আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ইঙ্গিতে এশিয়ার পুঁজিবাজারে সতর্কতা

আজ মঙ্গলবার সকালে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পুঁজিবাজার চাঙা হলেও কিছুক্ষণ পরেই তা গতি হারায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন, এমন খবর চাউর হওয়ায় গতি হারায় শেয়ারবাজার।
সোমবার শপথ নেওয়ার পর ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দ্বিতীয় দফায় তাঁর এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সোনালি যুগ শুরু হচ্ছে। তাঁর এ কথায় বাজারে আশাবাদ তৈরি হয়।
নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন, সেগুলো বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেট মুনাফা বাড়বে। তাঁর অঙ্গীকারের মধ্যে আছে বাণিজ্য সংস্কার, কর হ্রাস ও সরকারি বিধিবিধানের রাশ আলগা করা। যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, ট্রাম্পের এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হলে মূল্যস্ফীতির হার উল্টো বেড়ে যেতে পারে। তখন ফেডারেল রিজার্ভ আবার নীতি সুদহার বাড়াতে বাধ্য হতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছিল, প্রথম দিনেই ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করতে পারেন, কিন্তু শেষমেশ তা হয়নি। সম্ভবত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রাম্প কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ করবেন। একই সঙ্গে সোমবার ওভাল অফিসে বসেই কোন কোন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কে অন্যায্যতা আছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কানাডা ও মেক্সিকো থেকে বিপুল পরিমাণ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন। সে জন্য ওভাল কার্যালয়ে ঢুকেই ট্রাম্প বলেছেন, কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিন্তা আছে। বিশেষ করে কানাডার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, কানাডা অনেক সুযোগের অপব্যবহার করে।
এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সব আমদানি পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে চীনের পণ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক লাভ হবে। যদিও সমালোচকেরা মনে করেন, এসব শুল্কের ভার শেষমেশ ভোক্তাদের ঘারেই বর্তাবে। এ ছাড়া দেশের বাইরে থেকে রাজস্ব আহরণে ট্রাম্প এক্সটার্নাল রেভিনিউ সার্ভিস নামের একটি বিভাগ স্থাপন করবেন।
আজ এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ার সূচকগুলোর মধ্যে জাপানের নিক্কিই এশিয়া সূচকের তেমন পরিবর্তন হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি সূচকের পতন হয়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ, যদিও অস্ট্রেলিয়ার এএসএক্স ২০০ সূচকের উত্থান হয়েছে প্রায় শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। এ ছাড়া পাউন্ড ও ইউরোর মতো শক্তিশালী মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওভাল অফিসে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে সই করার সময় বাজারের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা চিড় ধরেছে। বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের শুল্ক এজেন্ডা সম্পর্কে এত কিছু শুনেছেন যে তাতে বাজারের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা চিড় ধরেছে।
এদিকে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে ছিল মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র দিবস। সে কারণে এদিন শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পুতিন

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে যেকোনো যুদ্ধবিরতিতে সংঘাতের মূল কারণগুলোর সুরাহা করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছেন তিনি।
তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাত বন্ধে মস্কোর প্রতি ‘শর্তহীন’ যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেনে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা রাশিয়ায় অবস্থান করছেন এবং তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন।
এর আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে একটি চুক্তি ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে নিজেদের দাবিদাওয়ার তালিকা পেশ করে রাশিয়া। বিষয়টি সম্পর্কে জানাশোনা আছে এমন দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো দাবিদাওয়ার তালিকায় কী অন্তর্ভুক্ত করেছে ও তারা ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ওয়াশিংটনের দেওয়া শান্তি প্রস্তাব এরই মধ্যে মেনে নিয়েছে ইউক্রেন।
এদিকে, ওই দুই ব্যক্তি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা গত তিন সপ্তাহ ধরে ব্যক্তিগতভাবে ও ভার্চুয়ালি কথা বলার সময় ওই শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা জানান, ক্রেমলিনের শর্তের আওতা বিস্তৃত এবং তারা আগেও ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে যেসব দাবি জানিয়েছে সেগুলোর সঙ্গে এবারের শর্তগুলোও এক।
আগে রাশিয়া যে সব শর্ত দিয়েছিল সেগুলো ছিল, ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ না দেওয়া, ইউক্রেনে বিদেশি সেনা মোতায়েন করা হবে না মর্মে সমঝোতা এবং অধিকৃত ক্রিমিয়া ও চারটি প্রদেশ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত, তা মেনে নেওয়া।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সম্পদ কমেছে মাস্কসহ ৫ ধনকুবেরের

গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিরা। ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জুকারবার্গের মতো বিলিয়নেয়ারদের সম্পত্তির পরিমাণ তখন ছিল সর্বোচ্চ শৃঙ্গে। তবে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সাত সপ্তাহ পরে ঘুরে গিয়েছে তাদের ভাগ্য।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে ধনকুবেরদের জন্য।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, এই মার্কিন বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে থাকা শীর্ষ পাঁচজনের মোট সম্পদের পরিমাণ কমেছে ২০৯ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ইলন মাস্কের কমেছে ১৪৮ বিলিয়ন, জেফ বেজোস ২৯ বিলিয়ন, সের্গেই ব্রিন ২২ বিলিয়ন, মার্ক জাকারবার্গ ৫ বিলিয়ন এবং বার্নার্ড আর্নল্টের ৫ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কায় আমেরিকা থেকে জাপান পর্যন্ত শেয়ারবাজারে দরপতন চলছে।
এর প্রভাব আজ ওয়াল স্ট্রিটেও দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে গতকাল ওয়াল স্ট্রিটের সূচকে বড় ধরনের পতন দেখা যায়।
এর জেরে জাপান, হংকংয়ের মতো এশিয়ান শেয়ারবাজারেও পতন দেখা যায়। জাপানের নিক্কেই ২২৫ পয়েন্ট বা ২.৭ শতাংশ কমেছে এবং টপিক্স সূচক কমেছে ২.৮ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি ২.১৯ শতাংশ এবং কোডেক ২.২২ শতাংশ কমেছে। হংকংয়ের হ্যাং সেং ইনডেক্স ফিউচারস দুর্বল সূচনার ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে আমেরিকায় ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ৮৯০.০১ পয়েন্ট বা ২.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪১,৯১১.৭১ পয়েন্টে, অন্যদিকে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ পড়েছে ১৫৫.৬৪ পয়েন্ট বা ২.৭০ শতাংশ। এই আবহে এসঅ্যান্ডপি দাঁড়িয়ে আছে ৫৬১৪.৫৬ পয়েন্টে।
নাসডাক কম্পোজিট ৭২৭.৯০ পয়েন্ট বা ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭,৪৬৮.৩২ পয়েন্টে।
টেসলার শেয়ারের দাম কমেছে ১৫.৪ শতাংশ, এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম কমেছে ৫.০৭ শতাংশ, মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম কমেছে ৩.৩৪ শতাংশ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের স্টকের দাম ৫.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে নাসডাকের সবচেয়ে খারাপ দিন ছিল গতকাল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচিত হয়েছেন মার্কি কার্নি। এর মাধ্যমে দেশটিতে জাস্টিন ট্রুডো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ট্রুডো তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। রোববার (৯ মার্চ) রাতে কানাডার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টি মার্ক কার্নিকে নতুন দলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে। আর নিয়ম অনুযায়ী এখন তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রীও হবেন। দলীয় প্রধান হতে মোট চারজন প্রার্থী লড়েছিলেন। সেখান থেকে মার্ক কার্নি নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি এমন সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী হলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচিত হওয়ার পরই কার্নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে কথা বলেন। কানাডিয়ান পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে ‘নিজেদের জীবনের সবচেয়ে বড় সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন কার্নি। তিনি বলেছেন, “আমরা এই (বাণিজ্য) লড়াই চাইনি। কিন্তু কানাডিয়ানরা সবসময় প্রস্তুত থাকে যখন কেউ তার হাতের গ্লাভস ফেলে দেয়। তো মার্কিনিদের, কোনো ভুল করা উচিত নয়। হকি খেলার মতো বাণিজ্য লড়াইয়েও কানাডা জিতবে।”
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে অভিহিত করে কটাক্ষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গভর্নর ট্রুডো’ হিসেবে ডেকেছেন তিনি। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাব কিছুটা ঘুরিয়ে দিয়েছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচিত মার্ক কুর্নি। তিনি বলেছেন, “আমেরিকা কানাডা নয়। এবং কানাডা কখনো, কোনোদিন কোনোভাবে আমেরিকার অংশ হবে না।”
সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, এ সপ্তাহের যে কোনো একদিন কানাডার গভর্নর জেনারেলের কাছে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করবেন মার্ক কার্নি। কানাডার গভর্নর জেনারেল যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রতিনিধি। নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি এপ্রিলের শেষ দিকে কানাডায় নতুন সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন।
গত ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রিত্ব ও দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। এমন সময়ই তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ১০ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওডিশা থেকে বাংলাদেশি ১০ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) ওডিশা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার স্পেশাল টাস্কফোর্সের সদস্যরা ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করেছেন।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বরের রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে ১০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের সদস্যরা যে ১০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছেন- তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, তিনজন নারী এবং একজন শিশু। রোববার সকালের দিকে ভুবনেশ্বর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশ বলেছে, ওই বাংলাদেশিরা অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তাদের কাছে কোনও বৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি। তারা গত কয়েক দিন ধরে ভুবনেশ্বর রেলওয়ে স্টেশন অবস্থান করছিলেন। এ সময় অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে সাতটি মোবাইল ফোন, বাংলাদেশি মুদ্রা জব্দ করেছে এসটিএফ।
ওডিশা পুলিশের একাধিক সূত্র বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা আসামের ধুবরি জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করেন। পরে সেখান থেকে তারা ওডিশায় পৌঁছান। তাদের কাছে কোনও বৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি।
ওই বাংলাদেশিরা কয়েক দিন ধরে ভুবনেশ্বর রেলওয়ে স্টেশনে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে ওডিশা পুলিশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার হুমকির মুখে: জাতিসংঘ মহাসচিব

বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার ক্রমশ হুমকির মুখে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে গুতেরেস বলেন, নারীদের প্রতি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা বৈষম্য এখন নতুন নতুন হুমকির কারণে আরও প্রকট হচ্ছে। এই সংকট উত্তরণে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, যেহেতু অগ্রগতি বিপরীতমুখী তাই বিশ্ব এভাবে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। তিনি বলেন, নারীদের বিরুদ্ধে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা বৈষম্য নতুন হুমকির মাধ্যমে আরও প্রকট হচ্ছে। ডিজিটাল উপকরণগুলো একদিকে যেমন সম্ভাবনাময়, অন্যদিকে এগুলো নারীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্টতা আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং হয়রানিকে উসকে দিচ্ছে।
নারীদের শরীর এখন রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অনলাইনে সহিংসতা বাস্তব জীবনের সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। আমরা সমান অধিকারের ধারণাকে সাধারণীকরণের পরিবর্তে, পুরুষতন্ত্র ও নারী বিদ্বেষের প্রসার ঘটতে দেখছি। এসব চলতে থাকলে নারীরা আরও পশ্চাৎপদই হতে থাকবে। নারী অবস্থার পরিবর্তনে এগুলোই সবচেয়ে বড় বাধা বলে জানান জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। সমান অধিকারকে মূলধারায় আনার পরিবর্তে, আমরা উগ্রতা ও নারী বিদ্বেষকে মূলধারায় আনতে দেখছি বলে মন্তব্য করেন গুতেরেস।
গুতেরেস বিশ্বকে এই আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লিঙ্গ সমতা শুধু ন্যায্যতার বিষয় নয়, বরং এটি ক্ষমতার বিষয়। এটি নির্ধারণ করে কারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে বসবে, আর কারা বাইরে থাকবে। এটি সেই কাঠামোগুলো ভেঙে ফেলার ব্যাপার যা বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখে। এবং এটি একটি উন্নত বিশ্ব গড়ার ব্যাপার, যা সবার জন্য কল্যাণকর হবে। গুতেরেসের বক্তব্য অনুসরণ করে জাতিসংঘে নারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহোস বলেন, এই বছরের মতো লিঙ্গ সমতার আহ্বান আর কখনো এত জরুরি ছিল না। তাদের পথের বাধাও এত স্পষ্ট ছিল না। তবে, তাদের সংকল্প আগের চেয়ে আরও দৃঢ় ও অটল।