কর্পোরেট সংবাদ
খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারে ব্যবসায়ীদের আলটিমেটাম

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে ভোক্তার স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে অবলিম্বে তা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের মতে, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের উপর ভ্যাট ও করের বোঝা চাপানো হলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের শ্রমজীবী, প্রান্তিক কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। যে হারে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য বিস্কুট, কেক, জুসসহ বিভিন্ন খাদপণ্য ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। আর ভোক্তারা ক্রয় ক্ষমতা হারালে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে এরই মধ্যে এ খাতে সরাসরি কাজ করা প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিকের কাজ হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে পুরো খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেলে রপ্তানিতে বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি রয়েছে। ফলে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা আসবে। সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর যে উদ্দেশ্যে সেটি হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে এগ্রো প্রসেসরস’ এসোসিয়েশনের (বাপা) সদস্যরা এসব উদ্বেগের কথা জানান।
পাশাপাশি সরকারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন তারা। যদি এ সময়ের মধ্যে আরোপিত ভ্যাট ও শুল্কের সাথে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে সরকার সরে না আসে তবে স্বেচ্ছায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং সচিবালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটির।
এছাড়া এ ইস্যুতে সরাসরি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বাপা’র নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টাকে সরাসরি এর প্রভাবগুলো তুলে ধরতে পারলে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।
গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। সেখানে মেশিনে প্রস্তুতকৃত বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনী, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সস, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যসমূহের উপর মূসক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ফলের রস ও ফ্রুট ড্রিংকস এর উপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং আর্টিফিসিয়াল/ ফ্লেভার ড্রিংকস ও ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস (নন-কার্বোনেটেড) পণ্যের উপর সম্পূরক শুল্ক ০% (শূণ্য হারে) ছিল এবং বর্তমানে তা ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী পর্যায়ে পূর্বে ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ ছিল যা বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাপার সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, “আমরা এমন একটি খাত নিয়ে ব্যবসা করি যার সাথে সরাসরি শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে প্রান্তিক কৃষক জড়িত। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, এতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দেশের মানুষের সংস্কৃতি যদি দেখি, চায়ের দোকান থেকে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ সকালে এক কাপ চা, একটি বিস্কুট কিংবা কেক খেয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন। এখন যদি বিস্কুট ও কেকের উপর ভ্যাট বাড়ানোর সাথে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পায় তবে ৫ টাকার একটি বিস্কুট আর তৈরি করা সম্ভব হবে না। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষটি সহজে ক্ষুধা নিবারণের পথটি হারাবেন”।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমরা প্রান্তিক কৃষকের আম, টমেটো, আনারস, কলাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে জুস, ড্রিংকস, আচার, সস তৈরি করি। টমেটো, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যসমূহের উপর মূসক ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন প্রান্তিক চাষীরা। এখন যদি ভ্যাট ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যায় তবে অনেকেই এসব পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া এর প্রভাবে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর শ্রমিকের জীবনে অনিশ্চিয়তা নেমে আসবে। তাই সরকারকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।
এ খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণের উচ্চ সুদ হার, ঋণপত্রে জটিলতা, ডলার বাজারে অস্থিরতা, ২০২৪ এর সাধারণ নির্বাচন, জুলাই-আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে যখন ব্যবসায়ীদের কঠিন অবস্থা সামাল দিতে হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ভ্যাট বৃদ্ধির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কিত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য অংশ এ খাতে নিযুক্ত। কৃষিখাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের অবদান জিডিপিতে এখন ৭.৭ শতাংশ। বর্তমানে বাপা’র প্রায় ৪০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। এর বাইরেও প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাদপণ্য উৎপাদন করছেন যেখানে ৫ লাখের অধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি কাঁচামাল সরবরাহকারী, খুচর বিক্রেতাসহ পরোক্ষভাবে প্রচুর লোক এ খাতে যুক্ত রয়েছেন। বর্তমান কঠিন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ এ ধরনের উদ্যোগে সবাই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
বক্তারা বলেন, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য দেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানি খাতের একটি। আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের সুপারশপেও এখন ‘বাংলাদেশে তৈরি’ প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের সরবরাহ প্রচুর বেড়েছে। এসব বাজারে জুস, ড্রিংকস, বিস্কুট, সস, জেলিসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বিশাল বাজার তৈরি হচ্ছে। এ খাতে রপ্তানি এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ যদি বর্ধিত ভ্যাট আরোপ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয় তবে রপ্তানি খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। উৎপাদন ব্যয় বাড়লে প্রতিবেশি দেশ ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কাছে বাজার হারাতে হবে। এছাড়া দেশীয় পণ্যের দামের সাথে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যের দামের ব্যবধান কমে আসলে স্থানীয় শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই দ্রুত বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার ও প্রস্তাবিত গ্যাসের দাম না বাড়ানোর জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এগ্রো প্রসেসরস’ এসোসিয়েশনের (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক, এসিআই এগ্রো বিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারি, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ নাসির, বাংলাদেশ বিস্কুট এন্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভুইয়া, আকিজ ফুডস এন্ড বেভারেজ এর পরিচালক সৈয়দ জহুরুল আলম, স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ এর চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম, কিশোয়ান ও বনফুল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলামসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
দারাজ মেগা ঈদ সেল: ঈদের কেনাকাটায় সেরা অফার

পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে ‘মেগা ঈদ সেল’ ক্যাম্পেইন। ১০ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে ক্রেতারা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, ফ্ল্যাশ সেল এবং ৫ কোটি টাকা মূল্যের এক্সক্লুসিভ ভাউচার উপভোগ করতে পারবেন।
ঈদ কেনাকাটাকে আরও সাশ্রয়ী করতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পেইনে ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফ্যাশন, গৃহসজ্জা, মুদি পণ্য, মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং সৌন্দর্য পণ্যসহ অসংখ্য পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া, নির্দিষ্ট ভাউচার সংগ্রহ করে বিনামূল্যে ডেলিভারি সুবিধা ও প্রিপেইড পেমেন্টে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার থাকছে।
অফিসিয়াল পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিকাশ, নগদ, ব্যাংক এশিয়া, কমিউনিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, প্রাইম ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি। এছাড়া, ইবিএল ও এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে ইএমআই সুবিধাও পাওয়া যাবে।
শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম অফার নিশ্চিত করা হয়েছে। প্ল্যাটিনাম পার্টনার হিসেবে রয়েছে ম্যারিকো, লোটো ও রেকিট, গোল্ড পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে ওরাইমো, মোশন ভিউ, বাটা, হায়ার, ইউনিলিভার ও ইনফিনিটি মেগা মল। এছাড়া, সিলভার পার্টনার হিসেবে থাকছে জিএসকে, ইনসেপটা, গ্লোবাল ব্র্যান্ডস, আরএফএল হাউসওয়্যার অ্যান্ড রিগ্যাল ফার্নিচার, আইওওটিই এবং ফোক্যালিউর।
সর্বশেষ অফার ও বিশেষ ডিল সম্পর্কে জানতে দারাজের সোস্যাল মিডিয়া পেজ ও অ্যাপে চোখ রাখুন।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত দারাজ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মায়ানমারে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটি ৫০ কোটির ও বেশি মানুষের বৃদ্ধিশীল এই অঞ্চলে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সর্বাধুনিক মার্কেটপ্লেস প্রযুক্তি প্রদান করে। ই-কমার্স, লজিস্টিকস, পেমেন্ট ও আর্থিক পরিষেবাগুলিকে নিয়ে এক সমন্বিত অবকাঠামো গড়ে দারাজ উন্নত শপিং অভিজ্ঞতা প্রদান এবং ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধি করে দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পাঁচ তারকা হোটেলের ইফতার ব্যুফেতে বিকাশ পেমেন্টে ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’

এবার রমজান মাসজুড়ে নির্দিষ্ট ফাইভ স্টার ও ফোর স্টার হোটেলে ২টি ইফতার ব্যুফের পেমেন্ট বিকাশ করলেই ১টি ব্যুফের টাকা ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন গ্রাহকরা। বন্ধু বা পরিবারের সাথে ইফতারের মুহূর্তগুলো আরও স্পেশাল করতে এখন আর স্পেশাল কার্ডের প্রয়োজন হবেনা।
রমজানের শেষ পর্যন্ত ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, আমারি ঢাকা, হলিডে ইন, ঢাকা রিজেন্সি, রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ সহ নির্দিষ্ট হোটেলের ইফতার ব্যুফেতে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আকর্ষণীয় এই বোগো (বাই ওয়ান গেট ওয়ান) অফারটি উপভোগ করতে পারছেন গ্রাহকরা। ক্যাম্পেইন চলাকালীন একজন গ্রাহক দিনে একবার এবং সর্বোচ্চ ২ বার অফারটি উপভোগ করতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ, পেমেন্ট গেটওয়ে, *২৪৭# ডায়াল করে, বিকাশ অ্যাপ থেকে কিউআর স্ক্যান করে সরাসরি ভিসা কার্ড দিয়ে এবং বাংলা কিউআর ব্যবহার করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে অফারটি উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। অফারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে- https://www.bkash.com/campaign/ramadan-offer-bogo-2025 – লিংকে।
এছাড়াও, দেশজুড়ে গ্রাহকরা নির্দিষ্ট ইফতার বাজারে কেনাকাটার পেমেন্ট বিকাশ করলে দিনে ৫% করে ৫০ টাকা ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন। অফারগুলোর আওতায় পুরো রমজান মাসে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। অফারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/ramadan-ifter-bazar-cashback-2025 এবং https://www.bkash.com/campaign/ramadan-ifter-bazar-division-2025 লিংকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা

সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসির ঢাকা উত্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের আওতাধীন শাখা ব্যবস্থাপকদের অংশগ্রহণে ‘ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।
বিভাগীয় কার্যালয় ঢাকা উত্তর কর্তৃক আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক শেখ মুনজুর করিম।
এসময় বিভাগের আওতাধীন ০৩ জন জোনাল ম্যানেজার, ৪৭ টি শাখার ব্যবস্থাপক এবং ০৪ টি উপশাখার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বাজারে এলো ওয়ালটনের নতুন স্মার্টফোন ‘জেনন এক্স৯১’

দেশের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি ওয়ালটনের ‘জেনন’ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ‘জেনন এক্স৯১’ বাজারে এসেছে। দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে তৈরি ৬৪ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স৬৮২ প্রাইমারি ক্যামেরার ফোনটিতে রয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের হিলিও জি১০০ প্রসেসর।
গ্রাফাইট গ্রে কালারে ফোনটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
ওয়ালটন মোবাইলের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন জানান, দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুমে নতুন মডেলের এ স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি ঘরে বসেই ওয়ালটনের অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম (https://waltonplaza.com.bd/) এবং (https://waltondigitech.com) থেকেও ফোনটি কেনা যাবে। ভ্যাট ব্যতীত ফোনটির দাম ৩০ হাজার ৯৯৯ টাকা।
জানা গেছে, এ ফোনটিতে রয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৭ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস থ্রি-ডি কারভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ফোনটির টাচ স্যাম্পিং রেট ৩৬০ হার্জ। আকর্ষণীয় সেলফির জন্য সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত এ ফোনে ২৪ জিবি র্যাপিড মেমোরি ব্যবহৃত হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ অপারেটিং সিস্টেম পর্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে ডিভাইসটিতে। ব্যবহারকারীরা ২৫৬ জিবি পর্যন্ত ইন্টার্নাল স্টোরেজ সুবিধা পাবেন। গ্রাফিক্স হিসেবে আছে মালি-জি৫৭ এমসি২। ফোনটিতে চ্যাটজিপিটি, জেমিনি এআাই, কো-পাইলট ও ডিপসিক এর মতো এআই অ্যাপগুলো প্রি- লোড হিসেবে রয়েছে।
পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ডিভাইসটিতে রয়েছে পাঁচ হাজার এমএএইচ হাই-ক্যাপাসিটি লি-পলিমার ব্যাটারি। সঙ্গে ৩৩ ওয়াট টাইপ-সি ফাস্ট চার্জিং থাকায় দ্রুততম সময়ে চার্জিং সুবিধা থাকছে এ ডিভাইসে।
এছাড়া অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে নাইট লাইট, ইন-ডিসপ্লে ফিংগার প্রিন্ট স্ক্যানার, ফেস আনলক, থিম স্টোর ও বাইপাস চার্জিং ফিচার।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় তৈরি এ স্মার্টফোনে ৩০ দিনের বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধাসহ এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের স্পেশাল বিজনেস রিভিউ মিটিং

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ‘স্পেশাল বিজনেস রিভিউ মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৮ মার্চ) শনিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান শাহ ও মো. সিরাজুল ইসলাম, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, ৯টি অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান ও কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপকগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ব্যাংকের ব্যবসায়িক সাফল্যের পর্যালোচনা এবং পরবর্তী সময়ের জন্য কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এসএম