কর্পোরেট সংবাদ
খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারে ব্যবসায়ীদের আলটিমেটাম

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে ভোক্তার স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে অবলিম্বে তা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের মতে, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের উপর ভ্যাট ও করের বোঝা চাপানো হলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের শ্রমজীবী, প্রান্তিক কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। যে হারে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য বিস্কুট, কেক, জুসসহ বিভিন্ন খাদপণ্য ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। আর ভোক্তারা ক্রয় ক্ষমতা হারালে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে এরই মধ্যে এ খাতে সরাসরি কাজ করা প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিকের কাজ হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে পুরো খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেলে রপ্তানিতে বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি রয়েছে। ফলে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা আসবে। সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর যে উদ্দেশ্যে সেটি হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে এগ্রো প্রসেসরস’ এসোসিয়েশনের (বাপা) সদস্যরা এসব উদ্বেগের কথা জানান।
পাশাপাশি সরকারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন তারা। যদি এ সময়ের মধ্যে আরোপিত ভ্যাট ও শুল্কের সাথে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে সরকার সরে না আসে তবে স্বেচ্ছায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং সচিবালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটির।
এছাড়া এ ইস্যুতে সরাসরি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বাপা’র নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টাকে সরাসরি এর প্রভাবগুলো তুলে ধরতে পারলে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।
গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। সেখানে মেশিনে প্রস্তুতকৃত বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনী, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সস, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যসমূহের উপর মূসক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ফলের রস ও ফ্রুট ড্রিংকস এর উপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং আর্টিফিসিয়াল/ ফ্লেভার ড্রিংকস ও ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস (নন-কার্বোনেটেড) পণ্যের উপর সম্পূরক শুল্ক ০% (শূণ্য হারে) ছিল এবং বর্তমানে তা ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী পর্যায়ে পূর্বে ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ ছিল যা বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাপার সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, “আমরা এমন একটি খাত নিয়ে ব্যবসা করি যার সাথে সরাসরি শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে প্রান্তিক কৃষক জড়িত। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, এতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দেশের মানুষের সংস্কৃতি যদি দেখি, চায়ের দোকান থেকে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ সকালে এক কাপ চা, একটি বিস্কুট কিংবা কেক খেয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন। এখন যদি বিস্কুট ও কেকের উপর ভ্যাট বাড়ানোর সাথে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পায় তবে ৫ টাকার একটি বিস্কুট আর তৈরি করা সম্ভব হবে না। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষটি সহজে ক্ষুধা নিবারণের পথটি হারাবেন”।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমরা প্রান্তিক কৃষকের আম, টমেটো, আনারস, কলাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে জুস, ড্রিংকস, আচার, সস তৈরি করি। টমেটো, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যসমূহের উপর মূসক ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন প্রান্তিক চাষীরা। এখন যদি ভ্যাট ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যায় তবে অনেকেই এসব পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া এর প্রভাবে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর শ্রমিকের জীবনে অনিশ্চিয়তা নেমে আসবে। তাই সরকারকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।
এ খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণের উচ্চ সুদ হার, ঋণপত্রে জটিলতা, ডলার বাজারে অস্থিরতা, ২০২৪ এর সাধারণ নির্বাচন, জুলাই-আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে যখন ব্যবসায়ীদের কঠিন অবস্থা সামাল দিতে হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ভ্যাট বৃদ্ধির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কিত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য অংশ এ খাতে নিযুক্ত। কৃষিখাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের অবদান জিডিপিতে এখন ৭.৭ শতাংশ। বর্তমানে বাপা’র প্রায় ৪০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। এর বাইরেও প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাদপণ্য উৎপাদন করছেন যেখানে ৫ লাখের অধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি কাঁচামাল সরবরাহকারী, খুচর বিক্রেতাসহ পরোক্ষভাবে প্রচুর লোক এ খাতে যুক্ত রয়েছেন। বর্তমান কঠিন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ এ ধরনের উদ্যোগে সবাই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
বক্তারা বলেন, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য দেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানি খাতের একটি। আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের সুপারশপেও এখন ‘বাংলাদেশে তৈরি’ প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের সরবরাহ প্রচুর বেড়েছে। এসব বাজারে জুস, ড্রিংকস, বিস্কুট, সস, জেলিসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বিশাল বাজার তৈরি হচ্ছে। এ খাতে রপ্তানি এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ যদি বর্ধিত ভ্যাট আরোপ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয় তবে রপ্তানি খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। উৎপাদন ব্যয় বাড়লে প্রতিবেশি দেশ ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কাছে বাজার হারাতে হবে। এছাড়া দেশীয় পণ্যের দামের সাথে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যের দামের ব্যবধান কমে আসলে স্থানীয় শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই দ্রুত বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার ও প্রস্তাবিত গ্যাসের দাম না বাড়ানোর জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এগ্রো প্রসেসরস’ এসোসিয়েশনের (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক, এসিআই এগ্রো বিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারি, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ নাসির, বাংলাদেশ বিস্কুট এন্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভুইয়া, আকিজ ফুডস এন্ড বেভারেজ এর পরিচালক সৈয়দ জহুরুল আলম, স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ এর চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম, কিশোয়ান ও বনফুল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলামসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন।
সভায় বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকীতে ব্যাংকের অর্জিত সাফল্যের পর্যালোচনা এবং বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জামাল মোল্লা, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. মুহাম্মদ ছাইদুল হক, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম খলিফা, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আতাউস সামাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি করিম ও এ. এফ. সাব্বির আহমদ, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান এবং সকল শাখা ব্যবস্থাপকগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপশাখার ইনচার্জগণ অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
এএমএফ এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইমরান কাদির

‘এশিয়া ইয়ুথ, ওমেন নেটিজেন মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক পুরস্কার জিতেছেন দ্য ডেইলি স্টারের বিক্রয় ও বিপণন প্রধান এবং তরুণদের আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ইমরান কাদির। যা এশিয়ার ‘টপ অউটস্টান্ডিং ইয়ুথ মার্কেটার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ নামে স্বীকৃত। আগামী নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠান আয়োজন করে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের (এএমএফ) ১৭টি সদস্যদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তিনি এই পুরস্কার জিতেছেন। দেশগুলো হচ্ছে- কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।
এএমএফ’র পাঠানো এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, জুরিবোর্ডের সদস্যরা সমস্ত জমা দেওয়া কাগজপত্রের একটি সূক্ষ্ম মূল্যায়ন করেছেন এবং আগামী নভেম্বর মাসের ১২ থেকে ১৫ তারিখে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরষ্কার প্রদান করা হবে। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে এশিয়ার মার্কেটিং পেশাদারদের নেতারা উপস্থিত থাকবেন ।
ইমরান কাদির পেশায় একজন গণমাধ্যমকর্মী, বর্তমানে দ্য ডেইলি স্টারের বিক্রয় এবং বিপণন প্রধান হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ ব্যবসার অংশীদার। তিনি মিশন সেভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ইমরান স্নাতক সম্পন্ন করেছেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে। বিনিয়োগ বিষয়ে আগ্রহ থেকে তার লেখা বই রোড টু ওয়েলথ, পাঠক মহলে সমাদৃত।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল ও প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ওয়ানপ্লাস দেশে আনল নতুন নর্ড ৫ সিরিজের স্মার্টফোন, আইওটি ডিভাইস

বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের নর্ড সিরিজের দুটি নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। বুধবার (৯ জুলাই) এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫ এবং ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই ৫ স্মার্টফোন দুটি উন্মোচন করে।
নতুন নর্ড ৫ মডেলে রয়েছে কোয়ালকমের সর্বাধুনিক স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন থ্রি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম, যা নর্ড সিরিজে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসর হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে নর্ড সিই ৫ মডেলে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮৩৫০-অ্যাপেক্স চিপসেট, যা দ্রুতগতির পারফরম্যান্স ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি সুবিধা দেবে।
ওয়ানপ্লাসের প্রতিষ্ঠাতা পিট লাউ বলেন, “ওয়ানপ্লাস নর্ড সিরিজে আমরা সাধারণ কিন্তু আকর্ষণীয় ডিজাইনের সঙ্গে উচ্চমানের প্রযুক্তির সমন্বয় করেছি। এ কারণে আমরা বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের ভালোবাসা পেয়েছি। আমরা সব সময়ই উন্নতির পথে—এই নীতিতে বিশ্বাসী। বিভিন্ন দামের ফোনে উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করে আমরা প্রযুক্তিকে আরও সহজলভ্য করে তুলছি। আমাদের বিশ্বাস, নতুন নর্ড ৫ সিরিজ ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে।”
গেইমচেঞ্জিং পারফরম্যান্স নিয়ে হাজির নর্ড ৫
ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫—নর্ড সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন, যাতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন® ৮ সিরিজের চিপ, স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন ৩, যা শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও গতিশীল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। ৪ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির চিপসেটটির সঙ্গে রয়েছে দ্রুতগতির এলপিডিডিআর৫এক্স র্যাম। যার আনটুটু স্কোর ১৫ লাখ ৯০ হাজারের বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। এসব কারণে গেম খেলা, ভিডিও দেখা কিংবা মাল্টিটাস্কিংয়ে মিলবে স্মুথ অভিজ্ঞতা। ডিভাইসটিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন এলিট গেমিং™ সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে উন্নত গ্রাফিক্স প্রযুক্তি ও তাৎক্ষণিক আলো-ছায়া বিশ্লেষণের সক্ষমতা। পাবজি মোবাইল খেলা যাবে ৯০ এফপিএস গতিতে, (যা বাড়িয়ে নেওয়া যাবে ১৪৪ পর্যন্ত)। একইভাবে কল অব ডিউটি মোবাইলেও মিলবে সর্বোচ্চ ১৪৪ এফপিএস গতি। সর্বাধুনিক কাইরো-ভেলোসিটি ভিসি কুলিং প্রযুক্তির সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে ফ্ল্যাগশিপ মানের গ্রাফিন স্তর। ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতির ব্যবহারেও ডিভাইসটি থাকে ঠান্ডা, পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটে না।
নর্ড ৫-এর এআই নাইট পোটের্ট প্রযুক্তি সোলো সেলফি ও প্রাণবন্ত রাতের গ্রুপ ফটোতে এনে দেবে ফ্ল্যাগশিপমানের উজ্জ্বল ছবি। ফোনটির ক্যামেরাতে আরও থাকছে রিচ এইচডিআর, বাস্তবসম্মত আলো ও স্বাভাবিক স্কিন টোন। নাইটলাইফের আলোর ঝলকানিতেও ছবি থাকবে ঝকঝকে কারণ এতে রয়েছে ওয়ানপ্লাস-এর এইচডিআর ও ন্যাচারাল কালার অ্যালগরিদমের ৫০ মেগাপিক্সেল সনি এলওয়াইটি-৭০০ মেইন সেন্সর।
ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৫-এ রয়েছে মিডিয়াটেকের ডাইমেনসিটি ৮৩৫০-অ্যাপেক্স চিপসেট, যা ৪ ন্যানোমিটার টিএসএমসি প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে রয়েছে শক্তিশালী আর্মভি৯ অক্টা-কোর প্রসেসর যার গতি সর্বোচ্চ ৩.৩৫ গিগাহার্জ এবং মালি-জি৬১৫ গ্রাফিক্স প্রসেসর। দ্রুতগতির এলপিডিডিআর৫এক্স র্যামের সমন্বয়ে নর্ড সিই৫ আন্টুটু বেঞ্চমার্কে ১৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। ফলে গ্রাফিক্স প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতায় ৬০ শতাংশ উন্নতি এবং ৫৫ শতাংশ পাওয়ার সাশ্রয় করে।
বিশাল ব্যাটারি, দীর্ঘস্থায়ী শক্তি
নর্ড ৫-এ থাকছে ৬৮০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি, যা একবার চার্জে দুই দিন পর্যন্ত চলতে পারে। আর নর্ড সিই৫ মডেলে রয়েছে আরও বড় ৭১০০ এমএএইচের ব্যাটারি এবং ৮০ ওয়াটের সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং। ফোনটি মাত্র ৫৬ মিনিটেই সম্পূর্ণ চার্জ করা যায়। ব্যাটারি হেলথ ম্যাজিক ও বাইপাস চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে ফোনগুলো স্মার্টভাবে শক্তি ব্যয় করে, তাপ কমায় এবং দীর্ঘ সময় গেমিং ও কাজের ব্যাকআপ দেয়। এতে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমে নতুন সংযোজন
নর্ড ৫ সিরিজের পাশাপাশি ওয়ানপ্লাস তাদের ইকোসিস্টেমকে আরও কানেক্টেড করেছে তাদের নতুন ডিভাইস—ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩, ওয়ানপ্লাস বাডস ৪ এবং শক্তিশালী ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩ দিয়ে।
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩-এ ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক ওয়্যার ওএস ৫ অপারেটিং সিস্টেম, পাওয়ার সেভার মোডে ১৬ দিন পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ৬০ সেকেন্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সুবিধায় ৬টি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সূচক পরিমাপ করা যায়। টাইটানিয়াম ডিজাইন ও দুটি শক্তিশালী চিপসেটের সমন্বয়ে এতে রয়েছে শতাধিক স্পোর্টস মোড, যা ব্যবহারকারীর ফিটনেস ট্র্যাকিংকে করে আরও উন্নত ও নির্ভরযোগ্য।
ওয়ানপ্লাস বাডস ৪ দেয় সর্বোচ্চ ৪৫ ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর বাস্তব সময় ভাষান্তর সুবিধা এবং সহজ স্লাইড ইশারা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এছাড়া, ব্লুটুথ সংযোগে স্থিতিশীলতার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্টেডি কানেক্ট প্রযুক্তি এবং একই সঙ্গে দুইটি ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা স্মুথ ও স্মার্ট অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩-তে দেওয়া হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেট, ১৩.২ ইঞ্চির স্টানিং ১৫৫ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৩.৪কে ডিসপ্লে। সঙ্গে রয়েছে স্টাইলো পেন ও তিনভাঁজ ফোলিও কভার, যা ব্যবহারকে আরও আরামদায়ক করে তুলে ও ডিভাইসকে সুরক্ষিত করে তোলে।
পাশাপাশি বাজারে এসেছে প্যাড লাইট এবং ওয়্যারলেস হেডফোন, যা মিলিয়ে ওয়ানপ্লাসের প্রযুক্তি জগৎকে করেছে আরও শক্তিশালী ও সমন্বিত।
দাম ও কবে পাওয়া যাবে
বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫ ফাইভজি এবং নর্ড সিই৫ ফাইভজি আগামী ১৬ জুলাই থেকে অনলাইনে দারাজ, পিকাবু, ডলবেয়ার, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারে এবং একইসঙ্গে অফলাইনে পাওয়া যাবে। মার্বেল স্যান্ড ও প্যান্টম গ্রে রঙে নর্ড ৫ (১২+৫১২জিবি) পাওয়া যাবে ৫৩,৯৯৯ টাকায় এবং মার্বেল মিস্ট ও ব্ল্যাক ইনফিনিটি রঙে নর্ড সিই৫ (৮+২৫৬জিবি) পাওয়া যাবে ৩৫,৯৯৯ টাকায়।
ডিভাইসগুলো ৯ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রি-অর্ডার করা যাবে। প্রি-অর্ডারের থাকছে এক বছরের ডিসপ্লে রিপ্লেসমেন্ট সুযোগ এবং র্যাফেল ড্রতে পুরস্কার হিসেবে থাকছে একটি কিনলে আরেকটি জেতার সুযোগ অথবা প্রিমিয়াম ব্যাক কাভার।
ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩ পাওয়া যাচ্ছে (১২+২৫৬জিবি) ৭৩,৪৯৯ টাকায় ফ্রস্টেড সিলভার ও নিম্বাস গ্রে রঙে, আর স্ট্রম ব্লু (১৬+৫১২জিবি) ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে ৭৮,৯৯৯ টাকায়। প্যাড লাইট পাওয়া যাচ্ছে ২৯,৪৯৯ টাকায়। এছাড়াও ওয়ানপ্লাস স্মার্ট কিবোর্ড এবং স্টাইলো ২ শিগ্রই উন্মোচন করা হবে। পাশাপাশি ওয়ানপ্লাস ওয়ান ৩ এমারেল্ড টাইটান রঙে পাওয়া যাচ্ছে ৩৩,৯৯৯ টাকায় এবং ওয়ান ৪৩এমএম ব্ল্যাক ও সিলভার স্টিল রঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে ৩০,৪৯৯ টাকায়। ওয়ানপ্লাস বার্ডস ৪ দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে ৯,৯৯৯ টাকায়।
সবগুলো ডিভাইস ওয়ানপ্লাসের অফিসিয়াল ফ্ল্যাগশিপ স্টোর, এক্সক্লুসিভ ব্র্যান্ড স্টোর এবং অনলাইনে দারাজ, পিকাবু এবং গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারে পাওয়া যাবে। ওয়ানপ্লাসের সব আইওটি ডিভাইসগুলোতে পাওয়া যাবে এক বছরের ওয়ারেন্টি।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং: ২০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এজেন্ট ব্যাংকিং আমানত সংগ্রহে ২০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। এটি দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট আমানতের প্রায় ৪২ শতাংশ ও এখাতে সর্বোচ্চ। সরাসরি ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিযুক্ত এজেন্টের মাধ্যমে সহজে ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্তি করে আসছে ইসলামী ব্যাংক।
২০১৭ সালে কার্যক্রম শুরু থেকে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতায় খুব দ্রুত প্রসার লাভ করেছে। মাত্র নয় বছরের ব্যবধানে ২০ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম আস্থার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। বর্তমানে গ্রাহকের সংখ্যা ৫৩ লাখের বেশি। এর সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো, গ্রাহকদের প্রায় অর্ধেকই নারী। আবার গ্রাহকদের সিংহভাগই গ্রাম এলাকার। এই গ্রাহকরা নির্বিঘ্নে আমানত জমা ও উত্তোলন করছেন যেখানে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ গড়ে প্রায় ১ হাজার কোটির বেশি।
এছাড়া, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে প্রবাসী আয় বিতরণেও রয়েছে আরেকটি বড় সফলতা। বর্তমানে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণে ব্যাংকটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা, যা এ খাতের মোট রেমিট্যান্সের ৫৪ শতাংশেরও বেশি। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। ব্যাংকের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা সহজেই তাদের প্রাপ্য অর্থ উত্তোলন করতে পারছেন। এই সেবা দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহকে শক্তিশালী করছে এবং হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেল ব্যবহারে গ্রাহকদের নিরুৎসাহিত করছে।
ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বর্তমানে দেশের ৪৭২টি উপজেলায় ২৭৯১টি আউটলেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই আউটলেটগুলোর অধিকাংশই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত, যেখানে ঐতিহ্যগত ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো কঠিন। প্রতিটি আউটলেট ব্যাংকের শাখা থেকে সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালনার মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা, আর্থিক নিরাপত্তা ও আস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যেমন সেলফিন অ্যাপ, আই-ব্যাংকিং, পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) এবং কিউআর কোডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সুবিধা গ্রাহকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও সহজলভ্য করে তুলেছে।
ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ১৩৫টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ বিতরণ করা হচ্ছে, যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থিক ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়ক হচ্ছে। এই বিনিয়োগ কার্যক্রম গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে।
ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ২০ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহের সাফল্যের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু মূল কারণ। ব্যাংকটির আমানতদারিতা ও শরীয়াহ পরিপালনে একনিষ্ঠতা গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার প্রতি ব্যাংকের অঙ্গীকার ও স্থানীয় পর্যায়ে এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারীদের পরিচিতি গ্রাহকদের সাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সহায়ক হয়েছে। এছাড়া, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী সেবা প্রদান এই সাফল্যকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
কাফি