রাজনীতি
আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ নয়: তারেক রহমান

আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য এতো সহজ নয়, জনগণ ম্যাটারস’ এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, আমি গত কয়েক মাস ধরে বলছি, সামনের নির্বাচন এতো সহজ নয়, আপনারা যত সহজ ভাবছেন। জনগণ হচ্ছে আমাদের শক্তি, জনগণ হচ্ছে আমাদের সমর্থন, কাজেই আমরা যদি ভুল করি জনগণ আবার কোনো একটা কিছু বুঝিয়ে দেবে তখন কিন্তু পস্তাতে হবে, তখন কিন্তু হা-হুতাশ করতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, এখনো সময় আছে আসুন, আসুন, আসুন, আমরা জনগণের পাশে থাকি, জনগণের সঙ্গে থাকি। যারা এমন কিছু করবে যা আপনাকে-আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা আমার দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, আমরা কে ছোট নেতা, কে গ্রামের নেতা, কে ইউনিয়নের নেতা, কে বড় নেতা, কে বিভাগীয় নেতা, কে কেন্দ্রীয় নেতা বিষয়, এটি নয়। বিষয়টি হচ্ছে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। আমাদের এমনভাবে দাঁড়াতে হবে, যাতে জনগণ বোঝে আমরা তাদের সঙ্গে আছি, জনগণ যেন বোঝে আমরা তাদের পাশে আছি। জনগণ যেন বোঝে, তারা যেভাবে চায় আমরা সেইভাবেই আছি। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা সেইভাবেই তাদের পাশে আছি।
আজকে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে এই হোক আমাদের শপথ, এই হোক আজকে আমাদের প্রতিজ্ঞা।
‘সর্ব পর্যায়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত চাই বলে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রের সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে যেখানে নির্ধারিত হবে, সেটি জাতীয় সংসদ হোক, সেটি পৌরসভা হোক, সেটি ইউনিয়ন পরিষদ হোক যেটিই হোক না কেন? আমরা যদি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে ধীরে ধীরে আমরা এগোতে সক্ষম হবো। সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকে, প্রতিটি কাজের জন্য। তাহলেই একমাত্র জনগণের ক্ষোভ, দুর্দশা লাঘব করা সম্ভব হবে। জনগণের কথা, জনগণের ইচ্ছা, জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে সরকারের কাজের মাধ্যমে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কেন চাইছি আমরা। একটি নির্বাচিত সরকার ছাড়া ম্যান্ডেড পাওয়া যায় না। সংস্কার করতে হলেও পার্লামেন্ট লাগবে। নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের সংকট তত দ্রুত কাটবে। রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। সংস্কারতো শুরু করেছিলাম আমরা আরও দুই বছর আগে। আমরা গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে ৩১ দফা দিয়েছে। এখানে সব কিছু রয়েছে।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম এখন এমনভাবে বাড়ছে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্তর্রর্তী সরকারকে বলবো দয়া করে ওদিকে নজর দিন। দয়া করে সুশাসনের দিকে নজর দিন। এখন সরকারি যে আমলা কর্মকর্তা রয়েছে তাদের মধ্যে দুর্নীতি শুরু হয়ে গেছে দয়া করে ওদিকে নজর দিন। যাতে সুশাসন দিতে পারে সেদিকে নজর দিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। নির্মম ইতিহাস তাদের নেতার (শেখ মুজিব) ছবি মূর্তি যেখানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ তা মুছে ফেলেছে। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম সবার সামনে ভেসে আসছে। কেন, কারণ হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে চলে গিয়েছে। আমরা সব সময় বলি তাকে যতই মুছে দিতে চাও পারবে না, কারণ তার নাম মানুষের অন্তরে রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কবি আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চাই না: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চাইনি, আর দেখতে চাইও না। সব দলকে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ রেখে যেতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রুপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, আমরা একটা দীর্ঘ লড়াই করে এসেছি। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। নিপীড়ন, গুম, খুন হত্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে আমরা সবাই মিলিত হতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, এ রমজানের ইফতারের মধ্যদিয়ে আমাদের যে বিভেদ রয়েছে সেটি দূর করতে পারব। আমরা একটা সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, আশা করছি শিগগিরই আমাদের প্রত্যাশিত সংস্কার সম্পন্ন হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিচার ও সংস্কার করুন, আমরাই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেব: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি’র) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলতে চাই আপনারা বিচার ও সংস্কার পেছানোর রাজনীতি করবেন না। বিচার ও সংস্কারের প্রতি ঐকমত্য পোষণ করুন, আমরাই আপনাদের নির্বাচন করার ব্যবস্থা করে দেব।
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, সরকারকে বলবো দ্রুত বিচার ও সংস্কারের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। কত দিনের মধ্যে এবং কোন প্রক্রিয়ায় আমরা দৃশ্যমান বিচার ও সংস্কার দেখতে পারবো, তার সুস্পষ্ট রোডম্যাপ অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে।
এনসিপির এই আহ্বায়ক বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাসহ যেসব উপদেষ্টাকে সরকারের ক্ষমতায় বসিয়েছি তাদের কাছে কড়ায় গন্ডায় জবাব নেব। আমাদের সংস্কার কতটা আদায় হলো। রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনের জন্য এতই তাড়াহুড়া করে তাহলে ভোট চাইতে গেলে কিন্তু তাদের জবাব দিতে হবে। বাংলাদেশে যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে আমরা ধরে রাখতে চাই।
নাহিদ বলেন, আমরা সাধারণ জনতার কাতারে নেমে এসে নতুন একটি দল গঠন করেছি। জুলাই আন্দোলনের যে আকাঙ্ক্ষা তার ভিত্তিতে আমরা কারও ওপর নির্ভরশীল হতে চাই না। যে কারণে আমরা নিজেরাই মাঠে নেমে সেই দাবি বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আমরা স্পষ্ট হয়েছি যে আমাদের এই মুহূর্তে জরুরি দাবিটা কি। আমরা সবাই বিচার ও সংস্কারের কথা বলছি। এদের মনের আকাঙ্ক্ষা আমাদের বুঝতে হবে।
এনসিপির এই আহ্বায়ক বলেন, জুলাই আগস্টেরর গণহত্যায় শহীদ পরিবারের অনেকে মামলা করেছে। তাদের বিচার করা ছাড়া যদি কোনো দল নির্বাচন করে চলে আসে তাহলে এর কি ভরসা যে সে দল এসে পরে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করবে না। তাই আমরা এগুলো বলছি। আর আওয়ামী লীগ যে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না সেই ফয়সালা দেশের মানুষ জুলাই-আগস্টেই করে ফেলেছে।
বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে দ্রুতই এনসিপি রাজপথে নামবে-এমন মন্তব্য কবে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা কেউই নির্বাচনের বিপক্ষে নই। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো বলেই আমরা নিজেরাই একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা বলছি গণপরিষদ নির্বাচন। কারণ জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সংবিধান অকার্যকর এবং ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি নতুন সংবিধান আমরা এই জাতিকে উপহার দিতে চাই। বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে দ্রুতই রাজপথে নামবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জুলাইয়ে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এনসিপির ইফতার

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইফতার অনুষ্ঠান করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠে তাবু বানিয়ে ইফতারের আয়োজন করে নতুন এই দল। কার্পেট বিছিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয় আগত অতিথিদের জন্য।
সরজমিন দেখা গেছে, বড় এই তাবুতে সবাই লাইন করে বসেছে ইফতারের পূর্বেই। জুলাইয়ে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা এতে উপস্থিত হন।
রাজধানীর বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন মাসুদ মিয়া স্ট্রেচারে এসেছেন ইফতার ও দোয়া মাহফিলে। তিনি বলেন, এখানে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। নতুন দল আমাদের ভুলে যায়নি মনে রেখেছে। অনেকের সঙ্গে দেখাও হচ্ছে।
ইফতার আয়োজন বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, যাদের রক্তের বিনিময় আমরা এই নতুন দেশ পেয়েছি তাদেরকে আমরা সব সময় স্মরণ করি। তাদের উদ্দেশ্যে আজ আমরা আজ ইফতারের আয়োজন করেছি। শহীদ ও আহত পরিবারের জন্য ইফতার আমাদের দায়িত্ব। এটি আমাদের আবেগের জায়গা।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আয়োজন নিয়ে সারজিস আলম বলেন, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা আমাদের এক পরিবার। আজ পরিবারিক পরিবেশেই আমরা এই ইফতার অনুষ্ঠান করবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
কোনো নারী নিপীড়ন বরদাশত করা হবে না: এনসিপি

নারীদের ওপর কোনো সহিংসতা বা নিপীড়ন বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই সঙ্গে নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় জাতীয় নাগরিক পার্টি।
বিবৃতিতে নাগরিক পার্টি বলেছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের ওপর ধর্ষণ, নির্যাতন, সাইবার হয়রানি ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটছে। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থীকে হয়রানি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মী। শাহবাগ থানায় গ্রেপ্তার থাকা অবস্থায়ও গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এরপরও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় এবং মামলা প্রত্যাহারে ভুক্তভোগীকে নানা চাপ দেওয়া হয়। এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মাগুরায় এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনে জাতীয় নাগরিক পার্টির নারী নেতারা এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নারী নেতা-কর্মীরা পতিত ফ্যাসিবাদীদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
নারীদের ওপর সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের নিপীড়নের ঘটনা জনপরিসরে নারীদের নিরাপত্তাহীন অবস্থাকে তুলে ধরে। নারীদের নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এনসিপি সর্বদা বদ্ধপরিকর। নারীদের ওপর কোনো সহিংসতা কিংবা নিপীড়ন বরদাশত করবে না এনসিপি।
নারীদের ওপর চলমান সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনাগুলোয় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি বলেছে, নারীর প্রতি সহিংসতা কঠোরভাবে দমন করার মধ্য দিয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নারী যেন অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার। তিনি বলেন,নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। বিশ্বব্যাপী মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা গুরুত্ব পায়। এ দিবসটি নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সচেতনতা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেটির ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়। ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মেয়েদের জন্য দুটি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চট্টগ্রামে এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এবং উচ্চ শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ব্যক্তি খাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়। যাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের মানুষকে দ্রুততম সময়ে সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা লাভে আগ্রহী করে তুলতে বেগম খালেদা জিয়া সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করে। পল্লি অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী একটি উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদের সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পায়। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকের এই শুভ দিনে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থিম ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’-এর সফলতা কামনা করছি।