কর্পোরেট সংবাদ
খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারে ব্যবসায়ীদের আলটিমেটাম

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে ভোক্তার স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে অবলিম্বে তা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের মতে, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের উপর ভ্যাট ও করের বোঝা চাপানো হলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের শ্রমজীবী, প্রান্তিক কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। যে হারে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য বিস্কুট, কেক, জুসসহ বিভিন্ন খাদপণ্য ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। আর ভোক্তারা ক্রয় ক্ষমতা হারালে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে এরই মধ্যে এ খাতে সরাসরি কাজ করা প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিকের কাজ হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে পুরো খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেলে রপ্তানিতে বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি রয়েছে। ফলে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা আসবে। সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর যে উদ্দেশ্যে সেটি হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে এগ্রো প্রসেসরস’ এসোসিয়েশনের (বাপা) সদস্যরা এসব উদ্বেগের কথা জানান।
পাশাপাশি সরকারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন তারা। যদি এ সময়ের মধ্যে আরোপিত ভ্যাট ও শুল্কের সাথে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে সরকার সরে না আসে তবে স্বেচ্ছায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং সচিবালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটির।
এছাড়া এ ইস্যুতে সরাসরি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বাপা’র নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টাকে সরাসরি এর প্রভাবগুলো তুলে ধরতে পারলে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।
গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। সেখানে মেশিনে প্রস্তুতকৃত বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনী, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সস, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যসমূহের উপর মূসক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ফলের রস ও ফ্রুট ড্রিংকস এর উপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং আর্টিফিসিয়াল/ ফ্লেভার ড্রিংকস ও ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস (নন-কার্বোনেটেড) পণ্যের উপর সম্পূরক শুল্ক ০% (শূণ্য হারে) ছিল এবং বর্তমানে তা ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী পর্যায়ে পূর্বে ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ ছিল যা বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাপার সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, “আমরা এমন একটি খাত নিয়ে ব্যবসা করি যার সাথে সরাসরি শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে প্রান্তিক কৃষক জড়িত। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, এতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দেশের মানুষের সংস্কৃতি যদি দেখি, চায়ের দোকান থেকে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ সকালে এক কাপ চা, একটি বিস্কুট কিংবা কেক খেয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন। এখন যদি বিস্কুট ও কেকের উপর ভ্যাট বাড়ানোর সাথে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পায় তবে ৫ টাকার একটি বিস্কুট আর তৈরি করা সম্ভব হবে না। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষটি সহজে ক্ষুধা নিবারণের পথটি হারাবেন”।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমরা প্রান্তিক কৃষকের আম, টমেটো, আনারস, কলাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে জুস, ড্রিংকস, আচার, সস তৈরি করি। টমেটো, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যসমূহের উপর মূসক ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন প্রান্তিক চাষীরা। এখন যদি ভ্যাট ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যায় তবে অনেকেই এসব পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া এর প্রভাবে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর শ্রমিকের জীবনে অনিশ্চিয়তা নেমে আসবে। তাই সরকারকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।
এ খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণের উচ্চ সুদ হার, ঋণপত্রে জটিলতা, ডলার বাজারে অস্থিরতা, ২০২৪ এর সাধারণ নির্বাচন, জুলাই-আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে যখন ব্যবসায়ীদের কঠিন অবস্থা সামাল দিতে হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ভ্যাট বৃদ্ধির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কিত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য অংশ এ খাতে নিযুক্ত। কৃষিখাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের অবদান জিডিপিতে এখন ৭.৭ শতাংশ। বর্তমানে বাপা’র প্রায় ৪০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। এর বাইরেও প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাদপণ্য উৎপাদন করছেন যেখানে ৫ লাখের অধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি কাঁচামাল সরবরাহকারী, খুচর বিক্রেতাসহ পরোক্ষভাবে প্রচুর লোক এ খাতে যুক্ত রয়েছেন। বর্তমান কঠিন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ এ ধরনের উদ্যোগে সবাই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
বক্তারা বলেন, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য দেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানি খাতের একটি। আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের সুপারশপেও এখন ‘বাংলাদেশে তৈরি’ প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের সরবরাহ প্রচুর বেড়েছে। এসব বাজারে জুস, ড্রিংকস, বিস্কুট, সস, জেলিসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বিশাল বাজার তৈরি হচ্ছে। এ খাতে রপ্তানি এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ যদি বর্ধিত ভ্যাট আরোপ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয় তবে রপ্তানি খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। উৎপাদন ব্যয় বাড়লে প্রতিবেশি দেশ ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কাছে বাজার হারাতে হবে। এছাড়া দেশীয় পণ্যের দামের সাথে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যের দামের ব্যবধান কমে আসলে স্থানীয় শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই দ্রুত বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার ও প্রস্তাবিত গ্যাসের দাম না বাড়ানোর জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এগ্রো প্রসেসরস’ এসোসিয়েশনের (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক, এসিআই এগ্রো বিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারি, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ নাসির, বাংলাদেশ বিস্কুট এন্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভুইয়া, আকিজ ফুডস এন্ড বেভারেজ এর পরিচালক সৈয়দ জহুরুল আলম, স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ এর চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম, কিশোয়ান ও বনফুল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলামসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
ফাইনান্সএশিয়া অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলো ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট

দেশের বিনিয়োগ ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য মাইলফলক গড়লো ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (ইউসিবিআইএল)। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফাইনান্সএশিয়া অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ ইউসিবিআইএল টানা তৃতীয়বারের মতো ‘বেস্ট ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক’ পুরস্কার অর্জন করেছে।
এবারের আসরে ইউসিবিআইএল আরও দুটি মর্যাদাপূর্ণ বিভাগ—‘বেস্ট ডেট ক্যাপিটাল মার্কেটস হাউস (ডিসিএম)’ এবং ‘বেস্ট ইকুইটি ক্যাপিটাল মার্কেটস হাউস (ইসিএম)’-এ বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব আবারও প্রমাণ করেছে।
এই কৃতিত্ব কেবল একটি পুরস্কার নয়—এটি ইউসিবিআইএল-এর সুদৃঢ় নেতৃত্ব, উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি, নিখুঁত বাস্তবায়ন দক্ষতা এবং ক্লায়েন্ট-প্রধান মানসিকতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
ইউসিবিআইএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিম আলমগীর বলেন, টানা তিনবার এই স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের জন্য গর্বের, একই সঙ্গে এটি আমাদের আরও বড় দায়িত্ববোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের ক্লায়েন্ট, বিনিয়োগকারী এবং অংশীদারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা—তাদের আস্থা ও সহযোগিতাই আমাদের চালিকাশক্তি।
এর আগেও ইউসিবিআইএল ফাইনান্সএশিয়া, ইউরোমানি, দ্য অ্যাসেট ট্রিপল এ, এশিয়ামানি-সহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে সম্মাননা লাভ করেছে। সম্প্রতি দ্য অ্যাসেট ট্রিপল এ অ্যাওয়ার্ডস ফর সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ২০২৫-এ পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার জয়ের মধ্য দিয়ে টেকসই অর্থায়নের প্রতিও ইউসিবিআইএল’র দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটেছে।
পেশাদারত্ব, স্বচ্ছতা এবং সৃজনশীলতাকে মূল মন্ত্র করে ইউসিবিআইএল সামনে এগিয়ে যাচ্ছে—বাংলাদেশের মূলধন বাজারে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রত্যয় নিয়ে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
শিক্ষামূলক অনলাইন কোর্সে বিকাশ পেমেন্টে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট

স্কুল-কলেজের পড়াশুনা থেকে শুরু করে চাকরির প্রস্তুতি, ক্যারিয়ার, ব্যবসায় দক্ষতা অর্জনে জনপ্রিয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম ‘টেন মিনিট স্কুল’, ‘শিখো’,
‘এরিয়া ৭১ একাডেমী’ এবং ‘লার্নিং বাংলাদেশ’ থেকে যেকোনো কোর্স নিয়ে পেমেন্ট বিকাশ করলে গ্রাহকরা পাচ্ছেন বিভিন্ন অংকের ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট।
বিকাশ অ্যাপ থেকে টেন মিনিট স্কুল-এর কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫ শতাংশ ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের ‘অফারস’ সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে। অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/cashback-at-10minuteschool লিংকটিতে।
শিখো-তে ৪৯৯ টাকা থেকে ১,৫০১.৯৯ টাকার মাঝে যেকোনো কোর্স নিতে বিকাশ পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫ শতাংশ ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে একজন গ্রাহক একবারই ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/shikho-yearlong-cashback লিংকটিতে।
‘এরিয়া ৭১ একাডেমী’-তে নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট বিকাশ করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে একজন গ্রাহক যত খুশি ততবার ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/area71-apr25 লিংকটিতে।
অন্যদিকে, লার্নিং বাংলাদেশ-এ বিকাশ পেমেন্টে কুপন কোড ‘BKASH20’ ব্যবহারে যেকোনো অনলাইন কোর্সে গ্রাহকরা পাচ্ছেন ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। সেইসাথে জনপ্রিয় তিনটি ই-বুক – ‘চ্যাটজিপিটি প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘চাকরির পাশাপাশি বিজনেজ’ এবং ‘ক্যারিয়ার গ্রোথে ৯৯টি টিপস’– কিনতেও গ্রাহকরা এই ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারছেন। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/learningbd- apr25 লিংকটিতে।
জনপ্রিয় এই শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স আরও সাশ্রয়ী মূল্যে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বিকাশ গ্রাহকরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক চালু করলো ‘ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট’

দেশের তরুণ ও সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ চালু করেছে ‘ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট’। এই উদ্যোগের মাধ্যমেই ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও শক্তভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।
এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা এখন আরও সহজ ও নিরাপদে বিদেশ থেকে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও- একাধিক মুদ্রায় লেনদেনের, বৈদেশিক মুদ্রার রূপান্তর এবং নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মতো সুবিধাও পাওয়া যাবে অ্যাকাউন্টটিতে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা সহজেই ফর্ম সি জমা দিয়ে রেমিট্যান্স জমা করতে পারবে। ডিজিটাল অনবোর্ডিং সিস্টেম থাকার কারনে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সাররা এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন এ জিরো-ফি অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রেডিট কার্ড এবং পার্সোনাল লোন প্রসেসিং ফিতে বিশেষ ছাড়, বিনামূল্যে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে ফান্ড ট্রান্সফারের সুবিধাও পাওয়া যাবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের হেড অব ওয়েলথ অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিং লুৎফুল হাবিব বলেন, আমরা গর্বিত যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। এটা বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে আমাদের দেশের সাহসী ও উদ্যমী ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। এটা কেবল একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নয়, এটা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি ব্যাংকিং এর একটি পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে আপওয়ার্ক এবং ফাইভার এর মতো আরও অনেক বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সহজেই পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে ফ্রিল্যান্সাররা।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার্স ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান, ড. তানজিবা রহমান, বলেন, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সম্ভাবনাময় পথ, যা বেকার মানুষকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে ডিজিটাল অর্থনীতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। আমরা আনন্দিত যে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এমন সহজ ও সুবিধাজনক অ্যাকাউন্ট চালু করেছে, যা ফ্রিল্যান্সারদের আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করবে এবং দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো আন্তর্জাতিক ব্যাংক, যা ১৯০৫ সাল থেকে দেশে সেবা দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি বাণিজ্যকে আরোও সহজতর, উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং আর্থিক অংশগ্রণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট তাদের উদ্ভাবনী সমাধানসমূহের মধ্যে এক নতুন সংযোজন, যা ক্রমবর্ধমান ও পরিবর্তনশীল শ্রমশক্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের এজিএম

ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের (আইবিসিএমএল) ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আইবিসিএমএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব।
সভায় কোম্পানির পরিচালক প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, মো. আলতাফ হুসাইন, জি. এম. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে মো. ওমর ফারুক খান, মো. আশরাফুল হক, এফসিএ, মো. সালেহ ইকবাল, কোম্পানির শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও (চলতি দায়িত্ব) আবু সাঈদ মো. নাহিদ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শেয়ারহোল্ডারগণ কর্তৃক ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সফলতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
গ্রাহকের কাছে ‘সিলায়ন ৬’ হস্তান্তর করলো বিওয়াইডি বাংলাদেশ

সিলায়ন ৬ গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিওয়াইডি বাংলাদেশ। রবিবার (২০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যেখানে ৬ জন গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বিওয়াইডি সিলায়ন সিক্স। রবিবার (২০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এ হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি বিওয়াইডি বাংলাদেশ সার্ভিস সেন্টারে একটি উষ্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত হয়।
গ্রাহক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানানো হয় বিওয়াইডি বাংলাদেশ শোরুমে। যেখানে বিওয়াইডি সিলায়ন সিক্স এর একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন হয়, এসময় গাড়ির ফিচার ও পারফরম্যান্স তুলে ধরা হয়। এরপর সার্ভিস সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ির চাবি প্রদান করা হয় নতুন মালিকদের হাতে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিজি রানার বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান এবং বিওয়াইডির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝ্যাং জি। তাঁরা নতুন গ্রাহকদের অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক যানবাহন খাতে বিওয়াইডি এর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিওয়াইডি সিলায়ন সিক্স ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাজারে আসে। ১০০০++ কিমি রেঞ্জের মাধ্যমে প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ির ধারণাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে। বাজারে আসার পর থেকে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বাংলাদেশের পিএইচইভি ক্রেতাদের প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে।