আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়বে কবে, জানালো জাতিসংঘ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন বা হু) আর থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতায় বসেই সে কথা ঘোষণা করেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকাণ্ড তদারককারী আন্তর্জাতিক সংস্থাটি থেকে বের হয়ে আসতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে আসতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে। আগামী বছর তথা ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারিতে সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাবে দেশটি। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) দ্বিতীয়বারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ট্রাম্প। শপথ অনুষ্ঠান শেষ করেই প্রায় ১০০টি নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। যার অন্যতম ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার সংক্রান্ত।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়, করোনা মহামারি ও অন্যান্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতা, জরুরি সংস্কার না করা এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীন হতে না পারার কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হল জাতিসংঘের এক বিশেষ অঙ্গ সংস্থা। এটি ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের জন্য কাজ করে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা প্রাথমিকভাবে ৯০টি জাতি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৪টি।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৮ সালে ডব্লিউএইচও প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর একটি মূল অংশ ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মোট তহবিলের ১৮ শতাংশ যোগান দেয় ওয়াশিংটন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কোনো সদস্য রাষ্ট্র বেরিয়ে যেতে চাইলে জাতিসংঘকে এক বছর আগে নোটিশ দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে সংস্থাটিকে নোটিশ দিয়েছে। নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক।
এ ব্যাপারে শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহার ইস্যুতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি পেয়েছি। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন ট্রাম্প। মহামারির সময়ই ২০২০ সালের জুলাইয়ে তিনি সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেন। কিন্তু জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কুনমিংয়ে বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট পরিষেবা চালু
চীনের কুনমিংয়ে প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশী প্রবাসীদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কনস্যুলেট জেনারেলের হলরুমে ই-পাসপোর্ট পরিষেবাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় কনস্যুলেট জেনারেলে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল মো. খালেদ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা পরিষেবা বিভাগের উপ-সচিব আশরাফ আহমেদ রাসেল, ই-পাসপোর্ট এবং অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক উইং কমান্ডার মো. আখতার-উজ-জামান এবং অন্যান্যরা এসময় বক্তব্য দেন। এটি সঞ্চালনা করেন কনস্যুলেটের প্রধান চ্যান্সেরি মো. বজলুর রশিদ।
বৈঠকে উইং কমরেড. মো. আখতার-উজ-জামান ই-পাসপোর্ট থাকার সুবিধা এবং এই পরিস্থিতিতে এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি প্রবাসীদের নিরাপত্তা এবং সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের সমস্যাগুলোর উপর জোর দেন। তিনি বর্তমান প্রযুক্তির উদাহরণ হিসেবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই পরিষেবা প্রোগ্রাম বিদেশে দেশের সুনাম উন্নত করবে।
কনসাল জেনারেল মো. খালেদ কুনমিং মিশনে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের সময়মত এবং নির্বিঘ্নে সমাপ্তির জন্য প্রকল্পের সকল অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ই-পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত পরিষেবা প্রদান সম্ভব করে তুলবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি এটিকে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর কনসাল জেনারেল কিছু আবেদনকারীকে ‘ই-পাসপোর্ট’ তালিকাভুক্তির স্লিপ প্রদান করেন। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কর্মকর্তা এবং কারিগরি দল, কনস্যুলেট কর্মী এবং কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশি প্রবাসীরা এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িক স্থগিত
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনের সিয়াটলের একজন ফেডারেল বিচারক এ আদেশ দেন।
মার্কিন বার্তাসংস্থা সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিচারক জন সি. কফেনার এই আদেশের ফলে ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। তিন দিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্বাহী আদেশ জারি করার পর ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ইলিনয় ও ওরেগন রাজ্য থেকে মামলা করা হয়।
বিচারক বলেন, এটি একটি স্পষ্টতই অসাংবিধানিক আদেশ। ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো আইনজীবী কীভাবে এ ধরনের আদেশকে সাংবিধানিক বলে নিশ্চিত করতে পারেন, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়েই জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করার নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।
ওই আদেশ অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারির পর অবৈধভাবে বা শিক্ষা-পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে শিশুকে মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। এমনকি যেসব মা বৈধভাবে কিন্তু সাময়িক উদ্দেশ্যে (যেমন পর্যটন, শিক্ষার্থী বা সাময়িক কর্মী) যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন, তাদের সন্তানরাও নাগরিকত্ব পাবেন না যদি বাবাও অনাগরিক হন। তবে মা-বাবার কেউ মার্কিন নাগরিক হলে সন্তান জন্মের পরই মার্কিন নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবে।
আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি জানান, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস, এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।
ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর মামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি অঙ্গরাজ্য, দুটি শহর ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বেশ কয়েকটি সংগঠন। এরপর আদেশটি সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন আদালত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের সুসংবাদ দিলেন ট্রাম্প
অভিবাসন ইস্যুতে কঠোরতার মধ্যে নতুন সুসংবাদ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্প ট্রাম্প। তিনি জানান, এখন থেকে গ্রিন কার্ড তথা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদায় সমন্বয়ের জন্য আবেদনকারীদের করোনোর টিকার সনদ দেখাতে হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসনসংক্রান্ত পরিষেবা ইউএসসিআইএসের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈধ স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদায় সমন্বয়ের জন্য আবেদনকারীদের এখন থেকে আর করোনার টিকার প্রমাণ হিসেবে কোনো ধরনের নথি জমা দিতে হবে না। এ ধরনের বাধ্যবাধকতা মওকুফ করা হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়ার পরিধি বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। দুই বছর বা তার বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের প্রমাণ দেখাতে না পারা অভিবাসীরা এর আওতায় পড়বেন।
এদিকে প্রেসিডেন্টসিয়াল নির্বাচনের প্রচারণায় নেমে সেই ২০১৫ সাল থেকেই জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আওয়াজ তুলেছিলেন ট্রাম্প। ওই সময় একটি পলিসি পেপারে তিনি বলেছিলেন, অবৈধ অভিবাসনের সবচেয়ে বড় চৌম্বকীয় ক্ষেত্র হচ্ছে এই জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব। ২০২৩ সালে একটি ভিডিওতে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, গর্ভাবস্থার শেষ কয়েক সপ্তাহ হোটেলে কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান জন্ম দেন অভিবাসীরা। এভাবে নাগরিকত্ব বাগিয়ে নেওয়ায় এটিকে তিনি বার্থ টুরিজম বলেও বর্ণনা করেছিলেন।
একবার সন্তান জন্ম দেওয়ার পর স্বজনদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসে এসব অভিবাসীরা। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় চেইন মাইগ্রেশন, যা ফ্যামিলি-বেসড মাইগ্রেশন নামেও পরিচিত। প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এই জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও শেষ পর্যন্ত এমন কিছুই করেননি তিনি। কেননা ওই সময় কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ শুরু হয়েছিল। ট্রাম্প তার পুরো নজর সেই মহামারির পেছনে লাগিয়ে দেন।
জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার এই নিশ্চিয়তাকে হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। তার দাবি, বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ, যেখানে জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সির ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক বলছে, বিশ্বে প্রায় ৪০টি দেশ জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাকাউন্ট জোরপূর্বক ফলো করানো নিয়ে যা বলল মেটা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নেটওয়ার্ক ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের সত্ত্বাধিকারী সংস্থা মেটা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট ফলো করতে ব্যবহারকারীদের বাধ্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত সোমবারের অভিষেকের পর কিছু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন, তারা ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফলো করতে বাধ্য হয়েছেন।
মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বুধবার ব্যাখ্যা করেছেন, এই অ্যাকাউন্টগুলো হোয়াইট হাউস পরিচালনা করে এবং নতুন পদধারীদের প্রতিফলিত করতে সেগুলো হালনাগাদ করা হয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে লেখেন, ‘এই প্রক্রিয়া আমরা আগের প্রেসিডেন্ট বদলের সময়ও অনুসরণ করেছিলাম।’
এই অ্যাকাউন্টগুলো প্রেসিডেন্ট অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটসের সংক্ষিপ্ত রূপ পোটাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটসের সংক্ষিপ্ত রূপ ফ্লোটাস নামে পরিচালিত হয়। সংরক্ষিত অ্যাকাউন্টগুলোর পূর্ববর্তী সংস্করণে দেখা যায়, পোটাস ও ফ্লোটাস অ্যাকাউন্টগুলো আগে যথাক্রমে জো বাইডেন ও জিল বাইডেনের নাম ও অফিশিয়াল ছবি বহন করত।
স্টোন আরো বলেন, ‘যেহেতু এই অ্যাকাউন্টগুলো নতুন হাতে হস্তান্তর হচ্ছে, তাই ফলো ও আনফলো অনুরোধ সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।’
মেটার মুখপাত্র বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের সময় মানুষকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের কোনো অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট ফলো করানো হয়নি।’
গত সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প দ্রুতই বিভিন্ন নির্বাহী আদেশ ও নির্দেশ জারি করেন, যার মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহার ও মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা রয়েছে। তার অভিষেক অনুষ্ঠানে মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গ, নতুন প্রশাসনের উপদেষ্টা হিসেবে থাকা এক্সের প্রধান ইলন মাস্কসহ প্রভাবশালী টেক বিলিয়নেয়াররা উপস্থিত ছিলেন।
মেটার প্রতি আগে থেকেই সমালোচনামুখর ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় জড়িত ব্যক্তিদের ‘প্রশংসা’ করার অভিযোগে মেটা তাকে নিষিদ্ধ করেছিল।
ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সহায়তা করে বাইডেনের ছেলে হান্টার সম্পর্কে অভিযোগ ও করোনা মহামারির সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু কনটেন্ট দমনের জন্য মেটাকে অভিযুক্ত করেছিলেন। জাকারবার্গ এই সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন।
এ ছাড়া গত আগস্টে প্রকাশিত একটি বইয়ে ট্রাম্প লিখেছিলেন, যদি জাকারবার্গ ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন, তবে তাকে ‘জীবনের বাকি সময় জেলখানায় কাটাতে হবে’।
তবে নভেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়লাভের পর থেকে জাকারবার্গ তার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। জাকারবার্গ নভেম্বরের শেষের দিকে ট্রাম্পের মার-এ-লাগো বাসভবনে তার সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন এবং অভিষেক অনুষ্ঠানে এক মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন।
এ ছাড়া মেটা এই মাসের শুরুর দিকে জানায়, তারা তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রক্রিয়া বন্ধ করে এক্সের কমিউনিটি নোটসের মতো একটি পদ্ধতির দিকে এগোবে, যা ট্রাম্পের পূর্ববর্তী কিছু সমালোচনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। কম্পানিটির মতে, এটি তাদের ‘মৌলিক মুক্ত মতপ্রকাশের অঙ্গীকারে’ ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
সূত্র: বিবিসি, এএফপি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনে বিদেশি শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের অংশগ্রহণে শিক্ষা সফর
চীনের সানমিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী শীতকালীন শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য হলো, চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর ধারণা তৈরি এবং চীন ও অন্যান্য জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে উৎসাহিত করা।
গত ২০ থেকে ২১ জানুয়ারী দুই দিনব্যাপী শিক্ষা সফরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এন্ড এক্সচেঞ্জ অফিসের সহযোগিতায় স্কুল অফ ওভারসিজ এডুকেশন ফুচিয়ান প্রদেশের সানমিং শহরের ইউশি কাউন্টিতে আয়োজন করে।
শিক্ষা সফর চলাকালীন, প্রতিনিধিদলটি হাতে কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং তাদের বোধগম্যতা আরও গভীর করার জন্য গুইফং প্রাচীন গ্রাম, কনফুসিয়ান মন্দির, ঝুজি সাংস্কৃতিক উদ্যান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করে।
এসময়, তারা মিং এবং ছিং রাজবংশের প্রাচীন পারিবারিক সংস্কৃতি এবং স্থাপত্য কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, কনফুসিয়ান সংস্কৃতির, প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা এবং এর নীতিমালা সম্পর্কে গভীর ধারণা অর্জন, স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে লোক রীতিনীতি এবং অনন্য খাবার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগও পেয়েছিল। তাছাড়া, নব্য-কনফুসিয়ানিজমের প্রধান ব্যক্তিত্ব ঝু শি’র জীবন, কর্ম, দর্শন এবং বিশ্বাস সম্পর্কে একটি বিস্তৃত ধারণা অর্জন করেছিল।
বাংলাদেশ, মালি, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া, উজবেকিস্তান এবং রাশিয়ার ২০ জনেরও বেশি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী এই অনন্য শীতকালীন ছুটির সামাজিক অনুশীলন কার্যকলাপে অংশ নিয়েছিলেন।
এসএম