জাতীয়
এক ব্যক্তি একাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক হতে পারবেন না: ডিএমপি কমিশনার
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালার আলোকে এখন থেকে কোনো ব্যক্তি একাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যিনি চালক তিনি মালিক, এ নীতিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করলেও অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে। আমাদের এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাস চলাচলকারী সড়কসহ মূল সড়কে যেন এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা না চলে সেজন্য মালিক-শ্রমিক সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া ঢাকা মহানগরের বাইরের ব্যাটারিচালিত রিকশা মহানগরে প্রবেশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন তিনি।
পরিবহন সেক্টরে সব শ্রেণির চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো রকম চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিক কেউ কাউকে কোনো চাঁদা দেবেন না। কেউ চাঁদা দাবি করলে তা নিকটস্থ থানা বা পুলিশ ফাঁড়িকে জানানোর জন্য তিনি উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশে বন্দর নির্মাণে আগ্রহী ডিপি ওয়ার্ল্ড ও মেয়ার্স্ক
বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্ক। প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহন খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক রপ্তানি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তথা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বৃহস্পতিবার ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও সিইও সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েম এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্কের চেয়ার রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানান, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমানো এবং নির্গমন হ্রাস করে এর কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিকটবর্তী এই টার্মিনালে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ আরও বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে এবং পরিবেশদূষণ হ্রাস পাবে। এ সময় তিনি বলেন, ডিপি ওয়ার্ল্ড যেখানেই বিনিয়োগ করেছে, সেখানেই ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।
সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েম আরও জানান, তারা ২০২২ সালেও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তৎকালীন সরকার তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি অনলাইন ডিজিটাল কাস্টমস পদ্ধতি প্রবর্তনের আগ্রহের কথাও জানান, যা দুর্নীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। এ ছাড়া, তারা বাংলাদেশে ইনলাইন কনটেইনার ডিপোতেও বিনিয়োগ করতে চান।
প্রধান উপদেষ্টা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েমকে জানান, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে চায় এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলে আরও নতুন পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। আমরা এটি অঞ্চলের বৃহত্তম বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
ড. ইউনূস আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা জরুরি। কারণ, এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, নেপাল এবং ভুটানের কনটেইনার পরিচালনার জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সময়ই এখানে ব্যয়ের প্রধান কারণ, তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ডেনিশ কোম্পানি এপি মোলার-মেয়ার্স্কের চেয়ার রবার্ট মায়ারস্ক উগলা জানান, তারা লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান এবং এটিকে তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তায় একটি সবুজ (ইকো-ফ্রেন্ডলি) বন্দর হিসেবে রূপান্তর করতে চান।
তিনি বলেন, মরক্কো ও ওমানেও একই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ওমানের সালালাহ বন্দর তাদের বিনিয়োগের ফলে বিশ্বের অন্যতম সেরা বন্দর হয়ে উঠেছে বলে উগলা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্কের কর্মকর্তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পুরো সক্ষমতা কাজে লাগাতে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে একাধিক বন্দর নির্মাণ করতে হবে। আমরা বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করেছে এবং উন্নত বিনিয়োগ পরিবেশে আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়াতে প্রস্তুত।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বলছি, বাংলাদেশ বড় আকারে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
শফিকুল আলম বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস একাধিক সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান এবং বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন কোম্পানির নির্বাহীদের সাথে বৈঠক করেছেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশের কথা তুলে ধরে বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন এবং আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন যে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত।
প্রেস সচিব আরও বলেন, বিপুলসংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশ একটি রফতানি কেন্দ্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম আজ বৃহস্পতিবার সকালে (দাভোস সময়) প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানান।
ফেসবুক-এর মূল কোম্পানি মেটার গ্লোবাল এ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করেন।
ড. ইউনূস বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে আজ তৃতীয় দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি গত ২১ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোস শহরে পৌঁছান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জিয়াউল আহসান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ৩৪২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
জিয়াউল আহসান নিজের নামে ২২ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ১৪২ টাকার অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার জমা করেন। তার স্ত্রী নুসরাত জাহানও একই ধরনের লেনদেন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসামি হয়েছেন। ৮টি সক্রিয় ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেন তিনি।
এই মামলায় দুদক দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুসারে অভিযোগ দায়ের করেছে। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে এই মামলার তদন্ত শুরু হয়, যেখানে জিয়াউলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর ৪০ শতাংশ কর্মীর অস্তিত্ব নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বেক্সিমকোর ৪০ হাজার শ্রমিকের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে তার প্রায় ৪০ শতাংশের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, বলা হচ্ছে বেক্সিমকোতে ৪০ হাজার শ্রমিক রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে আমরা এর প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষের অস্তিত্ব পাইনি। অনেক তথ্য তৈরি করা হচ্ছে উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সেই সঙ্গে বেক্সিমকোর একটি হাউজিং প্রকল্পে আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘আমার বন্ড’ ছেড়ে তোলা চার হাজার কোটি টাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মাত্র তিন মাস আগে তোলা সেই চার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? এটা একটা অবাক করা বিষয়- টাকা কোথায়?
সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকোর কর্মীদের ব্যাংকঋণ চাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, একটা প্রতিষ্ঠানের যদি সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকে, তার ৬০ কোটি বেতন দেওয়া তো একটা সেকেন্ডের ব্যাপার।
তিনি বলেন, যে দাবি জানানো হচ্ছিল যে ব্যাংক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না, এলসি খুলে দেওয়া হচ্ছে না- যে প্রতিষ্ঠানের সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা চলতি সম্পদ তার তো এলসি খোলাও লাগে না, আর ব্যাংকের সুবিধারও প্রয়োজন হওয়ার কথা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রথমে জেনেছিলাম যে তাদের ২৩ হাজার কোটি টাকার দায় রয়েছে। পরে জানলাম তাদের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায় রয়েছে। ২৩ হাজার কোটি টাকার দায় ধরে নিয়েই চেষ্টা করেছিলাম যে প্রতিষ্ঠানটা কোনো রকমে যাতে চালু হয়। সরকার খুবই দায়িত্বশীল ছিল এটি চালুর জন্য। কারণ এটা একটা জাতীয় সম্পদ এখানে বহু সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত।
‘দেশের রপ্তানি আয়ের একটা প্রাসঙ্গিক বিষয় রয়েছে। তাই সরকার যথেষ্ট উদার ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে এ বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের (বেক্সিমকো) পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা পায়নি। তখন সরকার বাধ্য হয়ে এখানে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। প্রশাসককে কোনো ধরনের সাহায্য করা হয়নি। বলা হয়েছে, আইনজীবীর নিষেধ আছে কোনো ধরনের তথ্য শেয়ার না করার জন্য’ বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, নিদারুণ সহযোগিতার কারণে যে উচ্চ পর্যায়ের কাউন্সিল কাজ করেছে, তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি বড়ই জটিল বিষয় হিসেবে উপনীত হয়েছিল। এরপর সরকার তার দায়িত্বের জায়গা থেকে প্রতি মাসে ৬০ কোটি টাকা করে বেতন দিয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নেই। এ বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ছিল।
তিনি বলেন, মায়ানগরে বেক্সিমকোর একটি হাউজিং প্রকল্প আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে আমার বন্ডে চার হাজার কোটি টাকা তুলেছে। মাত্র তিন মাস আগে। সেই চার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? এটা একটা অবাক করা বিষয়- টাকা কোথায়?
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ইন্ডাস্ট্রির যারা অংশীজন আছেন তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা চেয়েছি- তারা (বেক্সিমকোর শ্রমিক) যাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণ হয়ে যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু তারা আইনগতভাবে নিজেদের আলাদা করতে চেয়েছেন, তারা আর ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীবাহিনী নয়, এমন আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে তারা নিতে চেয়েছিলেন। ওই কাঠামো দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা পরিষদ এবং বিশাল সরকারি টিম একসঙ্গে নিয়োজিত হয়ে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছিল। এর মধ্যে এমন দুর্যোগপূর্ণ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ফৌজদারি বিধি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ এবং যে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে, এর মাধ্যমে দেশের শ্রম সমাজকে অসম্মানিত করা হচ্ছে। গার্মেন্ট শিল্পকে সর্বোপরি দেশকে অসম্মান করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকোর ৭৫০০ কোটি টাকারও বেশি রিটেইনড আর্নিং রয়েছে জানিয়ে বিষয়টির ফরেনসিক অডিট করবেন কি না, একজন সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কিছুই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরে চুরি হয়েছে ঘরই তো নেই। ঘরের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পাচ্ছেন যাঁরা
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পাচ্ছেন ১০ জন কবি ও লেখক। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনে মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রস্তাবক কমিটি’র প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২৪’-এর সিদ্ধান্তক্রমে বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ অনুমোদন করে।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রাপ্তরা হলেন- কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।
বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করবেন।
এবার পুরস্কারের তালিকায় বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় কারো নাম নেই।