অর্থনীতি
রাজধানীতে ২৩৩০ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন নেই
রাজধানীতে দুই হাজার ৩৩০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের কর ও ভ্যাট নিবন্ধন নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে দেওয়া এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে সোনা ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটি।
চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীতে কর ও ভ্যাট নিবন্ধন বিহীন অসংখ্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমাদের ধারণা এসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান সরকারের কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
বাজুস মনে করে এসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানকে কর ও ভ্যাটের নিবন্ধনের আওতায় আনা হলে উল্লেখযোগ্য হারে রাজস্ব আহরণ সম্ভব।
বাজুস সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়ের পাঠানো এ চিঠিতে সরকারের রাজস্ব আহরণের আওতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা এনবিআর চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টেবিলের নিচে টাকা দেওয়ার চেয়ে বাড়তি ভ্যাট ভালো: অর্থ উপদেষ্টা
টেবিলের নিচে টাকা দেওয়ার চেয়ে বাড়তি ভ্যাট ভালো বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে রিফর্মস ইন কাস্টমস ইনকাম ট্যাক্স অ্যান্ড ভ্যাট ম্যানেজমেন্ট টু অ্যাড্রেস দ্য এলডিসি গ্রাজুয়েশন শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভ্যাট প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাড়তি ভ্যাট দিলেও অন্যদিক থেকে কিন্তু সুবিধা মিলবে। ব্যবসায়ীদের নানান খাতে কয়েকটি জায়গায় বাড়তি টাকা দিতে হবে না। শুধু ভ্যাটেই সীমাবদ্ধ থাকবে, আমরা সে কাজই করছি। এখন কিন্তু ঢাকা-বগুড়া ট্রাক ভাড়াও কমেছে। একটু ধৈর্য ধরেন। আমরা বাড়তি ভ্যাট নিয়ে মাতারবাড়ী পোর্ট করছি। উন্নয়ন প্রকল্পে টাকা খরচ করছি। আমরা ভ্যাট নিয়ে নিজের পকেট ভারী করবো না। জনগণের জন্য কাজ করছি।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু রিফর্ম করে যাব জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ রিফর্মগুলো আমরা করবো। আমার মনে আছে ২০ হাজার টাকা ঘুস দিয়ে এক সময় টেলিফোন লাইন নিয়েছিলাম। যাতে ঘুস না দিতে হয় সেজন্য আমরা রিফর্ম করে যাবো। ট্যাক্স, পলিসি ও ভ্যাটের রিফর্ম করবো। ভ্যাটের বিষয়ে অনেকে অনেক কথা বলছে, আমরা কিন্তু রিফর্ম করবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: অর্থ উপদেষ্টা
দেশে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়াতে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত ‘ব্যবসায় ও বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য নীতি সামঞ্জস্য’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অ্যামচাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এরিক এম ওয়াকার বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ, পরিকাঠামো এবং নীতিমালা উন্নত করতে হবে। যাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রতিযোগিতা বাড়ে।
সংলাপে নীতিমালা সংশোধন, কর সহজীকরণ, বিনিময় হার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুতির লক্ষ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম উন্নয়নে চলমান সংস্কারে গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে মিস্টার ফরেস্ট ই. কুকসন, অ্যামচেমের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমদসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এনবিআর, ইপিবি, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, বিডা, বিএসটিআই, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বিইআই এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস কে সুরের লকারে কেজির বেশি স্বর্ণ, বান্ডিল বান্ডিল ডলার-ইউরো
বাংলদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) ভোল্টে পাওয়া গেছে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১ কেজি ৫৪ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর।
টানা সাড়ে নয় ঘণ্টার অভিযান শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের তথ্য মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এস কে সুরের তিনটি লকারে অভিযান চালিয়ে এক কেজি স্বর্ণ, এক লাখ ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সবমিলিয়ে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এসকে সুরের লকার খুলতে দুদকের সাত সদস্যের একটি টিম আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় উপস্থিতি ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা সালেহা নুর। টানা সাড়ে ১০ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে অভিযান সমাপ্ত করা হয় রাত ৯টা ২০ মিনিটে।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান বলেন, দুদকের অনুমোদন ক্রমে এসকে সুরের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদের তথ্য থাকায় তার সম্পদের হিসাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি হিসাব জমা দেননি। এজন্য আমরা তার সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য তার বাসায় অভিযান চালাই। অভিযানে তথ্য পাওয়া যায় তার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লকারে মালামাল রয়েছে। তার ভিত্তিতে আদালতের অনুমোদন ক্রমে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে তল্লাশি করা হয়। সারাদিন তল্লাশি শেষে এক কেজি ৫ গ্রাম স্বর্ণ, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পেয়েছি। যেসব এফডিআর পাওয়া গেছে তা তার নামে নয়। যেসব অ্যাকাউন্টে আছে তা আমরা যাচাই করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা যা পেয়েছি তার ২২ পাতার একটি জব্দ তালিকা তৈরি করেছি। সোমবার আদলতে উপস্থাপন করবো। যে সম্পদ পাওয়া গেছে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। আদালত পরবর্তীতে যে ধরনের নির্দেশ দিবেন সেভাবে কাজ করবো। এছাড়া পরবর্তীতে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হবে এসব বৈধ আয়ের অন্তর্ভুক্ত কিনা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আমজাদ হোসাইন খান বলেন, আজকে আদলতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্রিয়া মেনে লকারে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। যেসব সম্পদ পাওয়া গেছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের জিম্মায় রয়েছে। আদলতের নির্দেশনা মেনে সরকারের কোষাগারে অস্থায়ীভাবে এসব সম্পদ জমা দেওয়া হবে। অথবা আদালত যে নির্দেশনা দিবে তা পালন করা হবে।
এর গত ১৯ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক। পরে সংস্থাটি জানতে পারে, সেটি ভল্ট নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যবান সামগ্রী রাখার লকার (সেফ ডিপোজিট)।
এরপর দুদক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া চিঠিতে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর ও হস্তান্তর না করতে বলে। ২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা থেকে দুদককে ফিরতি চিঠি দিয়ে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর স্থগিত করার তথ্য জানায়। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে বিধি অনুযায়ী ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত মূল্যবান সামগ্রী তাদের নিজ নামে প্যাকেট অথবা কৌটায় নিজ দায়িত্বে সিলগালাযুক্ত অবস্থায় জমার তারিখ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত রাখা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনিচ্ছাকৃত খেলাপিদের অর্থনীতিতে পুনর্বাসন চায় ব্যবসায়ীরা
যারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি নয়, তাদের জন্য নীতিসহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে পুনর্বাসনের সুপারিশ করেছে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদের হার স্থিতিশীলসহ ডলারের যোগান স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভায় এসব সুপারিশ তুলে ধরেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প-কারখানাকে নীতিসহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি মোকাবিলায় উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান, সময়মতো এক্সপোর্ট বিল পরিশোধ, এসএমই এবং কৃষি খাতের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণসহ দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় প্রতিনিধিরা।
মতবিনিময় সভায়, স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখতে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংক নিবিড়ভাবে কাজ করছে। অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা আহ্বান করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, আব্দুল হক, মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (খোকন), প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হক, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, সাধারণ পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন নয়ন ও মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা
নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২৫ দিনে ১৬৭ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২০ হাজার ৪৪৭ কোটি ২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসছে প্রায় ৮১৮ কোটি টাকার বেশি। এভাবে এলে চলতি মাসেও রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের টানা ৭ মাস দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৫ দিনে এসেছে ১৬৭ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। আলোচিত সময়ের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৪ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৪৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
এর আগে সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বেশি।
একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাই ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বরে) এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা ছিল গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার।
এসএম