টার দিকে বিভাগের নাম পরিবর্তন করার দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে অন্যদল শিক্ষার্থী। এ সময় তারা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ করার দাবি জানান।
বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেরবার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে যে পুকুরচুরির ঘটনার মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। যদি পরবর্তী ১০ তারিখের সিন্ডিকেটে প্রশাসন পদক্ষেপ নিতে না পারে, তাহলে আমরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করে দেব। এবং ডিপার্টমেন্ট চিরদিনের জন্য শাটডাউন করে দেবো। এবং এর পরবর্তী শিক্ষার্থীদের যেকোনো ঘটার দায় প্রসাশনকে নিতে হবে। আমরা আমাদের বর্তমান যুগোপযোগী নাম অর্থাৎ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর একটি অক্ষরের সাথেও কপ্রমাইজ করবো না। কোনো ধরনের টালবাহানা করার চেষ্টা করে হলে আমরা দ্রুত স্বাক্ষর জালিয়াতির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থানরত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, প্রথম কথা হলো আন্দোলনের কোনো ২ টা পক্ষ নেই, কারন হলো আমরা বর্তমানে অনার্সে অধ্যায়নরত বর্তমানে ৫টি ব্যাচের ৯২.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আমরা বিভাগের বর্তমান যুগ উপযোগী নাম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি করার দাবিতে ৫ মাস যাবৎ আন্দোলন করছি এবং আমাদের এই নতুন নাম আমরা শিক্ষাবর্ষ ১৯-২০ থেকে কার্যকর করা দাবি জানাচ্ছি শুরু থেকেই। সেখানে যারা কয়েকজন অপরিবর্তনের জন্য দাবি জানাচ্ছে তাদের সাথে এটা কোনো সাংঘর্ষিক নয়। কারণ নতুন নাম কার্যকর হবে ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে।
এদিকে নাম অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, জিওগ্রাফি বিষয়টি পিএসসিতে নিবন্ধিত সাবজেক্ট, যার সাবজেক্ট কোড রয়েছে (৩১১)। কিন্তু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজি বা শুধু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স কোনটিই পিএসসি-তে নিবন্ধিত নেই সাবজেক্ট হিসেবে। যে কারণে জিওগ্রাফি না থাকলে আমরা বিসিএস (শিক্ষা) সহ জিওগ্রাফির নিবন্ধিত সরকারী চাকরিতে আবেদন করতে পারব না। বিভাগের নাম জিওগ্রাফি না রাখার পরিকল্পনা শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত, কারণ জব সেক্টরে তীব্রভাবে সুযোগ কমে যাবে।
ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম। এ সময় পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টির একটা যথাযথ সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের বলেন, শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি দাওয়া দিয়েছে, সেগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। নিজেদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক আমরা সেটা চাই না। একাডেমিক কাউন্সিলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর হয় এমন একটা সিদ্ধান্তই আসবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে রিসার্চ সোসাইটির নবীনবরণ ও কর্মশালা
![ইবিতে রিসার্চ সোসাইটির নবীনবরণ ও কর্মশালা রবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/eb-2-1.jpg)
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘রিসার্চ ক্যান চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গবেষণা ও ইয়ুথ রিসার্চ লিডারশিপ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২নং কক্ষে (গ্যালারি) ইবি রিসার্চ সোসাইটির উদ্যাগে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইবি গবেষণা সংসদের সভাপতি সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আইআইইআর এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোছাইন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের মডারেটর ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খালিদ হোসেন জুয়েল এবং চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি ও প্রশিক্ষক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গবেষণা সংসদ সংসদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম সাদেক এবং আইআইডি এর রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মুহাম্মদ তানভীরুল ইসলাম সহ সংগঠনটির প্রায় দুই শতাধিক নবীন সদস্যবৃন্দ।
সংগঠনটির সভাপতি সানোয়ার হোসেন বলেন, গবেষণার আলোয় আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে আমাদের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। নবীনদের উৎসাহিত করা, গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং তাদের দক্ষতা বিকাশের জন্য আমরা নিয়মিত গবেষণা-কেন্দ্রিক কর্মশালা, সভা ও সেমিনারের আয়োজন করছি। আজকের এই আয়োজনও সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ।
অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গবেষণা বিষয়ক একটি সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা ও ফান্ডিং এর ব্যবস্থা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, গবেষণা মানুষের চিন্তার দুয়ার করে উন্মুক্ত করে দেয়। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গবেষণার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির ট্যুরিজম বিভাগের সাথে সিকিউরিটিজ মার্কেটের চুক্তি
![ইবির ট্যুরিজম বিভাগের সাথে সিকিউরিটিজ মার্কেটের চুক্তি রবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/eb-1-1.jpg)
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাথে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডার্স্ট্যান্ডিং চুক্তি এবং প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিকিউরিটি মার্কেট শীর্ষক ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৬১৪নং কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ইয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিন।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সেশন কন্ডাক্টর হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটেরে সাদ্দাম হোসেন খান ও রিজভী আহমেদ। এসময় বিভাগটির অন্যান্য শিক্ষকসহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটেসের প্রতিনিধিরা বিভাগটির সাথে সহোযোগিতা মূলক একটা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তারই অংশ হিসেবে একজন নবীন সদস্য সিকিউরিটিজ মার্কেটে প্রবেশ করে কিভাবে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে সে বিষয়ে ট্রেনিং প্রোগ্রাম করেন এবং ভবিষ্যতে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উক্ত খ্যাতে প্রবেশ করলে তাদের সহায়তার কথা ব্যক্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি দল।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার করা। সেই লক্ষ্যে ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের ম্যাসেজটা পৌঁছে দিতে এই সেশন। একটা শিক্ষিত বিনিয়োগ বাজার তৈরির লক্ষ্যেই আমারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে ঘুরে এ কর্মশালাগুলো করছি। ভবিষ্যতে যেন তারা সিকিউরিটিজ মার্কেট বিজনেসের জন্য ভালো ভাবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম বিভাগের সাথে এই এমওইউ চুক্তির মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিনিয়োগ ক্ষেত্রে আর্থিক সাপোর্ট থেকে শুরু বিনিয়োগ ক্ষেত্রের অন্যান্য সাপোর্ট প্রদান করতে পারবো।
বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, শুধু একাডেমিক জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। বর্তমান চ্যালেঞ্জিং বিশ্বে বাঁচতে হলে বাস্তব জ্ঞান দরকার৷ বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু দিতে পারে না৷ তাই বাস্তবিক জ্ঞান ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ একাডেমি সিকিউরিটি মার্কেটের (বিএএসএম) সাথে পাঁচ বছরের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তাদের কাজের অংশ হিসেবে আজকে একটি ট্রেইনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
হাসিনার বিভাজনের রাজনীতিকে ব্যর্থ প্রমাণ করেছে ছাত্র-জনতা: মামুনুল হক
![হাসিনার বিভাজনের রাজনীতিকে ব্যর্থ প্রমাণ করেছে ছাত্র-জনতা: মামুনুল হক রবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/mamunul-haq.jpg)
বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের আমির মাওলানা মো. মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র হলো বিভাজনের রাজনীতি করা। সকল শিক্ষার্থীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক হয়ে সেই ষড়যন্ত্রকে উৎখাত করে দিয়েছে এই ছাত্র সমাজ। জাতি প্রস্তুত পুরো দেশ ইসলামের সমাজ দেখতে। তবে এই যুব সমাজ এখন সুসংগঠিত না। বিভিন্ন ফারাক দেখতে পাচ্ছি।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইবি শাখার আয়োজনে ‘জুলাই পরবর্তী করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
আমির বলেন, বিগত ১৬ বছর এই ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগ যেভাবে জুলুম অত্যাচার করেছে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হলে আল্লাহ পাক তাদের ক্ষমা করে দিবে না। অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। সম্প্রতি আয়না ঘরের যে দৃশ্য মাননীয় উপদেষ্টা উন্মোচন করেছে সেই ঘরে আমরা আর ফিরে যেতে চাই না।
এই যাবৎ সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে ‘ইসলাম’। যারা রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের শুধু জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং চরিত্র হনন করার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। পশ্চিমা রাষ্ট্রে ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করলে বা মানুষ মারলে তাদেরকে জঙ্গিবাদী বলা হয় না, কিন্তু ইসলাম নিয়ে কিছু বললেই জঙ্গিবাদ ট্যাং দিয়ে দেয় তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানে যুব সমাজ যেভাবে বাধঁভাঙ্গার জোয়ার দেখে আমি আশাবাদী। যুবকরা সব ধরনের সমাজ ব্যবস্থা দেখেছে কিন্তু ইসলামের সমাজ ব্যবস্থা দেখেনি। বিপুল উদ্দীপনার মাধ্যমে তারা ইসলামের সমাজ ব্যবস্থা দেখতে চান। বড় কোনো নেতারা যা পারিনি তা ছাত্র সমাজ করে দেখিয়েছে। এই ছাত্র সমাজকে সুসংগঠিত করতে পারলে আগামীর বাংলাদেশ সুন্দর হবে বলে মনে করি। এখানকার সংবিধান হবে আল কুরআন, আইন হবে আল্লাহর।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আগাগোড়া পুরো জায়গায় ইসলামকে দেখতে চাই। যদি ইসলামকে ধারণ করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থকতা থাকবে না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কপাল জুড়ে ইসলাম রয়েছে। যদি কাজ করতে না পারেন তাহলে নাম পাল্টায় ফেলেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে ইসলাম সম্পর্কে তেমন জ্ঞান রাখে না ঠিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও যদি এরকম অবস্থা হয় তাহলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার স্বার্থকতা নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকদের প্রতি বিষয়গুলো নজর রাখতে আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, থিওলজি এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, সুবক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলায়েত যুব মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মৌলানা আতাউল্লাহ আমিন-সহ ক্যাম্পাসে অন্যান্য শিক্ষক ও ক্রিয়াশীল সংগঠনের ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ‘টিম ম্যাচাং’
![ইবিতে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ‘টিম ম্যাচাং’ রবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/eb-5.jpg)
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইন্ডিপেন্ডেন্ট ২.০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে “টিম ম্যাচাং” এবং রানার্সআপ হয়েছে “সুপার এলিভেন”।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হল সংলগ্ন ইবি ক্রিকেট মাঠে ফাইনাল ম্যাচে সুপার এলিভেন ও টিম ম্যাচাং মুখোমুখি হয়।
এসময় পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এছাড়া বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক শাহ আলম কচি, গ্রীন আর্কিটেক্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল আহমেদ সাকিব, চারু ও কারুকলা বিভাগের প্রভাষক রায়হান উদ্দিন ফকির প্রমুখ।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আজকে একদিকে ক্যাম্পাসে বসন্ত বরণ উৎসব অন্যদিকে খেলা,ক্যাম্পাস আজ প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে। “ইন্ডিপেন্ডেন্ট ২.০” যে নতুন স্বাধীনতা এনেছে তারই স্মৃতিচারনায় টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হয়েছে। আগামীর জীবন অগ্রগামী, সাফল্যময়, বৈষম্যহীন করতে পড়াশোনার পাশাপাশি এসমস্ত খেলাধুলা চালিয়ে যেতে হবে।
উল্লেখ্য টুর্নামেন্টে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় লিগ্যাল স্ট্রাইকার্স এবং শহীদ আহাদ স্মৃতি ক্রিকেট দল।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে চারুকলা বিভাগের বসন্ত উৎসব উদযাপন
![ইবিতে চারুকলা বিভাগের বসন্ত উৎসব উদযাপন রবি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/ff.jpg)
বর্ণিল আয়োজনে মধ্যে দিয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ দিনব্যাপী বসন্ত উৎসব উদযাপন করেছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বসন্তকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এসময় প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান সহ চারুকলা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুবাশ্বশির আমিন বলেন, এমন একটা আয়োজন উপভোগ করায় অনেক ভালো লাগে কাজ করছেন। তাদের আয়োজন অনেক সুন্দর ছিল। আমাদের মনে বসন্তের সজীবতা দিয়েছে। আজকে চারুকলা বিভাগের উদ্যোগে এটি হলো। সকল বিভাগের আয়োজনের মাধ্যমে এভাবে আমাদের সামাজিক সংস্কৃতিক সবদিক থেকে এগিয়ে যাক।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বসন্ত উৎসব বাংলা, বাঙালি সংস্কৃতির সাথে এবং আমাদের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। চারুকলা বিভাগের এই আয়োজন সত্যিই অবাক করার বিষয় এই কারণেই, যে তারা আসলেই বাংলা, বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সংস্কৃতির উন্নতি, এর পরিস্ফুটন এবং এর প্রকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি যে ছবি গুলো দেখলাম, এ ছবিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতি, গ্রাম্য সংস্কৃতি, আধুনিক সংস্কৃতি সবকিছুরই সংমিশ্রণ আছে। ছাত্রদের আজকের এ বসন্ত বরণ উৎসব এবং এর পাশাপাশি চিত্র প্রদর্শনী তাদের যোগ্যতাকে তুলে ধরে এবং তারা যে আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে আগামী দিনে কাজ করতে পারবে এ প্রত্যাশাও আমাদের মাঝে জাগায়।
উল্লেখ্য, পরিশেষে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরকে তাদের নিজেদের তৈরী সরা পেইন্টিং উপহার দেয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি