কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংকের বিজনেস পলিসি ও প্ল্যানিং কনফারেন্স

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি ব্যবসায়িক অবস্থান মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘বিজনেস পলিসি এবং প্ল্যানিং কনফারেন্স-২০২৫’ এর আয়োজন করেছে।
সম্প্রতি ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইনের সভাপতিত্বে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, শাখা প্রধানবৃন্দ, সকল উপশাখা এবং অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের প্রধানগণ এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম.এ. কাশেম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারপারসন মিসেস রেহানা রহমান এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ যথাক্রমে জনাব আজিম উদ্দীন আহমেদ, জোসনা আরা কাশেম, দুলুমা আহমেদ, মো. আকিকুর রহমান, নাসির উদ্দিন আহমেদ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, সিংগেল ক্লিক আইটি সল্যিউশন প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. নুরুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যারিস্টার এম. মইন আলম ফিরোজী।
কনফারেন্সে ব্যাংকের ২০২৪ সালের সার্বিক কার্যক্রম এবং অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। কনফারেন্সে, ২০২৫ সালের জন্য একটি সুসংগঠিত কৌশলগত ব্যবসায়িক নীতি এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় খাতসমূহ এবং ব্যাংকের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
এসময় সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম.এ. কাশেম বলেন, ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা ও ভালোবাসার কারণেই ব্যাংকটি শত প্রতিকূলতার মধ্যেও টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তিনি কর্মীদের এই অবদানের জন্য গভীর প্রশংসা করেন এবং তাদের ব্যাংকের প্রতি ভালোবাসা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে, তিনি সবসময় ব্যাংকের কল্যাণে এবং কর্মীদের পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, একতা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে সাউথইস্ট ব্যাংক একদিন সমস্ত প্রতিকূলতার কালো মেঘ দূর করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাদেক হোসাইন ২০২৫ সালে ব্যাংকের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে কর্মী এবং গ্রাহকদের প্রতি তাদের অবিচল সমর্থন ও আনুগত্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষত তিনি ২০২৫ সালকে ব্যাংকের অবস্থান আরো সুসংহত করার এবং প্রবৃদ্ধির বছর হিসেবে উল্লেখ করেন। যেখানে ব্যাংক তার তিন দশকের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধার, শ্রেণীকৃত ঋণ হ্রাস করার লক্ষ্যে রিকোভারী কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করা, লোন পোর্টফোলিও কে আরো বৈচিত্রময় করা এবং রিটেইল ডিপোজিট সংগ্রহের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি আগত ২০২৫ সালে গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার এবং তাদের চাহিদা পূরণে উদ্ভাবনী ব্যাংকিং সমাধান প্রদান করার ওপর জোর দেন।
ভবিষ্যতের লক্ষ্য অর্জনের আশাবাদ এবং দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করে সভাটি সমাপ্ত হয়। ২০২৫ সালে ৩০ বছর পূর্তিতে সাউথইস্ট ব্যাংক আস্থা, উদ্ভাবন এবং সমষ্টিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের কুমিল্লা জোনে টাউন হল মিটিং

এনআরবিসি ব্যাংকের কুমিল্লা জোনে টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ফেনীর একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। টাউন হল মিটিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ, কুমিল্লা জোনাল হেড কাজী মোহাম্মদ জিয়াউল করীমসহ শাখা-উপশাখাগুলোর সকলস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ফেনীর সমন্বয়ে গঠিত কুমিল্লা জোনের বিদ্যমান শ্রেণিকৃত ঋণ ৫ শতাংশ থেকে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়মনীতির অনুসরণ, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে ঋণশৃঙ্খলা অনুসরণের মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন সম্পদ বাড়াতে হবে। ঋণ আদায় বাড়াতে প্রয়োজনীয় আইনগত পদ্ধতির প্রয়োগ করতে হবে। এতে কর্পোরেট সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত হবে এবং সাথে সাথে ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সূচকে অগ্রগতি হবে।
এছাড়া তিনি সুদবিহীন ও স্বল্প সুদের আমানতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে তহবিল ব্যয় কমিয়ে আনা এবং সিএমএসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত আমাদের ব্যাংকের বিপুল সংখ্যক শাখা-উপশাখা রয়েছে। কুমিল্লায় বড় শিল্পের পাশাপাশি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) রয়েছে। এছাড়া মৎস্যচাষ ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের দ্রæত প্রসার ঘটছে কুমিল্লাতে। এই অঞ্চলের শাখা ও উপশাখাগুলোর মাধ্যমে এসবখাতের উন্নয়নে সার্বিক সেবা কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের তাদের প্রয়োজন বিবেচনা করে ব্যাংকিং সেবা বিস্তার ঘটাতে হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকে এএমএল ও সিএফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম

এবি ব্যাংক পিএলসি এএমএল এবং সিএফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউর পরিচালক মো. মফিজুর রহমান খান চৌধুরী এবং অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে এবি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান কাইজার এ. চৌধুরী, পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যবৃন্দ এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক নোয়াখালী জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকের নোয়াখালী জোনাল অফিস কনফারেন্স হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান মো. আনোয়ার হোসেন।
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাকসুদুর রহমান এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিসুল হক।
সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
গ্রাহক সেবা বাড়াতে বাংলালিংক ও বিকাশের চুক্তি

উন্নত ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধিতে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের সাথে এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। এ অংশীদারিত্বের ফলে, গ্রাহকেরা এখন বিকাশের মাধ্যমে এসএমএস-ভিত্তিক সমাধান, ডেটা প্যাকেজ সেবা ও সহজ পেমেন্ট সুবিধা উপভোগ করবেন।
সম্প্রতি, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার’স ডেন’ -এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশজুড়ে সবার কাছে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দেয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই দুই সেবাখাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান দু’টি নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে যাবে।
এ অংশীদারিত্বের ফলে দু’টি প্রতিষ্ঠান সেবার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করা ও দ্রুত লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ডিজিটাল সুবিধাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির প্রসারে সম্মিলিতভাবে কাজ করেবে, যা দেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে আরও বেশি গ্রাহককেন্দ্রিক, সহজ ও স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলালিংক ও বিকাশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
এবিষয়ে বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, দেশে ডিজিটাল উদ্ভাবনে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আমরা উন্নত আইসিটি সমাধান ও নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবার মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিকাশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব, গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং দেশজুড়ে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ যৌথ লক্ষ্যেরই প্রতিফলন। বাংলালিংকের ডিজিটাল সেবাদানে অভিজ্ঞতা এবং বিকাশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সল্যুশনে দক্ষতাকে একত্রিত করে আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি চাহিদা পূরণে এবং একটি আরও আধুনিকবাংলাদেশ গঠনে অর্থবহ অবদান রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিকাশের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, একটি গ্রাহককেন্দ্রিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকাশ বিশ্বাস করে, এই ধরণের অংশীদারিত্ব দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকদের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালক করে। বাংলালিংকের মতো অংশীদারদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলব, যেখানে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা উপভোগ করবেন এবং সহজ আর্থিক সমাধান উপভোগ করবেন, যা তাদের জীবনকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তারা বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রাহককেন্দ্রিক করার বিষয়ে ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ. তানজিন; হেড অব কি সেগমেন্ট সাদ মোহাম্মদ ফাইজুল করিম; হেড অব সেলস প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশনস মোহাম্মদ আহাসুন হাবিব; কর্পোরেট গ্রুপ ম্যানেজার এস. এম. ফাহাদুজ্জামান এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এস. এম. রাশেদুজ্জাহান।
বিকাশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ; ইভিপি ও হেড অব সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলম; টেকনোলজি ও জেনারেল প্রোকিউরমেন্ট বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল বিন রায়হান; এসসি গভর্নেন্স অ্যান্ড কন্ট্র্যাক্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার মশিউর রহমান; এবং এসসি গভর্নেন্স অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার তানজিদ হাসান ফাহিম।
কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা সফলভাবে সম্পন্ন

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও আস্থাভাজন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অত্যন্ত সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে আয়োজিত এজিএম-এ শেয়ারহোল্ডারদের উষ্ণ উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। সভাপতিত্ব করেন ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শরীফ জহীর।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ভাইস-চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. তানভীর খান, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, মো. ইউসুফ আলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ।
উল্লেখ্য, এটি ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে গঠিত পরিচালনা পর্ষদের অধীনে প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা- যা নতুন পথচলার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে সভায় ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২৫০০ কোটি থেকে টাকা থেকে দ্বিগুণ করে ৫০০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার ব্যাপারে সর্বসিম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। পাশাপাশি, রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন সভায় গৃহীত হয়—যা ব্যাংকের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করবে।
সভায় পরিচালনা পর্ষদকে অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহের জন্য কৌশলগত অংশীদার খুঁজে বের করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তারা ব্যাংকিং, ডিজিটাল ব্যাংকিং, উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (DFI) ও সংশ্লিষ্ট খাতে অভিজ্ঞ এবং প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্যই এ কার্যক্রম সব নিয়মকানুন মেনে ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে পরিচালিত হবে।
শেয়ারহোল্ডাররা সভায় সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, মাত্র ছয় মাসে ইউসিবি ৭ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকার নিট আমানত এবং ৩ লক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে যেভাবে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে, তা ব্যাংকের গতিশীল নেতৃত্ব ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমেরই ফসল।
সভা শেষে চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ইউসিবির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ফারুক আহাম্মদ, এফসিএ, শেয়ারহোল্ডার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা (রেগুলেটর) এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ, আস্থা ও নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এরপর তিনি সভার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।