জাতীয়
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল
বিগত সরকারের আমলে করা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনেই থাকছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আইন বাতিলের বিষয়টি জানিয়েছেন এনআইডি কর্মকর্তারা। এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আইনটি বাতিলের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এবং আইন ও বিচার বিভাগীয় সচিবের কাছে চিঠি দেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২৩ সালের আইনটি বাতিল হওয়ায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ কার্যকর থাকছে।
এর আগে এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিতে সরকার ২০২১ সালের ২১ মে প্রথমবারের মতো ইসিকে চিঠি দেয়। সে সময়কার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিম ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারকে পাঠিয়ে এনআইডি কার্যক্রম ছেড়ে দিতে বলে।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করে সরকার। তবে নিজস্ব লোকবল ও অবকাঠামো না থাকায় ওই আইনটি কার্যকর করা হয়নি। বলা হয়, সরকার যখন গেজেট আকারে কার্যকর করবে তখন কার্যকর হবে আইন।
পরে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ কার্যকর করে এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনেই রাখার জন্য বলেছে সংস্থাটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জনগণ চোরদের আর ভোট দেবেন না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, হয়তো আমরা আর বেশি দিন নাই, এরপর নির্বাচন হবে। চোরদের আর নির্বাচিত করবেন না। দয়া করে চোরদের আর ভোট দেবেন না। আপনারা সব দেখেছেন, সব জানেন-একজন ভালো মানুষকে আনেন। যারা নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের সঙ্গে থেকে কাজ করে, এরকম লোককে ভোট দেবেন।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলার মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলি ইউনিয়নের ঢালচরে নবনির্মিত ঢালচর লঞ্চঘাট উদ্বোধন শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার দুঃখ লাগে এ দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এ টাকাগুলো দেশে থাকলে দেশের আরও উন্নতি হতে পারতো, এখন কোনো কাজ করতে গেলে চিন্তা হয়। দুর্নীতি এমন জায়গায় চলে গেছে যদি বলি এটাকে নির্মূল করবো, তাহলে এটা অসম্ভব। দুর্নীতি রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এটাকে অভ্যাস বলবো নাকি আল্লাহর গজব—সেটা আল্লাহই জানেন।
সংস্কার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আমরা উপদেষ্টা বটে, তবে আমরা কিন্তু পলিটিক্যাল চিন্তাধারার বাইরে না। তাহলে এতো সংস্কারের কথা কেনো বলা হতো? আমাদের কী দরকার ছিল, দিনরাত সংস্কারের পেছনে লেগে থাকা। এগুলো প্রয়োজন। সংস্কার যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো হবে। রাজনৈতিক দলগুলো মানলে মানুক না মানলে নাই। সংস্কার অনেক জায়গায় করতে হবে।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাঠান মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান, সাবেক জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দীন চৌধুরী, মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান কবিরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। মাসুদ বিশ্বাসকে দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে বিএফআইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী কামরুন নাহারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সম্পদ বিবরণী তলব করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএফআইউর সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাস নিজ নামে এক কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি এই অবৈধ সম্পদ ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বিএফআইইউর সাবেক এই প্রধান কর্মকর্তার সম্পদের তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ ১১ দেশে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
অন্যদিকে, মাসুদ বিশ্বাসের স্ত্রী কামরুন নাহারের নামে ৭২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে পৃথক সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির অনুমোদন দিয়েছে দুদক। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তার নামে একাধিক জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে, যা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে খতিয়ে দেখা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে অভিমত চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে চিঠির মাধ্যমে অভিমত চেয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এ অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সর্বদলীয় সংলাপের পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজন থেকে অভিমত নেওয়া হচ্ছে। আপনাদের সুচিন্তিত অভিমত চিঠি মারফত পাঠাতে পারেন- মাহফুজ আলম, উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় এ ঠিকানায়। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চিঠি মারফত আপনাদের অভিমত জানাতে পারবেন।
আরও বলা হয়, এ অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জনগণের উপস্থিতিতে তা অনতিবিলম্বে ঘোষিত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতি পদে নির্দলীয় ব্যক্তিকে চান ৬৮ শতাংশ মানুষ
রাষ্ট্রপতি পদে নির্দলীয় ব্যক্তিকে দেখতে চান দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ। নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে জাতীয় জনমত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে গত ২০ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এই জরিপ চালায়। জরিপটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ইতোমধ্যে জরিপের খসড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে দেখা যায়, দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ নির্দলীয় ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি দেখতে চান। আর প্রায় ২৯ শতাংশ মানুষ চান দেশের রাষ্ট্রপতি হবেন একজন দলীয় ব্যক্তি। জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ। এছাড়া ১৩ শতাংশ মানুষ চাইছেন সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হোক।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করার বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছেন ৬৫ শতাংশ মানুষ।
জরিপের ফলাফলে আরও দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশ মানুষ রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন থাকার বিষয়টি সমর্থন করেন না। তবে প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ এটিকে সমর্থন করেন।
এই জরিপে ৪৬ হাজার ৮০ মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিএস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ফেসবুকে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন প্রেস সচিব শফিকুল
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার তাগিদ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সে উদ্দেশ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য সময়ও বেঁধে দেয় সরকার। সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।
এবার সেই সম্পদের বিবরণী নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক পোস্টে সেই বিবরণী লিখে প্রকাশ করেন তিনি।
সেখানে তিনি লেখেন, ২০০০ সালের দিকে আমার বাবা ঢাকা শহরের নিম্নমধ্যবিত্ত এলাকা ডেমরার কাছে জুরাইন এবং যাত্রাবাড়ীর মধ্যবর্তী দনিয়া এলাকায় পাঁচতলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন নির্মাণ করেন। সেই ভবনের একটি ১,১৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আমি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। ২০১০ সালে দনিয়া ছেড়ে চলে আসলেও এখনো সেই ফ্ল্যাট আমার মালিকানায় আছে। একসময় আমি সেটি আমার এক ভাইয়ের কাছে বিক্রি করার কথা ভেবেছিলাম, যিনি এখনো সেখানে থাকেন। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। জীবনের এক পর্যায়ে হয়ত আবার দনিয়ায় ফিরে যাব। বাবা-মায়ের বাড়িতে গেলে আমি এখনো সেই সরু করিডোরগুলোতে তাদের হাঁটতে দেখি। আমার প্রয়াত বাবার কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ শুনি, মা যেভাবে বিনয়ের সঙ্গে সালাত আদায় করতেন তাও যেন দেখতে পাই।
তিনি আরও লেখেন, ২০১৪ সালে আমি শাহীনবাগে ১,১০০ বর্গফুটের একটি তিন বেডরুমের ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। ভাই এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিছু টাকা দিয়েছিলেন, আর বাকিটা আমার সঞ্চয় থেকে দিয়েছিলাম। আমি জায়গাটি ভালোবাসি। তবে নিরাপত্তার কারণে হয়ত খুব শিগগিরই এই ফ্ল্যাট ছেড়ে যেতে হবে। সম্প্রতি দেখছি, আমাদের এলাকার মসজিদের ভিক্ষুকরাও আমাকে চেনেন। কিছুদিন আগে কয়েকজন তরুণ আমাকে তাদের আড্ডার সামনে দিয়ে হাঁটার সময় ‘গণশত্রু’ বলে ডেকেছিল। এ কারণে আমাকে হয়ত শিগগিরই সরকারি একটি ফ্ল্যাটে চলে যেতে হবে। আমার পরিবার এই নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত।
এছাড়া তিনি আরও লেখেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি আমার এক শ্যালকের কাছ থেকে ময়মনসিংহে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। খুব সস্তায় পেয়েছিলাম সেটি। একই ভবনে আমার স্ত্রী তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এই দুটি ফ্ল্যাট আমাদের জন্য মাসিক আয়ের একটি উৎস। এছাড়া গ্রামে আমার ৪০ শতাংশ আবাদি জমি আছে। বহু বছর ধরে একটা ভ্রান্ত ধারণায় ভুগেছি যে, অবসরে গ্রামে ফিরে যাব। শুধু লিখব আর হাঁটব—এটাই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু এখন মনে হয়, গ্রামে আর কখনো ফিরে যাওয়া হবে না। হয়ত আমি মরে গেলে আমার সন্তানরা আমাকে বাবা-মায়ের পাশেই কবর দেবে।
আমার একটি মাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে যেখানে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা (১১.৪ মিলিয়ন টাকা) সঞ্চিত আছে। এই আগস্টে আমি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিতে দুই দশকের চাকরি ছেড়েছি। অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের বেশিরভাগই আমার এএফপির চাকরির পেনশন এবং গ্র্যাচুইটির। কিছু মানুষ আমার কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ধার নিয়েছে। আমার ধারণা, বছরের শেষে আমার সঞ্চয় হয় অপরিবর্তিত থাকবে, নয়তো খরচের কারণে কমে যাবে। আমার একটি গাড়ি আছে। ঢাকা শহরে একটি গাড়ি পরিচালনা এবং ড্রাইভার রাখার মাসিক খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
আমি জানি না, প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ শেষ করার পর আমার ভাগ্য কোথায় নিয়ে যাবে। তবে নিশ্চিত জানি, এই সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কোনো কাজ না পেলেও আমি মধ্যবিত্তের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করতে পারব। ক্ষমতায় থাকলে অনেকেই আপনার উপার্জন নিয়ে মিথ্যা রটায়। এটাই আমার পূর্ণাঙ্গ সম্পত্তির প্রকাশ।