অর্থনীতি
বিদেশিরা বাংলাদেশে খরচ বাড়িয়েছেন ৫৬.৯৩ শতাংশ

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নভেম্বরে বাংলাদেশে বিদেশিদের লেনদেন বা খরচ বেড়েছে। মাসটিতে বিদেশি নাগরিকরা ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশে খরচ বাড়িয়েছেন ৫৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। নভেম্বরে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছেন ২০২ কোটি টাকা। যা আগের মাস অক্টোবরে ছিল ১২৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে নভেম্বরে বিদেশিদের খরচ বেড়েছে ৭৩ কোটি টাকা।
তবে নভেম্বরে দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে মোট লেনদেন কমেছে। ওই মাসটিতে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে মোট খরচ হয়েছে ৪৩১ কোটি টাকা, যা অক্টোবরে ছিল ৪৯৯ কোটি টাকা। একই মাসে দেশের ভেতরে মোট খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা আগের মাসে ছিল ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা।
সে হিসাব এক মাসের ব্যবধানে দেশের ভেতরে লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি এবং দেশের বাইরে কমেছে ৬৮ কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে নভেম্বরে দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ আর দেশের বাইরে কমেছে ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরে দেশের ভেতর ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। আর পরের মাস নভেম্বরে হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে নভেম্বরে কার্ডে লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি টাকা।
এসব লেনদেনের মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি, খুচরা দোকানে ৪০৬ কোটি, ইউটিলিটি বাবদ ২৪৬ কোটি, নগদ উত্তোলন ১৯৬ কোটি, ফার্মেসিতে ১৬৪ কোটি, কাপড় কেনায় ১৪৮ কোটি, ফান্ড স্থানান্তর ৭৫ কোটি, পরিবহনে ৯৮ কোটি, বিজনেস সার্ভিসে ৫৭ কোটি, প্রফেশনাল সার্ভিসে ২১ কোটি ও সরকারি সেবায় খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।
দেশের ভেতরে নভেম্বরে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা, মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে ৫১৫ কোটি টাকা, অ্যামেক্সের মাধ্যমে ২৯৫ কোটি টাকা, ডিনার্সের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা ও কিউক্যাশ প্রোপ্রাইটরের মধ্যে খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকা।
বিশ্বজুড়েই দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ক্যাশলেস মাধ্যম। ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে সামগ্রিক লেনদেনের তিন-চতুর্থাংশ ক্যাশলেস করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল এবং নন-ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাংক বিভিন্ন অ্যাপ এবং অন্য ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি ও ডিজিটাল করার জন্য কার্ড অনস্বীকার্য। ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিনে (সিআরএম) রেকর্ড টাকা লেনদেন এবং পয়েন্ট অব সেলসের (পিওএস) মাধ্যমেও আগের চেয়ে বেশি কেনাকাটা করছেন গ্রাহক।
তথ্য বলছে, গত নভেম্বরে বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছেন ৪৩১ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৪৯৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে নভেম্বরে বিদেশে খরচ কমেছে ৬৭ কোটি টাকা।
বিদেশে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ১২৫ কোটি, খুচরা দোকানে ৭৬ কোটি, নগদ উত্তোলন ২০ কোটি টাকা, ফার্মেসিতে ৪৫ কোটি টাকা, কাপড় কেনায় ৩৪ কোটি টাকা, পরিবহনে ৩৯ কোটি টাকা, ব্যবসায় সেবা বাবদ ৩১ কোটি টাকা, সরকারি সেবায় ২০ কোটি টাকা, প্রফেশনাল সার্ভিস ২৪ কোটি টাকা ও ইউটিলিটি বাবদ ১৩ কোটি টাকা।
নভেম্বরে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৮ কোটি টাকা, ভারতে ৪৭ কোটি টাকা ও থাইল্যান্ডে ৪৬ কোটি টাকা। এ তিন দেশের পর বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের বেশি ব্যবহার করেছেন সিঙ্গাপুরে ৩৮ কোটি, যুক্তরাজ্যে ৩৪ কোটি ও ইইউএইতে ১৫ কোটি, কানাডায় ২০ কোটি, সৌদিতে ২০ কোটি, মালয়েশিয়ায় ২৫ কোটি, আয়ারল্যান্ডে ১২ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১২ কোটি ও অন্য দেশগুলোতে ৭১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, নভেম্বরে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা দেশের সবচেয়ে বেশি ৫৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন। এর পরেই যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা খরচ করেছেন ১৯ কোটি, ভারতের নাগরিকরা ১৯ কোটি, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা ৭ কোটি, কানাডার নাগরিকরা ৪ কোটি, সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা ৬ কোটি, জাপানি নাগরিকরা ৫ কোটি, ইইউএই নাগরিকরা ৬ কোটি, চীনা নাগরিকরা ৬ কোটি এবং অন্য দেশগুলোর নাগরিকরা খরচ করেছেন ৫৩ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

তিন মাসে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে চার হাজার ৯৫৪টি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। পরে ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ডিসেম্বর-ভিত্তিক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে গ্রাহকের মোট হিসাব বা অ্যাকাউন্ট ছিল ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। এসব হিসাবে মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা।
এর আগে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। এসব হিসাবে জমা ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংক খাতের হিসাব বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি। আর আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, ডিসেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি হলেও তা সমসংখ্যক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
তিনি বলেন, আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাব থাকতে পারে। পাশাপাশি অনেক সরকারি সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংক থেকে টাকা তোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাসহ দলীয় ব্যবসায়ীদের অনেকে দেশ ছাড়েন। অতি কড়াকড়ির কারণে বিদেশে টাকা পাচার কমে যায়।
এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে এ সময় ধাপে ধাপে ব্যাংকের সুদ হার বাড়ানো হয়। এ সময়ে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ব্যাংক হিসাবে টাকার পরিমাণও বাড়তে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফল আমদানিতে উৎসে কর কমলো

আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর। অবিলম্বে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব তাজা ফল আমদানিতে অগ্রিম কর কমানো হলো, সেগুলো হলো— তাজা বা শুকনা কমলালেবু, তাজা বা শুকনা লেবু জাতীয় ফল, তাজা বা শুকনা আঙুর ফল, তাজা বা শুকনা লেবু, তাজা বা শুকনা আঙ্গুর, তাজা আপেল ও নাশপাতি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। ফলে বাজারে আমদানি করা বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যায়।
বর্তমানে ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ আগাম কর আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোটামুটি যত ধরনের শুল্ককর আছে, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ১৩৬ শতাংশ। ১০০ টাকা ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা কর দিতে হতো। অগ্রিম কর কমানোয় এখন করভার কিছুটা কমবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর ২৯ হাজার শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ

এখন পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লি: কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এই প্র
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআর দুই ভাগ হচ্ছে, ঈদের আগেই অধ্যাদেশ: চেয়ারম্যান

ঈদের আগেই রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুই ভাগ হয়ে যাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা নতুন অর্থবছরের প্রথম থেকে কাজ শুরু করবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘আয়কর আইন, ২০২৩: সংস্কার ও প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মো. আবদুর রহমান খান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকালও (মঙ্গলবার) আমাকে ডেকেছেন। তিনি বলেছেন, ঈদের আগেই অধ্যাদেশ হয়ে যাবে। আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হবে। যত দ্রুত সম্ভব এটা অপারেশনাল করব। আমরা সে দিকেই আগাচ্ছি। শুরুটা করতে হবে এবং বিবাদ যা থাকবে সে জায়গাটা আমরা পরে অ্যাড্রেস করব।
এনবিআর দুই ভাগে বিভক্ত হলে সেখানে কারা থাকবেন ও কাজ করবেন সেটি তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কিছু বাইরের এক্সপার্টও থাকবে, বিশেষ করে ইকোনমিক, ফাইন্যান্স ও রিসার্চ থেকে কিছু লোক থাকবে। তবে এনবিআরের কর ও শুল্ক ক্যাডাররাই মূলত এ কাজগুলো করবেন বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যারা অভিজ্ঞ তারাই মূলত এ কাজগুলো করবেন। তার সঙ্গে অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে অন্যরা থাকবেন। আমরা নৈর্ব্যত্তিকভাবে কোনো কিছু না দেখে আইনে যা আছে, এটা আমরা প্রয়োগ করতে পারব।
তিনি বলেন, যেসব টিআইএনধারী রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের ওপর রাজস্ব সংগ্রহের বড় চাপ থাকতো। সেটি আমরা পলিসির ওপর ভর করে আদায়ের চেষ্টা করতাম। বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে ইনকনসিসটেন্স বড় যন্ত্রণা। এজন্য অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। আামদের এখানে সুশাসনের অভাব। অনেক আইন আছে, প্রয়োগে শৈথিল্য। আইনের শাসন একেবারে অনুপস্থিত। করজাল ছোট এটাও সঠিক নয়, কর কম দেয় এটাও ঠিক নয়।
এসময় আরও বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
কর কমিশনার ও সংগঠনের সভাপতি মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন কর অঞ্চল-৬ এর কর কমিশনার ইকতিয়ার উদ্দিন মামুন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত-ভিয়েতনাম থেকে এলো ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল

ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (১২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সেদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
ওইসব চাল নিয়ে ভিয়েতনাম থেকে এমভি টুং এন শিপ ও ভারত থেকে এমভি রেক এলিট জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই (বুধবার) খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।