জাতীয়
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে এই সাইডলাইন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন ড. ইউনূস। পরে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি সুইজারল্যান্ডে পৌঁছান। এ সময় সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান।
চার দিনের সরকারি সফর শেষে আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ইউএনএইচসিআর
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে ইউএনএইচসিআর।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন গ্র্যান্ডি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে শুরু হয় পাঁচদিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন। গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার মূল সম্মেলনের ফাঁকে কয়েকটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মতে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআই-এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেন। সংকটের সমাধাণের জন্য, বিশেষ করে চলতি বছরের শেষের দিকে এ বিষয়ে একটি বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনে গ্রান্ডির সমর্থন চান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ জবাবে শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা আপনাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে আট লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী কয়েক মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ ও গণহত্যার মুখে। সম্প্রতি রাখাইন মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের জেরে আরও প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে।
ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার আগমন বাংলাদেশের ওপর আরও বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের ওপর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ ফিরিয়ে আনার আহ্বানও জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। তারা আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে।’
সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল নির্মাণের জন্য উন্নত উপকরণ ব্যবহার করার অনুমতি দেয়ার জন্য গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। পূর্বে রোহিঙ্গাদের কেবল বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে ঘর তৈরি করার অনুমতি ছিল। বৈঠকে তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। সেখানে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে বৈঠকেও রোহিঙ্গা ইস্যু তোলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সেফ জোন তৈরিতে জার্মানির সমর্থন চান তিনি। এদিন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবেরসঙ্গে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
ঢাকার সাভার উপজেলায় মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন প্লট মালিকসহ সেখানে বসবাসকারীরা। একই সঙ্গে এসব ব্যক্তিমালিকানাধীন বসতভিটা হতে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক) স্মারকলিপি প্রদান করে মধুমতি মডেল টাউন হাউজিং সোসাইটি নামে একটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজউক ভবনের সামনে জড়ো হন মধুমতি মডেল টাউনের প্লটের মালিক ও সেখানে বসবাসকারীরা।
রাজউকে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০১ সাল থেকে রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, খাজনা পরিশোধ ও বাড়িঘর করে এখানে বসবাস করে আসছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সকল রেকর্ড পত্র- সি.এস/এস.এ ও আরএস পর্চাসমূহে সুস্পষ্টভাবে জমিগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন নাল জমি হিসেবে বর্ণিত আছে। মেট্রো মেকার্স কর্তৃক ব্যাপক ধারাবাহিক প্রচারণায় আকৃষ্ট হয়ে মধুমতি মডেল টাউন প্লট ক্রয় করেন তারা। ঐ সময় কোন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রকল্প নিয়ে কোনো আপত্তি তোলা হয়নি। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০০৪ সালে বন্যা প্রবাহ অঞ্চলে অবস্থিত দাবি করে প্রকল্পটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দায়ের করে। আদালত ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই প্রকল্পটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। সেই সাথে প্রকল্প বৈধ হওয়ার রাস্তা খোলা আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে জানানো হয়, নির্দেশনার প্রেক্ষিতে একটি হাউজিং প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ৯টির মধ্যে সরকারের ৮টি বিভাগ যথা- পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ, তিতাস গ্যাস এন্ড ট্রান্সমিশন, ঢাকা ওয়াসা, পল্লী বিদ্যুৎ, টি এন্ড টি বোর্ড, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড (ডিটিসিবি) প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মেট্রো মেকার্সকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট ২০১২ সালের ৭ আগষ্ট এক উদ্ভট, ফরমায়েশি ও গণবিরোধী রায় প্রদান করে। রায়ে মেট্রো মেকার্সকে বলা হয় তাদের খরচে প্রকল্প এলাকার ভরাটকৃত মাটি সরিয়ে এটিকে আবার ধানক্ষেত বানাতে। আর প্লট ক্রেতাদের তাদের মোট প্রদেয় টাকার দ্বিগুণ এবং রেজিস্ট্রেশন বাবদ সকল খরচ প্রদান করে ৬ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য মেট্রো মেকার্সকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে মেট্রো মেকার্স ও প্লট মালিকদের পক্ষ হতে রিভিউ পিটিশন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে সব রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ার পর প্রায় ৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মেট্রো মেকার্স কর্তৃপক্ষ থেকে আমরা কোন টাকা পাই নাই। বর্তমানে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে মডিফিকেশনের দরখাস্ত শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রকল্পে বর্তমানে ৮০০’র বেশি আবাসিক ভবনে প্রায় ৫০ হাজার লোক বসবাস করেন। প্রকল্পের বাণিজ্যিক জোনে রয়েছে ১০০টির অধিক পোলট্রি ও ডেইরি ফার্ম, ৮টি রিসোর্ট, ৩টি মসজিদ, ৪টি মাদ্রাসা, স্কুল, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এখানে রয়েছে প্রায় ৮/১০ লক্ষাধিক বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছপালা, যা প্রকল্পটিকে একটি সবুজ নগরীতে পরিণত করেছে এবং পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। গত ২৪ বছরে এখানে ভূপ্রকৃতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে মধুমতি মডেল টাউনের চারদিক সরকারি বেসরকারি স্থাপনা বেষ্টিত একটি স্থলভূমি। প্রকল্পের অতি সন্নিকটে তথাকথিত ফ্লাডজোনে ডিএনসিসি কর্তৃক জাপান সরকারের সহায়তায় গার্বেজ রিসাইক্লিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। প্রকল্পের উত্তরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কোল ঘেষে গড়ে উঠেছে পেট্রোল/গ্যাস ফিলিং ষ্টেশন, আবাসিক এলাকা ও নানা স্থাপনা। প্রকল্পের পূর্বে রয়েছে বিদ্যুতের সাব-স্টেশন ও তিতাস গ্যাসের স্থাপনা। এইভাবে চারদিকে সরকারি, বাণিজ্যিক ও আবাসন বেষ্টিত মধুমতি মডেল টাউনকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বন্যা প্রবাহ এলাকা বা জলাধার আখ্যা দেওয়া বা বানানো নিতান্তই অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক। তাছাড়া, ঢাকা শহরের আশেপাশে বাস্তবায়ন করা প্রায় সব হাউজিং প্রজেক্ট এক সময় বিলামালিয়া ও বলিয়ারপুর মৌজার অবস্থায় ছিল। সে বিবেচনায় আদালতের রায় অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক।
যে কোনো রকম উচ্ছেদ পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকা সহ সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষা ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করায় বিঘ্ন ঘটানো থেকে নিবৃত থাকা এবং বাস্তবতার নিরিখে মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প এলাকাকে (ডেটাইলেড এরিয়া প্ল্যান) এ নগর আবাসিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্যাক্স ছাড়াই করা যাবে বিয়ে
বিয়ে সম্পাদনে আরোপিত কর (ট্যাক্স) বাতিল করেছে সরকার। এক সপ্তাহের বেধে দেওয়া সময়ের তৃতীয় দিনেই কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিয়ে সম্পাদনে আরোপিত একটি কর ছিল, আইন মন্ত্রণালয় এ অযৌক্তিক কর বাতিল করেছে।
তিনি বলেন, বিয়ের ফরমে লেখা থাকতো বিবাহিতা নাকি কুমারী। এটা একটা মেয়ের জন্য অমার্যাদাকর শব্দ। সেটা আমরা অবিবাহিতা করে ফেলেছি। এমন ছোট ছোট অনেক কাজ করেছি। আরও অনেক কাজ করার চিন্তা আছে।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের ট্যাক্সে আজকে সাইন করলাম। আপনি ট্যাক্স ছাড়া বিয়ে করতে পারবেন।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহের বেধে দেওয়া সময়ের তৃতীয় দিনেই বিয়ের ওপর কর আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ধন্যবাদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টাকে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি বিয়ের ওপর কর ধার্যের প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন করে ‘সাধারণ ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে একটি সংগঠন।
সেখানে বক্তারা বলেন, পলাতক হাসিনা সরকার বিবাহের মতো একটি পবিত্র বিষয়েও অবৈধভাবে কর আরোপ করেছিল, যা সুস্পষ্টত ইসলামের অবমাননা। এতে করে যেমন যুবকদের চরিত্র নষ্ট করা হয়েছে, একইভাবে ব্যভিচারের দিকেও তা ধাবিত করতে সহায়তা রয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইন উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিবাহের উপর আরোপিত এই অবৈধ কর প্রত্যাহার করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট যাবতীয় আইন বাতিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বিয়ের ওপর বিভিন্ন করের হারের বিধান করে সিটি করপোরেশন মডেল ট্যাক্স তফসিল। এক্ষেত্রে করের টাকা পাত্র পক্ষকে পরিশোধ করতে হবে।
তফসিলের ১৫২ ধারায় বলা হয়েছে, প্রথম বিবাহ বা প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে বিবাহের জন্য একজন পুরুষকে বিয়ের পিড়িতে বসার আগে ১০০ টাকা ফি দিতে হবে। প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে ৫ হাজার টাকা, প্রথম দুই স্ত্রীর জীবদ্দশায় তৃতীয় বিয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।
তফসিল অনুযায়ী, চতুর্থ বিয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা কর দিতে হবে। স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ বা নিঃসন্তান হলে এই নিয়ম কার্যকর হবে না। তবে, সেক্ষেত্রে ২০০ টাকা দিতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সুইজারল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে পৌঁছান।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা জুরিখে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সুইজারল্যান্ডের জেনেভার রাষ্ট্রদূত মো. আরিফুর রহমান।
জানা গেছে, চার দিনের সফরে গতকাল সোমবার ভোররাতে দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধান উপদেষ্টা। সফরকালে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা দাভোসে ফোরামের সাইডলাইনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড ছাড়াও কয়েকটি সংস্থা প্রধান, বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী ২৪ জানুয়ারি দাভোস থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানোর নির্দেশ আইজিপির
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান আরও বাড়াতে পেশাদারত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য প্রদানকালে এ নির্দেশ দেন তিনি।
আইজিপি কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বক্তব্য ধৈর্য ধরে শোনেন এবং পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত রাখায় চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানান।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার হাজার পুলিশ ও তাদের পরিবারের সদস্য চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট গ্রহণ করেন। এছাড়া, গত বছর চক্ষু বিভাগে ৭১২টি অপারেশন এবং অন্যান্য বিভাগে ৬ হাজার ৪৬৭টি অপারেশন সাফল্যের সথে সম্পন্ন হয়েছে।
হাসপাতালের ডিজিটাল চিকিৎসা সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়া (রেজিস্ট্রেশন, ওপিডি, কনসালটেশন, মেডিসিন স্টোর, রিপোর্ট ডেলিভারি ইত্যাদি), ইমার্জেন্সি বিভাগ, রেডিওলজি ও ইমেজিং, আইসিইউ, ডায়ালাইসিস ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন আইজিপি। পরিদর্শনকালে তিনি সেবা গ্রহিতা পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (ডিআইজি) সরদার নূরুল আমিন, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) ডা. মো. এমদাদুল হক এবং সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এ বি এম মো. খোরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
কাফি