রাজনীতি
অতীতের রাষ্ট্রপরিচালকেরা দুর্নীতি করে আঙুল ফুলে বটগাছ হয়েছেন: রেজাউল করীম

উচ্চশিক্ষিত অনেকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি। অতীতের রাষ্ট্র পরিচালকরা উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পরেও সেই প্রমাণ করতে পারেননি। এজন্য ৫৩ বছরের রাষ্ট্র পরিচালকরা দুর্নীতি করে আঙুল ফুলে বটগাছে পরিণত হয়েছেন। অর্থপাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলকভাবে করার দাবি জানিয়ে সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, শিক্ষকরা আদর্শ নাগরিক গড়ার কারিগর। এ মানুষ গড়ার কারিগরদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কাজ করছে। আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলিম সন্তান যাতে দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করতে পারে এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
এসময় ২০২৩-২৪ সেশনের কমিটি বিলুপ্ত করে অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খানকে সভাপতি, মাওলানা এ বি এম জাকারিয়াকে সহ-সভাপতি ও প্রভাষক আবদুস সবুরকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০২৫-২০২৬ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আবদুস সবুরের পরিচালনায় কাউন্সিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক ড. আরিফুল ইসলাম অপু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কামরুল আহসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শহিদুল হক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল মোমিন প্রমুখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে জামায়াত: ড. হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলুমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর শাহজাহানপুর পূর্ব থানা এলাকায় গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা-পূর্বক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হেলাল বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি সরকার দেশের জনগণকে শোষণ করেছে। জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শোষণের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সব সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। যার কারণে জোট সরকারে থাকাকালীনও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে, কারাগারে জুলুম-নির্যাতন চালানে হয়েছে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিঃশেষ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে ভারতের পরামর্শে প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ ১১ জন নেতাকে বিচারিক হত্যা করে। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ সেই পতিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে দেশ ছাড়া করেছে। সর্ববৃহৎ দল দাবি করা দল ক্ষমতা হারিয়ে এক মিনিট রাজপথে ঠিকতে পারেনি।
ড. হেলাল আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় না বসেও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে আছে। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করা যায়নি, যাবে না। তবে ষড়ষন্ত্র থেমে নেই। ভারত এখন আবার নতুন করে আরেকদলকে জামায়াতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। কারণ ভারত জানে, সব দলকে কেনা গেলেও জামায়াতে ইসলামীকে কেনা যাবে না। এ জন্য জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে ভারত একেকবার একেক দলের ঘাড়ে সোয়ার হয়।
তিনি বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণ শোষিত হবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিক দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশিষে সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। তাই শোষণের হাত থেকে মুক্তি ও নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, থানা কর্মপরিষদের সদস্য যথাক্রমে আবদুল খালেক, নাহিদ জামাল, আজিজ উদ্দিনসহ দায়িত্বশীল নেতারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
কামরাঙ্গীরচরে জামায়াতের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা শুরু

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কামরাঙ্গীরচর উত্তর থানার উদ্যোগে স্থানীয়দের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ‘ফ্রি মেডিকেল সেন্টার’ উদ্বোধন করেছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ফ্রি মেডিকেল সেন্টারের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কামরাঙ্গীরচর উত্তর থানা আমীর ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা মো. নাজমুল হক। থানা সেক্রেটারী মহানগেরীর কর্মপরিষদের সদস্য ডা. আব্দুল্লাহ আল নোমানের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বড়গ্রাম ওয়ার্ডের সেক্রেটারি ও ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. সাজেদুল করিম সুজন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা বাইতুল মাল সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, তারবিয়াত সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, পশ্চিম রসুলপুর ওয়ার্ড সভাপতি মিনহাজ ভুঁইয়া, সেক্রেটারি ডা. মো. খলিলুর রহমান,পূর্ব রসুলপুর ওয়ার্ড সভাপতি মো. মহসিন কবির, সেক্রেটারি মো. মহসিন বাবু, কলেজ ওয়ার্ড সভাপতি মো. আবু তাহের, সেক্রেটারি মো. ইয়াসিন, হুজুর পাড়া ওয়ার্ড সেক্রেটারি মো. ওমর ফারুক, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি শেখ মো. আশরাফ আলী প্রমুখ ।
প্রধান অতিথি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা কর্মসূচির অন্যতম একটি হচ্ছে সমাজ সেবা ও সমাজ সংস্কার। সমাজ সেবার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে মানবিক সহায়তা করে থাকে। এই সহায়তা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত প্রতিটি মানুষ সমানভাবে পেয়ে থাকে। এরই অংশ হিসেবে কামরাঙ্গীরচর এলাকার অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত সকল শ্রেনীপেশার লোকজনের জন্য ফ্রি মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এই মেডিকেল সেন্টারে প্রতি রবিবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করবে। ফলে বৃহৎ জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণের মৌলিক সকল অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জনগণের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত হয়নি। যার কারণে জামায়াতে ইসলামী জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে সারাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন সামাজিক খাতে কাজ করে আসছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীকে অনুসরণ করে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও সমাজের কল্যাণে সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানান।
সভা শেষে ফ্রি মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধনী দিনে শতাধিক নারী-পুরুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সিইসির সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা ১২টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন আইন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন, নিবন্ধনের সময়সীমা ও নির্বাচন কেন্দ্রিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীনের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
সভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে। প্রতিনিধি দলের আরও উপস্থিত থাকবেন দলের যুগ্ম আহবায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনূভা জাবীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমেরিকা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের শি জিনপিং, ভারতের মোদী এসে ধাক্কা দিয়ে কিছু করে যাবে না, যা করার আমাদের করতে হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীতে ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম-এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি ও শাসন ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা বহুতবাদ এক হয়ে যুদ্ধ করেছি। তেমনি করে ২৪ সালে ছাত্রদের ওপর যখন গুলি চালায়, তখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে সবাই এক হয়েছিল সেভাবে এক হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের লোকের সংখ্যা ছিল সাত কোটি আর এখন ১৮ কোটি। সেই সময়ে আমাদের খাদ্য ঘাটতি ছিল ২৮ লাখ মেট্রিক টন আর এখন খাদ্য ঘাটতি নেই বললেই চলে। আর এই খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করেছে দেশের কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীরা। যেটা আমরা মনে করি না, বুঝিও না।
তিনি বলেন, সবাই এখন ভিন্ন দিকে নজর দিচ্ছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ট্যারিফ দিয়েছে তা দেশের জন্য একটু বিপদে পড়ার মতোই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বাড়তি শুল্ক দ্রুত সমাধান করতে না পারলে সমস্যা আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, গ্রামের যে মানুষগুলো ক্ষেত খামারে পরিশ্রম করে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে, যে নারী মাত্র ১৫ হাজার টাকার বেতনে কাজ করে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছে। আমরা যদি তাদেরকে নিয়ে না ভাবি, তাহলে কোনোভাবেই দেশে এগিয়ে যাবে না। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে তাদেরকে নিয়ে ভাবি। তবেই দেশ গিয়ে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এইটুকু আশাবাদী আমি, আমরা সবাই যদি বিশ্বাস করি। দেশকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরকে ভাবতে হবে।
তিনি আরো বলনে, সমস্যা থাকবে, সমাধানও হবে। ড. ইউনূস সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি চেষ্টা করছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ড. ইউনূস সফল হবেন। আসুন আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে: এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু তার আগে বিচার এবং সংস্কার সরকারকে দৃশ্যমান করতে হবে। এটার জন্য যেটুকু সময় পাওয়া প্রয়োজন, সরকার সে সময়টুকু পেতে পারে।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐক্যমত কমিমনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠকের মধ্যবর্তী বিরতীতে বেরিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি মনে করে অন্তরবর্তীকালীন সরকার যে এজেন্ডা-ম্যানডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, বিচার এবং সংস্কার দৃশ্যমান করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে। নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে কিন্তু তার আগে বিচার এবং সংস্কার কাজ সরকারকে দৃশ্যমান করতে হবে। এটার জন্য যেটুকু সময় পাওয়া প্রয়োজন, সরকার সে সময়টুকু পেতে পারে। কোনভাবেই কাজ ব্যাতিরেকে সময় পেতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত সংবিধানের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের মত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সংবিধানের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বরং এখানে প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। তার মধ্য দিয়েই সাংবিধানকিভাবে স্বৈরতান্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ রয়েছে৷ আমরা ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলছি এবং বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের কথা বলছি। সেই প্রেক্ষাপটে কিভাবে সংবিধান পূনলিখন করা যায় এবং গণপরিষদ নির্বাচনের বাস্তবতা নিয়ে কথা বলেছি।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিনাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা আজকে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সাথে বসেছি। সেখানে আমাদের অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৬৬ টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আমরা ১২৯ টির সাথে একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেগুলোর বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। মূলত এখন পর্যন্ত আমরা তিনটি বিষয়ে কথা বলেছি। প্রথম বিষয়টি হচ্ছে, প্রটেকশন অব সিটিজেন বা নাগরিকদের নিরাপত্তা। আমরা দেখেছি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরঙ্কুশ অধিকার নিশ্চিত হয়নি। সেসব বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলেছি। দ্বিতীয় বিষয় পিসফুল ট্রানজেকশন অব পাওয়ার বা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। আমরা দেখেছি যখনই রাষ্ট্রের পাওয়ার ট্রানজেকশনের সময় এসেছে তখনই দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একটি নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর কিভাবে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। যাতে আমাদের অতীতের যেসব দুঃখ স্মৃতি যেগুলো রয়েছে সেগুলোর পুনরাবৃত্তি আর না হয়। তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে, সংসদ স্থিতিশীলতার নাম করে আর্টিকেল ১৭ দিয়ে কন্ঠরোধ করে রাখা হয়েছে। সেটি নিয়ে কথা হচ্ছে। যেটির মধ্য দিয়ে আমরা একসাথে সংসদে স্থিতিশীলতা, সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা আমাদের সংসদকে কিভাবে আরও বেশি কার্যকর করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় এলডি হলে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাব নিয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে রয়েছেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন ও ড. ইফতেখারুজ্জামান। এনসিপির পক্ষ থেকে থেকে রয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসেল।