আন্তর্জাতিক
৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে তিনি অনুষ্ঠানিকভাবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মসনদে বসেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮৯০ সালের পর তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি একটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর আবারও প্রেসিডেন্ট হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ গ্রহণ করেছেন। তার আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জেডি ভ্যান্স। ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল রোটুন্ডায় তার শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে হাজির থাকবেন বিদেশি বিভিন্ন রাষ্ট্র নেতারাও।
প্রতিবার এ শপথ অনুষ্ঠান ক্যাপিটল হিলের বাইরে আয়োজন করা হয়। তবে তীব্র ঠান্ডার কারণে এবার সেটি ভেতরেই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ৪০ বছরের রীতি ভাঙতে চলেছে। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, দেশজুড়ে তীব্র ঠান্ডা বাতাস বইছে। ফলে আমি কাউকে কষ্টে ফেলতে চাই না। এজন্য আমি ক্যাপিটাল হিলের ভেতরে অভিষেক অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছি।
এর আগে ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিষেকের সময় এ জটিলতা দেখা দেয়। এ সময় তাপমাত্রা মাইনাস ১০ থেকে ২০ ডিগ্রিতে নেমে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মানুসারে, শপথগ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট একটি অভিষেক ভাষণ দেন, যেখানে তিনি তার দায়িত্ব পালনের সংকল্প ও পরিকল্পনা কথা জানান। এরপর বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানানো হয়। শপথের পর প্রেসিডেন্ট একটি শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন, যা ক্যাপিটল ভবনের প্রেসিডেন্ট রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এর পরপরই আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের পর ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন মেলানিয়াও
যুক্তরাষ্ট্রের হবু ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প নিজের নামে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন। স্বামী ও হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের প্রাক্কালে এটা চালু করলেন তিনি।
গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে নিজের নামে ($মেলানিয়া) ক্রিপ্টোকারেন্সি চালুর ঘোষণা দেন ট্রাম্পপত্নী মেলানিয়া।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের নামে ($ট্রাম্প) ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করার এক দিন পরই মেলানিয়া একই ঘোষণা দিলেন। দুটি মুদ্রার মূল্যমান বাড়লেও লেনদেনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
কয়েক মার্কেটক্যাপ ওয়েবসাইটের তথ্য, ট্রাম্পের নামে থাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট বাজারমূল্য ৮৭০ কোটি ডলার। আর মেলানিয়ার নামে চালু করা ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৩০ কোটি ডলার।
ট্রাম্প এর আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘কেলেঙ্কারি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সির বিপক্ষে ছিলেন।
কিন্তু ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের মনোভাব পুরোপুরি বদলে যায়। ওই সময় তিনি ইতিহাসের প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ডিজিটাল সম্পদে নির্বাচনী অনুদান গ্রহণ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ আজ
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিজুড়ে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
এ জন্য বিশ্বের অনেক সরকারপ্রধান ও রাজনীতিবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে তীব্র শীতের মধ্যে হালকা বরফের কারণে এবার পরিবর্তন আনতে হচ্ছে স্থান নির্বাচনে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠিত হবে ক্যাপিটল ভবনের অভ্যন্তরে (ইনডোরে)। যা হবে গত ৪০ বছরের মধ্যে প্রথম। কারণ এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠিত হতো বাইরে (আউটডোরে)।
এরই মধ্যে ট্রাম্প ওয়াশিংটনে এসে পৌঁছেছেন। শপথ অনুষ্ঠানের আগে তিনি রাজধানীতে ক্যাম্পেইন স্টাইলে একটি সমাবেশ করেছেন। সেখানে তিনি একটি ভাষণও দিয়েছেন। এতে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি, টিকটক, প্রথম দিনের কার্যক্রম ও সফর নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথম দিনই রেকর্ড সংখ্যক নির্বাহী আদেশ জারি করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অভিষেক ভাষণের পরপরই এসব আদেশ জারির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ট্রাম্প জানান, ঠিক কতগুলো আদেশ জারি করবেন তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে তিনি বলেন, ‘সংখ্যাটি রেকর্ড ভাঙবে।’ ১০০’র বেশি হতে পারে কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, অন্তত ওই সংখ্যার মধ্যেই থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলি সেনাদের কাছে ৩ জিম্মিকে হস্তান্তর
যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে ৩ নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। রোববার (১৯ জানুয়ারি) গাজার আল-সায়রা স্কয়ারে তাদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেন হামাসের যোদ্ধারা। এরপর জিম্মিদের গাজায় অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনাদের কাছে নিয়ে যায় রেডক্রস। সেখান থেকে তাদের ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
তারা বলেছে, “কিছুক্ষণ আগে প্রতিরক্ষা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সেনারা মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের নিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন। এখন জিম্মিরা দক্ষিণ ইসরায়েলের প্রাথমিক গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন। সেখানে তাদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।”
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সাবেক জিম্মি রোমি গোনেন, এমিলি দামারি এবং দোরোন স্টেইনব্রিচার এ মুহূর্তে নিরাপদ আছেন। তারা আমাদের কাছে আছেন। তারা বাড়ি ফিরছেন।
গাজায় জিম্মিরা অমানবিক অবস্থায় আছে দাবি করে হ্যাগারি আরও বলেন, যেসব জিম্মি এখনো অমানবিক অবস্থায় গাজায় আছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আমরা তাদের ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছি।
দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসরায়েলি সরকার তিন জিম্মিকে বরণ করে নিচ্ছে। সরকার সব জিম্মি ও নিখোঁজদের ফিরিয়ে আনার জন্য বদ্ধপরিকর।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে এসব জিম্মিকে ধরে নিয়ে যায় হামাস। এরমধ্যে ওই বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। ওই সময় ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। এরপর চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ার পর সামরিক শক্তি ব্যবহার করে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা জিম্মিদের মরদেহ আনতে পেরেছে।
আজ রোববার থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলবে ৪২ দিন। এই সময়ে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। অপরদিকে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেবে। প্রথম ধাপ চলার সময় দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা হবে। ওই ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি এবং গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন হাসিনা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত আগস্টের প্রথম দিকে সংসদের স্পিকার (তৎকালীন) শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন। সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য ‘লকডাউন’ নিশ্চিত করছিল, যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
এই পত্রিকার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পতিত আওয়ামী লীগের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘আমরা সে সময়ে গণভবনে ছিলাম এবং ক্রমাগত পরিকল্পনা করছিলাম, কীভাবে বিক্ষোভের সমাধান করা যায়। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর (সাবেক) আকস্মিক পদত্যাগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়বে। সে কারণেই লকডাউনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’
২০২৪ সালের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা চীনে রওনা হন এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে একটি পূর্ণাঙ্গ ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন তীব্র বিক্ষোভের রূপ ধারণ করে। ছাত্ররা যখন ‘এক দফা দাবি– শেখ হাসিনার পদত্যাগ’ দাবি করেন, তখন নওফেলকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-সমন্বয়কারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেছিলেন শেখ হাসিনা। পরে ছাত্রবিক্ষোভ তীব্র হয়ে উঠলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
নওফেল মনে করেন, আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রে আগত ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মনোভাবের ওপর। নওফেল বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস হিলারি ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় বিনিয়োগ করেছিলেন। আমি নিশ্চিত, ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার পরে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য কিছু প্রতিক্রিয়া হবে।’
‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের, বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়ার ঘটনাবলি থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা উচিত নয়।’
বাংলাদেশে গত পাঁচ মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় অর্থনীতি ও শিল্পে অস্থিরতা বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন নওফেল। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তন আনার কোনো এখতিয়ার নেই। বাংলাদেশের আদর্শিক গতিপথ নির্ধারণেরও এখতিয়ার নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যার জেরে ১২ জানুয়ারি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জবাবে পরদিনই দিল্লিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করেছিল ভারত।
এ বিষয়ে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালকে প্রশ্ন করা হয়।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আমরা আগেও অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় গিয়েও ইতিবাচক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। আমরা দুই দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই এবং সম্পর্ক আরও ইতিবাচক পথে এগিয়ে নিতে চাই। এ অবস্থান আমাদের অপরিবর্তিত।
কাঁটাতারের বেড়া প্রসঙ্গে নিয়ে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে ডেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ রোধ, পাচার বন্ধ এবং গবাদি পশুর জন্য সুরক্ষিত সীমান্ত তৈরির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এসব কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা কাঁটাতারের বেড়া, আলো এবং প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপন করছি। এ বিষয়ে ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, বলেও জানান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে চলতি মাসের শুরুতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে।
বিজিবি এর প্রতিবাদ জানালে নির্মাণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এসময় ভারত দাবি করে, তারা আগের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে। তবে বাংলাদেশ জানিয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া এ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হবে।
কাফি