ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফী অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। দাবি মেনে না নেয়া হলে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভাগটির পূর্বের নাম ছিল জিওগ্রাফী অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট। পরে নাম পরিবর্তনের দাবি জানালে স্বাক্ষর জালিয়াতির করে ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফী’ নামকরণ করা হয়। এটি অত্যন্ত নেক্কারজনক ঘটনা। এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমরা পাঁচ মাস যাবৎ আন্দোলন করে যাচ্ছি বিভাগের নাম পরিবর্তন ও সেশনজট নিরসনের জন্য। পাঁচ মাস ধরে আমরা প্রতিনিয়ত মাঠে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু এর কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়বো না। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের যে কোনো সিদ্ধান্তে দায়ভার নিতে হবে প্রশাসনের।
এসময় তাঁরা আরও বলেন, আমাদের ৫ মাসের এই আন্দোলন নিয়ে আর তালবাহানা চলবে না। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগ বৈষ্যম্যের শিকার হয় তা হচ্ছে আমরা। আমরা চাই আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের প্রাণের দাবি বিভাগের নাম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে পরিবর্তন করা হোক।
এবিষয়ে বিভাগের সভাপতি জানান, নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেন তাই হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে প্রশাসন দেখবে। যেহেতু প্রশাসনের বিষয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৯৮ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিলো ছাত্রশিবির

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ৩টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে ‘অদম্য মেধাবী সংবর্ধনা’ প্রদান করা হয়েছে। এ সময়, জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ‘মেধা ও সততায় গড়ব সবার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের মোট ৯৮ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও উপহার দেন ছাত্রশিবির। এ সময় নেতারা শিক্ষার্থীদের না বলা গল্পগুলো দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার কর্মী ইবনু আহমেদ বলেন, আমাদের পথচলা যেন আরও মসৃণ হয়, আমাদের পথচলা সহজ করতে আপনারা স্বপ্ন সারথি হয়ে কাজ করুন। আমাদের রাজনৈতিক অধিকার নেই, আমরা আমাদের কথাগুলো প্রকাশ করতে পারি না। আমি আবেদন জানাই, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গড়তে আমরা যেন সমানভাবে সুযোগ পাই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, একজন সাধারণ মানুষ যেমন সুবিধা ভোগ করে, তারা যেমন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেতে পারে তেমনই আপনারাও বঙ্গভবন, গণভবন ও জাতীয় সংসদে যাবেন ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির আপনাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
প্রধান অতিথি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, হোমার ছিলেন অদম্য, তাকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আটকে রাখতে পারেনি। হেলেন কিলার এবং স্টিফেন হকিংও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ ছিলেন না। কিন্তু এই ৩ জনই সারা বিশ্বে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়েছেন। তারা তাদের কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাদের আটকাতে পারেনি। আমি আশাবাদী, তোমরাও তাদের মতো কাজের মাধ্যমে দেশবিদেশে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, একসময় এই ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব ছিল। ক্যাম্পাসে লাশের মিছিল হতো। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসে সম্প্রতি বজায় আছে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে, আল্লাহর বাণী উচ্চারিত হচ্ছে। ছাত্রশিবির তাদের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এমন একটা মহৎ কাজ করছে সেজন্য তাদের শুভকামনা জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আসতে আপনাদের অনেক বাঁকা কথা সহ্য করতে হয়েছে। তবুও আপনাদের অদম্য ইচ্ছা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করছেন। আপনাদের সামনের দিনগুলো যেন আরও সহজতর হয় সেই কামনা করি। এসময় তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন এবং তাদের প্লাটফর্মকে শক্তিশালী করার জন্য শিবিরের ৩টি সেক্টর কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দামের সঞ্চালনায় বুয়েটের অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা নজরুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বায়োমেড ইনোভেটস’র যাত্রা শুরু

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নতুন সংগঠন বায়োমেড ইনোভেটস এর নতুন কমিটি প্রদান করা হয়েছে। এ কমিটিতে বায়োমেড’র সভাপতি হিসেবে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. ইয়াকুব আলী দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তথ্যটি জানা যায়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে মো. মাহফুজুর রহমান শাকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনায়েম খান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ইসমাতুল ফেরদৌস লিভা, যুগ্ম সাংগঠনিক হিসেবে সম্পাদক মাশরুর আলম কাব্য, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ফয়সাল আহমেদ, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আফরা আঞ্জুম জেনিন, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে উনিত চকমা শুভ্র, প্রচার সম্পাদক হিসেবে মো. শিহনজার রহমান মাহিম, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক হিসেবে মো. শাকিব আল হাসান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে মো. তৌহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক হিসেবে শাহারিয়ার হাসান সাকিব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে সুরাইয়া সুলতানা আনিকা দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ছাড়াও নির্বাহী সদস্যরা হলেন মো. আসিফ সিদ্দিক জিম, সেলিম খান, লাবিব রহমান, মো. সায়েম হোসেন, সুমাইয়া আক্তার।
এবিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশনে বিএমই (বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বর্তমানে এখানে সাতটি সেশনের কার্যক্রম চলছে। এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ‘BME Innovates’ ক্লাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পূর্ণ হচ্ছে, যা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করবে।
এবিষয়ে সহ সভাপতির মো. মাহফুজুর রহমান শাকিল বলেন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫৯তম একাডেমিক মিটিং এর মাধ্যমে “বায়োমেড ইনোভেটস” ক্লাব টির যাত্রা শুরু, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আজকের এই আয়োজনটি আমাদের বিভাগের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বায়োমেড ইনোভেটস ক্লাবের উদ্দেশ্য হলো বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ধারণা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনাকে একত্রিত করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও নতুন চিন্তার বিকাশ ঘটানো। এই ক্লাবের মাধ্যমে ছাত্ররা তাদের পড়াশোনার সাথে বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য জ্ঞান অর্জন করতে পারবে, এবং ক্লাবটি তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রকল্প এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নব সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রম যদি ক্লাবের মাধ্যমে করা যায় তাহলে সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরো সহজভাবে এবং সবার উপস্হিতিতে ভালোভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করা যাবে।বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ রিসার্চের দিকে বেশ অগ্রাণী ভূমিকা পালন করতেছে।সেক্ষেত্রে ক্লাবের মাধ্যমে আমরা যদি সকল শিক্ষার্থীদের কে সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে রিসার্চ এর দিকে আরো বেশী এগিয়ে যেতে পারবো। এছাড়াও খেলাধূলা সহ অন্যান্য বিভিন্ন কার্যক্রম ক্লাব এর মাধ্যমে করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ৫৯তম একাডেমিক সভায় ১৯ সদস্যের কমিটি অনুমোদনের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিএমই ফেস্ট, সেমিনার, প্রোগ্রামিং ওয়ার্কশপ, গবেষণা সেমিনার এবং স্পোর্টস উইক আয়োজন। এই সব উদ্যোগ বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অগ্রগতি ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

‘সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার এই আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ণাঢ্য এক র্যালির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে র্যালিটি সমবেত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি এ বি এম জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী সহ ইবি ল্যাবরোটারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক মোছা. শাহনাজ বেগম বলেন, সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার এই আমাদের অঙ্গীকার। একটা লাইব্রেরীর প্রাণ হলো তার পাঠক। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো আপনারা বেশি বেশি গ্রন্থাগার এসে এটিকে প্রাণবন্ত গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তুলবেন। সীমিত সম্পদের ব্যবহার নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। লাইব্রেরীতে সবাই আসুন সেবা নিন, আমাদের ভুল ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে বা পরামর্শ দিন।
কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,পাঠককে লাইব্রেরীতে যেতে হয়। বর্তমান যুগে ছাত্ররা মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন লাইব্রেরী সার্চ করে বই পড়ে। আমরা এদিক থেকে একটু পিছিয়ে আছি। আশা করি আগামী দিনগুলোতে আমরা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইব্রেরীকে পরিচালনা করতে পারবো। প্রশাসনের এদিকে নজর আছে এবং লাইব্রেরীকে সে আদলেই গড়ে তুলবো।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, আমাদের লাইব্রেরীর বিভিন্ন সিস্টেম তেমন উন্নত না, সেগুলো উর্ধ্বতন করার জন্য শক্তিশালী কমিটি গঠন করে প্রস্তাব সুপারিশ করা দরকার। উপাচার্য, ট্রেজারার,আমি মিনিস্ট্রিতে গিয়েছি লাইব্রেরীকে বর্ধিত করার জন্য। দশতালা বর্ধিত ভবন নির্মাণ করা হবে। আমি মনে করি পশ্চিম-উত্তর বঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী হবে বাংলাদেশের সেরা লাইব্রেরী।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষক হামলার প্রতিবাদে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান স্যারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। পরবর্তীতে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর নিকট স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণদিত ভাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামানের হামলা করা হয়। আজকে একজন শিক্ষকের গায়ে হাততোলা হয়েছে। প্রক্টর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বচ্চ আইন কর্মকর্তা। তার গায়ে হাততোলা তোলা মানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে হাততোলা। যেখানে আজকে প্রক্টর স্যারের উপরে হালমা হয়েছে কাল ভিসি স্যারের উপর হামলা করবে না এটার ব্যাখ্যা কী? এটা যদি বিচার না করা হয় ভবিষ্যতে তার আরো সাহস পাবে, আরো বড়কিছু করার চেষ্টা করবে।
পরবর্তীতে স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে দুইটি বিভাগের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান স্যারের উপর কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে, আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরই নন, তিনি একইসাথে ইইই বিভাগের বর্তমান সভাপতি। আমাদের শিক্ষক তথা বিভাগীয় সভাপতির উপর এমন বর্বরোচিত হামলা সমস্ত শিক্ষক সমাজের জন্য অবমাননাকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় থাকলে তবেই একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। শিক্ষকের উপর এই ধরনের হামলা আমাদের সেই বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে।
আমরা ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি যে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। ভবিষ্যতে যাতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়েও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আপনার নিকট জোড় দাবি জানাচ্ছি।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্বশীল যিনি তার উপর যখন হামলা হয় স্বাভাবিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নবৃদ্ধ হয়। তোমার ইতো মধ্যে জেনেছো এ এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।অতি দ্রুতই তোমাদের দাবির একটা সমাধান আসবে। তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তোমরা একটু ধৈর্য ধারণ করো। তোমাদের দাবির সাথে আমরা একমত। তদন্তে যারা দোষী সাবস্ত হবে তাদের উপর প্রশাসন অবশ্যই সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব বলেন, তোমারা একটি মহানুভবতার কাজ করেছো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এই প্রথম শিক্ষক হামলার বিচার চেয়ে জোড়ালো প্রতিবাদ করেছো। সুষ্ঠু তদন্ত করে এই ঘটনার দৃষ্টিান্তমূলক বিচার হবে। যা বিশ্ববিদ্যালের ৪০ বছরও হয়নি এমন বিচার করবে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচারের কিছুটা হেরফের মনে হলে প্রয়োজনে আমরা বিচার বিভাগীয় পর্যন্ত নিয়ে যাব।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আমরণ অনশন ভাঙলেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা

আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে সরকার পদক্ষেপ নেবে- এমন আশ্বাসে আমরণ অনশন ভাঙলেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান, সরকারি তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মন্ডলের উপস্থিতিতে তারা অনশন ভাঙেন। এসময় অধ্যক্ষকে অনশনরত শিক্ষার্থীকে প্যাকেটজাত আমের জুস পান করিয়ে দিতে দেখা যায়।
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, আজকের আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল সাত কলেজের স্নাতক শ্রেণির একটি বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা আছে। সেটি স্থগিতের ঘোষণা দিতে হবে। তবে অধ্যক্ষ বিষয়টি তার এখতিয়ারে নয় বলে এসময় শিক্ষার্থীদের জানান।
একইসঙ্গে, উপস্থিত যুগ্ম সচিবকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়ন করার দাবি জানান। এর উত্তরে যুগ্মসচিব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হবে, এমন আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোন সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।