অর্থনীতি
৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি রেকর্ড ৫৭ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ছয়মাস শেষে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রেকর্ড ৫৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘাটতি রয়েছে। শুধু ঘাটতি নয়, একই সময়ে গত অর্থবছরের চেয়েও রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত অর্থবছর একই সময় রাজস্ব আদায় হয় প্রায় এক লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা, যেখানে চলতি অর্থবছর ছয়মাসে আদায় হয়েছে প্রায় এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, অস্বাভাবিক লক্ষ্যমাত্রার কারণে ঘাটতি বাড়ছে। এছাড়া জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি কারণে আদায় কমে গেছে।
এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যানের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থবছরের প্রথমার্ধের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৪ হাজার ১৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ ছয়মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৭ হাজার ৭২৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
অন্যদিকে, গত অর্থবছর একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় এক হাজার ৫৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস-এই তিন খাতের মধ্যে ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক। আয়কর খাতে ছয়মাসে চলতি অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৭৬ হাজার ৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫২ হাজার ১৬২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যেখানে গত অর্থবছর একই সময় আদায় হয়েছে ৫০ হাজার ৮৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
অপরদিকে কাস্টমস খাতে প্রথমার্ধে ৬১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৮০ কোটি টাকা। যেখানে গত অর্থবছর একই সময় আদায় হয়েছে ৪৮ হাজার ৭৮৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
আর ভ্যাট খাতে ৭৬ হাজার ৩১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫৫ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। তবে গত অর্থবছর একই সময় আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ ভ্যাট খাতে প্রথমার্ধে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইনাস ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, বড় প্রকল্পগুলোতে অর্থ ছাড় কমে যাওয়াসহ বেশ কয়েকটি কারণে আদায় কমে গেছে। চলতি অর্থবছর আইভাস থেকে রাজস্ব আদায়ের হিসাব নেওয়া হচ্ছে। ফলে মাঠ পর্যায়ের কোন অফিস বাড়তি কোনো রাজস্ব দেখানোর সুযোগ নেই। গত অক্টোবর থেকে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা গতি বেড়েছে এবং সর্বশেষ ডিসেম্বরে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আদায় বেড়েছে প্রায় ছয় শতাংশ। তারপরও চলতি অর্থবছরে রাজস্বে বড় ঘাটতি।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়। যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর অন্যান্য উৎস হতে ৬১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আয়কর, মুনাফা ও মূলধনের ওপর কর থেকে আসবে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, ভ্যাট থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি, সম্পূরক শুল্ক ৬৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, ৪৯ হাজার ৪৬৪ কোটি, রপ্তানি শুল্ক ৭০ কোটি, ৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা ও অন্যান্য কর থেকে আসবে ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।

অর্থনীতি
ইইউর ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট বাস্তবায়ন প্রস্তুতি সেমিনার

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন নীতিমালা, ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে পরিচয় করিয়ে দিতে দিনব্যাপী একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাণিজ্য ফোরাম: ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্টের উপর আলোকপাত’ শীর্ষক দিনব্যাপী এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড’র (GIZ) উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল, ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট নিয়ে একটি সম্মিলিত ধারণা তৈরি করা এবং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে ইইউ’র টেকসই পণ্য বিধিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রস্তুতি মূল্যায়ন করা।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, এই ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর অনুষ্ঠান বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো। ডিপিপি’র মতো নিয়ম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেন ব্যয় অতিরিক্ত বৃদ্ধি না পায়, সেদিকেও নজর রাখা জরুরি।।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোট্জ।
এসময় রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোট্জ বলেন, একটি পণ্যের অনুসন্ধানযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ডিপিপি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ডিপিপির জন্য এমন একটি ডাটা ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই। যা সরকারের মালিকানায় থাকবে এবং যেখান থেকে রপ্তানিকারক, কারখানা মালিকসহ বেসরকারি খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল ইইউ’র ট্রেসেবিলিটি ও সার্কুলার ইকোনমির চাহিদা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। বক্তারা ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোরর্টের কারিগরি কাঠামো এবং এর মাধ্যমে কীভাবে পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল থেকে শুরু করে পুরো সাপ্লাই চেইন পর্যন্ত অনুসন্ধানযোগ্যতা নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন। সেমিনারে পোশাক, খাদ্য, ওষুধ এবং ব্যাটারিসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
আয়োজকরা মনে করেন, এই সেমিনারটি বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক, শিল্প খাতের নেতৃবৃন্দ এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পকে ইইউর ভবিষ্যৎ টেকসই মানদণ্ড পূরণে সহায়তা করবে।
এসএম
অর্থনীতি
দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব নয়: দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে উল্লেখ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জয়পুরহাটে শিল্পকলা একাডেমিতে এক গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বায়তুল মোকাররমের খতিব পালিয়ে গেছেন। এর পেছনের মূল কারণ দুর্নীতি। আমাদের মধ্যে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া দরকার। এমনকি আমার সম্পর্কেও খোঁজ নিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল হবে না, তবে কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা যদি পারস্পরিক আন্তরিক হই, তবে দুর্নীতি কমে আসবে।
গণশুনানিতে আসা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরীর সভাপতিত্বে গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক আকতার হোসেন, দুদক রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা. সবুর আলী প্রমুখ।
অর্থনীতি
স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোন সরবারহ করতে চায় সরকার

কাগজের টাকা ছাপা ও বণ্টনে প্রতি বছর রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয়। এই ব্যয় কমিয়ে আনতে চাচ্ছে সরকার। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন জনপ্রিয় করতে নীতিগত সহায়তা ও প্রযুক্তি অবকাঠামো তৈরির কাজ করছে। আর এই ব্যবস্থা মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে স্মার্টফোনের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ কথা বলেন।
সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য স্মার্টফোনের গুরুত্ব তুলে ধরে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বর্তমানে আর্থিক লেনদেন, বিল পরিশোধ বা ইন্টারনেটভিত্তিক যে কোনো সেবা নিতে স্মার্টফোনের ব্যবহার অপরিহার্য। সরকার স্মার্টফোনের দাম কমাতে কাজ করছে। ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের স্মার্টফোন বাজারে আনতে পারলে শতভাগ মানুষকে স্মার্টফোনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
গভর্নর আরও বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে হবে এবং সেবার মান বাড়াতে হবে।
অর্থনীতি
নিলামে আরও ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১১টি ব্যাংক থেকে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ টাকা। বহুমূল্য নিলাম পদ্ধতির অধীনে এ ডলার কেনা হয়। এই নিলামে ডলারের কাট-অফ রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, রোববার ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে কিনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা দরে কেনা হয় ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাকি ৭১ মিলিয়ন ডলার কেনা হয় ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাজার থেকে ডলার কেনা, এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গভর্নর অনেকবার বলেছেন, প্রয়োজন হলে মার্কেট থেকে ডলার কেনা হবে। চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি কিনবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার নিয়ন্ত্রণে এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৌশলগত পদক্ষেপ। এই নিলামে ডলারের কাট-অফ রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা।
এর আগে গত ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে ১০ মিলিয়ন ডলার, এবং ১৩ ও ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নিলামে ১২১.৫০ টাকা রেটে যথাক্রমে ১৭৩ ও ৩১৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছিল। সব মিলিয়ে চলমান নিলাম প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ৫৭৯ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্রকে ৭৫ ভাগ বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে: উপদেষ্টা

৭৫ ভাগ বাণিজ্য ঘাটতি এক বছরে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে ২০ শতাংশ মার্কিন শুল্কারোপকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, শুল্কের দর কষাকষি এখনও চলমান। প্রয়োজন হলে দুই-এক সপাহের মধ্যে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে যাব।
এসময় শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশ কোনো ভূরাজনৈতিক ফাঁদে পা দেবে না বলে জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, মার্কিন শুল্ক নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। আরোপিত মার্কিন শুল্ক আরও কমাতে কাজ করছে সরকার।