কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু
ইসলামী ব্যাংক পিএলসি বর্তমানে ৪০০টি শাখা, ২৬৫টি উপশাখা, ২৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেট, ৩,০৪০টি এটিএম/সিআরএম বুথের মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে। ১ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকার আমানত যা বিগত বছরের তুলনায় ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ও ১ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ২০২৪ সালে। বিগত বছরে এ ব্যাংক আমদানি, রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স আহরণ করেছে যথাক্রমে ৬৪ হাজার ৭৮২ কোটি, ৩২,৪৩৮ কোটি এবং ৬৬,০১৭ কোটি টাকা। ডিজিটাল ওয়ালেট সেলফিন অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ। ৩৪ হাজার গ্রামের ১৮ লক্ষাধিক পরিবারের মাঝে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ প্রদান করেছে এই ব্যাংক।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ব্যাংকের ২ দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল এবং শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন। ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টরমোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্ল্যাহ আল মাসুদ বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের এক নম্বর ব্যাংক এবং দেশের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ এ ব্যাংকের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। ৬,৫০০ ইউনিটের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দেশজুড়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক আর এ বিস্তৃত নেটওয়ার্কই প্রমাণ করে এ ব্যাংকের জনপ্রিয়তা।
তিনি আরো বলেন, দেশের ৩৪ হাজার গ্রামে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক। আমরা এই সেবা দেশের ৬৮ হাজার গ্রামেই ছড়িয়ে দিতে চাই। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এ ব্যাংক প্রায় ৯ লক্ষ নতুন গ্রাহক এবং ১৩ হাজার কোটি টাকা নতুন ডিপোজিট সংগ্রহ করেছে। বিগত বছরেই ব্যাংক ৪০০তম শাখা উদ্বোধনের মাইলফলক অর্জন করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের অবদান অবিস্মরণীয়। ২০২৪ সালে নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেও ইসলামী ব্যাংক সকল ব্যবসায়িক সূচকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি ডিপোজিট সংগ্রহ করেছে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯ ভাগ এ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা এ ব্যাংকে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাছিয়েছেন যা দেশের মোট রেমিট্যান্সের এক চতুর্থাংশ। এ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, এ ব্যাংকের কর্মীরা অত্যন্ত সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। একই ছাদের নিচে এতো সৎ ও দক্ষ মানুষের সমাবেশ কোথাও নেই। তাঁরা রেমিট্যান্স আহরণ, বিনিয়োগ ও আমানতের অগ্রগতি অর্জনের জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। ইসলামী ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
সম্মেলনে ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ, কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশনের প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান ও ৮টি কর্পোরেট শাখাসহ ৪০০টি শাখার ব্যবস্থাপকরা সম্মেলনে অংশ নেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা
এনআরবি ব্যাংক পিএলসির বার্ষিক ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান। ব্যাংকের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
সভায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঝুকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম কবির, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মেদ জাহেদ ইকবাল, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ রফিকুল হক, পরিচালক বায়জুন নাহার চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র পরিচালকবৃন্দ মতিউর রহমান, কাজী তৌহিদুল আলম, আব্দুল হালিম চৌধুরী এবং শাহ মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন, ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামিল ইকবাল, পরিচালকবৃন্দ আলী আহমেদ এবং খন্দকার রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচলকবৃন্দ মো. শাহীন হাওলাদার, মো. আলী আকবর ফরাজী এবং আনোয়ার উদ্দিনসহ সকল শাখা ব্যবস্থাপক ও করপোরেট হেড অফিসের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিগত বছরের বিভিন্ন শাখা ও বিভাগসমূহের অর্জিত সাফল্য নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হয় এবং ২০২৫ সালের লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একই সাথে প্রয়োজনীয় পরিপালন বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
জেসিআই ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন আলতামিশ নাবিল
নতুন করে জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় বিশেষ সাধারণ সভায় (এক্সট্রা-অর্ডিনারি জেনারেল অ্যাসেম্বলি) মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (এনইভিপি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) গাজীপুরে একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত জেসিআই জাতীয় বিশেষ সাধারণ সভায় এই এনইভিপি পদের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন এই কমিটিতে তরুণ ব্যবসায়ী ও সংগঠক কাজী ফাহাদ জাতীয় সভাপতি এবং তরুণ উদ্যোক্তা আরেফিন রাফি আহমেদ ডেপুটি জাতীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
জেসিআই বাংলাদেশের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নতুন বোর্ড ২০২৫ সালের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবে। জেসিআই বাংলাদেশের ইমিডিয়েট পাস্ট ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির নতুন বোর্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আলতামিশ নাবিল আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর পেশাগত জীবন শুরু করেন। তিনি বর্তমানে ইয়ুথ আপস্কিল নেটওয়ার্ক – ইউনেট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং মিয়াকি-র ম্যানেজ সার্ভিসের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি দেশের জাতীয় পর্যায়ের আইসিটি-ভিত্তিক প্রকল্পগুলোর একটি পরিচালনা করে।
বহু বছর ধরে তিনি বিশ্বব্যাপী অসংখ্য তরুণের জীবন পরিবর্তনে কাজ করছেন। পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং, কনটেন্ট রাইটিং, লিডারশিপ, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার, অ্যাপ মনিটাইজেশন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে তার ভূমিকা প্রশংসিত। এছাড়াও তিনি ক্রিড়া আয়োজন প্রতিষ্ঠান স্পোর্টস৯৭ লিমিটেড এবং নিওন গ্রুপ এর সঙ্গে পরিচালক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তিনি একাধিক স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র নির্মাণ করেছেন এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত হয়েছেন।
তিনি বেশকিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ভোরের কাগজ এবং আরও কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চলচ্চিত্র ও ক্যারিয়ার বিষয়ক নিয়মিত লেখালেখি করছেন। লেখক হিসেবে নাবিলের লেখা উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো: মহারাজা তোমারে সেলাম, লুমিয়ের থেকে হীরালাল, লেট দেয়ার বি লাইট, বাংলার চলচ্চিত্রপথ, অস্কারনামা, এবং কনটেন্ট রাইটিংয়ের মহারাজা।
আলতামিশ নাবিল রোটারি ইন্টারন্যাশনালের একটি ক্লাবের বোর্ড সদস্য এবং ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) ও বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন ফর লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বোল্ড)-এর সম্মানিত সদস্য হিসেবেও যুক্ত রয়েছেন। জেসিআইতে তিনি ২০২২ সালে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের সভাপতি, ২০২৩ সালে ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট, ২০২৪ সালে ট্রেনিং কমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন এবং “জেসিআই সিনেটর” উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
নতুন এ দ্বায়িত্ব সম্পর্কে আলতামিশ নাবিল বলেন, ‘যুব-ভিত্তিক এই সংগঠন জেসিআই বাংলাদেশ আগামী বছরে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করবে এবং জেসিআইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার জন্য কাজ করে যাবে।’
জেসিআই বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এর সদস্য সংখ্যা দুই লক্ষাধিক। জেসিআই বাংলাদেশ বর্তমানে ৪০টিরও বেশি স্থানীয় সংগঠন এবং সারা দেশে চার হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়ে কাজ করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সেবা ক্যাম্পেইন উদ্বোধন
“গ্রাহক সেবায় নতুন মাত্রা, সমৃদ্ধ হবে অগ্রযাত্রা” এই প্রত্যয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী বিশেষ গ্রাহক সেবা ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান কার্যালয়ে এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল কুদ্দুছ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাগিব আহসান।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান শাহ এবং মো. সিরাজুল ইসলামসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, উর্ধ্বতন নির্বাহীগণ। ডিজিটাল প্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের জোন প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক, উপশাখা ইন-চার্জ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ফার্স্ট ইসলামী ব্যাংক শরীয়াহর উদ্দেশ্যের আলোকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-পেশা-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল মানুষের নিকট কল্যাণধর্মী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এই বিশেষ গ্রাহক সেবা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শরীয়াহসম্মত বিভিন্ন ডিপোজিট ও বিনিয়োগ প্রোডাক্ট ছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার উদ্যোগে গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুস সায়াদাত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এ এম হাবীবুর রহমান।
ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মো. মুহিবুল কাদিরের সভাপতিত্বে প্রিন্সিপাল শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল মোতালেব সহ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুইশতাধিক গ্রাহক সভায় যোগ দেন। তাঁরা ব্যাংকের সাথে থেকে ব্যাংকটিকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুস সায়াদাত বলেন, গত ত্রিশ বছর ধরে সম্মানিত গ্রাহকগণ আমাদের সাথে আছেন। আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, সম্মানিত গ্রাহকগণ এভাবে আমাদের সাথে থাকলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এগিয়ে যাবে সামনের দিকে। তিনি সবাইকে এসআইবিএলেল উপর আস্থা রেখে পূর্বের ন্যায় ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্যাংকাসুরেন্স প্রশিক্ষণে ব্র্যাক ব্যাংকের ৮২ কর্মকর্তাকে সার্টিফিকেট প্রদান
ব্যাংকাসুরেন্স প্রশিক্ষণে ব্র্যাক ব্যাংকের ৮২ জন কর্মকর্তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্টিফিকেট প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইনসিওরেন্স একাডেমি (বিআইএ)। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ব্যাংকাসুরেন্স প্রশিক্ষণের ৭ম ব্যাচের কর্মকর্তারা ব্যাংকাসুরেন্স বিষয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকায় একাডেমি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের সুবিধা কাজে লাগিয়ে গ্রাহকদের উন্নত ইনস্যুরেন্স সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এই সার্টিফিকেশনের মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যাংকাসুরেন্স-সার্টিফাইড কর্মকর্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০০-তে। এর ফলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত বিমা সেবা দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও মুহাম্মদ আলা উদ্দিন আহমদ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের জালালুল আজিম এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব। প্রশিক্ষণ কোর্সের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিআইএর চিফ ফ্যাকাল্টি মেম্বার এস.এম. ইব্রাহিম হোসেন এসিআইআই।
একটি জনবান্ধব ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের আরও উন্নত ও কার্যকর সেবা দিতে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কাফি