অর্থনীতি
বেক্সিমকোর ৪২ হাজার কর্মীর পাওনা ২২ হাজার কোটি টাকা

দেশের আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়মে জড়িত বেক্সিমকো গ্রুপের লে-অফ থাকা গার্মেন্টস ও এর সাথে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান সচল করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। তাদের দাবি, কারখানা খুলে না দিলে ৪২ হাজার মানুষ চাকরি হারাবে। বেক্সিমকোর কাছে এসব শ্রকিদের ২২ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো ফ্যাশন লিমিটেডের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান সৈয়াদ মো. এনাম উল্লাহ, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান আব্দুল কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন।
এসময় লে-অফ প্রত্যাহার করে বেক্সিমকোর গার্মেন্টস ডিভিশনের সব কারখানা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্য শুরু ও বিদেশিদের কার্যাদেশ প্রাপ্তির সুবিধার্থে ব্যাংকিং কার্যক্রম ও ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান তারা। সেই সঙ্গে কারখানা ও ব্যবসা চলমান রেখে সব বকেয়া বেতন এবং কোম্পানির দায়-দেনা পরিশোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈয়াদ মো. এনাম উল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের গার্মেন্টস ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৪২ হাজার চাকরিজীবীকে লে-অফের আওতায় জনতা ব্যাংকের ঋণ সুবিধায় জানুয়ারি-২০২৫ পর্যন্ত বেতনাদি প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই বিশাল জনবলকে আর কোনো প্রকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে না। যার প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়রি-২০২৫ মাস থেকে ১৬টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং এগুলোতে কর্মরত প্রায় ৪২ হাজার মানুষ চাকরি হারাবে। সেই সঙ্গে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ককে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িওয়ালা, দোকানদার, অটোরিকশা চালক, স্কুল-মাদারাসা-কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাবে, যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন ও বেঁচে থাকার সব মৌলিক চাহিদা জড়িত।
তিনি বলেন, বেক্সিমকোর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেলে ৪২ হাজার কর্মজীবী মানুষ চাকরি হারাবে। তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২ লাখ পরিবারের সদস্য এবং এই শিল্প ও কর্মজীবীদের কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কর্মসংস্থানের আরও প্রায় ৮ লাখ মানুষের রিজিক বন্ধ হয়ে যাবে। এই ৪২ হাজার কর্মজীবী মানুষের মধ্যে প্রায় ২ হাজার প্রতিবন্ধী, শতাধিক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং ৫ হাজারের মতো ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি রয়েছেন যাদের আমরা পরম মমতায় আর যত্নে সমাজ ও পরিবারের বোঝা হওয়া থেকে রক্ষা করছি। সরকারের সিদ্ধান্তের যদি কোনো পরিবর্তন না হয় তাহলে এরা সবাই মানবেতর জীবনের দিকে এগিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে প্রায় ৪২ হাজার নতুন বেকার এবং ব্যবসা-বাড়িভাড়া বঞ্চিত লাখো মানুষ নৈরাজ্য আর অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নতুন সংকট তৈরি করবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে লে-অফ প্রত্যাহার করে ১৬টি বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলা হয়, বেক্সিমকো শুধু বাংলাদেশে নয় এশিয়া মহাদেশের একটি বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপ এবং শুধু বেক্সিমকো গার্মেন্টস ডিভিশনই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করতো। আজ সেই গার্মেন্টস ও সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো বন্ধ করে রাখায়, ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখায় সরকার ও জনগণ সেই বিশাল বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় আয় ও রিজার্ভ ঘাটতির অন্যতম কারণ।
এনাম উল্লাহ বলেন, বর্তমান সময়ের উপযোগী মেশিনারিজ, প্রযুক্তি আর ৪২ হাজার দক্ষ জনবল নিয়ে তিল তিল করে গড়ে ওঠা আজকের বেক্সিমকোর গার্মেন্টস শিল্প মরিচা ধরার অপেক্ষায়। আমাদের মাসিক প্রায় ৪০-৫০ লাখ পিস গার্মেন্টস পণ্য তৈরির সক্ষমতা, এশিয়ার বৃহত্তম ওয়াশিং প্ল্যান্ট এবং অত্যাধুনিক মেশিনে সজ্জিত প্রিন্টিং, এমব্রয়ডারি ও এক্সেসরিজ তৈরির কাখানা, টেক্সটাইল মিল ও দক্ষ জনবল বায়ারদের প্রধান আকর্ষণ।
তিনি আরও বলেন, কম্পোজিট গ্রুপ হওয়ায় শুধু তুলা ও কেমিক্যাল ক্রয় ছাড়া গার্মেন্টস তৈরির অন্য কিছুই বাইরে থেকে ক্রয় বা আমদানি করতে হয় না। এসব সুবিধা বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বর্তমান থাকায় বায়াররা আমাদের কার্যাদেশ দিতে সবসময় তৎপর থাকে। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকালীন বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বেক্সিমকো গার্মেন্টস ডিভিশন রপ্তানিতে শীর্ষে ছিল। এ রকম একটি লাভজনক, সুবিধাজনক এবং শ্রমঘন প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দিয়ে ১০ লাখ মানুষের মুখের আহার কেড়ে নিয়ে, জাতীয় প্রবৃদ্ধির ব্যাহত করে বর্তমান জননন্দিত সরকার কি সুবিধা লাভ করছেন আমরা জানি না। তাই সবিনয়ে অনুরোধ, অবিলম্বে আমাদের কারখানাগুলোকে খুলে দিয়ে ৪২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও ১০ লাখ মানুষের খেয়েপরে বেঁচে থাকার ব্যবস্থাটুকু নিশ্চিত করা হোক।
ব্যাংকিং ও ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা প্রদান করার দাবি জানিয়ে বেক্সিমকোর এই কর্মী বলেন, ব্যাংকিং ও এলসি সুবিধা ছাড়া দেশি-বিদেশি কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় না। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, ৬ মাস যাবৎ বেক্সিমকোর গার্মেন্টস ডিভিশনের সব ব্যাংকিং ও এলসি সুবিধা বন্ধ রাখা হয়েছে। একদিকে কারখানা বন্ধ, উৎপাদন নেই অন্যদিকে দায়-দেনার পরিমাণ প্রচার করে তা পরিশোধের জন্য সব প্রকার চাপ অব্যাহত। সেই প্রেক্ষিতে বলতে হয়, আয় থেকে দায় শোধ, ব্যাংকিং ও ঋণ ব্যবস্থাপনার মূলমন্ত্র যদি হয়ে থাকে তাহলে বেক্সিমকো গ্রুপের সব দায়-দেনা নিয়মিতভাবে পরিশোধের জন্য এর বন্ধ রাখা প্রতিটি কারখানা খুলে দিয়ে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরুর কোনো বিকল্প নেই।
‘আপনাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ থাকা ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি ওপেন করে দেওয়া। কিন্তু সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে দায় পরিশোধের চাপ সৃষ্টি শুধু অমানবিকই নয়, অন্যায্যও বটে। এই দায় বহন করার সক্ষমতা কোনো সরকারের বা ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। কারখানা বন্ধ রাখার প্রক্রিয়া যতই প্রলম্বিত হবে বেক্সিমকোর দায়ও তাতে বাড়তে থাকবে। তাই অবিলম্বে বায়ারদের কার্যাদেশ পাওয়ার সুবিধার্থে বেক্সিমকোর ব্যাংকিং সুবিধা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা নিয়ে উৎপাদন শুরু করার মাধ্যমে সব দায়-দেনা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।’
বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রমিকদের অর্জিত ছুটির ২ বছরের টাকা জমে গেছে এবং অফিসারদের ৪ মাসের বেতনের টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। বর্তমান আর্থিক দুরবস্থার ভেতর এই বকেয়াগুলো পাওয়া গেলেও সন্তানদের স্কুল-কলেজে ভর্তির খরচ মিটিয়ে ফেলা যেতো। টাকার অভাবে সন্তানদের নতুন বছরে, নতুন ক্লাসে ভর্তি করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বেক্সিমকোর যে পরিমাণ ঋণ রয়েছে তা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আদায় করা সম্ভব না। এই ঋণ আদায় করতে হলে প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা বেশকিছু প্রস্তাবও দিয়েছি। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব ছিল ২৩ একর জমি বন্ধক রেখে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া। এই ঋণ চাওয়া হয় ৪ মাসের জন্য। এই ঋণ দেওয়া হলে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে বকেয়া ঋণও পরিশোধ করতে পারবো। সেক্ষেত্রে বছরে ৪০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব, এ ধরনের একটি প্ল্যানও আমরা দিয়েছি।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে এনাম উল্লহ বলেন, আমরা মালিক বলতে এখন আমাদের এমডি ওসমান কায়সার চৌধুরীকে বুঝি। এমডি আছেন, রিসিভার আছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এমডি বেক্সিমকোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সব ধরনের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

তিন মাসে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে চার হাজার ৯৫৪টি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। পরে ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ডিসেম্বর-ভিত্তিক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে গ্রাহকের মোট হিসাব বা অ্যাকাউন্ট ছিল ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। এসব হিসাবে মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা।
এর আগে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। এসব হিসাবে জমা ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংক খাতের হিসাব বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি। আর আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, ডিসেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি হলেও তা সমসংখ্যক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
তিনি বলেন, আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাব থাকতে পারে। পাশাপাশি অনেক সরকারি সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংক থেকে টাকা তোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাসহ দলীয় ব্যবসায়ীদের অনেকে দেশ ছাড়েন। অতি কড়াকড়ির কারণে বিদেশে টাকা পাচার কমে যায়।
এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে এ সময় ধাপে ধাপে ব্যাংকের সুদ হার বাড়ানো হয়। এ সময়ে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ব্যাংক হিসাবে টাকার পরিমাণও বাড়তে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফল আমদানিতে উৎসে কর কমলো

আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর। অবিলম্বে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব তাজা ফল আমদানিতে অগ্রিম কর কমানো হলো, সেগুলো হলো— তাজা বা শুকনা কমলালেবু, তাজা বা শুকনা লেবু জাতীয় ফল, তাজা বা শুকনা আঙুর ফল, তাজা বা শুকনা লেবু, তাজা বা শুকনা আঙ্গুর, তাজা আপেল ও নাশপাতি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। ফলে বাজারে আমদানি করা বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যায়।
বর্তমানে ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ আগাম কর আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোটামুটি যত ধরনের শুল্ককর আছে, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ১৩৬ শতাংশ। ১০০ টাকা ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা কর দিতে হতো। অগ্রিম কর কমানোয় এখন করভার কিছুটা কমবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর ২৯ হাজার শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ

এখন পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লি: কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এই প্র
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআর দুই ভাগ হচ্ছে, ঈদের আগেই অধ্যাদেশ: চেয়ারম্যান

ঈদের আগেই রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুই ভাগ হয়ে যাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা নতুন অর্থবছরের প্রথম থেকে কাজ শুরু করবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘আয়কর আইন, ২০২৩: সংস্কার ও প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মো. আবদুর রহমান খান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকালও (মঙ্গলবার) আমাকে ডেকেছেন। তিনি বলেছেন, ঈদের আগেই অধ্যাদেশ হয়ে যাবে। আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হবে। যত দ্রুত সম্ভব এটা অপারেশনাল করব। আমরা সে দিকেই আগাচ্ছি। শুরুটা করতে হবে এবং বিবাদ যা থাকবে সে জায়গাটা আমরা পরে অ্যাড্রেস করব।
এনবিআর দুই ভাগে বিভক্ত হলে সেখানে কারা থাকবেন ও কাজ করবেন সেটি তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কিছু বাইরের এক্সপার্টও থাকবে, বিশেষ করে ইকোনমিক, ফাইন্যান্স ও রিসার্চ থেকে কিছু লোক থাকবে। তবে এনবিআরের কর ও শুল্ক ক্যাডাররাই মূলত এ কাজগুলো করবেন বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যারা অভিজ্ঞ তারাই মূলত এ কাজগুলো করবেন। তার সঙ্গে অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে অন্যরা থাকবেন। আমরা নৈর্ব্যত্তিকভাবে কোনো কিছু না দেখে আইনে যা আছে, এটা আমরা প্রয়োগ করতে পারব।
তিনি বলেন, যেসব টিআইএনধারী রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের ওপর রাজস্ব সংগ্রহের বড় চাপ থাকতো। সেটি আমরা পলিসির ওপর ভর করে আদায়ের চেষ্টা করতাম। বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে ইনকনসিসটেন্স বড় যন্ত্রণা। এজন্য অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। আামদের এখানে সুশাসনের অভাব। অনেক আইন আছে, প্রয়োগে শৈথিল্য। আইনের শাসন একেবারে অনুপস্থিত। করজাল ছোট এটাও সঠিক নয়, কর কম দেয় এটাও ঠিক নয়।
এসময় আরও বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
কর কমিশনার ও সংগঠনের সভাপতি মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন কর অঞ্চল-৬ এর কর কমিশনার ইকতিয়ার উদ্দিন মামুন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত-ভিয়েতনাম থেকে এলো ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল

ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (১২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সেদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
ওইসব চাল নিয়ে ভিয়েতনাম থেকে এমভি টুং এন শিপ ও ভারত থেকে এমভি রেক এলিট জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই (বুধবার) খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।