ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘নাতি-নাতনি’ কোটা বাদ
মুক্তিযোদ্ধাদের ‘নাতি-নাতনি’ কোটা বাদ দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এই ভর্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে। বিষয়টিকে যৌক্তিক সংস্কার হিসেবেই দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাবির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় কোটার যৌক্তিক সংস্কার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিণত করতে চাই।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পরীক্ষা।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৭টি বিভাগীয় শহরে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৪ জন। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোতে শনিবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫৪ হাজার ৪৯৬ জন।
এ বছর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। অর্থাৎ, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষার কোটা সংস্কারসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
গত বছর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এই ইউনিটে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তার মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন জন পাস করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাকা অবরোধের ঘোষণা ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ঢাকা শহর অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৩টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।
সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পারসন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বৈরাচারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবি ছিল চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেটি করেনি। উল্টো ধারণক্ষমতার অধিক শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা এসব নিয়ে বিভিন্ন মহলে স্মারকলিপি দিয়েছি। সব শেষ ঢাবি প্রো-ভিসি (শিক্ষা) আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন। এর প্রতিবাদে আমরা নীলক্ষেত তোরণের নিচে অবস্থানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পুলিশ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, সাত কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদের বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা শহর অবরোধ করা হবে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন।
এর আগে রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ধাওয়া দিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত এলাকা পার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে অবরোধ তুলে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে আরও শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির প্রো-ভিসির বাসভবন অভিমুখে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুনের (শিক্ষা) অসদাচরণের অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে তার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর আগে ঢাবির প্রো-ভিসিকে শিক্ষার্থীদের কাছে ১ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার বেশি সময় সড়ক অবরোধ করে রাখার পর এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ঢাবির প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল রহমান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান এবং ঢাবি প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুনের (শিক্ষা) অসদাচরণে জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে তার বাসভবন ঘেরাও করা হবে। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং আমাদের সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে হবে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোষণা দেওয়া পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে ঢাকা কলেজের বিভিন্ন হলপাড়া ঘুরে আরও শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে ঢাবি প্রো-ভিসি অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।
এর আগে প্রথমে ঢাকার টেকনিক্যাল মোড় ও সায়েন্সল্যাব এলাকায় মিরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে টেকনিক্যাল মোড়, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ঢাবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এর জেরে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়ক- টেকনিক্যাল মোড় ও সায়েন্সল্যাব সড়ক অবরোধ করেন।
ঢাবি প্রোভিসির ক্ষমা চাওয়াসহ ৫ দফা দাবিতে সায়েন্সল্যাব অবরোধ করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
২. শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।
৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
৪. নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।
৫. সাত কলেজের ভর্তি ফি’র স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফি’র টাকা জমা রাখতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবির স্থগিতকৃত প্রাথমিক আবেদন শুরু কাল, আবেদন ফি ২২ টাকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক ও স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্থগিতকৃত প্রাথমিক আবেদন আগামীকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি)। এবারের প্রথমিক আবেদন ফি ২২ টাকা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ প্রশাসক প্রফেসর আখতার মজুমদার।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থগিতকৃত প্রাথমিক আবেদন ২৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে তা ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে।
এতে আরও জানানো হয়, চূড়ান্ত আবেদন তিন ধাপে যথাক্রমে ১১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। ভর্তি পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত ‘বি’ ইউনিট ১২ এপ্রিল, ‘এ’ ইউনিট ১৯ এপ্রিল ও ‘সি’ ইউনিট ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুর-এ অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্বে প্রাথমিক আবেদন ফি ৫০ থাকলেও এবারের প্রথমিক আবেদন ফি ২২ টাকা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও প্রযোজ্য শর্ত জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd থেকে।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বইমেলায় আসছে ইবি শিক্ষার্থীর লেখা ‘আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক রহস্য’
অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ আসছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী কামরুল ইসলামের প্রথম নতুন বই ‘আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক রহস্য’। বইটি ‘ঘাসফুল’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। শিগগিরই বইটির প্রি-অর্ডার ও রকমারিসহ অন্যান্য অনলাইন বুকশপে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন লেখক।
লেখক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। লেখকের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তার লেখালেখি শুরুটাই হয়েছে পবিত্র কুরআনের নামকরণ দিয়ে। তিনি লেখালেখিকে ইসলাম প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন।
‘আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক রহস্য’ বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, এটি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাধর্মী বই। বইটিতে লেখক কুরআনের বৈজ্ঞানিক আয়াতগুলোর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা হয়। একজন বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষ যদি কুরআন পড়তে চায় সে কুরআনে বিজ্ঞান খুঁজে পাবে। একজন দার্শনিক যদি কুরআনে তার দর্শনের উত্তর খোঁজে সে তা পাবে। একজন কুরআন প্রেমী মানুষ তার কুরআন জানার পিপাসা মেটাতে পারবে। একজন জ্ঞান পিপাসু মানুষ কুরআন পড়লে তার জ্ঞানের ভাণ্ডার পূর্ণ হবে। পবিত্র কুরআনে যে যেটা খুঁজবে সে সেটা পেয়ে যাবে। যদি কেউ আরবি ভাষার অলংকার করতে চায় কুরআন পড়লেই পেয়ে যাবে।
লেখকের মতে, কুরআনে শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদির কথাই নেই, আছে বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল, বায়োলজি, ক্যামিস্ট্রি। তাই কুরআনকে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে; একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এর সামান্য কিছু রহস্য তুলে ধরেছেন। আশা করি বইটি এর পাঠকের প্রতি আরো আকৃষ্ট করবে।
লেখনী ধারা অব্যাহত রাখবেন এবং পরবর্তী বছরের গল্পের বই বের করবেন বলে জানিয়েছেন লেখক।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের অভিযোগ ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হক। ভুক্তভোগীরা একই বিভাগের শিক্ষার্থী।
এনিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি প্রশাসনিক তদন্ত ও সুষ্ঠু সমাধানের নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বরাবর অভিযোগ পত্র জমা দেয় বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ পত্র গ্রহণ করে পরবর্তী পদক্ষেপে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হকের বিভিন্ন ল্যাব কোর্সের খাতা দেখেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কতিপয় কিছু শিক্ষার্থী। পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশের আগেই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবুল বাশার, আশিকুর রহমান রাব্বি ও অনিক হোসাইন পরীক্ষার খাতায় বানান ভুল, কে কত মার্কস পেয়েছে, কে ফার্স্ট হয়েছে এই সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো প্রকাশের মাধ্যমে নিজেদের দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন। আবুল বাশারের বিরুদ্ধে রয়েছে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ছাদে ডেকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগও। বিভাগীয় সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হকের ফিজিক্যাল জিওগ্রাফী ল্যাব কোর্সের ক্লাস বরাবরই এই কতিপয় শিক্ষার্থীরা নিয়ে থাকেন। সেই ক্লাসে তারা শিক্ষকদের মত আচরণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মানসিক নির্যাতন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হকের এসাইন ল্যাব কোর্স (GIS ল্যাব, শিক্ষাবর্ষ: ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ফিজিক্যাল জিওগ্রাফি ল্যাব, শিক্ষাবর্ষ: ২০২১-২২, ২০২২-২৩) গুলোর খাতা ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এই কতিপয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে তিনি দেখান এবং এ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বিভাগে একটি সুস্পষ্ট পাওয়ার প্রেক্টিস চালান। ২০১৯-২০ হতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এই অনিয়মের শিকার হয়েছে যা ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলেছে। এই প্রক্রিয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থীদের মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন নিশ্চিত হয় না। পরীক্ষার ফলাফলে পক্ষপাতিত্ব ও ভুল সিদ্ধান্তের ঝুঁকি তৈরি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের ২০১৯-২০ হতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কাছে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিক হোসাইনের একটি অডিওবার্তাও রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হক বলেন, আমি অভিযোগের বিষয়ে এখনও অবগত না। শিক্ষার্থীদের কাছে প্রমাণ থাকলে ফেস টু ফেস সমাধান করার জন্য প্রস্তুত। খাতার মূল্যায়ন বলতে এখানে ল্যাবের বিষয়টা একটু ভিন্ন। যেহেতু পর্যাপ্ত শিক্ষক ও স্টাফ নাই, সুতরাং মাঝমধ্যে মাস্টার্সে পড়ুয়া সিনিয়রদের সহযোগিতা নেয়া হয়। ফাইনাল খাতা শিক্ষার্থীদের ধরাছোঁয়ার বাহিরে। যদি মূল খাতার বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে ভিত্তিহীন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম