জাতীয়
সুইজারল্যান্ডে ৪ দিনে ৪৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুইস শহর দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভা এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব ইভেন্টের সময় কমপক্ষে ৪৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ডব্লিউইএফ চলাকালীন খুব ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন। এ সময় তিনি বেশ কয়েকজন সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, সুইজারল্যান্ডে হওয়া ডব্লিউইএফ শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে অধ্যাপক ইউনূস চারজন সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান, চারজন মন্ত্রী পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি, জাতিসংঘসহ কয়েকটি সংস্থার ১০ জন প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর বাইরেও ১০ জন ব্যবসায়ী ব্যক্তি, ৯ টি আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় যোগদেন। এছাড়াও ৮টি মিডিয়াতে সাক্ষাতকারসহ দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি।
২১ জানুয়ারি দাভোসে পৌঁছানোর পর থেকে, অধ্যাপক ইউনূস বার্ষিক সভায় বিশ্ব নেতাদের সাথে তার বিস্তৃত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে ব্যস্ত দিনগুলো কাটিয়েছেন।
২১ জানুয়ারি তার সফরের প্রথম দিনে, প্রধান উপদেষ্টা সাতটি ব্যস্ততার মধ্যে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সাথে বৈঠক করেন।
অধ্যাপক ইউনূস মিউনিখ সুরক্ষা সম্মেলনের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফ হিউসজেন, থাই প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতি জোসে রামোস-হোর্তা, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্যান্ডি এবং ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার স্টাবের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।
দ্বিতীয় দিনে (২২ জানুয়ারি), তিনি প্রায় ১৪টি অনুষ্ঠান এবং অনেক পার্শ্ব ইভেন্টে যোগ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান এবং বিশেষ কার্যনির্বাহী মন্ত্রী উলফগ্যাং শ্মিট; বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ; থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা; সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল পররাষ্ট্র বিভাগের ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিস; সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই সংস্কৃতি ও শিল্প কর্তৃপক্ষের চেয়ারপারসন শেখা লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম; জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস; কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি ফেলিক্স শিসেকেদি; জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রাক্তন মার্কিন বিশেষ দূত জন কেরি; প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার; এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার টার্কসহ অন্যান্যদের সাথে ডব্লিউইএফ-এ বৈঠক করেন।
অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ সম্মেলনের সময় ‘জলবায়ু ও প্রকৃতির অবস্থা’ শীর্ষক একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন এবং দাভোসের একটি হোটেলে সামাজিক উদ্যোক্তাদের জন্য শোয়াব ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তৃতীয় দিনে (২৩ জানুয়ারি), অধ্যাপক ইউনূস ১৪টি নির্ধারিত অনুষ্ঠান এবং অনেক পার্শ্ব কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তিনি মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেডের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ; সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক গ্লোবাল লজিস্টিকস প্রোভাইডার ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম; অধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড; ডেনিশ শিপিং এবং লজিস্টিক কোম্পানি এ.পি. মোলার – মারস্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মারস্ক উগলা; এবং বিশ্বব্যাংকের অপারেশনস বিভাগের এমডি আনা বিজের্ডের সাথে বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ডব্লিউইএফ শীর্ষ সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াব আয়োজিত একান্ত বৈঠকে যোগ দেন, এবং বৈঠকের ফাঁকে দাভোসের ক্লাইমেট হাবে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
সুইজারল্যান্ড সফরের শেষ দিনে প্রধান উপদেষ্টা সাতটিরও বেশি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এদিন শীর্ষ সম্মেলনের সময় আমেরিকান বিনিয়োগকারী রে ডালিও, মারিনো ম্যানেজমেন্ট এবং ডালিও ফ্যামিলি অফিসের প্রতিষ্ঠাতা, অধ্যাপক ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ ছাড়াও জেনেল গ্রুপের (রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল কোম্পানি) নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আমের আলীরেজা প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেন।
এর আগে, ২১ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগদানের জন্য জুরিখে পৌঁছান।
প্রধান উপদেষ্টা তার চার দিনের ব্যস্ত সফর শেষ করে শুক্রবার রাতে (সুইজারল্যান্ড সময়) জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে জুরিখ ত্যাগ করার কথা রয়েছে। তিনি ২৫ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিলামে উঠলো সাবেক ২৪ এমপির বিলাসবহুল গাড়ি
শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা বাতিলের পর অবশেষে নিলামে তোলা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক ২৪ সংসদ সদস্যের (এমপি) বিলাসবহুল গাড়ি। উচ্চ সিসির এসব গাড়ি বিক্রির টাকা জমা হবে সরকারি কোষাগারে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বিজন কুমার তালুকদার বলেন, আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে ই-অকশনের ওয়েবসাইটে আগ্রহীরা নিলামের ক্যাটালগ দেখতে পারছেন।
আজ থেকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত অনলাইনে দর জমা দিতে পারবেন। পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় দরপত্রের বাক্স খোলা হবে।
এবার মোট ৪৪টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে, যা আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেখার সুযোগ পাবেন নিলামে কেনার ক্ষেত্রে আগ্রহীরা। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর স্টেডিয়ামের বিপরীতে নতুন কার শেডে গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, জাপানের তৈরি ২৬টি ল্যান্ড ক্রুজার, পাঁচটি টয়োটা হ্যারিয়ার, দুইটি টয়োটা র্যাভ ফোর, একটি টয়োটা এস্কোয়ার ও চীনের তৈরি হেভি ডিউটি সিনো ডাম্প ট্রাক ১০টি নিলামে তোলা হয়েছে। গাড়িগুলোর মধ্যে ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজার একদম নতুন, যা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিরা এনেছিলেন।
দু’দফা চিঠির পরও আমদানি করা গাড়ি খালাস করিয়ে নেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা বাতিল হওয়ার পর গত পাঁচ মাসে মাত্র একজনই শুল্ক-কর দিয়ে একটি গাড়ি খালাস করেছেন।
কাস্টমস সুত্র জানায়, একটি গাড়ি আমদানিতে ৯৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্যরা। সব মিলিয়ে এই ২৪টি গাড়ি আনতে গিয়ে সাবেক এমপিরা খুইয়েছেন প্রায় ২৩ কোটি টাকা। এই টাকা তারা আর ফেরত পাচ্ছেন না। এখন কাস্টমস গাড়িগুলো নিলামে তুলে বিক্রি করে যা পাবে, তা জমা হবে সরকারি কোষাগারে।
গাড়িগুলোর সংরক্ষিত মূল্য ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে কাস্টমস। প্রথম নিলামে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি সর্বোচ্চ দরদাতা এই গাড়ি কিনতে পারবেন। এই হিসেবে প্রতিটি গাড়ি কিনতে ন্যূনতম ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা কর দিতে হবে। ২৫ শতাংশ করসহ গাড়ির সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
কাস্টমসের তালিকা অনুযায়ী, নিলামে তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি গাড়িটি আমদানি করেছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারের গাড়িটির আমদানি মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। গাড়িটির শুল্ক-কর প্রায় ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
নিলামে ওঠা সবচেয়ে কম দামি গাড়ি এনেছিলেন ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আনিসুজ্জামান। এক বছরের পুরোনো টয়োটা গাড়ির আমদানি মূল্য ৫৭ হাজার ডলার বা ৬৮ লাখ টাকা। গাড়িটির শুল্ক-কর আসে ৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ও জান্নাত আরা হেনরীর টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের দুটি গাড়ি বন্দরে এসে পৌঁছেছিল জুলাইয়ের শেষে। সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ১৪ আগস্ট দুজনেই তড়িঘড়ি করে অগ্রিম আয়কর বাবদ ৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে খালাসের উদ্যোগ নেন। তবে সংসদ ভেঙে যাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস তা আটকে দেয়। এই দুই গাড়িও নিলামে তোলা হচ্ছে।
যাদের গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে তাদের মধ্যে আরও রয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, অনুপম শাহজাহান জয়, সাজ্জাদুল হাসান, সাদ্দাম হোসেন (পাভেল), নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মোতালেব, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ, তৌহিদুজ্জামান, শাহ সারোয়ার কবীর, এস এ কে একরামুজ্জামান, এস এম আল মামুন, এস এম কামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান ও আখতারউজ্জামান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী ইইউ
বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা একটি চিঠিতে এ আগ্রহের কথা জানান।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত ও নতুন অংশীদারত্ব তৈরির সম্ভাবনা অন্বেষণের প্রস্তাব দেন। তন্মধ্যে একটি সম্ভাব্য ব্যাপক অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি সইয়ের বিষয়ও রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নববর্ষ-২০২৫ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অধ্যাপক ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের শুভেচ্ছা।’
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি উল্লেখ করেছেন, এই শুভেচ্ছা বার্তা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এসেছে।
এর আগে, গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভকামনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছিলেন, নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভ কামনা জানাচ্ছি। বাংলাদেশে খুব দ্রুত স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল
পার্ট অফ পে রানিং এলাউন্স (মাইলেজ) যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবির বিষয়ে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ (লোকো মাস্টার, গার্ড, টিটিই)। কিন্তু ২৭ জানুয়ারি দুপুর পার হলেও এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় কর্মবিরতিতে যেতে পারেন রানিং স্টাফরা। এতে সারাদেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময় কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, ২৭ জানুয়ারির মধ্যে মাইলেজ প্রদানসহ সব দাবি পূরণে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে রেলওয়ে কর্মকর্তা ও রেল মন্ত্রণালয়কে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে। আমাদের এ আন্দোলন তিন বছর ধরে চলছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে রেল মহাপরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (পার্সোনেল-৩) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ২৭ জানুয়ারি বেলা ১১টায় আমন্ত্রণ জানান। এতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে রেলের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা এ আলোচনা সভায় যোগ দেননি। কারণ আমরা জানি এ আলোচনা সভায় গেলে আমাদের কাছে আবারো তারা সময় চাইবে। অতত্রব আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ২৮ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির যে ঘোষণা দিয়েছি সেটি বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম বলেন, মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ৩ বছর ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকা এবং ধর্মঘট পালন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলপথ সচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসা হয়। কিন্তু এবার দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হবে সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় মাইলেজ সুবিধা সীমিত করতে রেল মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা বাদ দিয়ে তা সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবসের সমপরিমাণ করার কথা জানানো হয়। এছাড়া বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে রানিং স্টাফদের পেনশন ও আনুতোষিক ভাতায় মূল বেতনের সঙ্গে পাওয়া কোনো ভাতা যোগ করার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের রানিং স্টাফদের নিয়োগপত্রে বৈষম্যমূলক ১২ ও ১৩নং শর্ত বাতিল করে রেলওয়ে কোড ও বিধি বিধানের আলোকে আদেশ জারির দাবি জানানো হয়। কিন্তু কোনো দাবি তারা এখনো পর্যন্ত মানেননি। তাই রেল ভবনে আজকের সভায় আমাদের কোনো প্রতিনিধি যোগ দেয়নি। কারণ আমরা অতীতের মতো এবারো সচিব বা রেল কর্মকর্তাদের আশ্বাস শুনবো না।
পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) গৌতম কুমার কুন্ডু জানান, রানিং স্টাফ কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রেল ভবনে আজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এটিতো রেলভবন ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটিই আমরা জানাতে পারবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন: আইএসপিআর
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে বিদ্রোহী এম-২৩ গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৩ শান্তিরক্ষীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদে রয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ডিআর কঙ্গোতে চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদে রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মনুসকোর দুইজন সদস্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকান অঞ্চলের সামরিক বাহিনীর আরও কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।
সম্প্রতি কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং শান্তিরক্ষী বাহিনী এম২৩ বিদ্রোহীদের গোমা শহরের দিকে অগ্রসর হওয়া থামানোর জন্য প্রচণ্ড লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমা প্রায় ২০ লাখ মানুষের আবাসস্থল এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও নিরাপত্তা কেন্দ্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, এম২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুইদিনে তাদের নয়জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য এবং সাতজন দক্ষিণ আফ্রিকার উন্নয়ন সম্প্রদায় (এসএডিসি) বাহিনীর সদস্য।