আন্তর্জাতিক
বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র
বিদেশে প্রায় সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথিতে এই তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করার পরই এই বিদেশি সহযোগিতা বন্ধের বিষয়টি সামনে আসে।
ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যেসব বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা খতিয়েও দেখা হচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নোটিশে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই স্থগিতাদেশ জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিশরের জন্য সামরিক তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
নথি অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ‘পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নতুন তহবিল অনুমোদিত হবে না বা বিদ্যমান কোনো চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না’। একইসঙ্গে চলমান প্রকল্পের কাজও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না পর্যালোচনা শেষ হয়।
কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পর্যালোচনার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট চুক্তির শর্তানুযায়ী কর্মকর্তারা যেন অনতিবিলম্বে ‘কাজ বন্ধের নির্দেশনা জারি করেন’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের নথি অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন পররাষ্ট্রনীতি নিশ্চিত করতে সব বিদেশি সাহায্যের বিস্তারিত পর্যালোচনা আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই পর্যালোচনা ৮৫ দিনের মধ্যে শেষ হবে এবং তা নিশ্চিত করবে যে সব সাহায্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘বিদেশে আমাদের ব্যয় শুধু তখনই হওয়া উচিত, যদি তা আমেরিকাকে নিরাপদ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই নোটিশ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বিদেশি সাহায্য কর্মসূচির ওপর অনেক বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ার কথাটি একবার ভাবুন। এটি অনেক বড় একটি বিষয়।’ বলছিলেন জশ পল। যিনি ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত অস্ত্র সরবরাহে কংগ্রেসের সম্পর্ক দেখভাল করতেন।
মধ্যপ্রাচ্যে ইউএসএইড মিশনের সাবেক পরিচালক ডেভ হার্ডেন বলেন, এই পদক্ষেপ ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’, যা বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে মানবিক এবং উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচিগুলোকে স্থগিত করে দিতে পারে।
তিনি জানান, বিদেশি সহায়তা বন্ধের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পানীয় জল, স্যানিটেশন এবং আশ্রয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পে পড়তে পারে। ‘এটি শুধু সাহায্য স্থগিতই নয়, বরং ইতোমধ্যে দেশটির অর্থায়নে চলমান চুক্তিগুলোর কাজ বন্ধেরও নির্দেশ প্রদান করে।’- যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই অর্থায়ন স্থগিতের প্রভাব ইউক্রেনেও পড়তে পারে। যেখানে আগে থেকে প্রচুর অস্ত্র সহযোগিতা দেয়া হয়েছিল। সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময়ে ইউক্রেন অস্ত্র সহায়তায় বড় অংকের সহযোগিতা পেয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও স্বাক্ষরিত নথিতে সহায়তা স্থগিতের পক্ষে যুক্তি বলা হয়েছে, ‘বর্তমান বিদেশি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি ‘কার্যকর কিনা, পুনরাবৃত্তিমূলক কি না এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা মূল্যায়ন করা অসম্ভব।’
তবে জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য তিনি ছাড়পত্র জারি দিয়েছেন। অর্থাৎ গাজা ও অন্যান্য যে সব জায়গায় খাদ্য সংকট চলছে সেখানে জরুরি খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপটি এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অস্ত্রবিরতির পর মানবিক সাহায্য বৃদ্ধি পেয়েছে ও সুদানের মতো বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের ঘটনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্যের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগও করা হয়েছিল।
মার্কিন সরকারের নীতিতে নিজের প্রভাব রাখতে প্রেসিডেন্টদের মূল হাতিয়ার এক্সিকিউটিভ অর্ডার বা নির্বাহী আদেশ। ক্ষমতা নেয়ার পর সেই হাতিয়ার ব্যবহারে এক মুহূর্তও দেরি করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরুতেই একশোর বেশি নির্বাহী আদেশে সই করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
নির্বাহী আদেশ কী ও কেন?
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাহী আদেশের ঝড় তুলবেন বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার আক্ষরিক বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন দেশটির ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট।
এক কথায় এক্সিকিউটিভ অর্ডার হলো যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া একটি লিখিত আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না।
অর্থাৎ, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জারি করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ বলে প্রেসিডেন্ট এই আদেশ জারি করার ক্ষমতা পান।
ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা একজন প্রেসিডেন্টের ওপর অর্পিত হবে।’
নির্বাহী আদেশের বদৌলতে সাধারণ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন নীতি নাটকীয়ভাবে পুরোপুরি উল্টে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে।
এই যেমন সোমবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এর ফলে জলবায়ু সংক্রান্ত আগের মার্কিন নীতির উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন তিনি।
এর আগে ২০১৭ সালে বিতর্কিত দুটি তেল পাইপলাইনের নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। যা পূর্বসূরী ওবামা প্রেসিডেন্সির নীতিগত অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। ওবামা আমলে ২০১৫ সালে ক্রিসমাস ইভে (বড়দিনের আগের সন্ধ্যা) সরকারি দপ্তরগুলো আধাবেলায় ছুটি দেয়ার মতো সাধারণ সিদ্ধান্তও নির্বাহী আদেশে পাল্টে দেয়ার নজির আছে ট্রাম্পের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) বিদ্রোহী এম২৩ গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাতিসংঘের ১৩ জন বিদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। নিহত শান্তিরক্ষীদের ৯ জনই দক্ষিণ আফ্রিকার।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনী বলেছে, ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় গোমা শহরে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার সময় তাদের ৯ জন সৈন্য মারা গেছেন। অন্যদিকে নিহত বাকি শান্তিরক্ষীদের তিনজন মালাউইয়ান এবং একজন উরুগুয়ের সৈন্যও রয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, সহিংসতা বন্ধ করার জন্য বৈশ্বিক আহ্বানের মধ্যেই তিনি ডিআর কঙ্গো এবং রুয়ান্ডা নেতাদের সাথে কথা বলেছেন।
বিবিসি বলছে, সংঘাত তীব্র হওয়ার সাথে সাথে জাতিসংঘ সমস্ত অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের গোমা থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। এই শহরে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন। এম২৩ গ্রুপ রক্তপাত এড়াতে গোমায় কঙ্গোলিজ সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে।
যদিও ডিআর কঙ্গো প্রতিবেশী রুয়ান্ডার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, বিদ্রোহের পেছনে সমর্থন দিচ্ছে বলে দেশটিকে অভিযুক্ত করেছে। এমন অবস্থায় ম্যাক্রোঁ শনিবার ডিআর কঙ্গো এবং রুয়ান্ডার নেতাদের সাথে পৃথক ফোনকলে কথা বলার সময় লড়াই বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে।
এদিকে কঙ্গোর সীমান্তে জড়ো হচ্ছে রুয়ান্ডার সেনারা। তারা যে কোনও সময় কঙ্গোতে হামলা চালাতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শনিবার জানিয়েছে, কঙ্গোর আঞ্চলিক রাজধানী গোমা দখলে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী এম২৩-কে সহায়তা করবে রুয়ান্ডার সেনারা। ইতোমধ্যে গোপনে কঙ্গোতে রুয়ান্ডার শত শত সেনা প্রবেশ করেছে।
এমন অবস্থায় সোমবার কঙ্গোর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক হবে। এর আগেই আঞ্চলিক রাজধানী গোমা দখলের পরিকল্পনা করছে রুয়ান্ডার সেনা ও সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
নাম গোপন রাখার শর্তে সংবাদমাধ্যম অবজারভারকে একটি সূত্র বলেছে, কঙ্গোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে রুয়ান্ডা তাদের সেনাদের সীমান্তে জড়ো করেছে। এছাড়া রুয়ান্ডার সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ সিনিয়র কমান্ডাররা দেশটির গিসেনি শহরে অবস্থান নিয়েছেন। যা গোমা সীমান্ত থেকে মাত্র এক মাইল দূরে অবস্থিত।
মূলত ২০১২ সালেও গোমা শহর দখল করেছিল বিদ্রোহীরা। ওই সময় ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে রুয়ান্ডা। তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীরা গোমা থেকে সরে গিয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বড় ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই ১০ লাখেরও বেশি মানুষের শহর গোমা দখল করতে চায় রুয়ান্ডা ও বিদ্রোহীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তিন প্রেসিডেন্টকে পাশে চান ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বরাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে পাশে চাইছেন। মূলত বাণিজ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে চুক্তি করতে দেশগুলোর প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কাজ শুরু করতে চান তিনি।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন। তার মতে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারলে বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এ ছাড়া রাশিয়া যদি শান্তিচুক্তিতে রাজি না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে ‘বুদ্ধিমান ব্যক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, কিমের সঙ্গে তার আগের বৈঠকগুলো ফলপ্রসূ ছিল। তিনি আবারও কিমের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। ট্রাম্প বলেন, ‘কিম আমাকে পছন্দ করেন। আমি বিশ্বাস করি , আবারও আলোচনায় বসলে আমরা পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পারব।’
এ দুই দেশের পাশাপাশি, চীনও ট্রাম্পের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। গত সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প । বাণিজ্য, টিকটক ও তাইওয়ান বিষয়ক আলোচনা ছাড়াও তারা পারমাণবিক অস্ত্র ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে। এর ফলে চীনের পণ্যে শুল্কারোপের দরকার পড়বে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বায়ুদূষণের কারণে ব্যাংককের ৩৫২ স্কুল বন্ধ ঘোষণা
কয়েক বছর ধরেই থাইল্যান্ডে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বায়ুদূষণ। এ বছর দেশটিতে দূষণের মাত্রা এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দেশটির রাজধানীর ব্যাংককের প্রায় সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের পর এবারই সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি পার করছে ব্যাংকক।
গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ব্যাংকক নগর কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে ৩৫০টি স্কুল বন্ধ থাকবে। এর আগে ২০২২ সালেও বায়ুদূষণের কারণে ব্যাংককে সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। খবর এএফপির।
বাসিন্দাদের জন্য দেওয়া এক বার্তায় ব্যাংকক নগর কর্তৃপক্ষ বলেছে, ব্যাংকক মেট্রোপলিটন প্রশাসন বায়ুদূষণের কারণে ৩১টি জেলার ৩৫২টি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়া ব্যাংককবাসীকে দাপ্তরিক সব কাজ বাড়িতে বসে করার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি রাজধানীতে ভারী যানবাহন চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।
বায়ুদূষণে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে আছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও। গত দুদিন ধরে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। প্রতি বর্গমিটারে এর পরিমাণ ১২২ মাইক্রোগ্রাম। এই ক্ষুদ্র কণা ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে ক্যানসার হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়বে কবে, জানালো জাতিসংঘ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন বা হু) আর থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতায় বসেই সে কথা ঘোষণা করেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকাণ্ড তদারককারী আন্তর্জাতিক সংস্থাটি থেকে বের হয়ে আসতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে আসতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে। আগামী বছর তথা ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারিতে সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাবে দেশটি। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) দ্বিতীয়বারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ট্রাম্প। শপথ অনুষ্ঠান শেষ করেই প্রায় ১০০টি নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। যার অন্যতম ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার সংক্রান্ত।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়, করোনা মহামারি ও অন্যান্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতা, জরুরি সংস্কার না করা এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীন হতে না পারার কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হল জাতিসংঘের এক বিশেষ অঙ্গ সংস্থা। এটি ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের জন্য কাজ করে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা প্রাথমিকভাবে ৯০টি জাতি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৪টি।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৮ সালে ডব্লিউএইচও প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর একটি মূল অংশ ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মোট তহবিলের ১৮ শতাংশ যোগান দেয় ওয়াশিংটন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কোনো সদস্য রাষ্ট্র বেরিয়ে যেতে চাইলে জাতিসংঘকে এক বছর আগে নোটিশ দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে সংস্থাটিকে নোটিশ দিয়েছে। নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক।
এ ব্যাপারে শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহার ইস্যুতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি পেয়েছি। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন ট্রাম্প। মহামারির সময়ই ২০২০ সালের জুলাইয়ে তিনি সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেন। কিন্তু জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কুনমিংয়ে বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট পরিষেবা চালু
চীনের কুনমিংয়ে প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশী প্রবাসীদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কনস্যুলেট জেনারেলের হলরুমে ই-পাসপোর্ট পরিষেবাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় কনস্যুলেট জেনারেলে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল মো. খালেদ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা পরিষেবা বিভাগের উপ-সচিব আশরাফ আহমেদ রাসেল, ই-পাসপোর্ট এবং অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক উইং কমান্ডার মো. আখতার-উজ-জামান এবং অন্যান্যরা এসময় বক্তব্য দেন। এটি সঞ্চালনা করেন কনস্যুলেটের প্রধান চ্যান্সেরি মো. বজলুর রশিদ।
বৈঠকে উইং কমরেড. মো. আখতার-উজ-জামান ই-পাসপোর্ট থাকার সুবিধা এবং এই পরিস্থিতিতে এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি প্রবাসীদের নিরাপত্তা এবং সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের সমস্যাগুলোর উপর জোর দেন। তিনি বর্তমান প্রযুক্তির উদাহরণ হিসেবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই পরিষেবা প্রোগ্রাম বিদেশে দেশের সুনাম উন্নত করবে।
কনসাল জেনারেল মো. খালেদ কুনমিং মিশনে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের সময়মত এবং নির্বিঘ্নে সমাপ্তির জন্য প্রকল্পের সকল অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ই-পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত পরিষেবা প্রদান সম্ভব করে তুলবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি এটিকে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর কনসাল জেনারেল কিছু আবেদনকারীকে ‘ই-পাসপোর্ট’ তালিকাভুক্তির স্লিপ প্রদান করেন। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কর্মকর্তা এবং কারিগরি দল, কনস্যুলেট কর্মী এবং কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশি প্রবাসীরা এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
এসএম