জাতীয়
মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ঢাকার সাভার উপজেলায় মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন প্লট মালিকসহ সেখানে বসবাসকারীরা। একই সঙ্গে এসব ব্যক্তিমালিকানাধীন বসতভিটা হতে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক) স্মারকলিপি প্রদান করে মধুমতি মডেল টাউন হাউজিং সোসাইটি নামে একটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজউক ভবনের সামনে জড়ো হন মধুমতি মডেল টাউনের প্লটের মালিক ও সেখানে বসবাসকারীরা।
রাজউকে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০১ সাল থেকে রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, খাজনা পরিশোধ ও বাড়িঘর করে এখানে বসবাস করে আসছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সকল রেকর্ড পত্র- সি.এস/এস.এ ও আরএস পর্চাসমূহে সুস্পষ্টভাবে জমিগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন নাল জমি হিসেবে বর্ণিত আছে। মেট্রো মেকার্স কর্তৃক ব্যাপক ধারাবাহিক প্রচারণায় আকৃষ্ট হয়ে মধুমতি মডেল টাউন প্লট ক্রয় করেন তারা। ঐ সময় কোন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রকল্প নিয়ে কোনো আপত্তি তোলা হয়নি। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০০৪ সালে বন্যা প্রবাহ অঞ্চলে অবস্থিত দাবি করে প্রকল্পটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দায়ের করে। আদালত ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই প্রকল্পটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। সেই সাথে প্রকল্প বৈধ হওয়ার রাস্তা খোলা আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে জানানো হয়, নির্দেশনার প্রেক্ষিতে একটি হাউজিং প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ৯টির মধ্যে সরকারের ৮টি বিভাগ যথা- পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ, তিতাস গ্যাস এন্ড ট্রান্সমিশন, ঢাকা ওয়াসা, পল্লী বিদ্যুৎ, টি এন্ড টি বোর্ড, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড (ডিটিসিবি) প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মেট্রো মেকার্সকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট ২০১২ সালের ৭ আগষ্ট এক উদ্ভট, ফরমায়েশি ও গণবিরোধী রায় প্রদান করে। রায়ে মেট্রো মেকার্সকে বলা হয় তাদের খরচে প্রকল্প এলাকার ভরাটকৃত মাটি সরিয়ে এটিকে আবার ধানক্ষেত বানাতে। আর প্লট ক্রেতাদের তাদের মোট প্রদেয় টাকার দ্বিগুণ এবং রেজিস্ট্রেশন বাবদ সকল খরচ প্রদান করে ৬ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য মেট্রো মেকার্সকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে মেট্রো মেকার্স ও প্লট মালিকদের পক্ষ হতে রিভিউ পিটিশন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে সব রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ার পর প্রায় ৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মেট্রো মেকার্স কর্তৃপক্ষ থেকে আমরা কোন টাকা পাই নাই। বর্তমানে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে মডিফিকেশনের দরখাস্ত শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রকল্পে বর্তমানে ৮০০’র বেশি আবাসিক ভবনে প্রায় ৫০ হাজার লোক বসবাস করেন। প্রকল্পের বাণিজ্যিক জোনে রয়েছে ১০০টির অধিক পোলট্রি ও ডেইরি ফার্ম, ৮টি রিসোর্ট, ৩টি মসজিদ, ৪টি মাদ্রাসা, স্কুল, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এখানে রয়েছে প্রায় ৮/১০ লক্ষাধিক বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছপালা, যা প্রকল্পটিকে একটি সবুজ নগরীতে পরিণত করেছে এবং পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। গত ২৪ বছরে এখানে ভূপ্রকৃতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে মধুমতি মডেল টাউনের চারদিক সরকারি বেসরকারি স্থাপনা বেষ্টিত একটি স্থলভূমি। প্রকল্পের অতি সন্নিকটে তথাকথিত ফ্লাডজোনে ডিএনসিসি কর্তৃক জাপান সরকারের সহায়তায় গার্বেজ রিসাইক্লিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। প্রকল্পের উত্তরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কোল ঘেষে গড়ে উঠেছে পেট্রোল/গ্যাস ফিলিং ষ্টেশন, আবাসিক এলাকা ও নানা স্থাপনা। প্রকল্পের পূর্বে রয়েছে বিদ্যুতের সাব-স্টেশন ও তিতাস গ্যাসের স্থাপনা। এইভাবে চারদিকে সরকারি, বাণিজ্যিক ও আবাসন বেষ্টিত মধুমতি মডেল টাউনকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বন্যা প্রবাহ এলাকা বা জলাধার আখ্যা দেওয়া বা বানানো নিতান্তই অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক। তাছাড়া, ঢাকা শহরের আশেপাশে বাস্তবায়ন করা প্রায় সব হাউজিং প্রজেক্ট এক সময় বিলামালিয়া ও বলিয়ারপুর মৌজার অবস্থায় ছিল। সে বিবেচনায় আদালতের রায় অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক।
যে কোনো রকম উচ্ছেদ পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকা সহ সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষা ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করায় বিঘ্ন ঘটানো থেকে নিবৃত থাকা এবং বাস্তবতার নিরিখে মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প এলাকাকে (ডেটাইলেড এরিয়া প্ল্যান) এ নগর আবাসিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
কাফি

জাতীয়
বাংলাদেশ আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো কিছু হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠকে বসব। বাংলাদেশের আশা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আয়োজিত এ বৈঠকে ভালো কিছু হবে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বাণিজ্য উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে এ আশার বাণী শুনান।
৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক হার নির্ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেও এসব দেশের জন্য আলোচনার দরজাও খোলা রেখেছেন তিনি। আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা বলা হলেও এ নিয়ে দর-কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেন। এর আগে ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিঠির পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির জন্য একটি নতুন নথি পাঠিয়েছে। এই নথিগুলিতে কী রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি বেশ বড় একটি নথি, এবং আমি এখনও এটি সম্পূর্ণরূপে পড়ার সুযোগ পাইনি। আমাদের পড়ে দেখতে হবে তারা কী চাইছে এবং চুক্তি হলে তারা কতটা পর্যালোচনা করতে ইচ্ছুক।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আলোচনা চলমান। ৯ জুলাই পরবর্তী আলোচনার তারিখ। ভালো কিছুর জন্য বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি।
কাফি
জাতীয়
বিগত তিন নির্বাচনকে ‘বৈধ’ বলা পর্যবেক্ষকদের সুযোগ দেওয়া হবে না: সিইসি

বিগত তিন নির্বাচনকে বৈধ বলে ‘রায়’ দেওয়া বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি জানতে চেয়েছেন কানাডার হাইকমিশনার। আমরা আমাদের প্রস্তুতির তথ্য জানিয়েছি। ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আমরা যে কাজ শুরু করব এসব বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ওনারা চান আমরা যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করি।
তিনি বলেন, এআইয়ের (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) মিসইউজ নিয়ে কথা হয়েছে। তারা এসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাজেশন দেবে। এছাড়া কানাডা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কমিটমেন্টের কথা শুনে সন্তুষ্ট। কানাডা আমাদের সহযোগিতা করবে। ব্যালট প্রকল্পে বা অন্যভাবেও সহযোগিতা করতে পারে।
নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনে অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবেন। ইইউসহ অনেকে চিঠি দিয়ে আমাদের জানিয়েছে। তবে বিগত তিন নির্বাচন নিয়ে যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক ‘ভালো’ সার্টিফিকেট দিয়েছেন তাদের আমরা নেবো না।
কাফি
জাতীয়
উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক-চুক্তিতে আগ্রহী ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শুল্ক-চুক্তি করতে আগ্রহী, যা দুই দেশের জন্যই একটি উইন-উইন (উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক) সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ফেসবুকে তার ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে এ কথা জানান তিনি।
জানা গেছে, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠিতে এ কথা বলা হয় বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন এবং তিনি দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই প্রতিনিধিদলে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠি পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে বলা হয়েছে যে, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এরই মধ্যে আমেরিকান কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছে। আগামী ৯ জুলাই আরেক দফা আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। উক্ত আলোচনায়ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন শেখ বশিরউদ্দীন।
জাতীয়
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৭৬ হাজার ৭৬৮ হাজি

পবিত্র হজ পালন শেষে ৭৬ হাজার ৭৬৮ জন বাংলাদেশি হাজি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের এক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হজ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ফিরতি ফ্লাইটে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৮৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৯৯৩ জন হাজি। চলতি বছর হাজিদের পরিবহনে তিনটি বিমান সংস্থা যুক্ত ছিল— বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স।
সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা হাজিদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৩৪ হাজার ৮ জন হাজি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২৬ হাজার ৬৮৩ জন হাজি, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১০ হাজার ৩৮৮ জন হাজি, অন্যান্য এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৫ হাজার ৬৮৯ জন হাজি।
এ পর্যন্ত ২০০টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৯৮টি ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৭৪টি ফ্লাইট ও ফ্লাইনাস পরিচালনা করেছে ২৮টি ফ্লাইট।
চলতি বছর হজ পালনে গিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী।
উল্লেখ্য, এবার হজযাত্রা শুরু হয় ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে যায় ৩১ মে। এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। ফিরতি হজ ফ্লাইট আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
জাতীয়
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের মাধ্যমে পক্ষপাতহীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করে মুক্তিযুদ্ধের বিভ্রান্তিকর ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব অবকাঠামোতে রণাঙ্গনের কোনো বিস্তৃত বর্ণনা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা নেই, কেবলমাত্র একটি পরিবারের ছবি-সরঞ্জাম দিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তিনি বলেন, ‘কোটি টাকা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে গেলেও তারা তেমন কোনো গবেষণা করেনি।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধাভোগী শ্রেণি হিসেবে গড়ে তুলেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ সম্পত্তি, সুযোগ-সুবিধা ও অর্থকে দলীয়করণ করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি অবকাঠামোতে বসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে। অরক্ষিত সম্পত্তি যেগুলো মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় রয়েছে; এগুলো মূল্যবান সম্পদ। এই সম্পত্তিগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে থাকা সম্পত্তি কীভাবে সদ্ব্যবহার করা যায় এবং ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগানো যায় এ বিষয়টি নিরূপণের জন্য অতিদ্রুত একজন পরামর্শক নিয়োগ এবং পরবর্তী একটি কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ কী কী হবে, তাদের আওতাধীন সম্পত্তিগুলোতে কী কী এন্টারপ্রাইজ হতে পারে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এই ট্রাস্টকে আবার জীবন্ত করতে হবে। আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সকল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস উঠে আসে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সকলকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত/বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং আগামী ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি