ব্যাংক
ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা

ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থেকে তার ওপরের পদে কাজের ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা পাসের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। তাতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থেকে তার ওপরের পদে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যাংকাররা ডিপ্লোমা ছাড়াই পদোন্নতি পাবেন। ডিপ্লোমা পাসের জন্য বরাদ্দ করা নম্বর তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়ে যাবেন।
এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বা সমমানের পদ থেকে শুরু করে তার পরের ধাপের পদগুলোকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা পরীক্ষার জন্য ১০ শতাংশ নম্বর রাখার বিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো নিজেরা এসব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কর্মীদের যে নম্বর দেয়, সেখানে ডিপ্লোমার জন্য ১০ শতাংশ নম্বর রাখতে হবে। এই ১০ শতাংশ নম্বরের মধ্যে প্রথম পর্বে উত্তীর্ণের জন্য ৫ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্বের জন্য ৫ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ব্যাংকারদের ব্যাংকিং ডিপ্লোমা–সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকে নতুন যোগ দেওয়া কর্মীর পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যাঁরা ব্যাংকে যোগ দেবেন বা পদোন্নতিপ্রাপ্ত হবেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
এ ছাড়া পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা থেকে আরেক দফায় সাময়িক ছাড় পেলেন সিনিয়র বা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তারা ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় পাস না করলেও পরবর্তী ধাপে পদোন্নতি পাবেন। তবে এক ব্যাংক থেকে একজন কর্মকর্তা অন্য ব্যাংকে যেকোনো পদে যোগদান করতে গেলে সে ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা পাসের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির আগে নিয়োগ পাওয়া বা পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা যে পদে কর্মরত ছিলেন, তার পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুই পর্বের জন্য বরাদ্দ করা পূর্ণ নম্বর পাবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বা সমমানের পদে যোগদান বা ওই পদে পদোন্নতির ১৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এমন কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা বিবেচনায় ওই কর্মকর্তা দুই পর্বের পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ করা পূর্ণ নম্বর পাবেন। তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি হতে ব্যাংকে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বা সমমানের পদে যোগদান করা কিংবা উক্ত পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের পরবর্তী ধাপের পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্ব পরীক্ষায় বাধ্যতামূলকভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে, মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমে সম্পৃক্ত নয় এমন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। তবে এমন বিভাগে বর্তমানে কর্মরত কোনো কর্মকর্তাকে পরবর্তী সময়ে মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্থায়ীভাবে পদায়ন করা হলে এসব নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
এ ছাড়া ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে আবশ্যিকভাবে আর্থিক প্রণোদনাও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য প্রথম পর্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় পর্বের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা প্রণোদনা পাবেন ব্যাংকাররা। এই সিদ্ধান্ত ৯৯তম ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা থেকে কার্যকর হবে। সম্প্রতি ৯৯তম ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
জব্দ হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন, প্রিমিয়ার ব্যাংককে জরিমানা

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নির্দেশনা দেওয়ার পরও, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবালের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেয় প্রিমিয়ার ব্যাংক। এর জন্য ব্যাংকটিকে জরিমানা করা হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ৩০ হাজার ডলারের সমমূল্য, যা প্রায় ৩৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
বুধবার বিএফআইইউ ব্যাংককে এই জরিমানা সম্পর্কিত চিঠি পাঠিয়েছে, যা প্রিমিয়ার ব্যাংকের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফরকে বারবার কল করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি, এবং তার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো মেসেজেরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে, ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের (স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী এবং তিন সন্তান) ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ। তাদের মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সে হিসাবও জব্দ করতে বলা হয়েছিল।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইকবালের জব্দ অ্যাকাউন্টটি খুলে দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ৩০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে, যার জন্য ব্যাংককে জরিমানা করা হয়।
এদিকে, ইকবাল ফেব্রুয়ারিতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেও, তার ছেলে ইমরান ইকবাল নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন, ফলে ব্যাংকটি ইকবাল পরিবারের নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে। ইকবাল বর্তমানে প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান, যা একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে, যার মধ্যে পাঁচ তারকা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সিমেন্ট উৎপাদন এবং মেডিকেল সেন্টার অন্তর্ভুক্ত।
ইকবালের বিরুদ্ধে গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ, হিলটন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং রয়াল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, এবং সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয়েছে, ইকবাল একাধিক কোম্পানির মালিক হয়ে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা এবং সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হয়ে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ হচ্ছেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

তিন মাস অন্তর অন্তর বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
নতুন সার্কুলার অনুসারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য দেওয়া (রিপোর্টিং) ক্ষেত্রে তিন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠাতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের সিআইবি ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার ক্রম পুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া তিন মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের যাবতীয় দলিলপত্রও দিতে হবে। তৃতীয়ত, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের বিষয়ে ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটের সদস্যদের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস-এসব তথ্য দিতে হবে।
তিন মাস পর পর ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণসংক্রান্ত তথ্য কীভাবে দিতে হবে, এর নমুনা ফরম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি হলে নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে-এসব তথ্য দিতে হবে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে, এসব তথ্য দিতে হবে।
২০২৪ সালের ১২ মার্চ এই ধরনের আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তখন ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এসব তথ্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও অধিকতর সংশোধন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
অগ্রণী ব্যাংকের নতুন ডিএমডি রুবানা পারভীন ও নুরুল হুদা

রাষ্ট্র মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকে পদোন্নতি পেয়ে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হলেন দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন রুবানা পারভীন এবং মো. নুরুল হুদা।
গত ১০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম-সচিব ফরিদা ইয়াসমিনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের এ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া রুবানা পারভীন ১৯৯৩ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন। একজন সদালাপী মানুষ হিসেবে তিনি সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ব্যাংকের বিভিন্ন করপোরেট শাখা, গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশন এবং সার্কেল প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অগ্রণী ব্যাংকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আইসিসি, বৈদেশিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স বিষয়ে স্পিকার হিসেবে সেশন পরিচালনা করে থাকেন।
রুবানা পারভীন সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়াসহ দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া মো. নুরুল হুদা ১৯৯৬ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ব্যাংকের কেন্দ্রীয় হিসাব বিভাগ, প্রকল্প ঋণ, তহবিল ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ করপোরেট শাখা ও সার্কেল প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
মো. নুরুল হুদা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, তহবিল ব্যবস্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্পিকার হিসেবে সেশন পরিচালনা করে থাকেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিভাগ থেকে ইএমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
আল–আরাফাহ ব্যাংকের এমডিসহ ৪ জনকে বাধ্যতামূলক ছুটি

বেসরকারি খাতের আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরীকে এবার তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ নাদিম, ডিএমডি ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া ও ট্রেজারি বিভাগের প্রধান মো. আব্দুল মবিনকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ৭ ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর এখন পর্যন্ত ১৫টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের অনিয়ম জালিয়াতি তদন্তে বিশেষ অডিট হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে বড় রদবদল

রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৯ মহাব্যবস্থাপককে (জিএম) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
এদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের জিএম রেজাউল করিম, মো. নূরুন নবী ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে একই ব্যাংকের ডিএমডি এবং সোনালী ব্যাংকের জিএম মো. রফিকুল ইসলামকে বেসিক ব্যাংকের ডিএমডি করা হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের জিএম রূবানা পারভীনকে একই ব্যাংকের ডিএমডি এবং অগ্রণী ব্যাংকের জিএম জিএম নুরুল হুদাকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ এর ডিএমডি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের জিএম মো. নজরুল ইসলামকে জনতা ব্যাংকের ডিএমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের জিএম মোহা. খালেদুজ্জামানকে একই ব্যাংকের ডিএমডি করা হয়েছে।
এছাড়া, জনতা ব্যাংকের জিএম মো. আশরাফুল আলমকে একই ব্যাংকে ডিএমডি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।