জাতীয়
চুরির অর্থ ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশ থেকে চুরি হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ফাঁকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনার সময় তিনি এ সহায়তা চান।
জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান ও ফেডারেল মিনিস্টার ফর স্পেশাল টাস্কস ওল্ফগ্যাং স্মিড, বেলজিয়ামের রাজা কিং ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল ডিপার্টমেন্ট ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিস, দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপারসন শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ ছাড়া ফোরামে দ্বিতীয় দিনে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মার্কিন বিশেষ দূত জন কেরি এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে কীভাবে দিবালোকে ডাকাতি হয়েছে- তা খতিয়ে দেখতে শীর্ষ বিশেষজ্ঞ, থিংক ট্যাংক, সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস জার্মান মন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা যখন নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, তখন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের কথাও বলি।’ এ বিষয়ে জার্মানির সরকারের সমর্থন কামনা করেন এবং জার্মান মন্ত্রীর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
জার্মান মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী এপ্রিলে জার্মানির একটি নতুন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নেপালের জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায়। নেপাল বিদ্যুৎ বিক্রি করতে সত্যিই প্রস্তুত ও বাংলাদেশ একটি ভালো বাজার। এটি প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে পারে।’
ড. ইউনূস সুইস ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিসের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও জলবায়ু অর্থায়নসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ রাখার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে সুইজারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সুইজারল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি জানান, ২৭ বছরের কম বয়সী তরুণরা দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক।
এ সময় ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা ও আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন। এ ছাড়া জার্মান মন্ত্রী ও সুইস কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি ফেলিক্স শিসেকেদির সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয় যে কীভাবে বেলজিয়ামের একজন যুবরাজের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ দ্বারা চালু করা একটি ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি আফ্রিকার দেশটিতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের আকার প্রসারিত করতে সহায়তা করেছে।
কঙ্গোর সংঘাতপ্রবণ এলাকায় ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তনকারী প্রিন্স ইমানুয়েল ডি মেরোড বলেন, ‘সংঘাতের পর ক্ষুদ্রঋণ সেখানে ২১ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পর কঙ্গোর বনাঞ্চলের আয়তন এখন ব্রিটেনের দ্বিগুণ। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বড় ভূমিকা পালন করেছে।’
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট এবং জাহাজ চলাচলসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে চাই। কারণ আরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।’
বিশ্বের অন্যতম কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের পর দুদেশের মধ্যে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রীর বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ছিলেন ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার বড় ভক্ত। দারিদ্র্য, সম্পদের কেন্দ্রীভবন, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে একটি আত্মধ্বংসী সভ্যতা উদ্ধারের লক্ষ্যে থাই প্রধানমন্ত্রীকে ‘থ্রি জিরো’ ধারণা সম্পর্কে অবহিত করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৫৮টি দেশে প্রায় ৫ হাজার ‘থ্রি জিরো’ ক্লাব রয়েছে।’
থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের এপ্রিলে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’ প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
লুৎফে সিদ্দিকী চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকারের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জার্মান মন্ত্রী ভোল্ফগ্যাং স্মিডকে অবহিত করেন এবং বলেন, সরকার এ বিষয়ে একটি সম্পদ পুনরুদ্ধার কমিটি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকার প্রাথমিকভাবে শীর্ষ ২০ অর্থপাচারকারীকে টার্গেট করেছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়েছে অধিকাংশ ঘর

পৌনে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাজধানীর মহাখালীতে সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম রনি।
বুধবার (১২ মার্চ) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের ১ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে, রাত ৩টা ৩৮ মিনিটে সাততলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর ১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে একে একে আরও বেশ কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা হয়। পাঁচটার মধ্যে আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরই মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে বস্তির অধিকাংশ ঘর পুড়ে গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যা সংবাদ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে কোনো বিভক্তি বা অসন্তোষ আছে বলে কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিদ্বেষপ্রসূত।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
আইএসপিআরের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে যে, দ্য ইকোনমিক টাইমস ও ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের কিছু গণমাধ্যম সম্প্রতি ভিত্তিহীন ও অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে। স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এসব দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার অংশ। যা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুসংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ এবং সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেনাবাহিনীর ‘কমান্ড চেইন’ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাসহ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য সংবিধান, চেইন অব কমান্ড ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত। বাহিনীর অভ্যন্তরে বিভক্তি বা অসন্তোষের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিদ্বেষপ্রসূত।
দ্য ইকোনমিক টাইমস একাধিকবার এমন ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মাত্র এক মাস আগেও গত ২৬ জানুয়ারি একই গণমাধ্যম ‘ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে’ একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশ করায় ওই গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। কিছু অনলাইন পোর্টাল ও বিতর্কিত কিছু টেলিভিশন চ্যানেলও এসব অসত্য তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কাজে লিপ্ত আছে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করার পরিবর্তে তারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আইএসপিআর বলেছে, আমরা ভারতীয় গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সব সংবাদমাধ্যমকে আহ্বান জানাই যে, তারা যেন দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা অনুসরণ করে এবং ভিত্তিহীন, উসকানিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকে। আমাদের প্রত্যাশা, যে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তারা যেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করে যথাযথ তথ্য যাচাই করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহের জন্য আইএসপিআর সদা প্রস্তুত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিচলভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সব গণমাধ্যমকে আহ্বান জানাই, তারা যেন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে এবং অযথা উত্তেজনা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন প্রচারণায় অংশ না নেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিদ্যুতের অপচয় রোধে যেসব নির্দেশনা দিলো ডিপিডিসি

সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা পাওয়ায় ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বার্তায় বলা হয়, চলতি বছর গ্রীষ্মকাল, সেচ মৌসুম এবং রমজান মাস একই সময়ে হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যার ফলে লোডশেডিং বাড়তে পারে। লোডশেডিংমুক্ত থাকতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া জরুরি।
ডিপিডিসির গ্রাহকদের লোডশেডিংমুক্ত থাকতে বিদ্যুতের অপচয় রোধ ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো-
১. মসজিদ, শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রাখা।
২. দোকানপাট, শপিংমল, বিপণি-বিতান, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার না করা।
৩. দিনের বেলায় জানালার পর্দা সরিয়ে রাখা ও সূর্যের আলো ব্যবহার করা। যে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা থেকে বিরত থাকা।
৪. পিক আওয়ারে রি-রোলিং মিল, ওয়াশিং মেশিন, ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন ও ইস্ত্রির ব্যবহার বন্ধ রাখা।
৫. ইজি বাইক, অটোরিকশা ইত্যাদি অবৈধভাবে চার্জিং থেকে বিরত থাকা। বাসা-বাড়িতে পরিবেশবান্ধব রুফটপ সোলারটিকে সচল রাখা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সরকারি তিন দপ্তরের শীর্ষ পদে রদবদল

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবং সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে নতুন পরিবহন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এসব দপ্তরে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমানকে প্রেষণে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিপ্তরের মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি ভূমি মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব নুজহাত ইয়াসমিনকে প্রেষণে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সাল ইমামকে প্রেষণে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার নিয়োগ দিতে তার চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মোংলা বন্দর উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪০৬৮ কোটি টাকা

মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জি টু জি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য এবং পণ্য ক্রয় কার্যক্রমের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)। প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় জি টু জি ভিত্তিতে ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ৪ হাজার ৬৮ কেটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
এতে চীন সরকার কর্তৃক প্রকল্প ঋণ ৩ হাজার ৫৯২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চীনের তিনটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দেয়। তার মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অন্য তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনকে (সিসিইসিসি) যথোপযুক্ত বিবেচনা করা হয়। এছাড়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২৮২তম বোর্ড সভায় যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিরূপণ করে ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়।
প্রকল্পের ডিপিপিতে বর্ণিত প্রধান ক্রয় কার্যসমূহ হলো, মোংলা বন্দরে ৪ লাখ টিইউজ করেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রকল্পটির অধীনে দুটি কন্টেইনার জেটি (৩৬৮ মিটার), ৮৭ হাজার ৬০০ বর্গ মিটার লোডের কন্টেইনার ইয়ার্ড, ৩৪ হাজার ১৭০ বর্গ মিটার খালি কন্টেইনার ইয়ার্ড, ৪ হাজার ২৬০ বর্গ মিটার হ্যাজার্ডার্স কার্গো হ্যান্ডলিং ইয়ার্ড নির্মাণ, ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭টি আরটিজি ও ৩৩টি অন্যান্য যন্ত্রপাতি, সার্ভে ও ডিজাইন, ভূমি উন্নয়ন, আরসিসি পেভমেন্ট, মেরিন স্ট্রাকচার, আনুষাঙ্গিক সুবিধাদিসহ পরিচালন ভবন, তেল সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থা, ইলেক্ট্রিকাল কাজ, আইসিটি সম্বলিত যোগাযোগের কাজ, পানি সরবরাহ, নিষ্কাশন ও অগ্নিনির্বাপণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অটোমেশন ইত্যাদি।