জাতীয়
এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

সারা দেশে গত একবছরে আত্মহত্যা করেছেন ৩১০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী, অর্থাৎ স্কুলপড়ুয়া। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ‘২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন।
গত কয়েক বছরের আত্মহত্যার তথ্য তুলনা করে সংগঠনটি জানায়, ২০২২ সালে দেশে আত্মহত্যাকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৩২ জন এবং ২০২৩ সালে ৫১৩ জন। ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারী মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১০ জন। এদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আত্মহত্যা সম্পর্কিত সংবাদ গণমাধ্যমে কম এসেছে বলেও মত তাদের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী বয়সভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১৩-১৯ বছরে বয়ঃসন্ধিকালের শুরু থেকে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ সালের মোট আত্মহত্যাকারী মানুষের প্রায় ৬৫.৭ শতাংশ এই বয়সসীমার। আত্মহত্যার তালিকায় এরপরই রয়েছে ২০-২৫ বয়সসীমা যুবক-যুবতীরা।
গত বছর এ বয়সের আত্মহত্যা করেন প্রায় ২৪ শতাংশ । শিশুদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা গেছে। ১-১২ বছর বয়সী শিশুর আত্মহত্যার তথ্য উঠে এসেছে, যা প্রায় ৭.৪ শতাংশ। সবচেয়ে কম রয়েছে ২৬-৩০ বছর বয়সসীমার মানুষ। এ বয়সের ২.৯ শতাংশের কাছাকাছি।
২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যার প্রবণতা সব লিঙ্গের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে, তবে নারীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি। মোট ৩১০ জন আত্মহত্যা করেছেন, এর মধ্যে নারী মোট আত্মহত্যার প্রায় ৬১ শতাংশ। এদিকে পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হারও কম নয়; প্রায় ৩৮.৪ শতাংশ পুরুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তৃতীয় লিঙ্গের এবং ট্রান্সজেন্ডারদের মধ্যে একজন করে আত্মহত্যা করেছেন, যা মোট সংখ্যার যথক্রমে ০.৩ শতাংশ এবং ০.৩ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যানটি নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার উচ্চ প্রবণতা এবং এর সম্ভাব্য সামাজিক ও মানসিক কারণগুলোর দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। নারী শিক্ষার্থীরা সাধারণত আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাক। তাই মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সহযোগিতা নারীদের জন্য আরও বেশি প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, এসএসসি বা সমমান অর্থাৎ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৪৬.১ শতাংশ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী। এরপরই উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। এ হার ১৯.৪ শতাংশ। তাছাড়া, স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে।
২০২৪ সালে এ পর্যায়ে আত্মহত্যার হার ১৪.৬ শতাংশ। এছাড়া প্রাথমিক স্তরে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝেও আত্মহননের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। এ স্তরের ৭.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া স্নাকোত্তর ১.৯ শতাংশ, ডিপ্লোমা ০.৬ শতাংশ, সদ্য পড়াশোনা শেষ করা শিক্ষিত তবে বেকার ০.৬ শতাংশ।
আত্মহত্যার পন্থা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে বলা হয়, আত্মহত্যার ক্ষেত্রে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের ঘটনা সবচেয়ে বেশি, যা ৮৩.৫ শতাংশ আত্মহত্যার ক্ষেত্রে ঘটে। অন্যদিকে, বিষপানে আত্মহত্যার হার প্রায় ৮.৭ শতাংশ। ৪.৬ শতাংশ মানুষ অন্যান্য পদ্ধতিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। যেমন: ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে, পানিতে ডুব দিয়ে, ট্রেনে কাটা পড়ে, ছুরি দিয়ে আঘাত, ঘুমের ওষুধ খেয়ে ইত্যাদি।
সচেতনতার তাগিদ দিয়ে বলা হয়, আত্মহত্যার ধরন বিবেচনায় নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা সহজতর হতে পারে। দড়ি, বিষ, ছুরি ইত্যাদি ব্যবহারের প্রতি পরিবারের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অভিমান অনেক সময় মানসিক চাপ ও হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পারিবারিক অবহেলা, প্রিয়জনের সাথে ভুল বোঝাবুঝি কিংবা শিক্ষক বা বন্ধুদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন না পাওয়ার মতো বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের মনে অভিমান তৈরি করতে পারে।
অনলাইন এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সায়্যেদুল ইসলাম সায়েদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো. জামাল উদ্দীন, আইনজীবী ও লেখক ব্যারিস্টার নওফল জামির, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ প্রমুখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
আ. লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত শিগগিরই আসছে: আসিফ মাহমুদ

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘ঐকমত্য’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে আসিফ মাহমুদ বলেন, এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ‘ঐকমত্য’ তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ‘ঐকমত্য’ প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল; যে বা যারাই হই না কোন, আমরা এ দেশের জনগণকে ‘রিপ্রেজেন্ট’ করি। ফলে, ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও ৪টি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যে কোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে, এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করাসহ যেকোনো ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে। তবে, বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তয়নের সঙ্গে যুক্ত, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে সরকার।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদশের জনগণের চাওয়ার প্রতিফলন ঘটাতে সরকার এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
টঙ্গীর ময়দান হস্তান্তর, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২য় পর্ব শুরু

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হবার পর টঙ্গীর তুরাগ তীরের ময়দান গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির কাছে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করা হয়।
শুরায়ি নেজামের আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় শুরায়ি নেজামের তত্ত্বাবধানে ছয় দিনব্যাপী ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। সরকার যে তিন শর্তে আমাদের ইজতেমা করার অনুমতি দিয়েছিল, আমরা তা পূরণ করে ইজতেমা সম্পন্ন করেছি। আমরা আশা করি এবার সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে বিশ্ব ইজতেমার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বিদের কাছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
তারপর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। তিনদিনের এ পর্বে মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নেবেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, গাজীপুরের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনার তিন সদস্যের কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে আমরা ইজতেমা ময়দান প্রথম পর্বের আয়োজক কমিটির কাছ থেকে বুঝে নিয়েছি। যথাযথ নিয়মে পরবর্তী পক্ষকে ময়দান হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তরের সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম, প্রথম পর্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান, মেজবাহ উদ্দিন, আবু মামুন হাশেমী, আলমগীর হোসেন, রেজাউল করিম, মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডিবিতে শাওন-সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ, যা জানা গেলো

অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন এবং অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মেহের আফরোজ শাওন ও অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কোন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে, সে সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার হোটেল পার্কে অনুষ্ঠিত সভায় সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে শাওনের নাম উঠে এসেছে। এরপরই বৃহস্পতিবার (৬ ফ্রেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ অভিনেত্রীকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিজেদের হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
অন্যদিকে একই দিনে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আলো আসবে গ্রুপের অ্যাডমিন অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হাসিনা দিল্লি থেকে সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন: ড. ইউনূস

শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েও তার সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, (শেখ হাসিনার এ কর্মকাণ্ড) দেশকে তার নিপীড়নের যুগ থেকে পুনরুদ্ধার হতে বাধাগ্রস্ত করছে। অবিলম্বে সম্পূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে। কোনো অজুহাতে শেখ হাসিনার পরিবার ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলের রাজনীতিবিদদের সম্পত্তির বিরুদ্ধে বা কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে আর কোনো হামলা করা যাবে না।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সরকারি এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা (আওয়ামী লীগ নেতাদের) সম্পত্তির ওপর হামলা চালিয়েছে এতে তাদের ক্ষোভ বোঝা যায়। কারণ তারা এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন শেখ হাসিনার শাসনামলে বছরের পর বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সরকার বুঝতে পারে যে, শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েও তার সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন। তবে এই বাস্তবতা বোঝার পরও, সরকার সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যে, আমাদের অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে। বিশ্বকে দেখাতে হবে যে আমরা আইনের শাসনকে সম্মান করি। আইনের শাসন মেনে চলাই আমাদের নতুন বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য, যা পুরোনো ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে আমাদের আলাদা করেছে। আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ভিত্তিকে দুর্বল করা যাবে না। আইনের প্রতি কোনো অবজ্ঞা নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তিকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
তিনি বলেন, যেসব নাগরিক শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে জুলাই ও আগস্ট মাসে রুখে দাঁড়িয়েছিল, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের ও বিশ্বের বন্ধুদের সামনে প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা ন্যায়বিচারের পক্ষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরস্পরের নাগরিক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইন মেনে চলার বিষয়ে অবিচল। একটি ন্যায়সঙ্গত নতুন বাংলাদেশের পক্ষের সংগ্রামীদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যা বর্তমান প্রতিষ্ঠানগুলোর আচরণকে আগের স্বৈরাচারী শাসনের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ তৈরি করে।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এ বিষয়ে সচেতন। সরকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সব বাংলাদেশির জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। যদি কেউ দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য উসকানিমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী নেতারা দেশকে চরম দুর্দশার মধ্যে ফেলে গেছেন। যতদিন আমরা সজাগ থাকবো এবং নৈতিক উচ্চতা ধরে রাখবো, ততদিন তারা ফিরে আসার কোনো সুযোগ পাবে না। তাদের সম্পত্তির ওপর হামলা চালালে তারা আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের সুযোগ পাবে এবং তাদের সাজানো গল্প ছড়ানোর চেষ্টা করবে। আমরা তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের আওতায় আনছি। সারাবিশ্ব আমাদের সঙ্গে আছে। আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি হলে তা বিশ্বে ভুল বার্তা দেবে।
এসময় দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেন এমন একটি দেশ গড়ে তুলি, যেখানে সব বাংলাদেশি নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পারে। এজন্য আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে। ইতিবাচক পরিবর্তনের পক্ষে গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণ উদ্যোগে নিজেদের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বোটানিক্যাল গার্ডেনকে প্রকৃতি সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এসব উদ্যানকে প্রকৃতির সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। কেউ এ সংক্রান্ত কার্যকর প্রস্তাব দিলে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্স ২০২৪-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করতে হবে।
রিজওয়ানা বলেন, শালবন পুনরুদ্ধারে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না, এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও জরুরি। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।
নগরায়ণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকাসহ দেশের নগর এলাকায় সবুজায়ন ও আরবান ফরেস্ট্রি প্রসারে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংবিধানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদীদের উত্থানের অন্যতম কারণ এখানকার প্রকৃতিবান্ধব পরিবেশ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ড. এম. মাহফুজুর রহমান, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সোহেল আহমেদ প্রমুখ।